আজঃ সোমবার ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫

তৃতীয় দিনের মতো সুপেয় পানি বিতরণ কার্যক্রমে সুজন

গুটিকয়েক অপরাধীর জন্য পুরো নগরবাসীকে শাস্তি দেওয়া সমীচীন নয়

প্রেস রিলিজ

 

 

 

গুটিকয়েক অপরাধীর জন্য পুরো নগরবাসীকে শাস্তি দেওয়া সমীচীন নয় বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন। আজ মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল ২০২৪ইং) সকালে নগরীর অলংকার মোড়, নয়াবাজার, বড়পুল, আগ্রাবাদ, বাদামতলী ও চৌমুহনী এলাকায় রাস্তায় কর্মরতদের মাঝে তৃতীয় দিনের মতো সুপেয় পানি এবং খাবার স্যালাইন বিতরণ করতে গিয়ে বেসরকারি হাসপাতাল ও ল্যাবে সেবা বন্ধ নিয়ে জনগনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে এ মন্তব্য করেন তিনি।

এসময় সুজন বলেন, সম্প্রতি বেসরকারি হাসপাতালে রোগী দেখা এবং রোগী মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে দায়িত্বরত চিকিৎসকের উপর হামলা করেন রোগীর আত্মীয় ¯^জন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বেসরকারি হাসপাতাল ও ল্যাবে সেবা বন্ধ কর্মসূচী ঘোষণা করেন বিএমএ চট্টগ্রাম শাখা। আকস্মিকভাবে এ কর্মসূচীর ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে শতশত রোগী এবং তাদের ¯^জনরা। বেসরকারি হাসপাতালসমূহে নতুন রোগী ভর্তি এবং ল্যাবে সেবা বন্ধের কারণে বিপাকে পড়েছে সাধারন রোগী। নগরীর বাহির থেকেও অনেক রোগী এসে চিকিৎসা সেবা না পেয়ে ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছেন। অন্যদিকে সরকারি হাসপাতালসমূহে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়া এবং সিট না থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন রোগীরা। এর ফলে আজ সারাদিন চট্টগ্রামের চিকিৎসাসেবা নিয়ে এক অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এমতাবস্থায় উদ্ভুত পরিস্থিতিতে বিএমএ চট্টগ্রাম শাখার নেতৃবৃন্দের সাথে ফোনে কথা বলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন। তিনি বেসরকারি হাসপাতালে রোগী দেখা নিয়ে চিকিৎসকের উপর হামলায় ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন এবং এ ধরণের ঘটনা কোনভাবেই কাম্য নয় বলে নেতৃবৃন্দকে অবহিত করেন। পাশাপাশি চিকিৎসকের উপর হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে আকস্মিকভাবে বেসরকারি হাসপাতাল ও ল্যাবে সেবা বন্ধ করা সমীচীন নয় বলেও বিএমএ নেতৃবৃন্দকে জানান। সুজন এসময় বেসরকারি হাসপাতাল ও ল্যাবে সেবা কার্যক্রম চালুর জন্য নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। পাশাপাশি পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে চিকিৎসকের নিরাপত্তা বিধানে আইনশৃংখলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। তিনি বলেন, রোগীকে সুস্থ করে তুলতে একজন চিকিৎসক প্রাণান্তকর চেষ্ঠা করে থাকেন। সেখানে দুর্ভাগ্যবশত রোগী মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে চিকিৎসকের উপর হামলা গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি দুই চিকিৎসকের উপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান। পাশাপাশি এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাধারন মানুষের চিকিৎসা সেবায় যাতে কোন প্রকার ত্রæটি না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখার জন্য উভয় পক্ষের প্রতি অনুরোধ জানান। তিনি আরো বলেন, বিভিন্ন তথ্য মতে চলমান তাপপ্রবাহ আরো দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত এ তাপপ্রবাহ জনজীবনে অ¯^স্তি সৃষ্টি করবে। তাই তাপপ্রবাহ চলাকালীন সময়ে যথাসম্ভব রোদ এড়িয়ে থাকার জন্য নগরবাসীর প্রতি আহবান জানান তিনি। পাশাপাশি যারা রোদে কাজ করেন তাদেরকে ঘনঘন পানি এবং শরবত খাওয়ার অনুরোধ জানান তিনি। এছাড়া রাস্তায় সাজানো মুখরোচক ভাজা-পোড়া খাবার এবং শরবত খাওয়া থেকে বিরত থাকারও আহবান জানান তিনি। কারণ রাস্তা কিংবা ফুটপাতের খাবারে প্রচুর পরিমাণে ধুলা ময়লার উপস্থিতি পাওয়া যায়। তাই এ মূহুর্তে এসব খাবার এড়িয়ে চলার জন্য নগরবাসীকে পরামর্শ দেন তিনি। সুজন সমাজের বিত্তবান মানুষকে তাপপ্রবাহ চলাকালীন সময়ে সাধারন মানুষের পাশে দাড়ানোর উদাত্ত আহবান জানান। এসময় রাস্তায় কাজ করা দিনমজুর, ভ্যান, রি·া ও সিএনজি চালক, আইনশৃংখলা এবং যানজট নিরসন কাজে নিয়োজিত পুলিশ বাহিনী, সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীসহ সাধারন মানুষের মাঝে তৃতীয় দিনের মতো সুপেয় পানি এবং খাবার স্যালাইন বিতরণ করেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন। অন্যান্যদের মধ্যে এসময় উপস্থিত ছিলেন মো. বাবলু, আনন্দ আচার্য, অসিত দেব হৃদয়, মেহেদী হাসান অনিক প্রমূখ।

 

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

অংশ নিয়েছে প্রায় ৬০০ প্রতিযোগী চট্টগ্রামে এনআইটি উদ্ভাবনী প্রতিযোগিতায়

বিজ্ঞানমনষ্ক শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী ক্ষমতা ও দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞানের যথাযথ প্রয়োগের লক্ষ্যে চট্টগ্রামের মুরাদপুরস্থ’ ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এনআইটি)’র উদ্যোগে ১১তম বারের মতো “এনআইটি উদ্ভাবনী প্রতিযোগিতা-২০২৫” এনআইটি’র অডিটোরিয়ামে শনিবার অনুষ্ঠিত হয়। সকাল সাড়ে ৯টায় উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাংলাদেশ কারীগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. রুহুল আমিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন পার্কভিউ হসপিটাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর ড. এটি. এম. রেজাউল করিম, চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট অধ্যক্ষ মো কামাল হোসেন। সভাপতিত্ব করেন এনআইটি’র চেয়ারম্যান আহসান হাবিব।

প্রতিযোগিতায় প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের ২৬৪টি বিভিন্ন ধরনের উদ্ভাবনীমূলক প্রকল্প প্রর্দশিত হয়। এতে প্রায় ৬০০ প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে প্রকৌশলী মো. রুহুল আমিন বলেন, আজকের এই প্রতিযোগিতা শুধুমাত্র একটি বিজয়ীর খোঁজ নয়, বরং এটি আমাদের সবার জন্য একটি শিক্ষণীয় অভিজ্ঞতা। প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সকলেই নতুন কিছু শিখেছে এবং ভবিষ্যতে আরও বড় উদ্ভাবন নিয়ে আসার অনুপ্রাণিত হয়েছে। প্রতিযোগীতায় শিক্ষার্থীরা প্রমাণ করেছে, আমাদের তরুণ প্রজন্মের মধ্যে অসীম সম্ভাবনা রয়েছে। প্রত্যেকটি প্রকল্পই আলাদা এবং একেকটি নতুন চিন্তার প্রতিফলন। উদ্ভাবনী প্রতিযোগিতা শুধু একটি ইভেন্ট নয়; এটি হলো কারিগরি শিক্ষার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টির সবচাইতে কার্যকর মঞ্চ।

ড. এটি. এম. রেজাউল করিম বলেন,দক্ষতা একজন মানুষকে কর্মবাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে এবং তাকে স্বনির্ভর করতে সাহায্য করবে। উদ্ভাবনী প্রতিযোগিতা শিক্ষার্থীদের সেই দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং কার্যকরী সমস্যা সমাধানের রুপরেখা তৈরী করে। অধ্যক্ষ মো কামাল হোসেন বলেন, এই প্রতিযোগিতায় উত্থাপিত সাশ্রয়ী ও টেকসই সমাধানগুলো কৃষি, স্বাস্থ্য ও শিক্ষাখাতে আমূল পরিবর্তন আনতে সক্ষম। আমাদের তরুণরা প্রমাণ করেছেন যে তাদের মেধা ও সৃজনশীলতাই দেশকে ‘আধুনিক বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের মূল চালিকাশক্তি।


ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজির চেয়ারম্যান আহসান হাবিব বলেন, উদ্ভাবন শুধু প্রযুক্তির খেলনা নয়, উদ্ভাবন হল মানুষের জীবনকে সহজ ও অর্থপূর্ণ করার হাতিয়ার। আজকের এই ছোট ছোট ধারণাগুলোই আগামী দিনের বড় বড় শিল্প ও সামাজিক পরিবর্তনের বীজ বপন করছে।প্রতিযোগীতায় মোট ২৬৪ টি প্রজেক্ট অংশ নেয়। প্রজেক্ট সমুহকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ভাগ করে বিভিন্ন মানদন্ডে বিচার বিশ্লেষণ করার জন্য মূল্যায়ন দলে ছিলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগের প্রফেসর ড. এ. কে. এম. মাঈনুল হক মিয়াজী, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) এর পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. এইচ.এম

. এ আর মারুফ,চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজের পদার্থবিদ্যা বিভাগের এসোসিয়েট প্রফেসর ও বিভাগীয় প্রধান মো. দিদারুল আলম মজুমদার। চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট এর সিভিল ডিপার্টমেন্ট প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান প্রকৌশলী মো জাহাঙ্গীর আলম, কম্পিউটার বিভাগের চীফ ইন্সট্রাক্টর প্রকৌশলী মেহেদী, ইলেকট্রিক্যাল বিভাগ চীফ ইন্সট্রাক্টর প্রকৌশলী সুজিত কুমার বিশ্বাস, মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্ট এর চীফ ইন্সট্রাক্টর প্রকৌশলী নুরুননবী।

বিচারক প্যানেল প্রজেক্ট সমুহ মূল্যায়ন সম্পন্ন করেন। মূল্যায়নে প্রাপ্ত নাম্বারের ভিত্তিতে টপ টেন নির্ধারণ করে পুরস্কার হিসেবে ১ম,২য় ও ৩য় স্থান অর্জন কারীর মধ্যে যথাক্রমে ৫০ হাজার, ৩০ হাজার ও ২০ হাজার নগদ অর্থ ও ক্রেস্ট পুরস্কৃত করা হয়। এছাড়া ইমার্জিং প্রজেক্ট হিসেবে চতুর্থ থেকে ১০ম স্থান অর্জনকারীদেরও ৫ হাজার নগদ অর্থ ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। সমাপনী পর্বে সকল অংশগ্রহণকারীকে সনদ বিতরণ করা হয়।

চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে লাগেজে মিলল ৯০ লাখ টাকার সিগারেট

চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মালিকানাহীন ছয়টি লাগেজ থেকে ৮০০ কার্টন মন্ড ব্র্যান্ডের সিগারেট জব্দ করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। শনিবার সকাল ১১টার দিকে বিমানবন্দরের এরাইভাল হলের লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড কর্নারের পাশ থেকে এসব লাগেজ উদ্ধার করা হয়। জব্দ হওয়া সিগারেট প্রতি কার্টন ১১ হাজার ২৫০ টাকা মূল্য ধরে মোট ৯০ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় করা হয়েছে।

কাস্টমস সূত্র জানায়, লাগেজগুলোর সঙ্গে কোনো যাত্রীর নাম, ট্যাগ বা মালিকানার কাগজপত্র ছিল না। দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পরও কেউ লাগেজের দাবি না করায় সেগুলোকে কাস্টমস আইন অনুযায়ী পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। পরে লাগেজ খুলে ৮০০ কার্টন সিগারেট পাওয়া যায় এবং তা জব্দ করা হয়।

শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল বলেন, লাগেজগুলো দীর্ঘ সময় ধরে মালিকবিহীন অবস্থায় ছিল। কেউ দায়িত্ব না নেওয়ায় সেগুলো পরিত্যক্ত ঘোষণা করে জব্দ করা হয়েছে। বিমানবন্দরে চোরাচালান ঠেকাতে নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে এবং অভিযান চলমান থাকবে বলে তিনি জানান।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ