আজঃ শনিবার ৬ ডিসেম্বর, ২০২৫

তৃতীয় দিনের মতো সুপেয় পানি বিতরণ কার্যক্রমে সুজন

গুটিকয়েক অপরাধীর জন্য পুরো নগরবাসীকে শাস্তি দেওয়া সমীচীন নয়

প্রেস রিলিজ

 

 

 

গুটিকয়েক অপরাধীর জন্য পুরো নগরবাসীকে শাস্তি দেওয়া সমীচীন নয় বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন। আজ মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল ২০২৪ইং) সকালে নগরীর অলংকার মোড়, নয়াবাজার, বড়পুল, আগ্রাবাদ, বাদামতলী ও চৌমুহনী এলাকায় রাস্তায় কর্মরতদের মাঝে তৃতীয় দিনের মতো সুপেয় পানি এবং খাবার স্যালাইন বিতরণ করতে গিয়ে বেসরকারি হাসপাতাল ও ল্যাবে সেবা বন্ধ নিয়ে জনগনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে এ মন্তব্য করেন তিনি।

এসময় সুজন বলেন, সম্প্রতি বেসরকারি হাসপাতালে রোগী দেখা এবং রোগী মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে দায়িত্বরত চিকিৎসকের উপর হামলা করেন রোগীর আত্মীয় ¯^জন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বেসরকারি হাসপাতাল ও ল্যাবে সেবা বন্ধ কর্মসূচী ঘোষণা করেন বিএমএ চট্টগ্রাম শাখা। আকস্মিকভাবে এ কর্মসূচীর ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে শতশত রোগী এবং তাদের ¯^জনরা। বেসরকারি হাসপাতালসমূহে নতুন রোগী ভর্তি এবং ল্যাবে সেবা বন্ধের কারণে বিপাকে পড়েছে সাধারন রোগী। নগরীর বাহির থেকেও অনেক রোগী এসে চিকিৎসা সেবা না পেয়ে ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছেন। অন্যদিকে সরকারি হাসপাতালসমূহে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়া এবং সিট না থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন রোগীরা। এর ফলে আজ সারাদিন চট্টগ্রামের চিকিৎসাসেবা নিয়ে এক অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এমতাবস্থায় উদ্ভুত পরিস্থিতিতে বিএমএ চট্টগ্রাম শাখার নেতৃবৃন্দের সাথে ফোনে কথা বলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন। তিনি বেসরকারি হাসপাতালে রোগী দেখা নিয়ে চিকিৎসকের উপর হামলায় ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন এবং এ ধরণের ঘটনা কোনভাবেই কাম্য নয় বলে নেতৃবৃন্দকে অবহিত করেন। পাশাপাশি চিকিৎসকের উপর হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে আকস্মিকভাবে বেসরকারি হাসপাতাল ও ল্যাবে সেবা বন্ধ করা সমীচীন নয় বলেও বিএমএ নেতৃবৃন্দকে জানান। সুজন এসময় বেসরকারি হাসপাতাল ও ল্যাবে সেবা কার্যক্রম চালুর জন্য নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। পাশাপাশি পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে চিকিৎসকের নিরাপত্তা বিধানে আইনশৃংখলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। তিনি বলেন, রোগীকে সুস্থ করে তুলতে একজন চিকিৎসক প্রাণান্তকর চেষ্ঠা করে থাকেন। সেখানে দুর্ভাগ্যবশত রোগী মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে চিকিৎসকের উপর হামলা গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি দুই চিকিৎসকের উপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান। পাশাপাশি এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাধারন মানুষের চিকিৎসা সেবায় যাতে কোন প্রকার ত্রæটি না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখার জন্য উভয় পক্ষের প্রতি অনুরোধ জানান। তিনি আরো বলেন, বিভিন্ন তথ্য মতে চলমান তাপপ্রবাহ আরো দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত এ তাপপ্রবাহ জনজীবনে অ¯^স্তি সৃষ্টি করবে। তাই তাপপ্রবাহ চলাকালীন সময়ে যথাসম্ভব রোদ এড়িয়ে থাকার জন্য নগরবাসীর প্রতি আহবান জানান তিনি। পাশাপাশি যারা রোদে কাজ করেন তাদেরকে ঘনঘন পানি এবং শরবত খাওয়ার অনুরোধ জানান তিনি। এছাড়া রাস্তায় সাজানো মুখরোচক ভাজা-পোড়া খাবার এবং শরবত খাওয়া থেকে বিরত থাকারও আহবান জানান তিনি। কারণ রাস্তা কিংবা ফুটপাতের খাবারে প্রচুর পরিমাণে ধুলা ময়লার উপস্থিতি পাওয়া যায়। তাই এ মূহুর্তে এসব খাবার এড়িয়ে চলার জন্য নগরবাসীকে পরামর্শ দেন তিনি। সুজন সমাজের বিত্তবান মানুষকে তাপপ্রবাহ চলাকালীন সময়ে সাধারন মানুষের পাশে দাড়ানোর উদাত্ত আহবান জানান। এসময় রাস্তায় কাজ করা দিনমজুর, ভ্যান, রি·া ও সিএনজি চালক, আইনশৃংখলা এবং যানজট নিরসন কাজে নিয়োজিত পুলিশ বাহিনী, সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীসহ সাধারন মানুষের মাঝে তৃতীয় দিনের মতো সুপেয় পানি এবং খাবার স্যালাইন বিতরণ করেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন। অন্যান্যদের মধ্যে এসময় উপস্থিত ছিলেন মো. বাবলু, আনন্দ আচার্য, অসিত দেব হৃদয়, মেহেদী হাসান অনিক প্রমূখ।

 

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চট্টগ্রামে কাস্টমস কর্মকর্তাদের গাড়িতে হামলার সময় ‘গুলি কর, গুলি কর’ শব্দ

P চট্টগ্রাম মহানগরের কাস্টমসের দুই কর্মকর্তার উপর হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ডবলমুরিংয় থানাধীন সিডিএ আবাসিক এলাকার ১ নম্বর সড়কে চৌধুরী সুপারশপের সামনে এ ঘটনা ঘটে। হামলাকারীরা হঠাৎ প্রাইভেটকার থামিয়ে চাপাতি দিয়ে গাড়ির গ্লাস ভাঙে এবং ‘গুলি কর, গুলি কর’ চিৎকার করে প্রাণনাশের ভয় দেখায়।হামলার শিকার হলেন, চট্টগ্রাম কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান খান ও সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা (এআরও) বদরুল আরেফিন।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে হামলার শিকার রাজস্ব কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, অফিস যাওয়ার পথে হঠাৎ বিপরীত দিক থেকে একটি মোটরসাইকেলে তিনজন এসে আমাদের গাড়ির গতিরোধ করে। তারপর তারা চাপাতি দিয়ে গাড়ির গ্লাস ভেঙে ফেলে। এসময় একজন আরেকজনকে বলতে থাকেন, ‘গুলি কর, গুলি কর’। পরে প্রাণ বাঁচাতে গাড়ি থেকে নেমে দৌড়াতে থাকি। তিনি আরও বলেন, হামলাকারীদের তিনজনের মধ্যে দুজন হেলমেট পরিহিত ছিল, আকেরজন হেলমেট পরেনি। হামলার পর তারা মোটরসাইকেল নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

রাজস্ব কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, গত অক্টোবরে তার মোবাইল ফোনে কল দিয়ে হুমকি দেয়া হয়। পরে বন্দর থানায় নিরাপত্তা চেয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছিল। এর একমাস পরেই এই হামলা হয়েছে বলে জানান তিনি।

চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের পশ্চিম বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার হোসাইন মোহাম্মদ কবির ভূঁইয়া বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। ফুটেজ পর্যালোচনা করে হামলাকারীদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে। একটি মোটরসাইকেলে তিনজন এসে হামলা চালিয়েছে। প্রাথমিক ধারণা, এটি পূর্ব শত্রুতার জেরে ভয়ভীতি দেখানোর উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। যদিও হামলার সময় ‘গুলি কর, গুলি কর’ চিৎকার করা হয়েছিল, কোনো গুলি করা হয়নি। আমরা বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছি। এই ঘটনায় এখনও মামলা দায়ের হয়নি; কাস্টমস কর্মকর্তারা চাইলে মামলা করতে পারেন, নতুবা পুলিশ মামলার প্রক্রিয়া শুরু করবে।

চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার এইচ এম কবির বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। আমাদের দুজন কর্মকর্তা কাস্টমস গোয়েন্দা অফিস থেকে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসে যাওয়ার পথে তাদের উপর হামলা হয়েছে। তাদের গাড়ির গ্লাস ভেঙে ফেলা হয়েছে। কে বা কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তা এখনও নিশ্চিত নয়। এ ধরনের হামলা আমাদের জন্য শঙ্কার বিষয়। আমরা আশা করি রাষ্ট্র আমাদের নিরাপত্তা দিবে।

সামুদ্রিক নিরাপত্তা হচ্ছে আরও শক্তিশালী আইওরিস প্ল্যাটফর্মে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবে চট্টগ্রাম বন্দর

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষকে ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য জাতীয় কেন্দ্রবিন্দুর দায়িত্ব দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এই স্বীকৃতির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থায় বাংলাদেশের অবস্থান আরও দৃঢ় হয়েছে। সামুদ্রিক তথ্য আদান-প্রদানের আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম আইওরিসে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবে চট্টগ্রাম বন্দর। এই স্বীকৃতি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দেশের অবস্থান আরও শক্তিশালী করবে বলে দাবি বন্দর কর্তৃপক্ষের।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ওমর ফারুক বলেন, ইইউ’র এই স্বীকৃতি বাংলাদেশের জন্য বড় অর্জন।

জাতীয় ফোকাল পয়েন্ট হিসেবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ নৌবাহিনী, কোস্ট গার্ড, কাস্টমস, মৎস্য বিভাগসহ সব সামুদ্রিক সংস্থার মধ্যে সমন্বয় জোরদার করবে। এতে দেশের সামুদ্রিক নিরাপত্তা আরও শক্তিশালী হবে।তিনি আরও বলেন, বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের অবস্থান কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সমুদ্রভিত্তিক অর্থনীতি ও নিরাপত্তা রক্ষায় এই উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
জানা গেছে, ক্রিমারিও ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ সামুদ্রিক নিরাপত্তা কর্মসূচি। এর আওতায় পরিচালিত আইওরিস প্ল্যাটফর্মে বর্তমানে বিশ্বের ৫৭টি দেশের ১৫০টির বেশি সংস্থা যুক্ত রয়েছে।

এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বেসামরিক ও সামরিক সামুদ্রিক সংস্থাগুলো নিরাপদভাবে তাৎক্ষণিক তথ্য আদান-প্রদান করতে পারে।আরও জানা যায়, চলতি বছরের মার্চ মাসে সিপিএ দেশের নৌবাহিনী, কোস্ট গার্ডসহ বিভিন্ন সামুদ্রিক সংস্থাকে নিয়ে একটি আন্তঃসংস্থা প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশে আইওরিস ব্যবহারের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা আরও বৃদ্ধি পায়। এছাড়া, গত ১৮-২০ নভেম্বর ফিলিপাইনের ম্যানিলায় অনুষ্ঠিত ক্রিমারিও-এর তৃতীয় নীতিনির্ধারণী বৈঠকেও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে।

প্রসঙ্গত, আইওরিস একটি নিরাপদ ওয়েবভিত্তিক তথ্য বিনিময় ব্যবস্থা। এর মাধ্যমে জাহাজের অবস্থান নির্ণয়, দুর্ঘটনার তথ্য আদান-প্রদান, মানচিত্রভিত্তিক বিশ্লেষণ এবং সমন্বিত উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করা যায়। জলদস্যুতা, অবৈধ মাছ ধরা, চোরাচালান এবং সামুদ্রিক দূষণ প্রতিরোধেও এই প্ল্যাটফর্ম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ