আজঃ শুক্রবার ১৪ মার্চ, ২০২৫

চট্টগ্রামে সাগর উত্তাল, প্লাবিত বেড়িবাঁধসংলগ্ন লোকালয় প্লাবিত

নিজস্ব প্রতিবেদক

নগরীর পতেঙ্গা এলাকায় বেড়িবাঁধসংলগ্ন লোকালয় আস্তে আস্তে প্লাবিত হচ্ছে। গতকাল বিকেল ৫টায় এ রিপোর্টলেখাকালে প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে উত্তাল সৃষ্ট ঢেউয়ের পানিতে বেড়িবাঁধ উপচে পড়ার উপক্রম হয়েছে। পানি ঢুকে পড়ছে বাড়িঘর, দোকানপাটে।
গতকাল রোববার দুপুর থেকে চট্টগ্রাম নগরীসহ আশপাশের এলাকায় দমকা হাওয়াসহ গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। এসময় তীব্র জোয়ারে ফুঁসে উঠে সাগরও। নগরীর পতেঙ্গার আকমল আলী রোডে বেড়িবাঁধসংলগ্ন জেলেপাড়ার অনেকাংশ এতে প্লাবিত হয়। ডুবে যায় অধিকাংশ ঘর। ভাসিয়ে নিয়ে যায় বেশকিছু মাছ ধরার নৌকা।
তবে ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতের আশঙ্কায় সকাল থেকেই পাড়ার স্থানীয় বাসিন্দারা ঘরের গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র নিয়ে নিরাপদে চলে যেতে শুরু করেন। জেলেদেরকে তাদের মাছ ধরার নৌকা ও জাল নিয়ে অন্য স্থানে যেতে দেখে যায়। স্থানীয়দের আশঙ্কা, ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানলে পানি আরও বেড়ে জলোচ্ছ্বাস সৃষ্টি হতে পারে। এজন্য দুপুরের পর অনেককে বেড়িবাঁধসংলগ্ন এলাকা থেকে দোকানপাট গুটিয়ে চলে যেতে দেখা যায়।
স্থানীয় দোকানি রহমান সিকদার বলেন, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের সময় আমার অনেক ক্ষতি হয়েছিল। দোকানের অনেক জিনিসপত্র পানিতে চলে গিয়েছিল। সে ক্ষতি এখনও পোষাতে পারিনি। এবারের ঘূর্ণিঝড় এর থেকেও বেশি শক্তিশালী বলছে সবাই। সাধারণ জোয়ারে এত পানি হয় না। রাতে পানি আরও বাড়তে পারে। তাই সব জিনিসপত্র ওপরে নিয়ে যাচ্ছি।
মৎস্য ব্যবসায়ী মো. আলী বলেন, পানি বাড়ছে। রাতে আরও বাড়তে পারে। ঘূর্ণিঝড় এখনও বাংলাদেশে আঘাত করেনি। আঘাত করলে পানির স্রোত আর বেশি হবে। আড়তের যা ছিল সব ওপরে তুলে নিচ্ছি।
রেডক্রিসেন্টের জোনাল কো-অর্ডিনেটর তৌসিফ রেজওয়ান বিকেল ৫ টায় বলেন, মূল বাঁধের এখনও কোনো ক্ষতি হয়নি। তবে সংলগ্ন বিভিন্ন ঘেরের বাঁধের একাংশ ভেঙ্গে পড়েছে। জেলেপাড়ার ভেতরে পানি ঢুকে গেছে। কিছু ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়েছে। জেলেপাড়ার অনেকেই নিরাপদ স্থানে চলে গেছেন। বাকি যারা আছেন, তারাও সন্ধ্যার মধ্যে চলে যাবেন। আমরা গত শনিবার রাত থেকে মাইকিং করছি। আমাদের সদস্যরা এখনও মাইকিং করছে। জিনিসপত্র নিতে সহযোগিতা করছে।
আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় ১৯.৮ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯.৪ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থান করছে। এটি আজ (২৬ মে) সকাল ৯টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ২৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

আমরা তোমাকে ভুলবো না আছিয়া।

আমি যখন সংবাদে জানতে পারলাম, আছিয়া মারা গেছে। ঠিক তখনই দুমড়ে, মুচড়ে গেলাম আমি । একদম কাচের মতো টুকরো, টুকরো হয়ে গেলাম। জীবনের সাথে যুদ্ধ করে আর ঠিকে থাকা হলো না ছোট আছিয়ার। কি কারণে আমরা আজ আছিয়া কে হারালাম??? কি অন্যায়?? কি দোষ??? কি ত্রুটি ছিলো ৩য় শ্রেণীতে পড়া ছোট এই আছিয়ার??? একটাও প্রশ্নের উত্তর আমি খুজে পেলাম না। কেন

আমরা এই ছোট আছিয়ার নিরাপত্তা দিতে পারিনি??? হিংস্র কিছু মানুষ রুপী পশুর নির্মম নির্যাতনের শিকার হলো আমাদের ছোট আছিয়া। যে আছিয়া স্কুলে
যাওয়ার কথা, হেসে খেলে মুক্ত বাতাসে তার এলোমেলো চুল উড়ানোর কথা, সেই আছিয়ার কেন এই নিষ্ঠুর পরিনতি??

আমরা কি পারবো, দ্রুত সময়ের মধ্যে, আসামীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে ?? ৩য় শ্রেণির ছাত্রী ছিলো আমাদের আছিয়া। আমরা তোমায় ভুলবো না আছিয়া। আকাশে জ্বলজ্বল করে উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো আমাদের হৃদয়ে চীর স্মরণীয় হয়ে থাকবে আমাদের আছিয়া।

আমরা আর কোন আছিয়াকে হারাতে দেব না। আমাদের সমাজের এই ছোট সোনামনিদের, নিরাপত্তার দায়িত্ব আমাদেরকেই নিতে হবে ।

সাড়ে ৫ লাখ শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়াবে চসিক

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনে ৫ লক্ষ ৬০ হাজার শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এর মধ্যে ৬-১১ মাসের ৯০ হাজার এবং ১২-৫৯ মাসের ৪ লাখ ৭০ হাজার শিশুকে ক্যাপসুল খাওয়াবে চসিক। বৃহস্পতিবার টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের পর চিকিৎসক ও গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে মতবিনিময়কালে এ তথ্য জানান চট্টগ্রাম সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। এসময় তিনি ক্যাম্পেইন সফল করার বিষয়ে চসিকের স্বাস্থ্য বিভাগের প্রস্তুতি সম্পর্কে অবগত হয়ে দিক-নির্দেশনা দেন।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকায় উক্ত ক্যাম্পেইন সফল ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার করার লক্ষ্যে ব্যপক প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে। যথাক্রমে কেন্দ্রীয় এ্যাডভোকেসী ও পরিকল্পনা সভা আয়োজন, জোন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে এ্যাডভোকেসী ও পরিকল্পনা সভা আয়োজন, ওয়ার্ড পর্যায়ে স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশিক্ষন, প্রতিটি ওয়ার্ডে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল বিতরণ, ব্যপকভাবে মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ, সকল আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা, মসজিদের খতিব ও ইমাম সাহেবদের দিয়ে প্রচারণার উদ্যোগ নিয়েছে চসিক ।

শনিবার (১৫ মার্চ) চসিকের সাতটি ইপিআই জোনের আওতায় ৪১ ওয়ার্ডে ১ হাজার ৩২১টি কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ ক্যাম্পেইন চলবে। ৬-১১ মাসের শিশুকে ১ লাখ ইউনিটের নীল রঙের ও ১২-৫৯ মাসের শিশুকে ২ লাখ ইউনিটের লাল রঙের ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
চসিক মেয়র জানান, জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন সফল করার লক্ষ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে চসিক। ক্যাম্পেইনে বাদ পড়া শিশুদের চসিকের ব্যবস্থাপনায় চসিক পরিচালিত দাতব্য চিকিৎসালয়, নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্র, ইপিআই কেন্দ্রে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। শিশুদের রাতকানা রোগ প্রতিরোধ এবং অপুষ্টি ও মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষার জন্য মা, বাবা, অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানান মেয়র।

মেয়র জানান, ক্যাম্পেইন চলাকালে মা ও শিশুর পুষ্টি নিশ্চিতকরণে গর্ভবতী ও প্রসূতি মা’দের স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি পরিমাণে ভিটামিন এ সমৃদ্ধ প্রাণিজ খাবার (মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, কলিজা) এবং উদ্ভিজ্জ খাবার (হলুদ ফল, রঙিন শাক-সবজি) খাওয়াতে পরামর্শ দেওয়া হবে। জন্মের পর এক ঘণ্টার মধ্যে শিশুকে শাল দুধ খাওয়ানোসহ প্রথম ছয় মাস শিশুকে শুধু মায়ের দুধ খাওয়ানোর বিষয়ে পুষ্টিবার্তা প্রচার করা হবে। ছয় মাস পূর্ণ হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি ঘরে তৈরি সুষম খাবার পরিমাণ মতো খাওয়াতে হবে।
এর আগে ২০২৪ সালের ১ জুন অনুষ্ঠিত জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনে চসিকের অর্জনের হার ৯৯ শতাংশ।

৬-১১ মাসের ৮৮ হাজার ৫৯০ শিশুর লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৮৭ হাজার ৯৫৭ শিশুকে ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছিল। অন্যদিকে ১২-৫৯ মাসের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ লাখ ৭১ হাজার ৯৫০ শিশু। এর বিপরীতে ৪ লাখ ৬৮ হাজার ৯৫৯ শিশুকে ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছিল। অর্জনের হার ৯৯ দশমিক ৭৮ শতাংশ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ ইমাম হোসেন রানা, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ হোসনে আরা, সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ রফিকুল ইসলাম, ডাঃ তপন কুমার চক্রবর্তী, জোনাল মেডিকেল অফিসার ডাঃ সুমন তালুকদার, ডাঃ আকিল মাহমুদ নাফে, ডাঃ আবদুল মজিদ সিকদার, ডাঃ শর্মীলা রায়, ডাঃ মামুন রশিদ।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ