আজঃ বৃহস্পতিবার ১৫ মে, ২০২৫

চট্টগ্রামে কিশোরকে ব্ল্যাকমেইল, এরপর অপহরণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রামে এক কিশোরের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয় নগদ আড়াই লাখ টাকা ও তার মায়ের সোনার গহনা। এতেও ক্ষান্ত হয়নি। আরও টাকার জন্য কিশোরকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করে তরুণদের সমন্বয়ে গড়ঠা চক্রটি। জানা গেছে, কিশোর বয়সী স্কুলছাত্রের সহপাঠীর সঙ্গে সম্পর্কের কথা জেনে ফেলে একই এলাকার উঠতি বয়সের কিছু তরুণ। সেই তথ্য অভিভাবককে জানিয়ে দেওয়ার কথা বলে ফাঁদ পাতে তারা। এদিকে ওই কিশোরকে ব্ল্যাক মেইল ও পরে অপহরণের খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান শুরু করে। শেষপর্যন্ত কিশোরকে ছেড়ে দিলেও পাঁচ তরুণের ঠাঁই হয়েছে থানায়।গ্রেফতার পাঁচজন হলো- মো. রাকিব, মো. সাকিব, মো. সালমান, মো. জাহিদ ও মো. বাবু। তাদের সবার বয়স ২০ থেকে ২২ বছরের মধ্যে। বাসা নগরীর সরাইপাড়া এলাকায়।
জানা গেছে, স্কুল থেকে বাসায় ফেরার পথে নগরীর পাহাড়তলী থানার সরাইপাড়া সিটি করপোরেশনের উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশের গলি থেকে অপহরণের শিকার হয় ওই কিশোর। বিকেল ৩টার দিকে তাকে পাহাড়তলী চাল গুদামের গলিতে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ সময় দুইজনকে হাতেনাতে আটক করা হয়। পরে তাদের তথ্যে পাহাড়তলী থানা পুলিশ আরও তিনজনকে আটক করে।
জানা গেছে, অপহরণের শিকার কিশোরর বাসাও একই এলাকায় এবং সে সরাইপাড়া সিটি করপোরেশনের উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। দুই মাস আগে তার সঙ্গে সহপাঠীর প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি জেনে যায় রাকিব ও সাকিব। তারা বিষয়টি কিশোরের মা-বাবাকে জানিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। কিশোর না জানানোর অনুরোধ করলে তারা তিন লাখ টাকা দাবি করে।
ভয় পেয়ে ওই কিশোর বাসা থেকে চুরি করে নিজের মায়ের সোনার গলার চেইন, তিনটি সোনার আংটি, এক জোড়া কানের দুল ও দুটি রূপার চেইন নিয়ে তাদের হাতে তুলে দেয়। এরপর দফায় দফায় বাসা থেকে চুরি করে আরও আড়াই লাখ টাকা তাদের হাতে দেয়। কিন্তু রাকিব-সাকিবসহ তরুণরা আরও টাকা দাবি করতে থাকে। ওই কিশোর আর টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে গত বুধবার স্কুলছুটির পর তাকে ছোরার ভয় দেখিয়ে সিএনজি অটোরিকশায় তুলে নেয়।
কিশোরের মা রোজিনা আক্তার বলেন, বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আমাকে একজন ফোন করে বলে, তোমার ছেলে আমাদের কাছে আছে, ৪০ হাজার টাকা দিলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে, না হলে জবাই করে মেরে ফেলা হবে। আমি বললাম, আমার ছেলে কোথায় আছে বল, তোমরা ওর কোনো ক্ষতি করবে না, আমি টাকা দেব। তারা জানায়, সিআরবিতে আছে। আমি টাকা নিয়ে আসছি বলার পর লাইন কেটে দেয়। কিছুক্ষণ পর আবার ফোন করে বলে, ৩০ হাজার টাকা বিকাশে পাঠাতে। আমি কোনোভাবেই বিকাশে টাকা পাঠাতে রাজি হইনি।
তারা আমার ছেলেকে খুন করবে, কিডনি বিক্রি করে দেবে বলে আমাকে ভয়ভীতি দেখায়। ততক্ষণে আমি টাকা নিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে যাই। টেক্সিতে করে সিআরবি যাবার পথে আবার ফোন আসে। তারা আমাকে পাহাড়তলী চালের গুদামের গলিতে যেতে বলে। আমি সেখানে গিয়ে দেখি, রাকিব আমার ছেলেকে ধরে দাঁড়িয়ে আছে। আমি রাকিবকে চিনতে পারি। তাকে আমি একটা থাপ্পড় দিই। তখন সেখানে লোকজন জড়ো হয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর সাকিব আসে। পুলিশও আসে। সেখান থেকে রাকিব-সাকিবকে নিয়ে যায় পুলিশ।
নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (পশ্চিম) নিহাদ আদনান তাইয়ান বলেন, অপহরণের ঘটনা জানার পর কিশোরের মা বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করে। আমরাও কিশোরকে উদ্ধারে নেমে পড়ি। এলাকার যে তরুণরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে, তারা বুঝতে পারেনি সেটা এতদূর গড়াবে। তারা একপর্যায়ে কিশোরকে মায়ের হাতে তুলে দেয়। আমরা তখন তাদের গ্রেফতার করি। আসলে রাকিব ও সাকিব এ ঘটনার মাস্টারমাইন্ড। বাকি তিন তরুণ তাদের সহযোগিতা করেছে বলে আমাদের তথ্য দিয়েছে। উঠতি বয়সের এসব তরুণ এলাকায় ছোটখাট নানা ধরনের অপরাধে জড়িত।
বাসা থেকে সোনার গহনা ও টাকা চুরি হওয়ার বিষয়টি জানতে পেরেছিলেন কি না, এ প্রশ্নের জবাবে কিশোরের রোজিনা আক্তার বলেন, যখন আমার ছেলে বাসার আলমিরা থেকে আড়াই লাখ টাকা ও প্রায় দেড় লাখ টাকার গহনা নিয়ে যায়, তখন আমি বাসায় ছিলাম না। আমার মা মারা যাওয়ায়, আমি মায়ের বাড়িতে ছিলাম। সপ্তাহখানেক আগে আমি টাকা নিতে গিয়ে দেখি, সেগুলো নেই। আমার গহনাও নেই। তখন আমি বিষয়টি আমার স্বামীকে জানাই। এটা নিয়ে আমার পরিবারে অনেক অশান্তি হয়। পরে আমার ছেলে ঘটনা আমাদের খুলে বলে।
কিশোরের বাবা পোশাক কারখানার কর্মকর্তা মো. মুরাদ বলেন, আমার দুই ছেলে। আমার স্ত্রী সংসার খরচের টাকা থেকে অনেক কষ্ট করে অল্প অল্প করে কিছু টাকা জমিয়েছিল। রাকিব আমাদের বলেছে, সে এবং সাকিব মিলে গহনাগুলো বিক্রি করে দিয়েছে। নগদ আড়াই লাখ টাকাও তারা পাঁচজন মিলে ভাগ করে নিয়েছে। গ্রেফতার পাঁচ তরুণকে কিশোরের মা রোজিনা আক্তারের দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপ পুলিশ কমিশনার নিহাদ আদনান তাইয়ান।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

কালুরঘাট সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উপলক্ষে ড. ইউনুসের আগমন: চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরামের সংবাদ সম্মেলন

ঐতিহাসিক কালুরঘাট সেতু নির্মাণকাজের উদ্বোধনকে ঘিরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে দীর্ঘদিন ধরে এই দাবিতে আন্দোলনকারী সংগঠন চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরাম।

সংগঠনের মহাসচিব মো: কামাল উদ্দিন লিখিত বক্তব্যে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ও নোবেলজয়ী Enforcement ড. মোহাম্মদ ইউনুসকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান এবং একইসাথে সেতু নির্মাণ সুনিশ্চিত করতে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবনা উত্থাপন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, কালুরঘাট সেতু চট্টগ্রামের দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগের একমাত্র প্রবেশদ্বার হিসেবে যুগ যুগ ধরে মানুষের ভোগান্তির প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। এই সেতুর আধুনিকায়নের দাবিতে প্রথম আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল ১৯৮৮ সালে বৃহত্তর চট্টগ্রাম উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির ব্যানারে এস. এম. জামাল উদ্দিন ও ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে। এরপর থেকে ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন, স্মারকলিপি প্রদান, মানববন্ধন, গণঅনশন, গোলটেবিল বৈঠক এবং একাধিক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরাম ও অন্যান্য সংগঠন এই দাবিকে জাতীয় ইস্যুতে পরিণত করে।

মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন, “বিগত সরকার আমাদের আন্দোলনকে সরকার বিরোধী বলে আখ্যা দিলেও আমরা থেমে থাকিনি। আমরা চট্টগ্রামের মানুষের পক্ষ থেকে বলেছি—এই সেতু শুধু একটি অবকাঠামো নয়, এটি দক্ষিণ চট্টগ্রামের অর্থনৈতিক মুক্তির চাবিকাঠি।”
তিনি আরও বলেন, “আগামী ১৪ মে ২০২৫ তারিখে কালুরঘাট সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে চট্টগ্রামে আসছেন মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস। তাঁর আগমন শুধু একটি সেতুর সূচনা নয় বরং চট্টগ্রামের সম্ভাবনার দ্বার খুলে দেয়ার বার্তা বহন করে। আমরা তাঁকে জানাচ্ছি হৃদয় নিংড়ানো স্বাগত।”
প্রস্তাবনায় বলা হয়, ৭০০ মিটার দৈর্ঘ্যের প্রস্তাবিত কালুরঘাট সেতু পদ্মা সেতুর তুলনায় অনেক ছোট, যা মাত্র ৮ ভাগেরও কম দৈর্ঘ্যের। পদ্মা সেতু যেখানে ৮ বছরে নির্মিত হয়েছে, সেখানে কালুরঘাট সেতু চাইলে ২০২৮ সালের মধ্যেই শেষ করা সম্ভব। এজন্য প্রধান উপদেষ্টার সরাসরি তদারকি কামনা করে নাগরিক ফোরাম।

সংগঠনটি হুঁশিয়ার করে দিয়ে জানায়—কোনো ধরনের কালক্ষেপণ বা অবহেলা হলে চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরাম আবারো জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলনে নামবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন গবেষক সোহেল মোহাম্মদ ফখরুদ দ্বীন, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব কামরুল ইসলাম, লায়ন আসিফ আহমেদ মিদা, একে এম ওসমান গনি, মাষ্টার আবুল হোসেন, সেলিম উল্লাহ চৌধুরী, মোহাম্মদ আকতার হোসেন নিজামী, লায়ন দুলাল কান্তি বড়ুয়া, লায়ন সমীরণ বড়ুয়া ও মোহাম্মদ নুর প্রমুখ।

সমাপ্তিতে সংবাদ সম্মেলন থেকে চট্টগ্রামের সকল গণমাধ্যম, রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী সংগঠন ও সাধারণ জনগণের প্রতি আহ্বান জানানো হয় এই জাতীয় স্বপ্ন বাস্তবায়নে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে অংশ নিক এবং ২০২৮ সালের মধ্যে নতুন সেতুর উদ্বোধনের আনন্দে অংশগ্রহণ করুক।

বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও বীরমুক্তিযোদ্ধা সালাউদ্দিন আহমাদ’র ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী ।

ভোলার লালমোহনের কিংবদন্তি শিক্ষাবিদ বীরমুক্তিযোদ্ধা মানবসেবক নামজাদা ফুটবলার সালাউদ্দিন মিয়ার ৪০ তম মৃত্যুবার্ষিকী আগামী ২১ মে ২০২৪ ।

উপমহাদেশের প্রখ্যাত আলেম মুন্সি আব্দুর রহমানের বংশধর সালাউদ্দিন আহমাদ, ভোলা কলেজের সাবেক অধ্যাপক মৌলানা মনসুর আহমাদ গোল্ডমেডেলিস্ট এবং বেগম বদরুন্নেসা আহমাদের জ্যেষ্ঠ পুত্র । লালমোহন উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের চতলা গ্রামের বনেদি পরিবারের সন্তান সালাউদ্দিন আহমাদ ১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রাম সেক্টরের দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলে বিপুল বীরত্বের সাথে যুদ্ধ করেন । একি সময়ে তিনি চট্টগ্রাম জোনের মুক্তিযুদ্ধের মহান সংগঠক এম এ আজিজের একান্ত উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন । এম এ আজিজের পিতার নামে প্রতিষ্ঠিত হাজি মোহাব্বত আলী একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ ছিলেন সালাউদ্দিন আহমাদ । ১৯৭১ এর রণাঙ্গনে বিপুল বিক্রমে যুদ্ধ করতে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের মহান সেক্টর কমান্ডার ও জেড ফোর্সের অধিনায়ক শহীদ রাষ্ট্রপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা জেনারেল জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের সাথে ব্যক্তিগত ঘণিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয় ভোলার বীরযোদ্ধা সালাউদ্দিন আহমাদের।

লালমোহন শাহবাজপুর কলেজের একসময়ের খ্যাতিমান ইংরেজি শিক্ষক সালাউদ্দিন আহমাদ বিচিত্র কর্মজীবনে বিভিন্ন সময়ে ভোলা মাসুমা খানম গার্লস হাইস্কুলের প্রতিষ্ঠাকালীন প্রধান শিক্ষক, ডাওরীরহাট হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক, লালমোহন হাইস্কুলের উপপ্রধানশিক্ষক, সীতাকুণ্ড লতিফা সিদ্দিকা মেমোরিয়াল হাইস্কুলের উপপ্রধানশিক্ষক ছিলেন । তিনি ধলীগৌরনগর হাইস্কুলের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা । দুই মেয়াদে সভাপতি ছিলেন ঐতিহ্যবাহী করিমগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ।

মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সহোদর ভাইয়ের নামে লালমোহন উপজেলায় প্রথম বেসরকারি গণগ্রন্হাগার ” শহীদ জামাল স্মৃতিপাঠাগার” প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তিনি সত্তুর এবং আশির দশকে পাঠক সৃষ্টিতে রেখে গেছেন কালজয়ী অবদান ।
ভোলা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ ও ভোলা দক্ষিণ প্রেসক্লাবের সভাপতি প্রভাষক কবি শাহাবুদ্দিন রিপন শান , তজুমদ্দিন প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আজিমউদ্দিন লিটন , চতলা সাতবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি শরিফউদ্দিন টিপু এবং চতলা করিমুন্নেছা মহিলা দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক মেজবাহউদ্দিন রুবেল শান বীরমুক্তিযোদ্ধা সালাউদ্দিন আহমাদের সন্তান।

মরহুম সালাউদ্দিন আহমাদের ৪০ তম মৃত্যুবার্ষিকীর অবিস্মরণীয় দিনটি (২১ মে ২০২৫) মরহুমের কবর জিয়ারত, স্মরণ ও দোয়া মাহফিলের মধ্য দিয়ে উদযাপন করবে- লালমোহন মিডিয়া ক্লাব এবং শান ফাউন্ডেশন।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ