আজঃ শনিবার ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

দুখি মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভাগীয় কমিশনার সিলেট

আতাউর রহমান কাউছার প্রতিনিধি ওসমানী নগর সিলেট:

সিলেট:

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ ছিদ্দীকী এনডিসি বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুখি মানুষ বিশেষ করে ভূমি ও গৃহহীন মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। স্বাধীনতার ৫৩ বছর হয়ে গেলেও কেউ এদেশের আশ্রয়হীন ভূমি ও গৃহহীন মানুষের জন্য কোনো চিন্তা করেনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের এসব দুখি মানুষের আশ্রয়ের জন্য ভূমি সহ বিনামূল্যে ঘর নির্মাণ করে দিয়েছেন। আর আমরা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী মাঠ পর্যায়ে তা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছি। আজকে যারা ঘর পাবেন উপকারভোগী আপনারা প্রধানমন্ত্রীর জন্য প্রাণভরে দোয়া করবেন।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ওসমানীনগর উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের পঞ্চম সধাপের দ্বিতীয় পর্যায়ে ১১০টি নির্মাণাধীন ঘরের মধ্যে ৩৬জন উপকারভোঘীদের মধ্যে চাবি ও দলির হস্তাস্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুপমা দাসের সভাপতিত্বে ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহানাজ পারভীন এবং সমাজসেবা কর্মকর্তা জয়তী দত্তের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব) এএসএম কাসেম।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা চেয়ারম্যান শামিম আহমদ ভিপি, ওসি রাশেদুল হক, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আতাউর রহমান, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আফতাব আহমদ, তাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান অরুনোদয় পাল ঝলক ও উমরপুর ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া।
অনুষ্ঠানের পূর্বে গণভবন থেকে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ১৮,৫৬৬টি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠান বড় পর্দার মাধ্যমে অবলোকন করেন অনুষ্ঠানের আগত অতিথিগণ।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চট্টগ্রামে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে খাবার রান্নার লাখ টাকা জরিমানা গুনল কুটুমবাড়ি রেস্তোরাঁ।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

চট্টগ্রাম মহানগরে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে খাবার রান্নার দায়ে একটি রেস্তোরাঁকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয় ও চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশের টিমের সমন্বয়ে নিয়মিত বাজার তদারকিকালে ওয়াসা মোড়ের কুটুমবাড়ি রেস্তোরাঁকে এ জরিমানা করা হয়।

অভিযানে নেতৃত্ব দানকারী অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ বলেন, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে খাবার রান্নার দায়ে ওয়াসা মোড়ের কুটুমবাড়ি রেস্তোরাঁকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তিনি বলেন, জনস্বার্থে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের এ তদারকি কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

একাত্তরের জননী – রমা চৌধুরী স্বাধীনতা যুদ্ধে নির্যাতিত একজন বীরাঙ্গনা।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

 

১৯৭১ সালের ১৩ মে ভোরে তিনি পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে নিজ বাড়িতে নির্যাতনের শিকার হন। সম্ভ্রম হারানোর পর পাকিস্তানি দোসরদের হাত থেকে পালিয়ে পুকুরে নেমে আত্মরক্ষা করেছিলেন। হানাদাররা গানপাউডার লাগিয়ে পুড়িয়ে দেয় তাঁর ঘরবাড়িসহ যাবতীয় সহায়-সম্পদ। তিনি তার উপর নির্যাতনের ঘটনা “একাত্তরের জননী” নামক গ্রন্থে প্রকাশ করেন।
১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদাররা তাঁর একমাত্র ভিটেটুকু পুড়িয়ে ছারখার করে দেয়। সেই পোড়া ভিটা, সেই পোড়া মাটির ঘর আজও তাঁর বাসগৃহ, যা এখন ‘দীপঙ্কর স্মৃতি অনাথালয়’ নামে একটি অনাথ আশ্রম হিসেবে গড়ে তোলার প্রচেষ্টায় রত রমা চৌধুরী নিজেই।
রমা চৌধুরী ১৯৪১ সালের ১৪ অক্টোবর চট্টগ্রামের বোয়ালখালী থানার পোপাদিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। বলা হয়ে থাকে তিনি দক্ষিণ চট্টগ্রামের প্রথম নারী স্নাতকোত্তর (এমএ)। তিনি ১৯৬১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। রমা চৌধুরী ১৯৬২ সালে কক্সবাজার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষিকার দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে পূর্ণাঙ্গ কর্মজীবন শুরু করেন। পরে দীর্ঘ ১৬ বছর তিনি বিভিন্ন উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষিকার দায়িত্ব পালন করেন। বিজয়লাভের পর ২০ ডিসেম্বর তাঁর বড় ছেলে সাগর নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। এর ১ মাস ২৮ দিন পর মারা যায় আরেক ছেলে টগর। এরপর তিনি জুতা পরা বাদ দেন। পরে অনিয়মিতভাবে জুতা পরতেন তিনি। ১৯৯৮ সালের ১৬ ডিসেম্বর আরেক ছেলে মারা গেলে পুত্রশোকে তিনি আর জুতা পায়ে দেননি। খালি পায়ে হেঁটে নিজের লেখা বই বিক্রি করে চলতেন এই নারী।
স্বাধীনতার পরে ২০ বছর তিনি লেখ্যবৃত্তিকে পেশা হিসেবে নিয়েছেন। প্রথমে তিনি একটি পাক্ষিক পত্রিকায় লিখতেন। বিনিময়ে সম্মানীর বদলে পত্রিকার ৫০টি কপি পেতেন। সেই পত্রিকা বিক্রি করেই চলত তাঁর জীবন-জীবিকা। পরে নিজেই নিজের লেখা বই প্রকাশ করে বই ফেরি করতে শুরু করেন। প্রবন্ধ, উপন্যাস ও কবিতা মিলিয়ে তিনি নিজে ১৮টি গ্রন্থ প্রকাশ করেছেন।
উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ:-
একাত্তরের জননী।
১০০১ দিন যাপনের পদ্য।
আগুন রাঙা আগুন ঝরা অশ্রু ভেজা একটি দিন।
ভাব বৈচিত্রে রবীন্দ্রনাথ।
অপ্রিয় বচন।
লাখ টাকা।
হীরকাঙ্গুরীয়
একাত্তরের জননী’সহ ১৮টি গ্রন্থের লেখক, মুক্তিযুদ্ধে নির্যাতনের শিকার নারী রমা চৌধুরী দীর্ঘদিন ধরে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হাড়ের ব্যথাসহ নানা রোগে ভুগছিলেন। চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় ২০১৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর সোমবার ভোররাত ৪টা ৪০ মিনিটে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ