আজঃ শনিবার ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

কটিয়াদীতে চাঞ্চল্যকর বোরহান হত্যা মামলার মূল হোতা র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার

রতন ঘোষ ,কটিয়াদী ,প্রতিনিধি

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

  •                             কটিয়াদীতে চাঞ্চল্য

     

     

    রতন ঘোষ ,কটিয়াদী ,প্রতিনিধি :কিশোরগঞ্জের  কটিয়াদী উপজেলা নাগের গ্রামের চাঞ্চল্যকর  বোরহান হত্যা মামলার মূল হোতা পলাতক  নয়ন মিয়াকে(৩২),নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা  উপজেলার খারনৈ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে, কিশোরগঞ্জ  র‌্যাব-১৪ সিপিসি -২ এর সদস্যরা। গ্রেফতারকৃত নয়ন মিয়া নাগেরগ্রাম পূর্বপাড়া এলাকার আমিরুল ইসলামের ছেলে।

    র‌্যাব সূত্রে জানা যায়, গত ২৬শে মার্চ ২০২৪ তারিখের বিকেলে নিহত মোহাম্মদ বোরহান(২৩)তার নিজ বাড়ি থেকে বের হয়ে শিবনাথ সাহার বাজারের উদ্দেশ্যে যায়। তারপর দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও নিহত মোঃ বোরহান বাড়িতে না আসায় তার পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে পরদিন ২৭শে মার্চ ২০২৪খ্রিস্টাব্দের বিকেলে লোকমুখে খবর পেয়ে নাগের গ্রামের দত্ত বাড়ির পশ্চিম পাশে হাতিম মিয়ার ধান ক্ষেতে নিহত বোরহানের ক্ষতবিক্ষত লাশ দেখতে পায়। পরবর্তীতে নিহতের মা মোসাম্মৎ পারভিন আক্তার (৩৯)বাদী হয়ে  কটিয়াদীর মডেল থানায় অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। উক্ত চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি যোগাযোগ মাধ্যম সহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচারিত হওয়ায় দেশব্যাপী চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে। এই সূত্র ধরেই রহস্যের  প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন ও আসামিদের গ্রেপ্তারে কিশোরগঞ্জ র‌্যাব-১৪, সিপিসি -২ এর সদস্যরা ছায়া তদন্ত ও নজরদারি বৃদ্ধি কর। তারই ধারাবাহিকতায় নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা উপজেলার খারনৈ এলাকা থেকে ১৫ এপ্রিল ২০২৪ খ্রিস্টাব্দের দুপুরে  কিশোরগঞ্জ র‌্যাব-১৪,সিপিসি-২ এর কোম্পানি অধিনায়ক স্কয়াড্রন লিডার মোঃ আশরাফুল কবিরের এর নেতৃত্বে  র‌্যাবের এক অভিযানে নয়ন মিয়াকে  গ্রেপ্তার করে । প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত নয়ন মিয়া হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে মর্মে  র‌্যাবের এর নিকট  স্বীকার করে। গ্রেফতারকৃত নয়ন মিয়া আরো জানায়, অপর আসামি জাকির হোসেন ওজু তার জ্ঞাতি ভাতিজা হয়। গ্রেফতারকৃত নয়ন মিয়া ও জাকির হোসেন অপর এরশাদ হত্যা মামলার ও আসামি। সম্প্রতি তারা জেল থেকে জামিন পেয়ে ঘটনাটি নিষ্পত্তির চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। যার ফলে মামলা থেকে বাঁচার জন্য গত ২৬ শে মার্চ নিহত বুরহানকে ডেকে নিয়ে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী অপরাপর আসামিদের মোবাইলের ডেকে এনে বোরহানকে হত্যা করে।

    গ্রেফতারকৃত আসামীকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কটিয়াদি মডেল থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়ার চলছে বলে র‌্যাব জানায়।

     

     

     

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি দুর্বৃত্তদের গুলিতে গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।আহত ওসমান হাদীর সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। এছাড়া চিকিৎসা কার্যক্রম নিবিড়ভাবে তদারকি করার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেছেন।


একই সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দ্রুত ও ব্যাপক তদন্ত চালিয়ে হামলায় জড়িত সবাইকে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ, প্রত্যক্ষদর্শীর তথ্য গ্রহণ, সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা এবং হামলার পেছনে কোনো সংগঠিত পরিকল্পনা থাকলে তা উন্মোচনের জন্য তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিতে বলেছেন।

কুষ্টিয়ায় নারী পুলিশ কনস্টেবলের মোবাইল ছিনতাইচেষ্টা, যুবক আটক

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় এক নারী পুলিশ কনস্টেবলের মোবাইল ফোন ছিনতাইচেষ্টার অভিযোগে আশিকুর রহমান (২১) নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে।

গতকাল বুধবার রাত ৯টার দিকে থানাপাড়া পাঁচ বিল্ডিং এলাকায় এই ছিনতাইচেষ্টার ঘটনা ঘটে। পরে তাঁকে আটক করা হয়। আশিকুর রহমান খোকসা চরপাড়া এলাকার বিল্লাল হোসেনের ছেলে।

আজ বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে তাঁকে চুরি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।সন্ধ্যায় খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোতালেব হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ওসি বলেন, থানার পাশেই ভুক্তভোগী নারী কনস্টেবলের বাসা। ডিউটি শেষে ফেরার পথে তাঁর মোবাইল ছিনতাইয়ের চেষ্টা করা হয়। এ ঘটনায় এক যুবককে আটক করা হয়েছে। তাঁকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ