আজঃ রবিবার ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫

উলিপুরে গরু কেনার সময় জাল নোট সহ পিতা-পুত্র আটক

নুরুন্নবী সরকার কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:

কুড়িগ্রাম:

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

কুড়িগ্রামের উলিপুরে ৩৩ হাজার টাকার জাল নোটসহ পিতা-পুত্রকে আটক করেছে পুলিশ। ওই পিতা-পুত্র জাল টাকার নোট দিয়ে গরু ক্রয় করেছিলেন। আটকের ঘটনাটি ঘটেছে, পৌর শহরের গরুর হাট এলাকায়। আটক ব্যক্তিদের মঙ্গলবার (৪ জুন) আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। উলিপুর থানার ওসি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, উপজেলার থেতরাই ইউনিয়নের হারুনেফড়া এলাকার মুকুল মিয়া (৩৫) পেশায় একজন রিক্সা চালক। তিনি রিক্সা চালানোর পাশাপাশি গবাদিপশু পালন করতেন। গত ৩১ মে তিনি উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের হাটে যান বকনা গরু বিক্রি করতে। এ সময় রফিকুল ইসলাম (২৪) নামে এক যুবক ক্রেতা সেজে ২-৩ জনকে সঙ্গে নিয়ে বকনা গরুটি ৩৭ হাজার টাকায় ক্রয় করেন। পরে গরু বিক্রির টাকা বুঝে পেয়ে মুকুল মিয়া বাড়িতে চলে যান। এরপর গত ২ জুন গরু বিক্রির টাকা থেকে ৪ হাজার টাকা এনজিও’র ঋণের কিস্তি দেয়ার সময় মাঠকর্মী টাকা গুলো জালনোট বলে জানান। এ সময় মুকুল মিয়া ক্ষোভে ওই ৪ হাজার টাকা ছিড়ে ফেলেন। পরে তিনি গরু বিক্রির বাকী টাকা গুলোও এনজিও কর্মীকে দেখালে তিনি বলেন সব টাকাই জাল।

এরপর থেকে মুকুল মিয়া উপজেলার বিভিন্ন গরুর হাটে ওই ব্যক্তিকে খুঁজতে থাকেন। ৩ জুন বিকালে উলিপুর পৌর শহরের গরুরহাটে জাল নোট দিয়ে গরু ক্রয়কারী রফিকুল ইসলাম চিনতে পেরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় তাকে আটক করেন। এ সময় তার সাথে থাকা অপর এক ব্যক্তি কৌশলে পালিয়ে যান। এরপর থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছেলে আটকব্যক্তি সকলের উপস্থিতিতে স্বীকার করেন জাল ৩৭ হাজার টাকা দিয়ে তিনি বকনা গরু ক্রয় করেছেন। এছাড়া পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তি তার পিতা। এ ঘটনায় ভূক্তভোগী মুকুল মিয়া সোমবার (৩ জুন) রাতে রফিকুল ইসলাম (২৪) ও তার পিতা আলিম উদ্দিনের (৫০) নামে থানায় মামলা করেন। এরপর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে নিজ বাড়ি থেকে আলিম উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেন। আলিম উদ্দিন উপজেলার ধরনীবাড়ী ইউনিয়নের মুন্সিবাড়ি এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে বলে জানা গেছে।

উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম মর্তুজা জানান, জাল টাকাসহ আটক পিতা-পুত্রের বিরুদ্ধে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫ (ক) ধারায় মামলা হয়েছে। তাদের মঙ্গলবার (৪ জুন) আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি দুর্বৃত্তদের গুলিতে গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।আহত ওসমান হাদীর সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। এছাড়া চিকিৎসা কার্যক্রম নিবিড়ভাবে তদারকি করার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেছেন।


একই সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দ্রুত ও ব্যাপক তদন্ত চালিয়ে হামলায় জড়িত সবাইকে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ, প্রত্যক্ষদর্শীর তথ্য গ্রহণ, সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা এবং হামলার পেছনে কোনো সংগঠিত পরিকল্পনা থাকলে তা উন্মোচনের জন্য তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিতে বলেছেন।

কুষ্টিয়ায় নারী পুলিশ কনস্টেবলের মোবাইল ছিনতাইচেষ্টা, যুবক আটক

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় এক নারী পুলিশ কনস্টেবলের মোবাইল ফোন ছিনতাইচেষ্টার অভিযোগে আশিকুর রহমান (২১) নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে।

গতকাল বুধবার রাত ৯টার দিকে থানাপাড়া পাঁচ বিল্ডিং এলাকায় এই ছিনতাইচেষ্টার ঘটনা ঘটে। পরে তাঁকে আটক করা হয়। আশিকুর রহমান খোকসা চরপাড়া এলাকার বিল্লাল হোসেনের ছেলে।

আজ বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে তাঁকে চুরি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।সন্ধ্যায় খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোতালেব হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ওসি বলেন, থানার পাশেই ভুক্তভোগী নারী কনস্টেবলের বাসা। ডিউটি শেষে ফেরার পথে তাঁর মোবাইল ছিনতাইয়ের চেষ্টা করা হয়। এ ঘটনায় এক যুবককে আটক করা হয়েছে। তাঁকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ