আজঃ শনিবার ১৫ মার্চ, ২০২৫

নোয়াখালীতে অস্ত্রসহ গ্রেফতার চট্টগ্রামের ছয় যুবক

রিপন মজুমদার নোয়াখালী:

নোয়াখালী:

নোয়াখালীর সদর উপজেলায় অস্ত্রসহ ছয় যুবককে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। বুধবার (১৫ মে) ভোরে সোনাপুর জিরো পয়েন্ট ও ধর্মপুর ইউনিয়ন থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। র‌্যাবের দাবি, ডাকাতির প্রস্তুতির বিষয়টি তারা স্বীকার করেছেন।
আটকরা হলেন, চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার পূর্ব খৈয়াছাড়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মজিবুল হকের ছেলে সেলিম (৩৫), নোয়াখালীর সদর উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ভাটিরটেক গ্রামের ইসমাইলের ছেলে ইব্রাহীম (৩৫), ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মোবারক হোসেনের ছেলে সোহাগ (২৬), মানিক ওরফে মালেক মাঝির ছেলে নবীর হোসেন (২২), মৃত আবদুর রশিদের ছেলে মোবারক হোসেন (৪৫) ও ১ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত জাফর হোসেনের ছেলে আমির হোসেন (৩০)।
এসময় তাদের কাছ থেকে একটি কিরিচ, রামদা, তালা কাটার যন্ত্র ও পাঁচটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে।
র‌্যাব-১১ (সিপিসি-৩) ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার গোলাম মোর্শেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোনাপুর জিরো পয়েন্ট ও ধর্মপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মালেক মাঝির বাড়ির মোবারকের টিনশেড ঘর থেকে তাদেরকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন বলে জানা গেছে। গ্রেফতারকৃতদের সুধারাম মডেল থানায় সোপর্দ করা হয়েছে
সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে ডাকাতির প্রস্তুতির মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

সুনামগঞ্জের শাল্লায় সালিসীদের বাঁধার মুখে ধর্ষণ চেষ্টার শিকার পঞ্চম শ্রেণিতে পড়–য়া স্কুল ছাত্রীর পরিবার আইনি সহায়তা নিতে পারছেন না!

সালিসীদের বাঁধার মুখে ধর্ষণ চেষ্টার শিকার পঞ্চম শ্রেণিতে পড়–য়া স্কুল ছাত্রীর পরিবার আইনি সহায়তা নিতে পারছেন না!অভিযুক্তর নাম, মানিক লাল দাস (৩০)। সে সুনামগঞ্জের শাল্লার উপজেলার হবিবপুর ইউনিয়নের পুটকা গ্রামের প্রভাবশালী সুদর্শন দাসের গুণধর ছেলে।

শনিবার শাল্লার ভিকটিম স্কুল ছাত্রীর পরিবার ও স্থানীয় এলাকার লোকজন জানান, শাল্লার প্রত্যন্ত এলাকায় স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়–য়া দরিদ্র পরিবারের এক শিশু কন্যাকে তাদেও বাড়ির পাশেই মায়ের সামনে বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সন্ধায় উপজেলার পুটকা গ্রামের বখাটে মাদকাসক্ত মানিক লাল দাস জোর পূর্বক ধর্ষণ চেষ্টা চালায়।

বিষয়টি জানাজানি হলে ঘটনার রাতেই পুটকা গ্রামে থাকা ভিকটিমের এক আত্বীয়ের বাড়িতে সালিস বৈঠকে বসেন গ্রামের তিন পাড়ার কয়েকজন প্রভাবশালী সালিসীগণ।
ওই সালিস বৈঠকে স্থানীয় ইউপি সদস্য দ্বিজেন্দ্র সহ গ্রাম্য সালিসী রণজিৎ সরকার,বকুল দাস,বিকাশ দাস, সচিন্দ দাস, রানু দাস, কৃষ্ণপদ দাস, রাজ কুমার দাস, সোম চাঁদ দাস, সুনিল দাস, ইন্দ্রজিৎ দাস, সজল দাস, আশিষ দাস কেনু দাস সহ আরো অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

প্রথমে ধর্ষণ চেষ্টায় অভিযুক্ত প্রভাবশালী পরিবারের বখাটে মানিক লাল দাসকে সালিস বৈঠকে আনা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে সালিসীগণের সামনে মানিক উপস্থিত হলেও ছিলেন নেশাগ্রস্থ্য। ভবিষ্যতে এ ধরণের আর কোন ঘটনা ঘটাবেনা মানিক, ভিকটিমের পরিবার যেন থানায় গিয়ে অভিযোগ না করে এসব বলে কোন রকম ধামাচাঁপা দিয়ে সালিসের সমাপ্তি ঘটে ওই রাতে।

তবে এ ধরণের ঘটনায় ধামাচাঁপা বিষয়টি কোন কোন সালিসীগণ এমনকি গ্রামের মানুষজন অনেকটা উদ্ভেগ প্রকাশ করে বললেন, এঘটনার পুর্বেও গ্রামে কমপক্ষে তিনটি ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনা ঘটিয়েছে মানিক লাল দাস। বরাবরই পারিবারীক প্রভাবে প্রতিটি ঘটনা এভাবেই ধামাচাঁপা দেয়া হয়েছে।

শনিবার শাল্লার পুটকা গ্রামে গেল বৃহস্পতিবার রাতে সালিসে উপস্থিত থাকা রণজিৎ সরকার বলেন, সালিসে আমি একা নই ইউপি সদস্য দ্বিজেন্দ্র বাবু সহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, সালিসীগণ গ্রামবাসীকে নিয়ে সালিসে বসার পর অভিযুক্ত মানিককে সালিনস বৈঠকে উপস্থিত করা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে নেশাগ্রস্থ্য হয়ে সালিসীগণ ও গ্রামবাসীর সামনে উপস্থিত হয়েছেন মানিক লাল দাস।

শাল্লার পুটকা গ্রামে সালিস বৈঠকে থাকা বিকাশ দাস বলেন, ধর্ষণচেষ্টার বিষয়টি এভাবে ধামাচাপা দেয়া আদৌ ঠিক হয়নি। তিনি আরো বলেন, গ্রামের অনেক নারী , কিশোরী, শিশুকন্যারা মানিক লাল দাসের ভয়ে শঙ্কিত হয়ে বসবাস করছেন।

শাল্লায় প্রত্যন্ত গ্রামে যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়–য়া শিশুকন্যা ধর্ষণ চেষ্টার শিকার হয়েছেন সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক বললেন, এরকম ঘটনা শুনে মর্মাহত হয়েছি, ভিকটিমকে আইনি সহায়তা দিতে আইন শুস্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর সহযোগিতা প্রত্যাশা করি, যেন ভবিষ্যতে এ ধরণের অপকর্ম করার মত দু:সাহস দৃষ্টতা যেন কেউ দেখাতে না পারে, এসব ঘটনা যেন আর দেশবাসীকে আর দেখতে হয় না হয় ।

শনিবার ভিকটিম স্কুল ছাত্রীর পরিবার জানায়, আমরা আইনি সহায়তা পেতে থানায় াভিযোগ করতে চাইলেও গ্রাম্য সালিসীগণের কারো কারো নিষেধ থাকায় থানায় গিয়ে অভিযোগ করতে পারছিনা।
শনিবার সকালে জানতে চাইলে শাল্লা থানার ওসি মো..শফিকুল ইসলাম বলেন,এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে অভিযুক্তকে গ্রেফতারে পুলিশী অভিযান চালিয়েও অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।

সুনামগঞ্জে মাদ্রাসায় পড়ুয়া শিশু কন্যাকে শ্রেণিকক্ষে ধর্ষণ চেষ্টা,অভিযুক্ত গ্রেফতার।

মাদ্রাসায় পড়ুয়া নয় বছর বয়ষী এক শিশু কন্যাকে শ্রেণিকক্ষে ধর্ষণ চেষ্টা করার অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার ভোররাতে এ ঘটনায় অভিযুক্ত সাবুল মিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।সাবুল সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার ভাতগাঁও ইউনিয়নের জহিরপুর গ্রামের ছমরু মিয়ার ছেলে।

শনিবার সকালে সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশের দায়িত্বশীল সুত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেন।শনিবার ছাতকের ভিকটিম শিশু কন্যার পারিবারীক সুত্র জানায়, শুক্রবার সকাল আটটার দিকে গ্রামের স্থানীয় মাদ্রাসায় পড়তে যায় ৯ বছর বয়সী শিশু কন্যা।

উপজেলার জহিরপুর গ্রামের বখাটে সাবুল ফাঁকা মাদ্রাসায় দ্বিতীয় তলার শ্রেণিকক্ষে জোর পূর্বক ওই শিশু কন্যাকে ধরে নিয়ে গিয়ে শ্রেণিকক্ষেই ধর্ষণ চেষ্টা চালায়।
চিৎকার করে কৌশলে শ্রেণিকক্ষ থেকে দৌড়ে পালিয়ে এসে পরিবারের সদস্যদের ঘটনাটি জানায় ওই শিশুকন্যা।
এরপর পরিবারের সদস্যরা মাদ্রাসা কতৃপক্ষ, শিক্ষকদের, গ্রামবাসীকে ঘটনাটি জানানোর পর তারাবির নামাজের পর ওই ঘটনায় গ্রামে সালিস বৈঠক ডাকা হয়।

তারাবির নামাজের পর রাত সাড়ে ৯টা থেকে দশটার ভেতর সালিসে কয়েক শতাধিক লোকজন উপস্থিত হন।
ঘটনা শুনে সালিসে উপস্থিত থাকা লোকজন উক্তেজিত হয়ে অভিযুক্ত’র গ্রামের বাড়িতে গিয়ে বসতবাড়িতে ভাংচুর চালায়।

এদিকে ছাতক থানার জাহিদপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রর ইনচার্জ এসআই নাজমুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে উপজেলার জহিরপুর এলাকা থেকে শনিবার ভোররাতে অভিযুক্ত সাবুল মিয়াকে গ্রেফতার করেন।
শনিবার সকালে ছাতক থানার ওসি মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান আকন্দ জানান, গ্রেফতার সাবুলকে ছাতক থানা পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ