আজঃ বৃহস্পতিবার ২২ মে, ২০২৫

সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিতে চসিক প্রকৌশলীদের দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কর্মশালা অনুষ্ঠিত

:

সড়ক দুর্ঘটনা কোনো দৈব বিষয় নয়। এর পিছনে নানান কারণ কাজ করে যেগুলো প্রতিরোধ করা সম্ভব। সড়ক ডিজাইনে ত্রæটি, ফিটনেসবিহীন যান চলাচল, চালকের অদক্ষতাসহ বিভিন্ন কারণেই রোড ক্র্যাশ হতে পারে।
সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) প্রকৌশলীদের দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আয়োজিত কর্মশালায় একথা বলেন প্রধান প্রকৌশলী শাহিন-উল ইসলাম চৌধুরী। কর্মশালার উদ্বোধনী অন্ষ্ঠুানে তিনি বলেন, নগরীর সড়কগুলোকে নিরাপদ করতে চসিক, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ), পুলিশ সকলকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। তিনি আশা করেন, এই কর্মশালা চসিক প্রকৌশলীদের ভবিষ্যতে নিরাপদ সড়ক নির্মাণে সহায়তা করবে।আজ বৃহস্পতিবার নগরীর লালদিঘীতে চসিক লাইব্রেরি ভবনের হলরুমে চসিক প্রকৌশলীদের জন্য ‘কোলাবোরেটিভ ডিজাইন লার্নিং-অন গ্রাউন্ড টেস্ট’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালার আয়োজন করে ওয়ার্ল্ড রিসোর্সেস ইনস্টিটিউট (ডব্লিউআরআই)। সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রকৌশলীদের দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আয়োজিত কর্মশালা সিরিজের এটা তৃতীয় কর্মশালা।

সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিতে বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুসরণ করে স¤প্রতি নগরীর ‘কাপ্তাই রাস্তার মাথা’ ইন্টারসেকশনের ডিজাইন করেছে ডব্লিউআরআই। ডিজাইনটির কার্যকারিতা যাচাই করার জন্য আগামী সাতদিন তা অস্থায়ীভাবে বাস্তবায়ন করা হবে। এই পুরো প্রক্রিয়া সম্পর্কে চসিক প্রকৌশলীদের সার্বিক ধারণা প্রদান করতে কর্মশালাটি আয়োজন করা হয়।

চট্টগ্রাম নগরীতে রোড ক্র্যাশে মৃত্যু প্রতিরোধে ব্লæমবার্গ ফিলানথ্রপিস ইনিশিয়েটিভ ফর গ্লোবাল রোড সেফটি’র (বিআইজিআরএস) সাথে কাজ শুরু করেছে চসিক। বিআইজিআরএসের অংশীদার হিসাবে, প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ভৌগলিক এবং স্থানীয় প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নিয়ে নিরাপদ সড়ক ডিজাইন ও নির্মাণে শহরগুলিকে সহায়তা করে থাকে।

এর অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম শহরে ইন্টারসেকশন ও সড়ক ডিজাইনের বিষয়ে চসিক প্রকৌশলীদের দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এর আগে ‘ক্রিয়েটিং স্রি বটস ফর অল’ এবং ‘কোলাবোরেটিভ ডিজাইন লার্নিং-ইন্টারসেকশন ডিজাইন’ শীর্ষক কর্মশালা আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মাসুদ আহমেদ ও ডেপুটি কমিশনার (ট্রাফিক উত্তর) জয়নুল আবেদীন বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালার শুরুতে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন মাস্টারপ্ল্যান প্রস্তুতি প্রকল্পের উপ-দলনেতা ড. মোহাম্মদ নুরুল হাসান চট্টগ্রাম নগরীতে নিরাপদ সড়ক ব্যবস্থা নিয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

কর্মশালায় ডব্লিউআরআই-এর পরামর্শক স্থপতি ফারজানা ইসলাম তমা অংশগ্রহণকারী প্রকৌশলীদের সামনে ‘কাপ্তাই রাস্তার মাথা’ ইন্টারসেকশনের ডিজাইন প্রক্রিয়া তুলে করেন। তিনি বলেন, ‘সড়কের যেকোনো ডিজাইন স্থায়ীভাবে বাস্তবায়নের পূর্বে পরীক্ষামূলকভাবে এর কার্যকারিতা যাচাই করা উচিৎ। এর ফলে ডিজাইনের কোনো ত্রæটি থাকলে তা সমাধান করা যায়। ‘কাপ্তাই রাস্তার মাথা’র ক্ষেত্রেও আগে পরীক্ষামূলকভাবে সাতদিন ডিজাইনটি যাচাই করা হবে। এটি সফল হলে চসিক তা স্থায়ীভাবে বাস্তবায়ন করবে।’
এরপর অংশগ্রহণকারী প্রকৌশলীরা কর্মশালার আলোচনার ভিত্তিতে একটি ইন্টারসেকশন ডিজাইন করেন। পরে তারা সরেজমিনে ‘কাপ্তাই রাস্তার মাথা’ ইন্টারসেকশনটি পরিদর্শন করেন। এসময় তারা সেখানে ইন্টারসেকশনের নতুন ডিজাইনের ট্রায়াল উদ্বোধন করেন। কর্মশালায় চসিকের ২৬ জন, সিডিএ’র ২ জন ও সড়ক বিভাগের একজন প্রকৌশলী এবং সিএমপির ট্রাফিক বিভাগের ১০ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।

————
প্রান্ত/বাবুল, ১০.১০ টা ঘন্টা, ২০২৪।।

 

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চট্টগ্রাম মহানগরীর জলাবদ্ধতা শূন্যে নামিয়ে আনার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস চট্টগ্রাম মহানগরীর জলাবদ্ধতা ক্রমান্বয়ে শূন্যে নামিয়ে আনার নির্দেশনা দিয়েছেন। বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে ‘চট্টগ্রাম মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন’ বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ নির্দেশনা দেন। সভায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, সিডিএসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের কাছ থেকে প্রধান উপদেষ্টা জলাবদ্ধতা নিরসন বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য অভিজ্ঞতার কথা শোনেন। এরপর তিনি জলাবদ্ধতা সামনের বর্ষা মৌসুমে আগের তুলনায় অর্ধেকে এবং ক্রমান্বয়ে শূন্যে নামিয়ে আনতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা অনেক রকম থিওরিটিক্যাল আলোচনা করেছি, সেসব আর করতে চাই না, আমরা চাই জলাবদ্ধতার সমস্যা থেকে চিরতরে বের হয়ে আসতে। কিন্তু সেটা একবারেই হবে না, তাই আমাদের ক্রমান্বয়ে অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে হবে। এ বছর যেহেতু বর্ষা মৌসুম ইতোমধ্যে এসে গেছে, তাই এবার সমস্যা পুরোপুরি সমাধান সম্ভব হবে না। কিন্তু গত কয়েক মাসে সিটি করপোরেশনসহ স্থানীয় সরকারের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলো সম্মিলিতভাবে যে প্রচেষ্টা চালিয়েছে, তাতে যদি এবছর আশানুরূপ ফল না আসে তাহলে তো সব কিছু মনে হবে জলে গেল।

চট্টগ্রামকে এ কাজে দৃষ্টান্ত স্থাপনের তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসন হচ্ছে একটি প্রতীকী সমস্যা এবং খুবই জটিল সমস্যা। এই সমস্যা নিরসনের মাধ্যমে অন্যান্য শহর ও জেলা উৎসাহিত হবে, তাই চট্টগ্রামকে এ কাজে দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করতে হবে। চট্টগ্রাম শহরের যে সক্ষমতা রয়েছে অন্য অনেক অনেক শহরের সেই সক্ষমতা নেই। তাই চট্টগ্রামের সকল প্রতিষ্ঠানকে সক্রিয় হতে হবে এবং নাগরিক সমাজকে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখে নিজেদের সক্ষমতার প্রমাণ দিতে হবে।
সভায় অন্যান্যের মধ্েয সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নুরজাহান বেগম, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক–ই–আজম
বীরপ্রতীক, প্রধান উপদেষ্টার স্পেশাল এনভয় লুৎফে সিদ্দিকী, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন, এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

কালুরঘাট সেতুর ভিত্তিপ্রস্তরের ফলক উন্মোচন প্রধান উপদেষ্টার

চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে কালুরঘাট সেতুর ভিত্তিপ্রস্তরের স্মারক ফলক উন্মোচন করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।বুধবার সকাল ১১টায় চট্টগ্রামের সার্কিট হাউস থেকে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের ফলক উন্মোচন করেন তিনি। এর আগে, চট্টগ্রাম বন্দরে মতবিনিময় সভা শেষে তিনি সড়ক পথে সার্কিট হাউসে এসে পৌঁছান। প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম সফর করছেন প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।
উদ্বোধন ঘোষণা করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, কালুরঘাট ব্রিজে আমার অনেক স্মৃতি। এ সেতুর ঐতিহাসিক গুরুত্ব অনেক। আজ এখানে বোয়ালখালীর বাসিন্দাও উপস্থিত আছেন। কালুরঘাট সেতু তাদের বহুল আকাঙ্খিত। এটি তৈরি হয়ে গেলে চট্টগ্রামবাসীর বহু কষ্টের অবসান হবে।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ