আজঃ বুধবার ১৪ মে, ২০২৫

দেবহাটায় ১০ হাজার কেজি ক্যামিকেল মিশ্রিত আম জব্দ, জরিমানা আদায়

দেবহাটা প্রতিনিধি:

দেবহাটা প্রতিনিধি: অতি মুনফার আশায় অপরিপক্ক আমে ক্যামিকেল স্প্রে করে পাকিয়ে রাজধানী সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবাহ করা চেষ্টা কালে ১২শ কেজি আম জব্দ হয়েছে। বুধবার গভীর রাত পর্যন্ত বিভিন্ন সড়কে দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে ও থানা পুলিশের সহযোগীতায় এ অভিযান পরিচালিত হয়। এসময় ২টি পরিবহন ও একটি মিনি পিকআপ থেকে উক্ত আম জব্দ করা হয়।
দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আসাদুজ্জামান জানান, অপরিপক্ক আমে ক্যামিকেল স্প্রে করে পাকানো আম ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এসময় দেবহাটা ফায়ার সার্ভিস অফিস সংলগ্ন প্রধান সড়কে ঢাকাগামী বিভিন্ন পরিবহন তল্লাশি করা হয়। অভিযান কালে শ্যামনগর এক্সপ্রেস ও যমুনা লাইন নামক পরিবহন থেকে কৃত্রিম পাকানো গোবিন্দভোগ আম জব্দ করা হয়। শ্যামনগর এক্সপ্রেসের বক্সে ১১ ক্যারেট ও যমুনা লাইন নামক পরিবহনের বক্সে ৩৭ ক্যারেট আম জব্দ করা হয়। এছাড়া ওই দুই পরিবহনের ফিটনেস সহ বিভিন্ন কাগজপত্র চেক করে কিছু সমস্যা পরিলক্ষিত হয়। সেই সাথে ক্যামিকেল মিশ্রিত অপরিপক্ক আম বহনের অপরাধে ২টি পরিবহনের সুপারভাইজারকে মোট ১০ হাজার জরিমান করা হয়। একই সাথে তারা নির্দিষ্ট সময়ের আগে অপরিপক্ক ও ক্যামিকেল দিয়ে পাকানো আম পরিবহন করবে না বলেও লিখিত দেন।
অপরদিকে ওই রাতে উপজেলার কামটা এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি বাগানে গোপনে লোডকৃত একটি মিনি পিকআপ জব্দ করা হয়। ওই পিকআপে ৬১টি ক্যারেটে কৃত্রিম পাকা গোবিন্দভোগ আম পাওয়া যায়। দুইটি অভিযানে উদ্ধার হওয়া ১০৬ ক্যারেটের আমের ওজন প্রায় ১২শ কেজি। পরে জব্দকৃত আম জনসম্মূখে বিনষ্ট করা হয়।
এদিকে, বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) দীপা রানী সরকারের নেত্বত্বে উপজেলার কুলিয়া থেকে সাড়ে ৩শ ক্যারেট ক্যামিকেল মিশ্রিত আম জব্দ করা হয়। এতে প্রায় ৭ হাজার কেজি আম জব্দ পরবর্তী উপজেলার সরকারি কেবিএ কলেজ মাঠে বিনষ্ট করা হয়ে। সবমিলে দুদিনের অভিযানে ৪৫৬ ক্যারেট প্রায় ১০ হাজার কেজি আম জব্দ করেছে প্রশাসন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

যে নারীর পায়ের নিচে জান্নাত—তাঁকে শুধু একটি দিনে বন্দী করে রাখো না

বিশ্বময় আজ মাতৃভক্তির আনুষ্ঠানিকতা। ফুলের তোড়া, পোস্টের বহর, নকল আবেগের প্রদর্শনী। অথচ যাঁর স্তব্ধ ভালোবাসায় গড়ে ওঠে মানবতা, যাঁর নিঃশব্দ কান্নায় হয় সভ্যতার সূচনা, সেই মাকে মনে রাখা হয় শুধুই একটি দিনে? এত সংকীর্ণ আমাদের ভালোবাসা?

ইসলাম এমন একটি আদর্শ যে নারীর মর্যাদা ঘোষণা করে তখন, যখন সমাজ তাকে জীবন্ত কবর দিত। মরুপ্রান্তরের রুক্ষ বাতাসে যখন কন্যাসন্তান জন্ম এক অভিশাপ, তখন ইসলামের কণ্ঠে উঠে আসে মুক্তির জয়ধ্বনি—“মায়ের পায়ের নিচে জান্নাত।”

এ শুধু একটি ধর্মীয় বাণী নয়, এ এক বৈপ্লবিক প্রতিজ্ঞা। পৃথিবীর কোনও সংবিধান, কোনও সভ্যতা, কোনও নারীবাদী ভাষ্য—মায়ের এমন আত্মমর্যাদা ঘোষণা করতে পারেনি, যতটা করে ইসলাম।

রাসূল সা.—যিনি নারীকে ‘রহমত’ বলে সম্বোধন করেন—তাঁর মুখে এক অমর বাণী:
“তোমার সবচেয়ে বেশি হকদার কে?”
“তোমার মা।”
“এরপর কে?”
“তোমার মা।”
“এরপর?”
“তোমার মা।”
তারপর তবে আসে পিতা।

এ এক ত্রিস্তরের সম্মান। ইসলাম নারীর সম্মান শুধু মুখের বুলি নয়—এ এক বিধাতার দেয়া মর্যাদা, আসমানি ঘোষণা।

মা—একজন নারী যিনি নিজেকে প্রতিদিন ভেঙে নতুন করে গড়েন সন্তানের জন্য, রাতের নিদ্রা বিসর্জন দিয়ে হাসি খুঁজে দেন মুখে, নিজে ক্ষুধার্ত থেকে তুলে দেন শেষ লোকমাটি।
ইসলাম বলেনি, ‘তাঁকে বছরে একদিন স্মরণ করো’। বরং বলেছেন, ‘তাঁর চরণতলে খুঁজে নাও জান্নাতের ঠিকানা।’

আধুনিক বিশ্ব যেখানে নারীকে স্বাধীনতার নামে ভোগ্যবস্তু বানিয়ে ছেড়েছে, সেখানে ইসলাম তাঁকে দিয়েছে পূর্ণ মর্যাদার স্বীকৃতি—একজন মা, একজন আদর্শ নির্মাতা, একজন প্রজন্মশিল্পী।

আজকের এই মা দিবসে আমাদের প্রয়োজন—ফুল নয়, ফেসবুক নয়—প্রয়োজন সত্যের কাছে ফেরা। ফেরার সেই নীতিতে, যেখানে নারী মানেই নিঃস্বার্থ, মা মানেই মহিমা।

আসুন, আমরা একটিবার ভাবি—একজন মায়ের যে পায়ের নিচে জান্নাত, তাঁকে কেবল একটি দিনে সীমাবদ্ধ করেতে কি আমাদের আত্মা কাঁপে না? আমরা কি সত্যিই ভালোবাসি, নাকি ভালোবাসার অভিনয় করি?

মাকে ভালোবাসা মানে ধর্মকে ভালোবাসা, জান্নাতকে ভালোবাসা। মায়ের সম্মান শুধু আবেগ নয়, এটি ঈমানের প্রমাণ।

বিদেশ থেকে চাল আমদানির প্রয়োজন হবে না: খাদ্য উপদেষ্টা।

খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, দেশে প্রচুর পরিমাণ বোরো ধান উৎপাদন হওয়ায় বিদেশ থেকে চাল আমদানির প্রয়োজন হবে না। উপদেষ্টা শনিবার কাপ্তাই উপজেলার কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সম্মেলন কক্ষে রাঙ্গামাটি জেলার খাদ্য মজুদ ও বিতরণ পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময় সভায় এইসব কথা বলেন।খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, পার্বত্য এলাকায় পাহাড়ি কৃষকরা এখন ধান চাষের পাশাপাশি জুম চাষে ভুট্টা,সবজি,হাঁস, মুরগি পালন,মাছচাষসহ বহুমাত্রিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত। বহুমাত্রিক কাজেই তাদের জীবনমান আগের চেয়ে অনেক উন্নতি হয়েছে।

উপদেষ্টা আরো বলেন, দেশে যথেষ্ট পরিমাণ খাদ্যশস্য মজুত রয়েছে। খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে কোনো ধরনের শঙ্কা নেই। কৃষক হলো দেশ উন্নয়নের প্রথম সারির সৈনিক। তারা ভালো থাকলে দেশ ভালো থাকবে। মাথার ঘাম পায়ে ফেলে তারা যে ফসল ফলায়, তা দিয়ে আমাদের বিপুল জনগোষ্ঠীর খাদ্যের জোগান হয়। সার ও বীজের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা, ফসল সংরক্ষণ ও এগুলোর ন্যায় সংগত মূল্য নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করছে।
গত বন্যায় আমন ধানের যে ক্ষতি হয়েছে তা উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সরকার খাদ্যশস্য আমদানি করেছে। এই মৌসুমে বোরো ধানের ব্যপক চাষাবাদ হয়েছে।সরকার আশা করছে দেশে এইবছর বোরো ধানের বাম্পার ফলন হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে দেশ খাদ্যে উদ্বৃত্ত হবে।

মতবিনিময় সভায় রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সুগতি চাকমা,কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুহুল আমিন, কাপ্তাই উপজেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ বখতিয়ার মিয়া,উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্ণফুলী,জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিরাপত্তা ও অনুসন্ধান বিভাগের সহকারী পরিচালক সাখওয়াত কবির এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ