আজঃ শুক্রবার ২১ মার্চ, ২০২৫

নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান নাজিম মুহুরীর দক্ষিণ ফটিকছড়িতে শুভেচ্ছা বিনিময়

মাসুদুল ইসলাম মাসুদ ফটিকছড়ি প্রতিনিধি:

চট্টগ্রাম জেলা:

সদ্য সমাপ্ত ৬ষ্ঠ ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ছিলেন ফটিকছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও প্রবীণ ছাত্রনেতা নাজিম উদ্দীন মুহুরী। এই নির্বাচনে নবীন আর প্রবীণে তুুমুল লড়াইয়ে নাজিম মহুরীর জয় হয়। প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল সিয়ানে সিয়ানে। প্রতিপক্ষ ছিল তরুণ প্রজন্মের আওয়ামী লীগ নেতা বখতিয়ার সাইদ ইরান। পক্ষে ছিল সাবেক সকল ছাত্র নেতাদের অকুণ্ঠ সমর্থন। ১৮/২০ দিনের প্রচরণায় ছিল প্রচুর ব্যস্ততা। দুই পক্ষে র দিন রাত এক হয়ে যায় প্রচার প্রচরণায়। পথসভা গণসংযোগ সিডিউল আকারে চলতে থাকে। একঘন্টা যেন একদিন হয় প্রার্থীর জন্য।  উদ্বেগ উৎকন্ঠার মধ্য দিয়ে ঘনিয়ে আসে নির্বাচন। ফটিকছড়ি প্রশাসন নজীর বিহীন নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার মধ্যে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন সুন্দর ও সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করতে সফল হয়।  নির্বাচন কর্মকর্তাদের আচরণ বিধি লঙ্ঘন নিয়ে জরিমানা করার বিষয়টি ছিল চোখে পরার মত। এক প্রার্থীর পক্ষে মতবিনিময় সভায় অংশ নেওয়ায় নির্বাচনে আগ মূহুর্তে দুই প্রধান শিক্ষক কে নির্বাচনী কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেন উপজেলা নির্বাচনী প্রধান কর্মকর্তা।
শেষতক, সকল উদ্বেগ উৎকন্ঠা পেরিয়ে নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দর ভাবে শেষ হয়ে বর্তমানে উপজেলায় সুন্দর ও শান্তিময় পরিবেশ বজায় আছে। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে অংশ নেওয়া নাজিম উদ্দীন মুহুরী মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে জয়লাভ করে আগামী ৫ বছরের জন্য উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। বখতিয়ার সাইদ ইরান নির্বাচনে এই প্রথম হলেও মহুরীর জন্য এটি ছিল দ্বিতীয় উপজেলা নির্বাচন। এর আগে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদেও নির্বাচন করেন। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পর্যায়ের নির্বাচনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন সেহেতু তার অভিজ্ঞতার ঝুলিতে অভিজ্ঞতা যথেষ্ট রয়েছে। পক্ষান্তরে ইরান জাতীয় নির্বাচনে প্রচার প্রচরণায় অংশ নিলেও মাঠ পর্যায়ে সবকিছু অবগত নয়। সেহেতু প্রথম বার নির্বাচন হিসেবে অভিজ্ঞতার বেশ ঘাটতি ছিল। বিজয়ী প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা নাজিম উদ্দীন মুহুরী
বিজয় হওয়ার পর হতে তার গ্রামের বাড়িতে চলতেছে উৎসবের আমেজ। দিন রাত বিভিন্ন এলাকা হতে নেতা কর্মীরা সমর্থকরা দলে দলে ছুটছেন তাকে অভিনন্দন জানানোর জন্য। গ্রামের বাড়ি লেলাং ইউনিয়নে চলছে আনন্দের মেলা। এছাড়াও তিনি দক্ষিণ জেলা ও উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের বড় নেতাদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। ফটিকছড়ির মাননীয় এম পি খাদিজাতুল আনোয়ার সনির সাথে এবং চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটি এম পেয়ারুল ইসলামের সাথেও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। সাবেক মেয়র আ জ ম নাছিরের সাথেও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এরপর তিনি নির্বাচনী এলাকা ফটিকছড়ি দক্ষিণ অঞ্চলের জনগণের সাথে বিভিন্ন পয়েন্টে পয়েন্টে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। গত ১ জুন তিনি নানুপুর, বখতপুর, ধর্মপুর, জাফতনগর,সমিতির হাট,আবদুল্লাহপুর সহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে সাধারণ জনগনের সাথে হাতে হাত মিলিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় ও নির্বাচন পরবর্তী খোঁজ খবর নেন। এই সময় অসংখ্য সাধারণ মানুষ বিভিন্ন পয়েন্টে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তাকে সংবর্ধনা ও ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। তিনি এই সময় বলেন, এটি আমার জয় নয় এটি সাধারণ জনগনের জয়। সাধারণ মানুষ আমার সাথে ছিল বলে আমি আজকে জয়ী হয়েছি। সাধারণ মানুষ বিভিন্ন ভয় ভীতি, বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে আমাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করেন। আমি আপনাদের ভালবাসার প্রতিদান কোনোদিন দিতে পারবনা। শুধু এইটুকু বলব আপনারা যখনই আমাকে ডাক দিবেন তখনই আপনারা আমাকে কাছে পাবেন ইনশাআল্লাহ। উন্নয়নের ব্যাপারে আপনারা আমাকে সহযোগিতা করলে ইনশাআল্লাহ আমি ফটিকছড়ি উপজেলাকে আধুনিক ও স্মার্ট ফটিকছড়িতে রুপান্তর করতে সক্ষম হব। নির্বাচন পরবর্তী সাধারণ জনগনের
এই ধরনের খোঁজ খবর নেওয়াকে জনগণ ইতিবাচক বলে মন্তব্য করতেছেন। তিনি ফটিকছড়ির জনগণের উদ্দেশ্যে বলেন,আমি আপনাদের সন্তান, ফটিকছড়ির সন্তান।  আপনাদের পাশে ছিলাম, আছি, থাকব শুধু আপনারা দোয়া করবেন। তিনি বলেন, আমরা সবাই একই ঘরনার লোক একই ঘরনার মানুষ। কেউ কারো সাথে হিংসা বিদ্বেষ না রেখে কাদে কাদ মিলিয়ে ফটিকছড়ির উন্নয়নের সব ভুলে গিয়ে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে চলব। তিনি বলেন, দায়িত্ব নেওয়ার পর হতে প্রতিটি মুহুর্ত হবে ফটিকছড়ি জনগণের জন্য নিবেদিত।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

বোয়ালখালীতে বৃদ্ধার মৃত্যুতে ঘর ভাগের দাবিতে দাফনে বাধা!

চট্টগ্রামের বোয়ালখালীর আমুচিয়াতে গতকাল বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) সকাল ৬টায়। মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যু বরণ করেন সালমা খাতুন(৭৬) নামের বৃদ্ধা। বৃদ্ধার জীবনের শেষ ইচ্ছে ছিলো বাবার বাড়ির সামাজিক কবরস্থানে দাফনের। তবে এতে বাধা হয়ে দাঁড়ায় তাঁর ঘর ভাগের দাবি। শেষতক স্থানীয় এক যুবদল নেতা রোকন উদ্দিনের হস্তক্ষেপে পূরণ করা হয় বৃদ্ধার শেষ ইচ্ছে।
সালমা খাতুন বোয়ালখালী উপজেলার ৯নং আমুচিয়া ইউনিয়নের ৮ নাম্বার ওয়ার্ডের খান বাহাদুরপাড়ার মরহুম চুন্নু মিয়া টেন্ডলের মেয়ে। তাঁর বিয়ে হয়েছিলো কধুরখীলে। তবে বেশিদিন ঠাঁই হয়নি স্বামীর সংসারে। একমাত্র কন্যা জাহানারা বেগমকে নিয়ে ৫০ বছর আগে বাপের বাড়িতে ফিরে আসেন। অদৃষ্টের নিয়তিকে মেনে নিয়ে বাবার করে দেওয়া ঘরে মেয়েকে জীবন যাপন করেন। মেয়েকে বড় করে বিয়ে দিয়েছেন। সালমা খাতুনের দুই ভাই। বড় ভাই মারা গেছেন। ছোট ভাই ও দুই ভাইয়ের ছেলেদের সংসারেরও ঠাঁই হলো না তার।সম্প্রতি বার্ধক্যজনিত কারণে অসুস্থ হয়ে পড়লে মেয়ে শ্বশুর বাড়ি নিয়ে যান। সেখানেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মরহুমার মেয়ে জাহানারা বলেন, ‘মায়ের শেষ ইচ্ছে ছিলো আমার নানার বাড়িতে যেন দাফন করা হয়। নয়তো আমার শশুর বাড়িতেই দাফনের ব্যবস্থা করেছিলাম। তিনি জানান, ‘ইচ্ছে অনুসারে পৈতৃক বাড়ির সামাজিক কবরস্থানে দাফনের প্রস্তুতি চলছিল। যোহরের নামাজের পর জানাজার সিদ্ধান্ত নেন এলাকাবাসী।বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে মেয়ের শ্বশুর বাড়ি থেকে সালমার মরদেহ বাবার বাড়ির উঠোন অবধি পৌঁছালেও ঢুকতে দেওয়া হয়নি সালমা খাতুনের সস্মৃতি বিজড়িত ঘরে। সেই ঘরটি দুইভাগে ভাগ না হলে দাফন করতে দেওয়া হবে বলে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়। ফুফু সালমা খাতুনের ঘরটি দুই ভাগের দাবি তুলে এই বাধ সাধে দুই ভাইয়ে ছেলেরা।
উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মো.রোকন উদ্দিন বলেন, ‘সালমা খাতুন সম্পর্কে আমারও ফুফু হন। তাঁর দুই ভাইয়ের সন্তানরা ঘরটি। ভাগ না করলে দাফন করতে বাধা দিচ্ছিল। এক প্রকার মারামারি করার উপক্রম। এ ঘটনায় উপস্থিত সকলে হতবাক হয়ে পড়েন। মো.রোকন জানান, ‘খবর পেয়ে এলাকাবাসীকে নিয়ে তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করি। তারা মানছিলো না। পরে প্রশাসনের সহযোগিতা নেওয়া হবে জানালে তারা কিছুটা নিবৃত্ত হয়। এরপর নির্ধারিত সময়ে নামাজে জানাজা শেষে সামাজিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

বোয়ালখালীতে লবন কারখানায় ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা।

চট্টগ্রামের বোয়ালখালীর লবন কারখানায় অভিযান চালিয়ে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) উপজেলার শাকপুরা ইউনিয়নের মিলিটারি পুল এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) কানিজ ফাতেমা এবং বিএসটিআই চট্টগ্রামের ফিল্ড অফিসার জেরিন তাসনিম ও পরীক্ষক প্রিময় মজুমদার জয়ের, উপস্থিতিতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।

এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) কানিজ ফাতেমা বলেন, বিএসটিআইয়ের অনুমোদন না নিয়ে নানা অনিয়ম ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে লবণ প্যাকেট করে একাধিক নামে লবণ বাজারজাত করছে কারখানাগুলো। অভিযান চালিয়ে বিএসটিআই আইন এবং ওজন ও পরিমাপ মানদণ্ড আইন ২০১৮ এর সংশ্লিষ্ট ধারায় আহমেদ সল্ট রিফাইনারি ইন্ডাস্ট্রিজের

সুপারভাইজার দীপক তালুকদারকে ১ লাখ টাকা এবং করিম সল্ট ক্রসিং এন্ড রিফাইনারির সাইগর হোসেনকে ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া তাদের এক মাসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদনসহ ল্যাব স্থাপনসহ মান সম্পন্ন লবণ বাজারজাত করার জন্য নিদের্শ দেয়া হয়েছে।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ