আজঃ শনিবার ৬ ডিসেম্বর, ২০২৫

চট্টগ্রামে দামি ব্র্যান্ডের স্টিকার লাগিয়ে নিন্মমানের পণ্য বিক্রি

নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রাম মহানগরীতে নিম্নমানের পণ্যের উপর নামি দামি ব্র্যান্ডের স্টিকার লাগিয়ে বেশি দামে বিক্রি এবং পণ্যের গায়ে আগের কম মূল্যের উপর পুনরায় অধিক মূল্যে লেভেল লাগিয়ে বেশি দামে বিক্রির অভিযোগে দুই প্রতিষ্ঠানকে মোট ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিকার। মূলতঃ ঈদুল আযাহাকে সামনে রেখে নিত্যপণ্যের বাজার মনিটরিংয়ে নামে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম শাখা। গতকাল মঙ্গলবার নগরীর জিইসি ও ২নং গেইট কর্ণফুলী কমপ্লেক্স নিত্যপণ্যের বাজার মনিটরিং করতে গিয়ে ব্যবসায়ীদের এমন গরমিল ধরা পড়ে ভোক্তাধিকারের হাতে।
কর্ণফুলী কমপ্লেক্সের ৪নং গলির একটি দোকানে হিরো ক্রীম (দুগ্ধ জাতীয় খাবার পণ্য) নামে একটি নিম্ন মানের পণ্যের উঅঘঙ ব্র্যান্ডের স্টিকার লাগিয়ে বিক্রি করে আসছিলেন অনেকদিন ধরে। অন্যদিকে ফ্রেডস কোম্পানির ইঁদর খাওয়ার চিড়ার লেভেল লাগিয়ে ভালো পণ্য হিসাবে বিক্রি ও প্রদর্শন করার অপরাধে ঐ প্রতিষ্ঠানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে ভোক্তাধিকার।
জানা গেছে, দুই ব্র্যান্ডের দামের মধ্যে ব্যবধান রয়েছে। হিরো কোম্পানির এই ক্রীমের দাম ৮০ টাকা। আর উঅঘঙ ব্র্যান্ডের ক্রীমটির দাম ১৫০ টাকা।
এ বিষয়ে কর্ণফুলী কমপ্লেক্স ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি সভাপতি ইয়াকুব চৌধুরী বলেন, এক কোম্পানির পণ্য অন্য কোম্পানির বলে বিক্রি করা এটা বড় অপরাধ। তবে পণ্যের উপর স্টিকারগুলো এই মার্কেটের দোকানদাররা লাগায় না। লাগানো অবস্থায় আমাদের দোকানদাররা আনেন। পরবর্তীতে দেখে শুনে পণ্যগুলো কিনতে হবে।
এক কোম্পানরি পণ্য অন্য কোম্পানির স্টিকার লাগিয়ে সরবরাহ করা রেয়াজউদ্দিন বাজারের ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সমিতির পক্ষ থেকে কোন ব্যবস্থা নেওয়া দরকার আছে কিনা এমন প্রশ্নে জবাবে কর্ণফুলী কমপ্লেক্স ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি সভাপতি ইয়াকুব চৌধুরী বলেন, রেয়াজউদ্দিন বাজারে ব্যবসায়ীরা বড় ব্যবসায়ী আর আমাদের মার্কেটের ব্যবসায়ীরা ছোট ব্যবসায়ী উনাদের বিরুদ্ধে আমাদের কথা বলার সুযোগ নাই। এর আগে আমাদের ব্যবসায়ীকে টাকা দিতে পারছে না বলে বেধে রাখছে।
এর আগে পণ্যের গায়ে লিখা কম মূল্যের উপর পুনরায় অধিক মূল্যে লেভেল লাগিয়ে বেশি দামে বিক্রির অভিযোগে নগরীর জিইসি এলাকার কামাল জেনারেল স্টোর একটি দোকানকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড দিয়েছে ভোক্তাধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। সাথে প্রতিষ্টানটিকে সতর্ক করা হয়।
এব্যাপারে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক মোহাম্মাদ আনিছুর রহমান বলেন, ঈদুল আযাহাকে সামনে রেখে নিত্যপণ্যের বাজার মনিটরিংয়ে গিয়ে আমার দেখতে পায় কর্ণফুলী কমপ্লেক্সের একটি দোকানে হিরো ক্রীম নামে একটি পণ্যের উপর ব্র্যান্ডের স্টিকার লাগিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে এবং ইঁদুরে খাওয়া চিড়া প্যাকেট পুনরায় লেভেল লাগিয়ে বিক্রির জন্য সংরক্ষণ করছে তার জন্য ঐ প্রতিষ্টানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং পাশাপাশি সতর্ক করা হয়। অন্যদিকে একটি পণ্যের দাম ১৪৫ টাকার উপর ১৫৫ টাকা মূল্য বাসানোর অভিযোগে জিইসি এলাকার কামাল জেনারেল স্টোর নামে একটি প্রতিষ্টান ৫০ হাজার জরিমানা করে সতর্কও করা হয়। আমাদের এমন অভিযান অব্যহত থাকবে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

কুষ্টিয়ায় বাড়ি থেকে অস্ত্র-গুলি উদ্ধার।

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় সোহাগ হোসেন নামের এক রাজমিস্ত্রির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দুটি পিস্তল ও একটি ওয়ান শুটারগান উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ওসমানপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ওসমানপুর কলপাড়া গ্রামে এই অভিযান চালান সেনাসদস্যরা। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় খোকসা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোশাররফ হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ক্যাপ্টেন মেহেদীর নেতৃত্বে কুষ্টিয়া সেনাক্যাম্পের রওশন আরা রেজিমেন্ট আর্টিলারি ইউনিটের একটি দল ওসমানপুর গ্রামের সোহাগ হোসেন নামের এক যুবকের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় বাড়ি তল্লাশি করে দুটি পিস্তল, একটি ওয়ান শুটারগান, গুলি, দেশীয় চাকু ও হাঁসুয়া পাওয়া যায়। তবে অভিযানে কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। সোহাগ হোসেন পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। তাঁর বাবার নাম আশরাফ হোসেন।

পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন বলেন, সেনাবাহিনীর অভিযানে উদ্ধার করা অস্ত্র থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

ভোলায় জলসিঁড়ি সাহিত্য আসরের কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত ।

দ্বীপজেলা ভোলার আধুনিক সাহিত্য সংগঠন জলসিঁড়ি সাহিত্য আসরের ১৫ সদস্য বিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত হয়েছে ।গতকাল ৩ ডিসেম্বর ২০২৫ সন্ধ্যায় ভোলা সদরের গঙ্গাকীর্তি হারুন অর রশিদ স্মৃতি পাঠাগারে অনুষ্ঠিত জলসিঁড়ি সাহিত্য আসরের সাধারণ সভায় সংগঠনের আহ্বায়ক শিশুসাহিত্যিক শাহাবউদ্দিন শামীম এর সভাপতিত্বে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ রোদসী কৃষ্টিসংসারের চেয়ারম্যান ও জাতীয় কবিতা পরিষদ ভোলার প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক সিনিয়র প্রভাষক কবি রিপন শান, জাতীয় সাহিত্য সাংস্কৃতিক ঐক্যজোট ভোলা জেলা শাখার সদস্য সচিব প্রভাষক কবি মিলি বসাক, জলসিঁড়ির সদস্য সচিব কবি মহিউদ্দিন মহিন, জাতীয় কবিতা পরিষদ ভোলার সাংগঠনিক সম্পাদক ও জলসিঁড়ির সংগঠক কবি নীহার মোশারফ, আবৃত্তিশিল্পী সমাজসেবক মীর মোশারেফ অমি প্রমুখ ।

সভায় উপস্থিত সদস্যদের ভোটাভুটির মাধ্যমে শিশুসাহিত্যিক শাহাবউদ্দিন শামীম কে সভাপতি, সিনিয়র প্রভাষক সাংবাদিক কবি রিপন শানকে নির্বাহী সভাপতি, সিনিয়র প্রভাষক সংগঠক মহিউদ্দিন মহিনকে সাধারণ সম্পাদক, কবি গবেষক কবি নীহার মোশারফ কে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট জলসিঁড়ি সাহিত্য আসরের কার্যনির্বাহী কমিটি ২০২৫- ২০২৭ গঠন করা হয়েছে ।

কমিটির সহ-সভাপতিগণ হচ্ছেন- সিনিয়র প্রভাষক কবি মিলি বসাক, কবি মোঃ জুলফিকার আলী। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গণ হচ্ছেন- কবি আল মনির, আবৃত্তিশিল্পী মীর মোশারেফ অমি । অর্থ ও দপ্তর সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন কবি বিলকিস জাহান মুনমুন, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন কবি শাহনাজ পারুল, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন সাংবাদিক মুহাম্মদ নুরুল্লাহ আরিফ । নির্বাহী সদস্যগণ হচ্ছেন- অধ্যক্ষ কবি এম এস জালাল বিল্লাহ, কবি দিলরুবা জ্যাসমিন, কবি চৌধুরী সাব্বির আলম এবং কবি এরশাদ সোহেল ।

আসছে ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ শনিবার বিকেল ৪ টায় ভোলা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিতব্য জলসিঁড়ির মাসিক সাহিত্য সভায় নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠিত হবে ।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ