আজঃ বৃহস্পতিবার ১৩ নভেম্বর, ২০২৫

চুয়েট পরিস্থিতি এবার ৪৮ ঘণ্টা পরিবহন ধর্মঘটের ডাক

নিজস্ব প্রতিবেদক

 চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) বাসের ধাক্কায় দুই শিক্ষার্থী নিহতের জেরে ভাংচুর, জ্বালাও-পোড়াওয়ের ঘটনায় এবার ৪৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট আহ্বান করা হয়েছে। বৃহত্তর চট্টগ্রাম গণপরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ডাকে আজ রোববার ভোর ৬টা থেকে এ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে।
গতকাল শনিবার (দুপুরে সংগঠনের কার্যালয়ে জরুরি সভা শেষে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের আহবায়ক মনজুরুল আলম চৌধুরী।
বৃহত্তর চট্টগ্রাম গণপরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সদস্য সচিব মোহাম্মদ মুছা জানিয়েছেন, সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, রোববার ভোর ৬টা থেকে মঙ্গলবার ভোর ৬টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগর, কক্সবাজার এবং তিন পার্বত্য জেলায় বাস, মিনিবাস, হিউম্যান হলার, অটোরিকশা ও অটোটেম্পু চলাচল বন্ধ থাকবে। দূরপাল্লার কোনো বাস এসব জেলা ও মহানগর থেকে ছাড়বে না এবং ঢুকতেও পারবে না। মালিক-শ্রমিকদের স্বতঃস্ফূর্তভাবে ধর্মঘট সফল করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
ঐক্য পরিষদে যুক্ত সংগঠন পূর্বাঞ্চলীয় সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মৃণাল চৌধুরী জানান, বেশ কিছুদিন ধরে চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে ওয়েবিল চেকার-লাইনম্যানসহ পরিবহন শ্রমিকদের র‌্যাবের গণগ্রেফতারের প্রতিবাদে ফেডারেশনের পক্ষ থেকে ২৪ ঘন্টার ধর্মঘট আহ্বান করা হয়েছিল। এর মধ্যে চুয়েটের উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে শনিবার দুপুরে ঐক্য পরিষদ জরুরি সভায় বসে।
সভা থেকে চার দফা দাবিতে ৪৮ ঘন্টা পরিবহন ধর্মঘট পালনের সিদ্ধান্ত হয়। এসব দাবির মধ্যে আছে, চুয়েটে দুই শিক্ষার্থী নিহতের জেরে ৪-৫টি গাড়ি ভাংচুর ও তিনটি বাস জ্বালিয়ে দেয়ার ঘটনায় মামলা গ্রহণ, ক্ষতিপূরণ দেয়া, ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার এবং চুয়েটের তিন শিক্ষার্থীকে বহনকারী মোটর সাইকেলটি নিবন্ধিত ছিল কি না, চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স ছিল কি না, তিনজন একইসঙ্গে মোটর সাইকেলে ওঠার ক্ষেত্রে বিদ্যমান আইনের লঙ্ঘন হয়েছে কি না ও তারা মাদকাসক্ত ছিল কি না- এসব বিষয় তদন্তে কমিটি গঠন।
মৃণাল চৌধুরী বলেন, চুয়েটের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে আমরাও সমব্যাথী। ইতোমধ্যে একটি তদন্ত কমিটি হয়েছে। বাসচালকের লাইসেন্স ছিল কি না, গাড়ির ফিটনেস ছিল কি না, চালক মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন কি না- এসব বিষয় ওই কমিটি তদন্ত করবে বলা হয়েছে। আমাদের দাবি হচ্ছে, অনুরূপভাবে মোটর সাইকেলের ক্ষেত্রেও তদন্ত করতে হবে।
এছাড়া দুই শিক্ষার্থীর পরিবারকে পাঁচ লাখ করে দশ লাখ টাকা এবং আহত শিক্ষার্থীকে তিন লাখ টাকা দেয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে বাস মালিক সমিতি। এরপরও চুয়েটের শিক্ষার্থীরা চারদিন ধরে সড়ক অবরোধ করে গাড়ি চলাচল করতে দেয়নি। চার-পাঁচটি গাড়ি ভাংচুর করেছে। তিনটি গাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে। আমাদের বক্তব্য হচ্ছে, শিক্ষার্থীদের এসব কর্মকাণ্ডও তো আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষ মামলা করতে গেলেও থানা সেটা গ্রহণ করেনি। এ অবস্থায় ঐক্য পরিষদ বাধ্য হয়ে ৪৮ ঘন্টার পরিবহন ধর্মঘট আহ্বান করেছে।
এর আগে গত ২২ এপ্রিল বিকেলে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পোমরা ইউনিয়নের জিয়ানগর এলাকায় চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে শাহ আমানত পরিবহনের একটি বাস মোটর সাইকেলকে ধাক্কা দেয়। মোটর সাইকেলে আরোহী হিসেবে চুয়েটের তিন শিক্ষার্থী ছিলেন। এদের মধ্যে ঘটনাস্থলেই শান্ত সাহা (২০) ও তৌফিক হোসেন (২১) নামে দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়। শান্ত চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের ২০ ব্যাচের ও তৌফিক ২১ ব্যাচের ছাত্র। একই ঘটনায় জাকারিয়া হিমু আরেকজন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন। ২৪ এপ্রিল ঘাতক বাসের চালককে পুলিশ গ্রেফতার করে। ঘটনার পর ২২ এপ্রিল বিকেল থেকে ২৫ এপ্রিল রাত পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করে আসছিলেন। আন্দোলনের মধ্যে ২৫ এপ্রিল বিকেলে চুয়েটের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে চুয়েটের পরীক্ষাসহ স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের সকল একাডেমিক কার্যক্রম অনির্দিষ্টকাল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত জানানো হয়। এতে ছাত্রদের বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার মধ্যে এবং ছাত্রীদের শুক্রবার সকাল ৯টার মধ্যে হলত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়। এ ঘোষণার পর আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আরও বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। ক্যাম্পাসের স্বাধীনতা চত্বরে থাকা ও মূল ফটকে রাখা শাহ আমানত পরিবহনের দুটি বাসে তারা আগুন ধরিয়ে দেন। এছাড়া বিকেলে প্রশাসনিক ভবনের সামনে শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিয়ে ফটকে তালা লাগিয়ে দেন। এসময় উপাচার্য, সহ-উপাচার্য ও রেজিস্ট্রার প্রায় দু’ঘন্টা ওই ভবনে অবরুদ্ধ হয়ে থাকেন।উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের ২০ জনের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে গত বৃহস্পতিবার রাতে বৈঠকে বসে প্রশাসন। বৈঠকে শিক্ষার্থীদের একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ও হলত্যাগের নির্দেশনা পুনর্বিবেচনার আশ্বাস দেয় চুয়েট প্রশাসন। শিক্ষার্থীদের হলে থাকারও অনুমতি দেয়া হয়। এরপর রাতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা সংবাদ সম্মেলনে করে আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেয়। এর মধ্য দিয়ে অবরোধ তুলে নিলে চারদিন পর চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এদিকে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে ২৬ এপ্রিল জরুরি সভায় বসে চুয়েট সিন্ডিকেট। সভায় সিদ্ধান্ত হয়, ১১ মে পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষাসহ চুয়েটের একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে শিক্ষার্থীরা হলে অবস্থান করতে পারবেন।
সার্বিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল হওয়ায় গতকাল শনিবার থেকে চুয়েটের নিজস্ব যানবাহন চলাচলও শুরু হয়েছে। এদিন দুপুর আড়াইটায় চুয়েটের স্বাধীনতা চত্বর থেকে শিক্ষার্থী বহনকারী একটি বাস শহরের উদ্দেশ্য ছেড়ে যায়।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

প্রতিবন্ধী শিশুদের মূল্যস্রোত ধারায় অন্তর্ভুক্তিতে সমাজসেবায় অধিদপ্তরের শিক্ষা উপবৃওি কর্মসূচী বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত।

 

চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর উপজেলায় সমাজসেবা কার্যালয়ের আয়োজনে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিবন্ধী শিশুদের মূল্যস্রোত ধারায় অন্তর্ভুক্তিতে সমাজসেবা অধিদপ্তরের শিক্ষা উপবৃত্তি কর্মসূচীর তাৎপর্য বিষয়ে ১২ নভেম্বর (বুধবার) সকাল ১১ টায় উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা সমাজসেবা অফিসার কাঞ্চন দাশ এর সঞ্চালনায় ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মারুফ আফজাল রাজন সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক মোসা: উম্মে কুলসুম, বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ড. আব্দুল্লা আল ফিরোজ।

বক্তারা বলেন, প্রতিবন্ধিতা কেবল একটি ব্যক্তির শারীরিক বা মানসিক সীমাবদ্ধতা নয়। এটি একটি সামাজিক ও কাঠামোগত চ্যালেঞ্জ, যা ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মোকাবেলা করতে হবে। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ একান্ত অপরিহার্য। সমাজসেবা অধিদপ্ততরের প্রতিবন্ধিতা শনাক্তকরণ জরিপের ২০ অক্টোবর/২৫ এর তথ্যানুযায়ী বাংলাদেশে ৩৬,৭১,৭৪৮ জন প্রতিবন্ধী ব্যক্তি রয়েছেন। অন্যদিকে, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো এর ‘বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিস্টিকস, ২০২৩’ অনুযায়ী বাংলাদেশে প্রতি ১০০০ মানুষের বিপরীতে ২৮.২ জন কোনো না কোনোভাবে প্রতিবন্ধিতার শিকার। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন আরো বেগবান করতে হলে এই বিপুল সংখ্যক মানুষকে রাষ্ট্র ও সমাজের মূল স্রোতধারায় সম্পৃক্ত করতে হবে।

এ সময় বক্তারা প্রতিবন্ধী শিশুদের মূলস্রোতধারায় অন্তর্ভুক্তিতে সমাজসেবা অধিদপ্তরের শিক্ষা উপবৃত্তি কর্মসূচীর তাৎপর্য বিষয়ে দিকনির্দেশনা মূলক বক্তব্য দেন এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিত্বকারী বিভিন্ন পেশাজীবিরা মতবিনিময় করেন।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) সুকমল চন্দ্র দেবনাথ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিদর্শক মো. মোস্তাফিজুর রহমানসহ উপজেলা প্রশাসনের সকল দপ্তরের কর্মকর্তাসহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিত্বকারী বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ ও প্রতিবন্ধী অভিভাবকগন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শীর্ষ নারী মাদক ব্যবসায়ী তানিয়া হিরোইনসহ গ্রেফতার।

 

চাঁপাইনবাবগঞ্জ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কার্যালয় কর্তৃক অভিযান চালিয়ে শীর্ষ নারী মাদক ব্যবসায়ী তানিয়া খাতুন (৩১) কে হিরোইনসহ গ্রেফতার করা হয়েছে।

বুধবার (১২ নভেম্বর) দুপুর ১২.২০ মিনিটের সময় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর চাঁপাইনবাবগঞ্জ কার্যলয়ের উপপরিদর্শক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান নেতৃত্বে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার রামকৃষ্টপুর এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে, দুই গ্ৰাম হিরোইন সহ তাকে গ্ৰেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত নারী চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার রামকৃষ্টপুর মহল্লার মোস্তাফিজুর রহমানের স্ত্রী ও গেলুনুর ওরফে গেলের মেয়ে বলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর চাঁপাইনবাবগঞ্জ কার্যলয়ের উপ-পরিচালক চৌধুরী ইমরুল হাসান জানান।

এ বিষয়ে মাদকদ্রব্য চোরাচালান ও বিক্রয়ের অপরাধে, উপ পরিদর্শক মোঃ মুস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করেন।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ