
জনৈক আফতাব উদ্দিন বাদশা (৪৮) থানায় হাজির হয়ে জানান, পাহাড়তলী থানাধীন দক্ষিণ কাট্টলী ফইল্যাতলী বাজারস্থ “আফছার মাইক সার্ভিস নামীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। প্রতিষ্ঠানের মাইক ও সাউন্ড সিস্টেমগুলো তার মালিকানাধীন পিকআপ গাড়ী, যাহার রেজিঃ নং- চট্টমেট্রো- ন- ১১-২১০৮, সিঙ্গেল কেবিন, যাহার মূল্য অনুমান ২,৫০,০০০/-(দুই লক্ষ পঞ্চাশ) টাকা দিয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পরিবহন করে থাকে। আকবরশাহ থানাধীন উত্তর কাট্টলী আচার্য্য পাড়া এলাকায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মহোৎসব অনুষ্ঠানে মাইক ও সাউন্ড ভাড়া দেওয়া হয়। তৎপ্রেক্ষিতে উক্ত পিকআপ গাড়ী দ্বারা মহোৎসব অনুষ্ঠান শেষে মাইক ও সাউন্ড সিস্টেম নিয়ে আসার জন্য গাড়ী চালক মোঃ তানভীর ইসলাম ২০এপ্রিল রাত একটার সময় আকবরশাহ থানাধীন উত্তর কাট্টলী আচার্য্য পাড়া শ্মশান সংলগ্ন রাস্তার পাশে যায় এবং অনুষ্ঠান শেষ না হওয়ায় গাড়ীটি তথায় পার্কিং করে রাখে। গাড়ী চালক অনুষ্ঠানস্থলে গিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। পরবর্তীতে ২০ এপ্রিল সকাল ৬ টা ৩০ মিনিটে অনুষ্ঠান শেষে মাইক ও সাউন্ড সিষ্টেম গাড়ীতে উঠাতে গেলে গাড়ী চালক মোঃ তানভীর ইসলাম অনুষ্ঠানে মাইক ও সাউন্ড সিষ্টেম পরিচালনায় নিয়োজিত থাকা রবিউল হোসেন প্রকাশ রবি ও মোঃ রিয়াজ গণ গাড়ীটি পার্কিংরত অবস্থায় দেখতে না পেয়ে আশপাশে ও বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে। উক্ত ঘটনায় তিনি থানায় অজ্ঞাতনামা চোরের বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করলে আকবরশাহ্ থানার মামলা নং-২৪, তারিখ-২০ এপ্রিল ধারা-৩৭৯ পেনাল কোড রুজু পূর্বক এসআই এইচ এম ওয়াহিদুল্লাহ’র উপর তদন্তভার অর্পণ করা হয়।

মামলা রুজু পরবর্তী সিএমপি’র পশ্চিম বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার জনাব নিহাদ আদনান তাইয়ান এর সার্বিক দিক-নির্দেশনায় এডিসি জনাব স্পিনা রানী প্রামাণিক ও পাহাড়তলী জোনের এসি জনাব মোঃ মঈনুর রহমান এর তত্ত্বাবধানে আকবারশাহ্ থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম রব্বানী এর নেতৃত্বে থানার এসআই(নিঃ) এইচ এম ওয়াহিদুল্লাহ, এএসআই এনামুল হক সঙ্গীয় ফোর্স সহ তাৎক্ষণিক গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে ঘটনায় জড়িত আসামি আজম @ বাদশা (২১) কে ইং ২০/৪/২০২৪ তারিখ আকবরশাহ্ থানাধীন শাপলা আবাসিক এলাকা হতে গ্রেফতার করলেও অপর ০২(দুই) জন আসামি কৌশলে পালিয়ে যায়। গ্রেফতার পরবর্তী আসামিকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে সেও পালিয়ে যাওয়া আসামীদ্বয় সহ উক্ত পিকআপ চুরি করেছে মর্মে স্বীকার করে। অতঃপর তার স্বীকারোক্তি ও দেখানো মতে বাদীর চুরি যাওয়া এজাহারে উল্লিখিত পিকআপ, উক্ত পিকআপ গাড়ির ডকুমেন্ট ও চুরির কাজে ব্যবহৃত ১ টি মাষ্টার কী উদ্ধার পূর্বক ১৮ টা ৫ মিনিট জব্দ করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামিকে আদালতে হাজির করা হলে আসামি ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়ে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করে। পরবর্তীতে আসামি কে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত অন্য পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।