আজঃ মঙ্গলবার ১১ নভেম্বর, ২০২৫

চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী জব্বারের বলী খেলায় নতুন চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লার বাঘা শরীফ বলী

টিটু বড়ুয়া সুরঞ্জিত

বানিজ্য নগরী:

চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী শত বছরের পুরনো আব্দুল জব্বারের বলী খেলার ১১৫ তম আসরে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন কুমিল্লার বাঘা শরীফ বলী।

 

বৃহস্পতিবার বিকালে লালদিঘী মাঠে হাজার হাজার দর্শকের উপস্থিতিতে সারা দেশ থেকে আসা ৮৪ বলীর অংশগ্রহনে অনুষ্ঠিত হয় মঈন এগ্রো ফার্ম – এনএইচটি স্পোর্টস কমপ্লেক্স ১১৫ তম আব্দুল জব্বারের বলী খেলা। লালদিঘী মাঠে তৈরী বলী খেলার বালির মঞ্চে চুড়ান্ত রাউন্ডে ১২ মিনিটের লড়াইয়ে একই জেলার রাশেদ বলীকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হন প্রথমবারের মত প্রতিযোগীতায় খেলতে আসা কুমিল্লার হোমনা থানার বাসিন্দা বাঘা শরীফ বলী। প্রতিযোগীতায় রানাসআপ ও তৃতীয় স্থান লাভ করেন যথাক্রমে কুশিল্লার রাশেদ বলী ও পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে আসা সৃজন চাকমা। এই নিয়ে জব্বারের বলী খেলায় সৃজন চাকমা ৩য় বারের মত তৃতীয় স্থান লাভ করলেন।

এবারের লড়াই গতবারের চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লার শাহজাহাল বলী ও রানাসআপ জীবন বলি খেলার জন্য নিজের নাম অর্ন্তভুক্ত করেও খেলার পূর্বে শারীরিক অসুস্থতার কারণে নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে নেন এবং কুমিল্লার বাঘা শরীফ বলী কে খেলানোর প্রস্তাব করেন। খেলা শেষে বিজয়ীদের হাতে ট্রফি ও নগদ অর্থ তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি রেলপথ মন্ত্রাণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী এম পিসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।

 

এর পূর্বে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি রেলপথ মন্ত্রাণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী এম পি ও বিশেষ অতিথি বলী খেলা ও মেলার স্পন্সর প্রতিষ্ঠান মঈন এগ্রো ফার্ম – এনএইচটি স্পোর্টস কমপ্লেক্স এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ তানসীরকে সাথে নিয়ে প্রতিযোগীতার উদ্বোধন করেন উদ্বোধক সাবেক মেয়র ও সিজেকেএস সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাসির উদ্দিন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

দাড়িপাল্লার বিজয়ে কোমর বেঁধে নামতে হবে — অধ্যক্ষ হেলালী

চট্টগ্রাম-১০ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ও সাবেক কাউন্সিলর অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী বলেছেন, “আগামী নির্বাচন হবে সত্য ও মিথ্যার, ন্যায় ও অন্যায়ের লড়াই। তাই সবাইকে সম্মুখ সমরে জিহাদের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে দাড়িপাল্লার বিজয় নিশ্চিত করতে কোমর বেঁধে মাঠে নামতে হবে।”

১১ অক্টোবর সকালে পাঁচলাইশ থানাধীন ৮ নং শুলকবহর ওয়ার্ড কেন্দ্র কমিটির বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যক্ষ হেলালী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, জনগণের ভোটের অধিকার পুনরুদ্ধার ও দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় জামায়াতের কর্মীরা সবসময় প্রথম সারিতে ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে ইনশাআল্লাহ। ইসলামি মূল্যবোধের ভিত্তিতে ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনই তাঁর রাজনৈতিক অঙ্গীকার বলে তিনি উল্লেখ করেন।

অধ্যক্ষ হেলালী আরও বলেন, উন্নয়ন ও পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজন সৎ, ত্যাগী ও নীতিবান নেতৃত্ব। অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো এবং দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠনই আজকের সময়ের দাবি। তিনি প্রত্যেক কর্মীকে জনগণের মাঝে দাড়িপাল্লার আদর্শ প্রচারে আন্তরিকভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন পাঁচলাইশ থানা জামায়াতের আমীর ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবুল হাছান রুমী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম-১০ আসনের নির্বাচন পরিচালক ও হালিশহর থানা জামায়াতের আমীর ফখরে জাহান সিরাজী সবুজ।

সম্মানিত অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নগর আইনজীবী থানার আমীর অ্যাডভোকেট আরিফুর রহমান, পাঁচলাইশ থানা সেক্রেটারি মাওলানা মফিজুল হক, ইঞ্জিনিয়ার আরিফুল হোসাইন, শফিউল আজিম মন্টি, ইঞ্জিনিয়ার আবুল কালাম, শহীদুল্লাহ তালুকদার, নুরুল ইসলাম, ইমরান সিকদার, গিয়াস উদ্দীন তালুকদার, আল আমিন ভূঁইয়া ও ইফতেখার হোসাইন।

বক্তারা বলেন, দাড়িপাল্লার বিজয়ের মধ্য দিয়েই দেশ পাবে ন্যায়ভিত্তিক নেতৃত্ব ও সুশাসনের নিশ্চয়তা।

ভাঙ্গুড়ায় সার কালোবাজারে বিক্রি: ডিলারকে জরিমানা, ১৫ বস্তা সার জব্দ।

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় সরকারি সার কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগে বিসিআইসি ডিলার সেলিম হোসেন কে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার দিয়ার পাড়া গ্রামে এ অভিযান পরিচালিত হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সরকারি বরাদ্দের সার গোপনে চাটমোহরে পাচারের চেষ্টা করছিলেন ওই ডিলার। ভ্যানযোগে সার পরিবহনের সময় স্থানীয় জনতা বিষয়টি টের পেয়ে গাড়ি আট কে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সার সহ গাড়িটি আটক করে।

অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মিজানুর রহমান। তিনি বলেন,“সার (ব্যবস্থাপনা) আইন, ২০০৬-এর ১২(৩) ধারা অনুযায়ী ডিলার কে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জব্দ কৃত ৬ বস্তা ডিএপি, ৭ বস্তা ইউরিয়া ও ২ বস্তা পটাশ সার কৃষি অফিসের হেফাজতে রাখা হয়েছে।”

অভিযানের সময় উপজেলা কৃষি অফিসার মোছাঃ শারমিন জাহান, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শফিকুল ইসলাম সহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ, ডিলার সেলিম হোসেন নিয়মিতই সরকারি সার চাহিদার তুলনায় কম দেন এবং বিক্রয় করেন।

উপজেলা কৃষকদলের সভাপতি আখিরুজ্জামান মাসুম বলেন, যখন কৃষকরা সার সংকটে ভুগছেন, তখনই কিছু অসাধু ডিলার মুনাফার আশায় সার পাচার করছে। এর আগেও অভিযোগ করা হলেও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার মোছাঃ শারমিন জাহান বলেন, “মানুষ আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনতেই পারেন। তবে আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই, এখানে আমার কোনো গাফিলতি নেই। সরকারি সার সরবরাহ ও বিতরণ কার্যক্রম নিয়মিতভাবে মনিটর করা হয়। প্রতিটি ইউনিয়নে ডিলারদের কার্যক্রম তদারকির জন্য কৃষি কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেওয়া আছে। কোথাও অনিয়ম ধরা পড়লে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এই ঘটনাটিও তদন্ত করা হবে। যদি যে কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে সার কালোবাজারে বিক্রি করে থাকে, তার বিরুদ্ধে কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ