আজঃ শনিবার ৬ ডিসেম্বর, ২০২৫

ডিমলায় ধর্ষন মামলার আসামীকে পুলিশ গ্রেফতার করতে না পারায় ছাত্রী অভিভাবকরা হতাশ।

আনোয়ার হোসেন ডিমলা নিলফামারী:

নিলফামারী:

ডিমলায় ধর্ষন মামলার আসামীকে পুলিশ গ্রে

নীলফামারী ডিমলায় আলোচিত (০৮) বছরের শিশুকন্যা ধর্ষন মামলার এজাহার নামীয় আসামীকে আজো গ্রেফতার করতে পারেনি ডিমলা থানা পুলিশ। শিশুটি পিতা সোহেল রানা মিলন (মামলার বাদী) অভিযোগ করে বলেন, আমার শিশুকন্যা ধর্ষনের বিষয়টি তাৎক্ষনি পুরো উপজেলায় ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু আমি আমার ধর্ষিতা শিশুকন্যাটিকে রক্তাক্ত জখমি অবস্থায় প্রথমে ডিমলা সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করাই। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে গুরুত্বর জখমী অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন।

তিনি আরও জানান আমার শিশুকন্যার চিকিৎসা কাজে ব্যস্ত থাকা গত (১৯ মে) ডিমলা থানায় ধর্ষন মামলা দায়ের করি। মামলা দায়েরের ৬ দিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও থানা পুলিশ মাত্র একদিন আসামীর বাড়ীতে গিয়েছে। আসামী কেন গ্রেফতার করা হচ্ছেনা এ বিষয়ে ডিমলা থানার (ওসি) দেবাশীষ রায় ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোঃ সাজু মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, আমরা নির্বাচনের কাজে ব্যস্ত আছি। ব্যস্ততা শেষ হলে বিষয়টি দেখবো।
ডিমলা থানার (ওসি) দেবাশীষ রায় বলেন, আসামীকে গ্রেফতারে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে এবং মামলা হওয়ার পরে আসামীর বাড়ীতে পুলিশ একদিন যাওয়ার কথা তিনি স্বীকার করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (সাবইন্সপেক্টর) মোঃ সাজু মিয়া বলেন, মামলা করতেই বাদী দেরি করেছেন। আসামীকে গ্রেফতারের জন্য তার বাড়ীতে একদিন যাওয়ার কথা তিনিও স্বীকার করে বলেন, (২১ মে) ভোটের ডিউটিতে ছিলাম। (২২মে) থানায় এসেছি আসামী ধরার চেষ্টা চলমান রয়েছে। খোঁজ পেলে আসামীকে গ্রেফতার করা হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধীক অভিভাবক উপজেলা বিভিন্ন এলাকায় এমনকি (থানা এলাকার) মধ্যেও একের পর এক ধর্ষনের ঘটনা ও আসামীদের গ্রেফতার না হওয়ার বিষয়ে তারা তাদের স্কুল/কলেজ পড়ুয়া কন্যা সন্তানদের নিয়ে চরম হতাশায় ভুগছেন এবং এর জন্য ডিমলার সার্বিক আইন শৃঙ্খলার অবনতির কথা বলছেন।

উল্লেখ্য, ডিমলায় ৬ দিনের ব্যবধানে দুটি ধর্ষন হয়েছে (১১ই মে) ডিমলা থানা এলাকা একটি বাড়ীতে ৯ম শ্রেনীর এক স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ কিশোর গ্যাং ধর্ষন করে। অপর দিকে ৬ দিন পরে (উপজেলার টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের দক্ষিন খড়িবাড়ী (মাষ্টারপাড়া) গ্রামে (০৮) বছরের এক শিশুকন্যা ধর্ষনের স্বীকার হলে পুরো উপজেলায় তোলপাড় শুরু হয়।
ডিমলা থানায় পৃথক দুটি মামলা নং-১২, তারিখঃ ১২/০৫/২০২৪ইং এবং মামলা নং- ২০, তারিখঃ১৯/০৫/২০২৪ইং ধর্ষন মামলা রুজু করা হয়। ৯ম শ্রেনীর ছাত্রী ধর্ষন মামলার অন্য দুই আসামীকে ঘটনার দিন গ্রেফতার করলেও ৬ দিনেও (১নং) মূল আসামীকে ডিমলা থানা পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি। তবে মামলার মুল আসামী (শীবমন্দির) পাড়ার শ্রী কৈলাশ দাস মঙ্গুর ছেলে শ্রী প্রমিত দাস (১৭) নিজেই গত (১৬ই মে) ২০২৪ ইং নীলফামারী বিজ্ঞ আদালতে আত্বসমর্পন করে জামিনের আবেদন করলে আদালত আবেদন না মঞ্জুর করে তাকে যশোর জেলার সংশোধনাগারে প্রেরন করার নির্দেশ প্রদান করেন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

কুষ্টিয়ায় হাত-পা বাঁধা অবস্থায় বয়স্ক নারীর লাশ উদ্ধার।

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় হাত–পা বাঁধা অবস্থায় খাইরুন নেছা (৬০) নামের এক বয়স্ক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার রামচন্দ্রপুর মানিকের বাঁধ এলাকার পাশ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত নারী হলেন ঐ এলাকার মৃত রজব আলীর মেয়ে।

পুলিশ ও স্থানীয়দের বরাতে জানা গেছে, সকালেই মানিকের বাঁধের পাশে পানিতে ভেসে থাকা একটি লাশ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে তাঁরা পুলিশে খবর দিলে ভেড়ামারা থানা–পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

এ বিষয়ে ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহাম্মদ জাহেদুর রহমান বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, তাঁকে হত্যা করে হাত–পা বেঁধে এখানে ফেলে রাখা হয়েছে।

বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছি। তদন্তে যা বের হবে, সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

কুষ্টিয়ায় বাড়ি থেকে অস্ত্র-গুলি উদ্ধার।

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় সোহাগ হোসেন নামের এক রাজমিস্ত্রির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দুটি পিস্তল ও একটি ওয়ান শুটারগান উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ওসমানপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ওসমানপুর কলপাড়া গ্রামে এই অভিযান চালান সেনাসদস্যরা। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় খোকসা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোশাররফ হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ক্যাপ্টেন মেহেদীর নেতৃত্বে কুষ্টিয়া সেনাক্যাম্পের রওশন আরা রেজিমেন্ট আর্টিলারি ইউনিটের একটি দল ওসমানপুর গ্রামের সোহাগ হোসেন নামের এক যুবকের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় বাড়ি তল্লাশি করে দুটি পিস্তল, একটি ওয়ান শুটারগান, গুলি, দেশীয় চাকু ও হাঁসুয়া পাওয়া যায়। তবে অভিযানে কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। সোহাগ হোসেন পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। তাঁর বাবার নাম আশরাফ হোসেন।

পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন বলেন, সেনাবাহিনীর অভিযানে উদ্ধার করা অস্ত্র থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ