আজঃ শনিবার ১৪ জুন, ২০২৫

ডিমলায় স্মার্ট ভূমিসেবা সপ্তাহের উদ্বোধন

আনোয়ার হোসেন ডিমলা নিলফামারী:

নিলফামারী:

নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় স্মার্ট ভূমিসেবা সপ্তাহ-২০২৪ এর উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার (৮-জুন) সকালে উপজেলা ভূমি অফিস কার্যালয়ের সামনে আনুষ্ঠানিকভাবে ফেস্টুন যুক্ত বেলুন উড়িয়ে ফিতা কেটে সপ্তাহব্যাপী স্মার্ট ভূমিসেবা সপ্তাহের শুভ উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে সালমা।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার রাব্বিল আল-আমীন তারেক, উপজেলার পশ্চিম ছাতনাই ও টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের (তহশিলদার) সামছুল ইসলাম, বালাপাড়া ও খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা তহিদুল ইসলাম, ডিমলা সদর ও নাউতারা ইউনিয়নের ভূমি কর্মকর্তা আবুল হোসেন, খালিশা চাপানী ও গয়াবাড়ী ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা দুলাল চন্দ্র রায়, ঝুনাগাছ চাপানী দায়িত্বরত ভূমি কর্মকর্তা গোলাম রাব্বানী, পূর্বছাতনাই ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মুজিবর রহমান ও কম্পিউটার অপারেটর মোঃ লাভলু ইসলাম।

ভূমি সপ্তাহের উদ্বোধন শেষে স্টল ঘুরে-ঘুরে দেখান সংশ্লিষ্টরা, এসময় ইউএনও উম্মে সালমা বলেন, ৩টি স্টলের মাধ্যমে প্রতিদিন সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এখান থেকে ভূমি সেবা প্রত্যাশিরা অনলাইনের মাধ্যমে ভূমি উন্নয়ন কর, ই-নামজারি, খতিয়ান, জমির ম্যাপ, জলমহলের আবেদন, ভূমি বিষয়ক অভিযোগসহ সকল ধরনের সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।

পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে সালমা (ইউএনও) এর সভাপতিত্বে ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা আখতার এর সঞ্চালনায় উপজেলা পরিষদ হলরুমে গণসচেতনতামূলক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন, ডিমলা সরকারী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ মোকলেছুর রহমান, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছাঃ আয়শা সিদ্দীকা, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেজবাহুর রহমান, উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী তুহিন হাসান বিশ্বাস, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা খোরশেদ আলম।

আলোচনার শেষ প্রান্তে অনুষ্ঠানের সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে সালমা তাঁর বক্তব্যে বলেন, ঘরে বসে সেবা নিতে সরকার সবকিছু অনলাইন করে দিয়েছে। কিন্তু এখনো অনেকে অনলাইন সেবা নিতে অন্যের দারস্থ হচ্ছেন। আর সে সুযোগে একটি চক্র সেবা গৃহীতাদের ধোকা দিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। এ থেকে পরিত্রানের জন্য সবাইকে ই-সেবা গ্রহণ সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে। সেই সাথে তিনি আরও বলেন, আমরা আশা করছি সময়ের ব্যবধানে স্ব-শরীরে উপস্থিত না হয়েও অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন সরকারি সেবা গ্রহণ করতে পারবে। এতে করে সময় সাশ্রয়ের পাশাপাশি সাধারণ নাগরিকদের অর্থ ব্যয়ও অনেক কমে আসবে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সাথে মধ্যাহ্নভোজে দুই উপদেষ্টা সমাজের মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনার ওপর গুরুত্বারোপ।

একটি নিরাপদ আশ্রয় ও সুন্দর ভবিষ্যৎ সকল শিশুর অধিকার’’ প্রতিপাদ্য নিয়ে পথশিশুদের সমাজ ও রাষ্ট্রের মূলধারায় ফেরাতে করণীয় বিষয়ে এক আলোচনা সভা আজ নগরীর মেট্রোপলিটন শুটিং ক্লাবে অনুষ্ঠিত
হয়।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বীর প্রতীক সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করনে। মহিলা ও শিশু বিষয়ক এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ এ সভার আয়োজন করে।

উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বলেন, সমাজের একটি শ্রেণিকে বঞ্চিত রেখে সুন্দর সমাজ গঠন সম্ভব নয়। আজকের এ আয়োজনের কারণে তারা আমাদের সাথে মিশতে পেরেছে, মনের অনুভ‚তি প্রকাশ করতে পেরেছে। আমরা চাই তাদেরকে হৃদয়ের উত্তাপে আপন করে নিতে। কারণ আমরা সবাই এদেশের মানুষ, মৌলিক অধিকার পাওয়ার অধিকার আমাদের সকলের। সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার নিশ্চিতে সরকারও বদ্ধপরিকর। শিক্ষা, খেলাধূলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার মাধ্যমে তাদের সমাজের সাথে আরো বেশি সম্পৃক্ত করতে হবে।

উপদেষ্টা কবিতার পঙতি উল্লেখ করে বলেন, “আমি যারে পশ্চাতে রেখে এসেছি, সে আমারে পশ্চাতে টানিছে”। সমাজ যাদের হাতে নিরাপদ হবে, যাদের হাতে স্বাবলীল থাকবে, যাদের দ্বারা সমাজ প্রস্ফুটিত হবে তাদেরকে আমরা পিছনে ফেলে এসেছি। তাদের জন্য না রেখেছি খেলাধূলার সুযোগ ও স্নেহ-ভালবাসা, না রেখেছি জীবিকা সহায়ক আয়োজন। সমাজের এ পরিত্যাজ্যতা পথশিশুদের মনে সংক্ষুব্ধতা তৈরি করেছে বলে আমি মনে করি। যখন তারা প্রতিবাদী হয়েছে বা অপরাধের সাথে


জড়িত হয়েছে, পুলিশ আইন-শৃঙ্খলার প্রেক্ষাপট দেখিয়ে তাদের সংযত করার চেষ্টা করেছে। তাই আমি মনে করেছি, প্রথমে পুলিশকেই তাদের হৃদয়ের কাছাকাছি পৌঁছাতে হবে। তবেই তাদের প্রথমিক ভীতিটা কেটে যাবে, তারা যে সমাজের মূলস্রোতে সম্পৃক্ত সেটা অনুধাবন করতে সক্ষম হবে। তবেই সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মান সম্ভব হবে।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, যে দেশ শিশুদের সুরক্ষিত রাখতে পারেনা, সে দেশকে আমরা সফল বলতে পারি না। আমার দৃষ্টিতে বাংলাদেশ হতে হবে শিশুদের জন্য। তিনি বলেন, দরিদ্র শিশুদের বিনামূল্যে সরকারি স্কুলে শিক্ষা, বসবাসের জায়গা করে দেয়া, সুস্বাস্থ্যের জন্য চিকিৎসার ব্যবস্থা করা এবং তাদের জীবনমান উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সরকারের পাশাপাশি এলাকার কমিউনিটির মাধ্যমে সবাইকে সম্মিলিতভাবে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে। তাহলে সারা পৃথিবী জানবে বাচ্চারা নিরাপদ, বাচ্চারা সুস্থ এবং বাচ্চারা গড়ে উঠেছে একটি দায়িত্বশীল পরিমণ্ডলে।

মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ এর সভাপতিত্বে চসিক মেয়র ডাঃ শাহাদাত হোসেন, বিভাগীয় কমিশনার ড. মো: জিয়াউদ্দীন, ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ শামছুল আলম, চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি আহসান হাবীব পলাশ, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী নুরুল করিম, দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক প্রমূখ বক্তৃতা করেন।

বদলে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

হা, বাংলাদেশের বেশ কিছু পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। তবে সে পরিবর্তনের পিছনে কাজ করছেন কে??? কি কারণে একের পর এক সাফল্য আসছে?? বিদেশি বড় বড় বহু জাতিক কোম্পানি গুলো বাংলাদেশে তাদের বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তারা ইকোনমিক জোন তৈরি করতে চাচ্ছে বাংলাদেশে। এদেশে শিল্প কারখানা হলে তো, আমাদের লাভ হবে। আমরা কর্ম সংস্থান পাব। আমার ভাই, বোনেরা সেখানে কাজ

পাবে। বর্তমানে বিডা ও বেজার নির্বাহী দায়িত্বে আছেন আশিক চৌধুরী। শুধু মাত্র আমাদের দেশের মানুষের পাশে দাড়ানো জন্য এই আশিক চৌধুরী সিংগাপুরের এইচ, এস, বি, সি ব্যংকের চাকরি ছেড়ে দিয়ে, আমাদের কিছু দেয়ার জন্য এসেছেন।

বাংলাদেশে স্টারলিং নতুন যুগের সুচনা করেছেন। নাসার সঙ্গে বাংলাদেশের প্রযুক্তিগত সহযোগিতার চুক্তি হয়েছে। চার টি আন্তর্জাতিক মানের আধুনিক হাসপাতাল বিদেশী বিনিয়োগে তৈরির জন্য উদ্যোগ চলছে। দশটি ইকোনমিক জোন তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। ঢাকা চট্টগ্রাম রুটে বুলেট ট্রেন চালুর জন্য বৈদেশিক বিনিয়োগ সংগ্রহের কাজ চলছে।সরকারী ভাবে বাংলাদেশে প্রথম, অল্প মূল্য ঔষধ বিক্রির জন্য ফার্মেসী হচ্ছে। তিন কোটি মানুষের কর্মসংস্থান হবে এ, সব সম্পন্ন হলে।

ইতিপূর্বে এসব দেখা য়ায় নাই বাংলাদেশে। সত্যিকার ভাবেই বদলে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আর এ সব কিছুর সাফল্যের , একমাত্র কারিগর আমাদের, মাননীয়, প্রধান উপদেষ্টা, শ্রদ্ধেয় ড: মোহাম্মদ ইউনুস। নতুন ইতিহাস গড়তে যাচ্ছেন তিনি।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ