আজঃ সোমবার ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫

দেবহাটার কুলিয়া উপ-নির্বাচনে মেম্বর প্রার্থী আমানুল্লাহকে হয়রানির অভিযোগ

দেবহাটা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি

দেবহাটা উপজেলা কুলিয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের উপ-নির্বাচনের এক প্রার্থীকে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। ইউপি সদস্য প্রার্থীর জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি মহল ওই প্রার্থীকে ঘায়েল করার জন্য অপচেষ্টা করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ওই প্রার্থী।
জানা গেছে, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার গয়েশপুর গ্রামের মৃত জব্বার সরদারের ছেলে মোতালেব সরদার দেবহাটা উপজেলার বহেরা গ্রামের লিয়াকত আলীর বাড়িতে ৩য় স্ত্রী নিয়ে ভাড়া থাকতেন। ভাড়া থাকা অবস্থায় মোতালেব সরদার ও তার স্ত্রীর সাথে প্রতিনিয়ত গোলযোগ চলে আসছিল। গত ৭ই এপ্রিল মোতালেব সরদার তার স্ত্রীর সাথে ব্যাপক ঝগড়া হয়। এরপর গত ২০ এপ্রিল শনিবার পুনরায় ঝগড়া ও স্ত্রীকে মারপিট করে মোতালেব। ঘটনাটি মেম্বর প্রার্থী আমানুল্লাহ হোসেন এর দোকানের সামনে ঘটে। এঘটনায় স্থানীয়রা প্রতিবাদ জানালে সাধারণ মানুষের উপর চড়াও হয় মোতালেব সরদার। পরে ওইদিনই মোতালেব সরদার বাদি হয়ে দেবহাটা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এতে তার উপর হামলা ও ছিনতায়ের অভিযোগ এনে ইউপি সদস্য প্রার্থী আমানুল্লাহ সহ ৪জনের নাম উল্লেখ করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এবিষয়ে মোতালেব সরদার জানান, আমি কি অভিযোগ করেছি তা জানতে হলে থানায় গিয়ে খোঁজ নেন। আমি ব্যাস্থ আছি কথা বলার সময় নেই।
তবে, অভিযোগে উল্লেখিত স্বাক্ষীদের অনেকেই উক্ত ঘটনা সম্পর্কে জানেন না বলে জানিয়েছেন।
কুলিয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী সভাপতি মোসলেম মোল্ল্যা জানান, থানায় অভিযোগের বিষয়টি নিয়ে এলাকায় খোঁজ নিয়ে মারপিট বা ছিনতায়ের কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও হয়রানী মূলক।
ইউপি সদস্য প্রার্থী আমানুল্লাহ জানান, কুলিয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য সামসুজ্জামান ময়না’র মৃত্যু হওয়ায় পদটি শুন্য হয়। পরে নির্বাচন কমিশন উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা করেন। সেই মোতাবেক আগামী ২৮ এপ্রিল ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে। আমি নতুন প্রার্থী হিসাবে এবার প্রথম নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেছি। নির্বাচনে অংশ নিয়ে ভোটারদের খুব ভাল সাড়া পাচ্ছি। কিন্তু আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি চক্র আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। যার ফলস্বরূপ গত ২২ এপ্রিল আমাকে জড়িয়ে একটি মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এতে আমাকে অভিযুক্ত করা হলেও আমি ওই বিষয়ে কোন রকম জড়িত না। আমাকে নির্বাচনের মাঠে হেও করে ভোটের মাঠে ইমেজ নষ্ট করতে মিথ্যাচার করা হচ্ছে। আমরা ৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি। ভোটাররা যাকে বেশি ভোট দিবে সেই নির্বাচিত হবেন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোন প্রকার মিথ্যা ও হয়রানি মুলক কর্মকান্ড করে কেউ যাতে অবৈধ সুবিধা নিতে না পারে আমি সেটি প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি। আমি শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ট পরিবেশে ভোট সম্পন্ন করার জোর দাবি জানাচ্ছি।
দেবহাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেখ মাহমুদ হোসেন জানান, বিষয়টি নিয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাস্থলে একজন অফিসারকে তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছিল। বিষয়টি তদন্ত শেষে বলা হবে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

ভাঙ্গুড়ায় ধর্ষণ মামলায় স্কুল ছাত্রীর কথিত প্রেমিক গ্রেফতার

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় ধর্ষণ মামলায় নবম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীর কথিত প্রেমিক কে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। কথিত প্রেমিকের নাম বুলবুল (২০)। তিনি উপজেলার দিলপাশার ইউনিয়নের চাচকিয়া গ্রামের মোহাম্মদ আলী ফকিরের ছেলে।রবিবার(৭ ডিসেম্বর) সকালে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গত শুক্রবার রাত ১১টার দিকে চাচকিয়া বিলের মধ্য নিয়ে গিয়ে ওই স্কুল ছাত্রী কে তার প্রেমিক বুলবুল সহ বন্ধুরা মিলে দলবদ্ধ ভাবে ধর্ষণ করে।

এ ঘটনায় শনিবার রাতে ভুক্তভোগী মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে ভাঙ্গুড়া থানায় ধর্ষণ মামলা রজ্জু করেন। মামলায় তথিত প্রেমিক বুলবুল সহ ৪ জন কে আসামি করা হয়।

ধর্ষণের খবর পেয়ে এএসপি সার্কেল (চাটমোহর) আবু বক্কার সিদ্দিক ও থানার ওসি মোঃ শফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

জানা গেছে, ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর সঙ্গে বুলবুল এর প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। ঘটনার দিন গত শুক্রবার রাত ১১ টার দিকে ওই স্কুল ছাত্রীকে চাচকিয়া বিলের মধ্যে ডেকে নিয়ে গিয়ে বুলবুল তার বন্ধু সোহানুজ্জামান ও তাওহিদ মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এসময় তারা মেয়েটির অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে এবং ঘটনাটি কাউ কে জানালে তা ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। পরদিন শনিবার দুপুরে ঘটনা জানার পর ভুক্তভোগী মেয়েটির বাবা থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারকৃত বুলবুল কে দুপুরে পাবনা আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে। মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাবনা সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

সাঘাটায় নবযোগদানকৃত ইউএনও আশরাফুল কবীরকে সাংবাদিকদের ফুলেল শুভেচ্ছা

গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় নবযোগদানকৃত উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আশরাফুল কবীরকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন উপজেলায় কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা। বৃহস্পতিবার সকালে ইউএনও কার্যালয়ে এ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।

সাংবাদিকরা ইউএনওকে দায়িত্ব গ্রহণের জন্য অভিনন্দন জানান এবং সাঘাটার সার্বিক উন্নয়ন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় তাঁর সাফল্য কামনা করেন। এসময় ইউএনও আশরাফুল কবীর সাংবাদিকদের শুভেচ্ছা গ্রহণ করে বলেন,
“সাঘাটার উন্নয়ন ও জনসেবার মানোন্নয়নে প্রশাসন ও গণমাধ্যম পরস্পরের পরিপূরক। স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সংবাদকর্মীদের সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”তিনি আরও বলেন,সাঘাটা উপজেলার সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে একটি জনবান্ধব প্রশাসন গড়ে তুলতে চাই। এ কাজে গণমাধ্যমের গঠনমূলক ভূমিকা অব্যাহত থাকবে বলে আমি বিশ্বাস করি।”

শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে সাংবাদিকরা নতুন ইউএনওর সঙ্গে বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনা, প্রশাসনিক কার্যক্রম এবং স্থানীয় সমস্যাবলি নিয়ে মতবিনিময় করেন। অনুষ্ঠানে জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকা, অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় মহলে ধারণা করা হচ্ছে, ইউএনও আশরাফুল কবীরের যোগদানে সাঘাটা উপজেলায় প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড আরও গতিশীল হবে এবং উন্নয়ন কার্যক্রমে নতুন দিগন্ত যুক্ত হবে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ