আজঃ শনিবার ৬ ডিসেম্বর, ২০২৫

তরুণ সমাজকে দেশপ্রেমে জাগ্রত করতে না পারলে স্বাধীনতা প্রকৃত মর্মবানী উপলদ্ধি করা যাবে না-চবির ভিসি

নিজস্ব প্রতিবেদক

 

 

 

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আবু তাহের বলেছেন  স্বাধীনতার মূল মর্মবানী অনুধাবনে তরুন সমাজ সক্ষম হয়নি বা তাদের কাছে সে তথ্য পৌঁছানো যায়নি। এর কারণে তরুন সমাজ এখন শুধুমাত্র নিজেকে ব্যস্ত, দেশ, সমাজ ও পরিবারকে নিয়ে ভাববার কোন সময় তাদের থাকছে না। আর সুযোগ পেলেই বিদেশ পাড়ি দেন। প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থার  ত্রুটি, দুর্বলতা, শিক্ষকদের আধুনিক ও পরিবর্তনশীল বিষয়ে সাথে খাপ-খাওয়াতে না পারা, তরুণদের মধ্যে প্রয়োজনীয় দক্ষতা ও নেতৃত্বের বিকাশের সীমাবদ্ধতা  এবং দেশে দক্ষ প্রশিক্ষিত জনগোষ্ঠির তৈরীর ঘাটতির কারনে হতাশার পরিমান বেশি। বিপুল পরিমান তরুণজনগোষ্ঠি জনশক্তি না হয়ে হতাশাগ্রস্ত বেকার হয়ে জাতির জন্য বোঝা হয়ে আছে। তিনি আরও বলেন, কীভাবে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ থেকে উন্নত দেশে পরিণত হতে পারে, কীভাবে বাংলাদেশ টেকসই উন্নয়নের প্রতিটি লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করে বিশ্বের বুকে নিজের নাম উজ্জ্বল করতে পারে সেই বিষয়ে সকলের সমন্তি প্রয়াসের ওপর আলোকপাত করেন। এক্ষেত্রে তরুণদের এগিয়ে আসার আহবান জানান। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুবকদেরকে দেশগঠনে সংগঠিত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন, বর্তমান তরুণদেরও একইভাবে সংগঠিত হতে হবে। তাদেরকে নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে। এমনকি স্থানীয় সমস্যাগুলোর পাশাপাশি আন্তজাতিক সমস্যা মোকাবিলায় নিজেদেরকে প্রস্তুত করতে হবে। ২০ই এপ্রিল রোজ শনিবার, চট্টগ্রামের মুরাদপুরস্থ উইশ ক্যাফে এন্ড রেস্টুরেন্টে বেসরকারি সংস্থা কেয়ার ফর এসেস্টস,রিসোর্সেস এন্ড অবলিগেশনস (করো) কর্তৃক “পিপল ম্যাটার, উই ম্যাটার,আওয়ার ওপিনিয়ন ম্যাটারস, ডেমোক্রেসি ম্যাটারস” শীর্ষক সেমিনার, ‘স্বাধীনতার ৫৩ বছর-প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’ শীর্ষক অনলাইন ইভেন্টের পুরস্কার বিতরণী এবং করো’র অফিসিয়াল ওয়েবসাইট উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত মন্তব্য করেন।

করো’র সহপ্রতিষ্ঠাতা মো: খালেদ সাইফুল্লাহ ও সাফা ইফতিসামের যৌথ সঞ্চালনায় সহপ্রতিষ্ঠাতা আরাফাত বিন ইউসুফের স্বাগত বক্তব্যে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন। এছাড়াও উক্ত অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত থেকে সভাপতিত্ব করেন করো’র প্রতিষ্ঠিতা ও গবেষক এ এন এম নূরউদ্দিন। প্রতিপাদ্য বিষয়ের উপর প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন করো’র ইন্টার্ন ও চবি শিক্ষার্থী সাবিকুন নাহার। আলোচনায় অংশনেন ক্যাব যুব গ্রুপ চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি ও তরুণ সংগঠক এম এ হানিফ নোমান ও ক্যাব যুব গ্রুপ চট্টগ্রাম  বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির সদস্য সচিব মোঃ খায়রুল ইসলাম। বিশেষ  অতিথির বক্তব্যে ক্যাব ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন তরুনদের মাঝে আশা জাগাতে করো’র এই সুন্দর এবং স্বপ্নচারী উদ্যোগের প্রশংসা করার পাশাপাশি বাংলাদেশের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে তরুণদের আলোচনার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। তিনি আরও বলেন,”আমরা গ্লোবাল বিষয় নিয়ে যতটা কথা বলি, লোকাল বিষয় নিয়ে ততটা কথা বলি না। আমাদের লোকাল বিষয়গুলোকে চিহ্নিত করা দরকার এবং এসব বিষয়ে ফোকাস করা উচিত। আমাদের তরুণদের পড়াশোনার প্রতি ব্যাপক অনীহা রয়েছে এবং তাদের মধ্যে ব্যবহারিক জ্ঞানের ব্যাপক অভাব রয়েছে। আপনি যদি সমাজকে পরিবর্তন করতে চান, সেক্ষেত্রে বাধা আসবেই। আপনাকেই সেই বাধাগুলো মোকাবিলা করতে হবে। আর প্রকৃত জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি দক্ষতা ও সৃজনশীলতা বিকাশে সহায়ক শিক্ষা কারিকুলাম তৈরীতে শিক্ষবিদদের পরামর্শ নিয়ে সুগঠিত কারিকুলামের মাধ্যমে করো’র যাত্রা শুরু হলে আশা করি এটি সমাজে একটা পরিবর্তন নিয়ে আসবেই।

 

সেমিনার শেষে ‘স্বাধীনতার ৫৩ বছর-প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’ শীর্ষক অনলাইন ইভেন্টের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান শুরু হয়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের হাত থেকে প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়ার মাধ্যমে উক্ত পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান সমাপ্তি হয়। উক্ত অনলাইন ইভেন্টে দেশের ৪০ জেলা থেকে বিভিন্ন বয়সের এবং বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শতাধিক শিক্ষার্থী স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নিজেদের সৃজনশীল মেধাকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন ধরনের লেখা এবং ভিডিও কন্টেন্ট জমা দেয়। শিক্ষার্থীদের জমাকৃত লেখা এবং ভিডিও কন্টেন্টের মধ্যে ফুটে উঠে স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশের বিভিন্ন ধরনের উন্নয়নের চিত্র, সেই সাথে এদেশের প্রতি তরুণদের বিভিন্ন প্রত্যাশা এবং দাবি জানানো হয়। পরবর্তীতে ২৭শে মার্চ ২০২৪ উক্ত প্রতিযোগিতার নিয়মানুসারে উভয় প্রতিযোগিতা থেকে প্রথম ৫ জনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।

 

 

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

পদক্ষেপ বাংলাদেশ এর বিজয় মাসের প্রথম প্রভাত ।

পদক্ষেপ বাংলাদেশ-এর আয়োজন, কর্মসূচী ব্যতিক্রম ও বৈচিত্র্যময়। তারই ধারাবাহিকতায় ঢাকার পরিবাগস্থ সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রের উন্মুক্ত মঞ্চে জাতীয় সংগঠন ও শিল্পীদের অংশগ্রহণে ‘বিজয় মাসের প্রথম প্রভাত’ শীর্ষক আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ১ ডিসেম্বর ২০২৫, সোমবার সকাল ৭টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সাংস্কৃতিক পর্ব—দলীয় সঙ্গীত পরিবেশন করে : শিল্পবৃত্ত, পদক্ষেপ বাংলাদেশ। দলীয় আবৃত্তি পরিবেশন করে : কথা আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্র, শিল্পবৃত্ত, ঢাকা স্বরকল্পন, মুক্তধারা সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্র। একক আবৃত্তি করেন : মীর বরকত, নায়লা তারান্নুম চৌধুরী কাকলি। কবিকণ্ঠে কবিতা পাঠ করেন : গোবিন্দলাল সরকার, মো: তাজুল ইসলাম, খাইরুল আলম।

উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ। সম্মানিত অতিথি হিসেবে আলোচনা করেন আবৃত্তিশিল্পী মীর বরকত, জাহাঙ্গীনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জেবুন্নেসা জেবা, উদয়ন স্কুল এন্ড কলেজ শিক্ষক সবিতা সাহা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পদক্ষেপ বাংলাদেশ-এর সভাপতি বাদল চৌধুরী। স্বাগব বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল্লাহ সাঈদ। ঘোষণাপত্র পাঠ করেন সংগঠনের প্রধান সমন্বয়কারী মতিয়ারা মুক্তা।

ঘোষণাপত্রে বলা হয়- বহু ত্যাগ, সংগ্রাম আর প্রত্যাশার ফসল স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। এ শুধু পতাকা আর জাতীয় সঙ্গীত বদল নয়, খোল-নলচে সব পাল্টে নতুন এক আদর্শকে রাষ্ট্র ও সমাজ জীবনে প্রতিষ্ঠিত করার স্বপ্নের নবযাত্রা। এই স্বপ্নের প্রধান এবং একমাত্র উপজীব্য মানুষ। মানুষের কল্যাণ, মানুষের মুক্তি, মানুষের মর্যাদা এবং মানুষের স্বাধীন ভূমিই শেষ কথা। কত মাতা, কত ভগ্নি, কত জানা-অজানা নারী তাঁর সম্ভ্রম হারিয়েছে শুধু এই মানুষকে মানুষের মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করার জন্য। মানুষ কল্পনাবিলাসী কিন্তু নিজেতো সে কাল্পনিক নয়Ñএ ভূমিতেই তার সৃষ্টি, বেড়ে ওঠা, ভালো-মন্দের স্বাদ নেয়া, অতঃপর ভূমিতেই মিলিয়ে যাওয়া। এ ভূমির প্রতি তার প্রচ- ভালোবাসা।

মাতৃক্রোড়ে যেমনিভাবে শিশু বেড়ে ওঠে; একইভাবে কাদা-মাটি গায়ে মেখে আলো-বাতাসে অবগাহন করে এই ভূমিকেই মাতৃক্রোড় ভেবে একদিন চিরবিদায় নেয় প্রতিটি মানবশিশু। জন্ম আর মৃত্যুতে যে ভূমিকে কখনো আলাদা করা যায় নাÑতারই অমার্যাদা করবে ভিনদেশী তস্কর! তা কি করে মেনে নেয় ধুলো-বালি গায়ে মেখে বেড়ে ওঠা এ জনপদের মানুষেরা। এ ভূমিরই সাহসী-ত্যাগী- পোড়খাওয়া এক নামÑশেখ মুজিব। মাটি আর মানুষের সাথে ছিলো যাঁর আজন্ম সখ্য, ভিনদেশী হায়েনার হিংস্র থাবায় বারবার ক্ষতবিক্ষত হয়েছে তাঁর হৃদপি-; তবুও ভূমি আর মানুষের স্বাধীনতায় অবিচল থেকেছেন তিনি।

তাঁরই অঙ্গুলী হেলনে সাড়ে সাত কোটি মানুষ পরিণত হয়েছে এক একজন নেতাজী সুভাষ বসু, ক্ষুদিরাম, সূর্যসেন, প্রীতিলতা, তিতুমীর, বাঘাযতিন, লক্ষ্মীবাই, ভগৎসিং, রফিক, শফিক, সালাম, জব্বার, সালাউদ্দিন, বরকত, আসাদ, মনুমিয়া’য়। এ গাঙ্গেয় বদ্বীপের তেরোশত নদীর জোয়ার আর পাখিদের কলতানে উচ্চারিত হয়েছে ভিনদেশী হায়েনার বিনাশ- ধ্বনি। লাঙলের ফলা থেকে তৈরি উর্বর মাটির প্রতিটি চাকা পরিণত হয়েছে শত্রুবিনাশী আনবিক বোমায়। বাঁশঝাড় উজাড় করে তৈরি হয়েছে চকচকে বেয়নেট।

নিঃশঙ্ক চিত্তে নিজেকে বিলিয়ে দেয়ার অগ্নিপুরুষ বঙ্গবন্ধুর আদর্শ সঞ্চারিত হয়েছে সাড়ে সাত কোটি মানুষের প্রতিটি রক্ত কণিকায়Ñবিজয় অর্জিত হয়েছে মানুষের সংগ্রাম আর আত্মদানের। বিজয় মাসের সূচনালগ্নে আমরা নতুন করে উদ্দীপ্ত হতে চাইÑমাটি আর মানুষের কল্যাণ কামনায়। আমরা বিনাশ চাই সেই নরপশুদের যারা মাটির সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে ভিনদেশী হায়েনাদের সঙ্গী হয়েছিলো মনুষত্বের বিনাশ সাধনে। সেই সাথে চাই আজকের এই দিনটিকে ‘মুক্তিযোদ্ধা দিবস’-এর সরকারি স্বীকৃতি। মাটি আর মানুষের জয় হোক, জয় হোক শুভ চিন্তা আর আদর্শের।

ঠাকুরগাঁওয়ে মির্জা পরিবারের দানে গড়ে উঠছে এতিম শিশু ও নারীর ক্ষমতায়ন কেন্দ্র 

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের পরিবারের দান করা জমিতে এতিম শিশুদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিতে ও নারীর স্কিল ডেভলপমেন্টের জন্য গড়ে উঠছে মির্জা রুহুল আমিন এন্ড ফাতেমা মেমোরিয়াল কমপ্লেক্স। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের আদর্শ কলোনিতে কমপ্লেক্সের নির্মাণ কাজ চলছে। 

 আর কমপ্লেক্সটি বাসমাহ ফাউন্ডেশনের তত্বাবধানে শত শত এতিম শিশুদের মৌলিক অধিকার পাওয়ার ঠিকানা হিসেবে পরিণত হবে। যেখানে এতিম শিশুরা খাদ্য, শিক্ষা, চিকিৎসা সহ গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক অধিকারগুলো বিনামূল্যে নিশ্চিৎ হবে। নারীদের স্কিল ডেভলপমেন্টে কাজ করবে। 

গত এক বছর যাবৎ এ কমপ্লেক্সটির কাজ শুরু হয়ে এখন পর্যন্ত চার ভাগের তিন ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ইতিমধ্যে শতাধিক এতিম শিশুকে নিয়ে কমপ্লেক্সটিতে প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এসব তথ্য নিশ্চিৎ করেছেন  কমপ্লেক্সে দায়িত্বে থাকা  বাসমাহ অরফানস হোম এর এডুকেশন ইনচার্জ আহম্মেদ আমিন।

তিনি আরও জানান, এই কমপ্লেক্সে বাসমাহ অরফানস হোম, বাসমাহ স্কুল এন্ড কালচারাল সেন্টার এবং বাসমাহ ওমেন্স এন্ড স্কিল ডেভলপমেন্ট সেন্টার হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনা করবে। বৃহস্পতিবার সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় কমপ্লেক্সের নির্মাণ কাজ। এক কক্ষে চলছিলো একটি দোয়ার আয়োজন। জানা যায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতা ও দেশের মঙ্গল কামনায় মির্জা পরিবারের উদ্যোগে এতিম শিশুদের নিয়ে এ দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে। 

ঠাকুরগাঁওয়ে এতিম শিশুদের মৌলিক অধিকার  ও নারীদের ডেভলপমেন্টের জন্য এমন একটি উদ্যোগকে বাস্তবায়নের পেছনের ব্যপারে জানতে চাইলে অরফান হোম এর এডুকেশন ইনচার্জ বলেন, আমাদের বাসমাহ ঠাকুরগাঁও সহ সারা দেশে পাঁচটি শাখা আছে। নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁর একটি শাখাতে মির্জা ফখরুল ইসলামের পরিবারের সদস্যগণ পরিদর্শন করেন।  আমাদের কার্যক্রেম তাদের ভালো লাগে এবং এতিম শিশুদের জন্য এমন উদ্যোগ ঠাকুরগাঁওয়ে বাস্তবায়নের জন্য তারা উৎসাহ প্রকাশ করেন এবং ৭৫ শতক জমি এতিমদের জন্য দান করেন৷ এই কর্মকর্তা বলেন বাসমাহ’র  সমস্ত পক্রিয়া মেনেই এটি গড়ে উঠছে।

বাসমাহর সিইও মীর সাখাওয়াত হোসাইন এর বরাতে প্রতিষ্ঠানটির এডুকেশন ইনচার্জ আরও বলেন  বাসমাহ ফাউন্ডেশনের তত্ত্ববধানে সারা দেশ জুড়ে সেবামূলক কার্যক্রম চলমান রয়েছে ।বাসমাহ স্কুল এন্ড কালচারাল সেন্টার,বাসমাহ ওরফান্স হোম,বাসমাহ উইমমেন্স স্কিল এন্ড ডেভেলপমেন্ট সেন্টার।এ ছাড়াও শীতকালীন শীত বস্ত্র বিতরণ,কুরবানি প্রোগ্রাম,ইফতার প্রোগ্রাম পরিচালিত হয়।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ