
সদ্য সমাপ্ত ৬ষ্ঠ ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ছিলেন ফটিকছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও প্রবীণ ছাত্রনেতা নাজিম উদ্দীন মুহুরী। এই নির্বাচনে নবীন আর প্রবীণে তুুমুল লড়াইয়ে নাজিম মহুরীর জয় হয়। প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল সিয়ানে সিয়ানে। প্রতিপক্ষ ছিল তরুণ প্রজন্মের আওয়ামী লীগ নেতা বখতিয়ার সাইদ ইরান। পক্ষে ছিল সাবেক সকল ছাত্র নেতাদের অকুণ্ঠ সমর্থন। ১৮/২০ দিনের প্রচরণায় ছিল প্রচুর ব্যস্ততা। দুই পক্ষে র দিন রাত এক হয়ে যায় প্রচার প্রচরণায়। পথসভা গণসংযোগ সিডিউল আকারে চলতে থাকে। একঘন্টা যেন একদিন হয় প্রার্থীর জন্য। উদ্বেগ উৎকন্ঠার মধ্য দিয়ে ঘনিয়ে আসে নির্বাচন। ফটিকছড়ি প্রশাসন নজীর বিহীন নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার মধ্যে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন সুন্দর ও সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করতে সফল হয়। নির্বাচন কর্মকর্তাদের আচরণ বিধি লঙ্ঘন নিয়ে জরিমানা করার বিষয়টি ছিল চোখে পরার মত। এক প্রার্থীর পক্ষে মতবিনিময় সভায় অংশ নেওয়ায় নির্বাচনে আগ মূহুর্তে দুই প্রধান শিক্ষক কে নির্বাচনী কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেন উপজেলা নির্বাচনী প্রধান কর্মকর্তা।
শেষতক, সকল উদ্বেগ উৎকন্ঠা পেরিয়ে নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দর ভাবে শেষ হয়ে বর্তমানে উপজেলায় সুন্দর ও শান্তিময় পরিবেশ বজায় আছে। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে অংশ নেওয়া নাজিম উদ্দীন মুহুরী মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে জয়লাভ করে আগামী ৫ বছরের জন্য উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। বখতিয়ার সাইদ ইরান নির্বাচনে এই প্রথম হলেও মহুরীর জন্য এটি ছিল দ্বিতীয় উপজেলা নির্বাচন। এর আগে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদেও নির্বাচন করেন। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পর্যায়ের নির্বাচনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন সেহেতু তার অভিজ্ঞতার ঝুলিতে অভিজ্ঞতা যথেষ্ট রয়েছে। পক্ষান্তরে ইরান জাতীয় নির্বাচনে প্রচার প্রচরণায় অংশ নিলেও মাঠ পর্যায়ে সবকিছু অবগত নয়। সেহেতু প্রথম বার নির্বাচন হিসেবে অভিজ্ঞতার বেশ ঘাটতি ছিল। বিজয়ী প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা নাজিম উদ্দীন মুহুরী
বিজয় হওয়ার পর হতে তার গ্রামের বাড়িতে চলতেছে উৎসবের আমেজ। দিন রাত বিভিন্ন এলাকা হতে নেতা কর্মীরা সমর্থকরা দলে দলে ছুটছেন তাকে অভিনন্দন জানানোর জন্য। গ্রামের বাড়ি লেলাং ইউনিয়নে চলছে আনন্দের মেলা। এছাড়াও তিনি দক্ষিণ জেলা ও উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের বড় নেতাদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। ফটিকছড়ির মাননীয় এম পি খাদিজাতুল আনোয়ার সনির সাথে এবং চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটি এম পেয়ারুল ইসলামের সাথেও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। সাবেক মেয়র আ জ ম নাছিরের সাথেও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এরপর তিনি নির্বাচনী এলাকা ফটিকছড়ি দক্ষিণ অঞ্চলের জনগণের সাথে বিভিন্ন পয়েন্টে পয়েন্টে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। গত ১ জুন তিনি নানুপুর, বখতপুর, ধর্মপুর, জাফতনগর,সমিতির হাট,আবদুল্লাহপুর সহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে সাধারণ জনগনের সাথে হাতে হাত মিলিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় ও নির্বাচন পরবর্তী খোঁজ খবর নেন। এই সময় অসংখ্য সাধারণ মানুষ বিভিন্ন পয়েন্টে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তাকে সংবর্ধনা ও ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। তিনি এই সময় বলেন, এটি আমার জয় নয় এটি সাধারণ জনগনের জয়। সাধারণ মানুষ আমার সাথে ছিল বলে আমি আজকে জয়ী হয়েছি। সাধারণ মানুষ বিভিন্ন ভয় ভীতি, বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে আমাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করেন। আমি আপনাদের ভালবাসার প্রতিদান কোনোদিন দিতে পারবনা। শুধু এইটুকু বলব আপনারা যখনই আমাকে ডাক দিবেন তখনই আপনারা আমাকে কাছে পাবেন ইনশাআল্লাহ। উন্নয়নের ব্যাপারে আপনারা আমাকে সহযোগিতা করলে ইনশাআল্লাহ আমি ফটিকছড়ি উপজেলাকে আধুনিক ও স্মার্ট ফটিকছড়িতে রুপান্তর করতে সক্ষম হব। নির্বাচন পরবর্তী সাধারণ জনগনের
এই ধরনের খোঁজ খবর নেওয়াকে জনগণ ইতিবাচক বলে মন্তব্য করতেছেন। তিনি ফটিকছড়ির জনগণের উদ্দেশ্যে বলেন,আমি আপনাদের সন্তান, ফটিকছড়ির সন্তান। আপনাদের পাশে ছিলাম, আছি, থাকব শুধু আপনারা দোয়া করবেন। তিনি বলেন, আমরা সবাই একই ঘরনার লোক একই ঘরনার মানুষ। কেউ কারো সাথে হিংসা বিদ্বেষ না রেখে কাদে কাদ মিলিয়ে ফটিকছড়ির উন্নয়নের সব ভুলে গিয়ে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে চলব। তিনি বলেন, দায়িত্ব নেওয়ার পর হতে প্রতিটি মুহুর্ত হবে ফটিকছড়ি জনগণের জন্য নিবেদিত।