আজঃ শুক্রবার ৭ নভেম্বর, ২০২৫

হরিণাকুন্ডুতে ক্রয়কৃত জমি দখলের চেষ্টা; থানায় অভিযোগ

রবিন মাহমুদ - ঝিনাইদহ

ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুতে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে জোরপূর্বক জমি দখল চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ভায়না ইউনিয়নের ভায়না গ্রামের পালপাড়া এলাকায়। ওই এলাকার মৃত আব্দুস সাত্তার বিশ্বাসের ছেলে বজলুর রহমান একই গ্রামের লিয়াকত আলীর ছেলে মো. মহসীন হাসান আকাশের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন।

জানা যায়, বজলুর রহমানের এ জায়গার দখল নিয়ে পূর্বে হরিণাকুন্ডু থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করা হয়েছিলো। দখলকারীরা জমিদখল ছাড়াও ভুক্তভোগী বজলুর রহমানের কাছে ১,৫০০০০/= টাকা চাঁদাদাবিসহ তাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।

অভিযোগ দাখিলের পর স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সালিশ বৈঠকে দলিলপত্র যাচাই করে বজলুর রহমানের জায়গার সীমানা নির্ধারণ করে মহসীন হাসানের দখলকৃত জমি ছেড়ে দেয়ার কথা বলেন। তাৎক্ষণিক ছেড়ে দিলেও পরবর্তীতে সেই জায়গা আবার তার দখলে নিয়ে নেয় এবং বজলুর রহমানকে হুমকি দিয়ে আসছে।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, ৭নং ভায়না মৌজার আরএস খতিয়ান ২৮০৮/ ১০১৯৯/১১৮১৪ নং দাগে ২৮ শতক ও ১০২০০/১১৮১৫ নং দাগে ৬ শতক সর্বমোট ৩৪ শতাংশ জমি (যার দলিল নং ২২৬৬/২৩ এবং নামজারী খতিয়ান নং ২৬১৪) আব্দুর রাজ্জাকের কাছ থেকে ক্রয়সূত্রে মালিক হয়ে বিভিন্ন ফলদ গাছ রোপণ করে ওই জমি ভোগ দখল করেন।

সম্প্রতি মহসিন হাসানের নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একটি দল ওই জমি দখলের জন্য ঘটনাস্থলে গিয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগাল শুরু করেন এবং তার রোপনকৃত গাছগাছালি ও জমিঘেরার কাজে ব্যবহৃত কনক্রিটের খুটি ও বেড়া উপড়ে ফেলেন সে সময় বজলুর রহমান বাঁধা দিলে তাকে মারপিট করে গুরুতর আহত করেন। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় বজলুর রহমানকে উদ্ধার করে হরিণাকুন্ডু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়।


এ বিষয়ে অভিযুক্ত মহসিন হাসান বলেন, ক্রয়সূত্রে ওই জমির মালিক আমি। বজলুর রহমান প্রভাবশালী হওয়ায় থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে জোরপূর্বক আমার জমি দখল করেছেন। আবার তিনি আমার বিরুদ্ধে আদালতে মামলাসহ থানায় একটি মিথ্যা অভিযোগ ও দায়ের করেছেন। এছাড়া জমিঘেরার কাজে ব্যবহৃত কনক্রিটের খুঁটি ও বেড়া উপড়ে ফেলার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।

উল্লেখ্য এ ব্যাপারে পূর্বে বজলুর রহমান হরিণাকুন্ডু থানায় অভিযোগ করলে অভিযোগ আমলে নিয়ে হরিণাকুন্ডু থানা পুলিশ অভিযুক্ত মহসিনকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছিলো। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বজলুর রহমান জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে জায়গাগুলো দখলমুক্ত করে দেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

জামালপুরে অপহরণ মামলায় চারজনকে যাবাজ্জীবন

জামালপুরে অপহরণ মামলায় চারজনকে যাবাজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বুধবার (৫ নভেম্বর ) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ এর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল -১ এর বিচারক মুহাম্মদ আবদুর রহিম এ রায় প্রদান করেন। তারা হলেন, জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলার ভাংগুনী ডাংঙ্গা গ্রামের মুন্না@মোনাফ এর মজনু মিয়া(২৫), রান্ধনীগাছা গ্রামের মরহুম হাতেম আলী খন্দকারের ছেলে হানিফ খন্দকার (৫৯), মো: আবুল কাশেম এর ছেলে মো: মমিন মিয়া(৪০), ভাংগুনী ডাংঙ্গা গ্রামের মো: ইমান আলীর ছেলে জহুরুল ইসলাম (৩৭)।

রায়ে সন্তুষ্ট হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল -১ এর পাবলিক প্রসিকিউটর(পিপি)মো: ফজলুল হক সাংবাদিকদের জানান, ২০২২ সালের ০৯ ফেব্রুয়ারী বিকাল সাড়ে পাচ টায় ভিকটিম স্বামীর বাড়ী থেকে বাবার বাড়ীতে আসার সময় জামালপুর সদর উপজেলার রশিদপুর বাজারের পশ্চিম পার্শে থেকে মামলার এজাহারভুক্ত আসামীরা ভিকটিম মোছা: হাবিবা আক্তার চৈতিকে জোর পুর্বক অপহরণ করে নিয়ে গেলে ১১ ফেব্রুয়ারী ভিকটিমের বাবা হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে জামালপুর সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে ২৭ এপ্রিল মজনু মিয়ার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২০০০ এর ৭ ধারায় মমিন মিয়া এবং একই আইনের ৭/৩০ ধারায় হানিফ খন্দকার,মমিন মিয়া, জহুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন। তিনি আরো জানান, আমরা রাষ্ট্র পক্ষ ৪ জন স্বাক্ষী উপস্থাপন করেছি । প্রায় ৪ বছর আইনী লড়াই শেষে মামলায় আসামীরা দোষী প্রমানিত হওয়ায় আদালত ৪জনকেই যাবজ্জীবন এবং ৫০ হাজার করে টাকা জরিমানা করেছে। জরিমানার টাকা ভিকটিম পাবে।

চট্টগ্রামে প্রবাসীর ১৯ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট, আসামি গ্রেফতার

চট্টগ্রাম মহানগরী থেকে ডাকাতি মামলার পলাতক আসামি মো. সাদ্দাম হোসেনকে (৩২) গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৭। চান্দগাঁও থানাধীন নুরুজ্জামান নাজির বাড়ি এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার সাদ্দাম হোসেন ভোলার লালমোহন থানার দুলা মিয়া এলাকার মো. ফারুকের ছেলে।

র‌্যাব-৭’র সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এ আর এম মোজাফ্ফর হোসেন জানান, গত ২১ জুলাই সাড়ে ৮টায় দুবাই প্রবাসী মোহাম্মদ সামসুদ্দিন চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে এ কে খান বাসস্ট্যান্ডে যাওয়ার পথে লিংক রোড় এলাকায় ডাকাতদল নগদ টাকাসহ ১৯ লাখ ৮২ হাজার ২০০ টাকার মালামাল নিয়ে যায়। এ ঘটনায় তিনি ৩/৪ জনকে আসামি করে হালিশহর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। গোপন খবরের ভিত্তিতে চান্দগাঁও থানাধীন নুরুজ্জামান নাজির বাড়ি এলাকা থেকে এ মামলার আসামি সাদ্দামকে গ্রেফতার করা হয়।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ