আজঃ শনিবার ৬ ডিসেম্বর, ২০২৫

চট্টগ্রামে  সাংবাদিককে মারধর ও হত্যার হুমকি দিলেন ইউপি সদস্য

এম মনির চৌধুরী রানা চট্টগ্রাম 

চট্টগ্রামে  সাংবাদিককে মারধর ও হত্যার হুমকি দিলেন ইউপি সদস্য
এম মনির চৌধুরী রানা চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায় সাংবাদিককে মারধর ও হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বোয়ালখালীর ৫নং সারোয়াতলী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ ইকবাল হোসেন (৩২) ও আতিকুর রহমান আকিজ (২৮) নামের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে ঘটনার পর রাতে নিজের নিরাপত্তার জন্য বোয়ালখালী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন ভুক্তভোগী সাংবাদিক ও জাতীয় দৈনিক ভোরের দর্পণ পত্রিকা ও চট্টগ্রাম নিউজের বোয়ালখালী প্রতিনিধি এস এম শাহেদ হোসাইন ছোটন ।
বোয়ালখালী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) সূত্রে জানা যায়, বিবাদীরা দীর্ঘ দিন থেকে এলাকার খারাপ ছেলেদেরকে নানা রকম অপরাধ করার কাজে উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছে।এলাকার অপরাধ প্রবণতা কমিয়ে আনার জন্য গত (১৮এপ্রিল)বৃহস্পতিবার বিকেলে সাংবাদিক এস এম শাহেদ হোসাইন ছোটনের বাড়ীতে এলাকার গণ্যমান্য লোকজন নিয়ে সামাজিক বৈঠক হয়।উক্ত বৈঠক বসাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল)বিকাল ৫টা ৪৭মিনিটে ০১৮১৯-৪২৪২১২ মোবাইল নাম্বার আতিকুর রহমান আকিজ এবং ৪টা ৪৯ মিনিটে
০১৮১৪-১৩৭৩২৫ মোবাইল নাম্বার থেকে ইউপি সদস্য ইকবাল হোসেন সাংবাদিক শাহেদ হোসাইন ছোটনকে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ,
মিথ্যা মামলা, এলাকায় মারধর করে এলাকা ছাড়া করবে এবং প্রাণে হত্যা করার হুমকি প্রদান করে।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক এস এম শাহেদ হোসাইন ছোটন বলেন, আমাদের নিজ এলাকায় কিছু কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের অপরাধ প্রবণতা কমিয়ে আনার জন্য এলাকার গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গের  সাথে বৈঠক হয়।সেখানে আমিও তাদের সাথে উপস্হিত ছিলাম।বৈঠকটি আমার নেত্বত্বে হওয়ার কথা শুনে ইকবাল হোসেন ও আতিকুর রহমান আকিজ ফোন করে আমাকে আমার বাবা-মায়ের নাম ধরে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে।এক পর্যায়ে ইকবাল হোসেন আমাকে মারধরসহ এলাকা ছাড়া ও হত্যার হুমকি প্রদান করে।সাংবাদিক ছোটন আরো বলেন গত দুই বছর আগেও ইকবাল হোসেন আমাকে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি এবং এক বছর আগেও সে এলাকার কিছু অবৈধ মাস্তানদেরকে নিয়ে আমার উপর হামলা করতে চেয়েছিলো।কিন্তু আমি এক আমার সাংবাদিক বন্ধুর কারণে রক্ষা পেলাম।বিষয়টি আমি ৫নং সারোয়াতলী ইউনিয়ন পরিষদের  চেয়ারম্যান আলহাজ্ব বেলাল হোসেনকে জানানোর পর আমি আমার ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার জন্য বোয়ালখালী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করি।
এছাড়াও ইউপি সদস্য ইকবাল হোসেনের বিরুদ্ধে এলাকায় বয়ষ্ক ভাতা ও বিধবা ভাতা করে দেওয়ার নামে ৫ হাজার টাকা করে নেওয়ার অনেক অভিযোগ রয়েছে। তাছাড়াও ইকবাল বোয়ালখালীর বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি ও
ইউনিয়নের মেম্বারের ক্ষমতা ব্যবহার করে এলাকায় বিভিন্ন প্রকার অবৈধ কাজে প্রভাব বিস্তার করার এলাকাবাসীর অনেক অভিযোগ রয়েছে।
অভিযুক্ত ৫নং সারোয়াতলী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃইকবাল হোসেন বলেন,বাড়ীর একটি রাস্তা নিয়ে সমস্যা হয়েছে।থানায় জিডি হয়েছে এটা আমার জন্য কোন বিষয় না।আইন আমার হাতের মুটোই। আইনকে আমি চালাই।
বোয়ালখালী থানার (ওসি)তদন্ত মোঃসাইফুল ইসলাম বলেন,ইকবাল হোসেন ও আতিকুর রহমান আকিজের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরী (জিডি)নেওয়া হয়েছে।তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

কুষ্টিয়ায় হাত-পা বাঁধা অবস্থায় বয়স্ক নারীর লাশ উদ্ধার।

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় হাত–পা বাঁধা অবস্থায় খাইরুন নেছা (৬০) নামের এক বয়স্ক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার রামচন্দ্রপুর মানিকের বাঁধ এলাকার পাশ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত নারী হলেন ঐ এলাকার মৃত রজব আলীর মেয়ে।

পুলিশ ও স্থানীয়দের বরাতে জানা গেছে, সকালেই মানিকের বাঁধের পাশে পানিতে ভেসে থাকা একটি লাশ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে তাঁরা পুলিশে খবর দিলে ভেড়ামারা থানা–পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

এ বিষয়ে ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহাম্মদ জাহেদুর রহমান বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, তাঁকে হত্যা করে হাত–পা বেঁধে এখানে ফেলে রাখা হয়েছে।

বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছি। তদন্তে যা বের হবে, সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

কুষ্টিয়ায় বাড়ি থেকে অস্ত্র-গুলি উদ্ধার।

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় সোহাগ হোসেন নামের এক রাজমিস্ত্রির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দুটি পিস্তল ও একটি ওয়ান শুটারগান উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ওসমানপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ওসমানপুর কলপাড়া গ্রামে এই অভিযান চালান সেনাসদস্যরা। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় খোকসা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোশাররফ হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ক্যাপ্টেন মেহেদীর নেতৃত্বে কুষ্টিয়া সেনাক্যাম্পের রওশন আরা রেজিমেন্ট আর্টিলারি ইউনিটের একটি দল ওসমানপুর গ্রামের সোহাগ হোসেন নামের এক যুবকের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় বাড়ি তল্লাশি করে দুটি পিস্তল, একটি ওয়ান শুটারগান, গুলি, দেশীয় চাকু ও হাঁসুয়া পাওয়া যায়। তবে অভিযানে কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। সোহাগ হোসেন পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। তাঁর বাবার নাম আশরাফ হোসেন।

পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন বলেন, সেনাবাহিনীর অভিযানে উদ্ধার করা অস্ত্র থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ