আজঃ শনিবার ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান নাজিম মুহুরীর দক্ষিণ ফটিকছড়িতে শুভেচ্ছা বিনিময়

মাসুদুল ইসলাম মাসুদ ফটিকছড়ি প্রতিনিধি:

চট্টগ্রাম জেলা:

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

সদ্য সমাপ্ত ৬ষ্ঠ ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ছিলেন ফটিকছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও প্রবীণ ছাত্রনেতা নাজিম উদ্দীন মুহুরী। এই নির্বাচনে নবীন আর প্রবীণে তুুমুল লড়াইয়ে নাজিম মহুরীর জয় হয়। প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল সিয়ানে সিয়ানে। প্রতিপক্ষ ছিল তরুণ প্রজন্মের আওয়ামী লীগ নেতা বখতিয়ার সাইদ ইরান। পক্ষে ছিল সাবেক সকল ছাত্র নেতাদের অকুণ্ঠ সমর্থন। ১৮/২০ দিনের প্রচরণায় ছিল প্রচুর ব্যস্ততা। দুই পক্ষে র দিন রাত এক হয়ে যায় প্রচার প্রচরণায়। পথসভা গণসংযোগ সিডিউল আকারে চলতে থাকে। একঘন্টা যেন একদিন হয় প্রার্থীর জন্য।  উদ্বেগ উৎকন্ঠার মধ্য দিয়ে ঘনিয়ে আসে নির্বাচন। ফটিকছড়ি প্রশাসন নজীর বিহীন নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার মধ্যে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন সুন্দর ও সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করতে সফল হয়।  নির্বাচন কর্মকর্তাদের আচরণ বিধি লঙ্ঘন নিয়ে জরিমানা করার বিষয়টি ছিল চোখে পরার মত। এক প্রার্থীর পক্ষে মতবিনিময় সভায় অংশ নেওয়ায় নির্বাচনে আগ মূহুর্তে দুই প্রধান শিক্ষক কে নির্বাচনী কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেন উপজেলা নির্বাচনী প্রধান কর্মকর্তা।
শেষতক, সকল উদ্বেগ উৎকন্ঠা পেরিয়ে নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দর ভাবে শেষ হয়ে বর্তমানে উপজেলায় সুন্দর ও শান্তিময় পরিবেশ বজায় আছে। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে অংশ নেওয়া নাজিম উদ্দীন মুহুরী মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে জয়লাভ করে আগামী ৫ বছরের জন্য উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। বখতিয়ার সাইদ ইরান নির্বাচনে এই প্রথম হলেও মহুরীর জন্য এটি ছিল দ্বিতীয় উপজেলা নির্বাচন। এর আগে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদেও নির্বাচন করেন। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পর্যায়ের নির্বাচনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন সেহেতু তার অভিজ্ঞতার ঝুলিতে অভিজ্ঞতা যথেষ্ট রয়েছে। পক্ষান্তরে ইরান জাতীয় নির্বাচনে প্রচার প্রচরণায় অংশ নিলেও মাঠ পর্যায়ে সবকিছু অবগত নয়। সেহেতু প্রথম বার নির্বাচন হিসেবে অভিজ্ঞতার বেশ ঘাটতি ছিল। বিজয়ী প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা নাজিম উদ্দীন মুহুরী
বিজয় হওয়ার পর হতে তার গ্রামের বাড়িতে চলতেছে উৎসবের আমেজ। দিন রাত বিভিন্ন এলাকা হতে নেতা কর্মীরা সমর্থকরা দলে দলে ছুটছেন তাকে অভিনন্দন জানানোর জন্য। গ্রামের বাড়ি লেলাং ইউনিয়নে চলছে আনন্দের মেলা। এছাড়াও তিনি দক্ষিণ জেলা ও উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের বড় নেতাদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। ফটিকছড়ির মাননীয় এম পি খাদিজাতুল আনোয়ার সনির সাথে এবং চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটি এম পেয়ারুল ইসলামের সাথেও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। সাবেক মেয়র আ জ ম নাছিরের সাথেও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এরপর তিনি নির্বাচনী এলাকা ফটিকছড়ি দক্ষিণ অঞ্চলের জনগণের সাথে বিভিন্ন পয়েন্টে পয়েন্টে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। গত ১ জুন তিনি নানুপুর, বখতপুর, ধর্মপুর, জাফতনগর,সমিতির হাট,আবদুল্লাহপুর সহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে সাধারণ জনগনের সাথে হাতে হাত মিলিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় ও নির্বাচন পরবর্তী খোঁজ খবর নেন। এই সময় অসংখ্য সাধারণ মানুষ বিভিন্ন পয়েন্টে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তাকে সংবর্ধনা ও ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। তিনি এই সময় বলেন, এটি আমার জয় নয় এটি সাধারণ জনগনের জয়। সাধারণ মানুষ আমার সাথে ছিল বলে আমি আজকে জয়ী হয়েছি। সাধারণ মানুষ বিভিন্ন ভয় ভীতি, বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে আমাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করেন। আমি আপনাদের ভালবাসার প্রতিদান কোনোদিন দিতে পারবনা। শুধু এইটুকু বলব আপনারা যখনই আমাকে ডাক দিবেন তখনই আপনারা আমাকে কাছে পাবেন ইনশাআল্লাহ। উন্নয়নের ব্যাপারে আপনারা আমাকে সহযোগিতা করলে ইনশাআল্লাহ আমি ফটিকছড়ি উপজেলাকে আধুনিক ও স্মার্ট ফটিকছড়িতে রুপান্তর করতে সক্ষম হব। নির্বাচন পরবর্তী সাধারণ জনগনের
এই ধরনের খোঁজ খবর নেওয়াকে জনগণ ইতিবাচক বলে মন্তব্য করতেছেন। তিনি ফটিকছড়ির জনগণের উদ্দেশ্যে বলেন,আমি আপনাদের সন্তান, ফটিকছড়ির সন্তান।  আপনাদের পাশে ছিলাম, আছি, থাকব শুধু আপনারা দোয়া করবেন। তিনি বলেন, আমরা সবাই একই ঘরনার লোক একই ঘরনার মানুষ। কেউ কারো সাথে হিংসা বিদ্বেষ না রেখে কাদে কাদ মিলিয়ে ফটিকছড়ির উন্নয়নের সব ভুলে গিয়ে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে চলব। তিনি বলেন, দায়িত্ব নেওয়ার পর হতে প্রতিটি মুহুর্ত হবে ফটিকছড়ি জনগণের জন্য নিবেদিত।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান জামায়াতে যোগ দিলেন

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে জামায়াতে যোগ দিয়েছেন সাবেক মন্ত্রী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান। শনিবার ১৩ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

জামায়াত আমিরের উপস্থিতিতে মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নীতি ও আদর্শ, দেশপ্রেম এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর অবিচল অবস্থানের প্রতি গভীর আস্থা ও সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ সময় তিনি সংগঠনের প্রাথমিক সহযোগী সদস্য ফরম পূরণ করে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেন।

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের বর্ণাঢ্য আয়োজন।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

যথাযথ মর্যাদা ও উৎসবমূখর পরিবেশে আগামী ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে। অনুষ্ঠানের কর্মসূচীতে রয়েছে-১৬ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সূর্যোদয়ের সাথে সাথে কাট্টলীস্থ’ মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে (ডিসি পার্কের দক্ষিণ পার্শ্বে) ৩১ বার তোপধ্বনি ও পুস্পস্তবক অর্পণ, সকল সরকারী-বেসরকারী, আধা-সরকারী ও বেসরকারী ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ৮টায় চট্টগ্রাম জেলা স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সংগীত পরিবেশন, বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে মহান বিজয় দিবসের শুভ উদ্বোধন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদেও সমাবেশ, কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে প্রদর্শন।

ঐদিন সকাল সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজ প্রাঙ্গনে বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ পরিবার ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সম্মানে সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠান। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিতব্য মহান বিজয় দিবস ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিভাগীয় কমিশনার ড. মোঃ জিয়াউদ্দীন।

বিশেষ অতিথি থাকবেন চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার হাসিব আজিজ, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি মোঃ আহসান হাবীব পলাশ ও জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ নাজির আহমেদ খাঁন। বেলা ১২টায় সিনেমা হলসমূহে বিনা টিকেটে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চল”িচত্র প্রদর্শনী, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মিলনায়তনে বা উন্মুক্ত ¯’ানে ব¯‘ুনিষ্ট ও নৈর্ব্যত্তিক মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্য চল”িচত্র প্রদর্শনী। এছাড়া বিজয় দিবসের দিন সুবিধাজনক সময়ে শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদেও বিদেহী আত্মার মাগফেরাত,

বীর মুক্তিযোদ্ধা ও যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সুস্বা¯’্য, জাতির শান্তি-সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোড়া ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ মোনাজাত/প্রার্থনা, জেলা পর্যায়ে স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণে ক্রীড়া অনুষ্ঠান, টি-২০ ক্রিকেট টুর্ণামেন্ট, প্রদর্শনী ফুটবল ম্যাচ, কাবাডি, হা-ডু-ডু ইত্যাদি খেলার আয়োজন। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে সুবিধাজনক সময়ে শিশুদের অংশগ্রহণে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক রচনা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, আবৃত্তি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। দুপুর দেড়টায় হাসপাতাল, জেলখানা, বৃদ্ধাশ্রম, এতিমখানা, ডে-কেয়ার, শিশু বিকাশ কেন্দ্র, শিশু পরিবার, পথশিশু পুনর্বাসন কেন্দ্র, প্রতিবন্ধী কর‌্যাণ কেন্দ্র, শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র ও ভবঘুরে পুনর্বাসন কেন্দ্রসমূহে প্রীতিভোজের আয়োজন।

দিনব্যাপী শিশু পার্ক, ডিসি পার্ক, জাদুঘর ও চিড়িয়াখানা শিশুদের জন্য সকাল-সন্ধ্যা উন্মুক্ত রাখা ও বিনা টিকেটে প্রদর্শনীর ব্যবস্থাকরণ, পর্যটন কেন্দ্রে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন এবং ডিশ ক্যাবল অপারেটর/ মালিকগণ কর্তৃক মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচিত্র প্রদর্শন। ১৫-১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেলা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান/ স্থাপনায় আলোকসজ্জাকরণ এবং মহান বিজয় দিবসের পরদিন ১৭ ডিসেম্বর বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় ‘চট্টগ্রাম হানাদার মুক্ত দিবস পালন উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও সর্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ