আজঃ শুক্রবার ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

ঈদুল আজহায় অতিরিক্ত ট্রেন’ ঈদে বন্ধ আন্তঃদেশীয় তিন ট্রেন

আনোয়ার হোসেন ডিমলা নিলফামারী:

নিলফামারী:

আগামী ১৭ জুন বাংলাদেশে পালিত হবে ঈদুল আজহা।
এই সময়ে বাংলাদেশের অতিরিক্ত ট্রেন পরিচালনা করা হবে।
বিভিন্ন রুটে ট্রেনের যাত্রা ঠিক রাখতে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে চলা
তিনটি আন্তঃদেশীয় যাত্রীবাহী ট্রেন বন্ধ রাখা হচ্ছে।
ঢাকা-কলকাতা রুটের মৈত্রী এক্সপ্রেস,
খুলনা – কলকাতার মধ্যে চলাচলকারী বন্ধন এক্সপ্রেস
এবং ঢাকা-নিউজলপাইগুড়ি রুটের মিতালী এক্সপ্রেস বন্ধ থাকবে।
১৪ থেকে ২২ জুন পর্যন্ত মৈত্রী এক্সপ্রেস, ১৬ থেকে ২০ জুন পর্যন্ত বন্ধন এক্সপ্রেস, ১২ থেকে ২০ জুন মিতালী এক্সপ্রেস বাতিল করা হয়েছে। ঈদের পর এই ট্রেন তিনটি পুনরায় আগের মতোই যাতায়াত করবে।

এই তিন ট্রেনের ভাড়াও বাড়ানো হয়েছে

ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে আন্তঃদেশীয় ৩টি ট্রেন মৈত্রী এক্সপ্রেস, বন্ধন এক্সপ্রেস এবং মিতালী এক্সপ্রেসের ভাড়া বাড়াচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। আগামী ১৫ জুন থেকে নতুন ভাড়া কার্যকর হবে।
ঢাকা-কলকাতার মধ্যে চলাচল করা মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনের এসি সিটের বর্তমান ভাড়া ৪ হাজার ৯০০ টাকা। নতুন করে এসি সিটের ভাড়া ৫ হাজার ১১০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর ১৪০ টাকা বাড়িয়ে এসি চেয়ার আসনের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ হাজার ৭৪০ টাকা।
ঢাকা-খুলনার মধ্যে চলাচল করা আরেকটি ট্রেন বন্ধন এক্সপ্রেস। এতে বর্তমানে এসি সিটে ২ হাজার ৯৫০ টাকা থেকে ভাড়া বাড়িয়ে ৩ হাজার ৫৫ টাকায় করা হয়েছে। ৭০ টাকা বাড়িয়ে এসি চেয়ারের ভাড়া ২ হাজার ৩৭০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
ঢাকা-শিলিগুড়ির মধ্যে চলাচল করা মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেনে এসি বার্থ আসনের বর্তমান ভাড়া ৬ হাজার ৭২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭ হাজার ২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ২৩০
টাকা বাড়িয়ে এসি সিটের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ হাজার ৫২০ টাকা। আর ১৫৫ টাকা বাড়িয়ে এসি চেয়ারের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ হাজার ১৫ টাকা।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

প্রচন্ড শীতে কাজ নাই দিনমুজুরের

 

 

ভোরে আজান দেওয়ার সময় উঠেছি। রাতেই সাইকেলে কোদাল আর ডালি বাঁইধে রাখি। ২০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে আসতে হয়। রাস্তায় আসতে আসতে মনে হয়, ফিরে যাই। এই শীতে সাত দিনে মাত্র এক দিন কাজ পায়েছি, এটা ছিল ১ জন দিনমুজুরের কথা।

কাজেম আলী (৪৫) যখন কথাগুলো বলছিলেন, তখন রোদের দেখা মেলে প্রকৃতিতে। তবুও শীতের জামা খোলেননি তিনি। বললেন, ‘রাস্তায় আসতি আসতি যে শীত গায়ে ঢুকে যায়, তা এই রোদে আর যাবি না।’

কাজেম আলীর সঙ্গে রাজশাহী নগরের তালাইমারী মোড়ে কথা হয়। তিনি রোজ কাজের সন্ধানে শহরে আসেন পুঠিয়া উপজেলার জয়পুর গ্রাম থেকে।

 

তালাইমারীর মতো রাজশাহী নগরের বিনোদপুর, রেলগেট, বর্ণালি মোড়, কোর্ট স্টেশনসহ কয়েকটি এলাকায় কাকডাকা ভোরে গ্রাম থেকে শহরে কাজের সন্ধানে আসেন এই মানুষেরা। সাইকেল চালিয়ে দূর-দূরান্ত থেকে আসা এই শ্রমজীবী মানুষেরা সঙ্গ নিয়ে আসেন একটি ডালি আর কোদাল। সরকার পতনের পর শহরে কাজে একটু ভাটা পড়েছে। এই শীতে তা আরও কমে গেছে।

তালাইমারী মোড়ে কথা হয় রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার ইউসুফপুর গ্রামের মোতালেব আলীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘গ্রামে কাজ নেই। ধান কাটাও শেষ হয়ে গেছে। আলু পেঁয়াজ লাগানোর কাজও প্রায় শেষ। শহরই এখন শেষ ভরসা। আমাদের তো আর জমিজমা নেই যে চাষ করে খাব।’ তিনিও সপ্তাহে এক দিন ৬০০ টাকার একটি কাজ পেয়েছিলেন বলে জানান।

একই গ্রামের মো. হাসান বলেন, এই শীতে কার ভালো লাগে এখানে কাজে আসতে। কাজ পেলে এক কথা। তিনি জানেন এখন কাজ পাওয়া কঠিন, তবুও আসেন। আজকে একটু রোদের তেজ আছে। কয়েক দিন আগে হাড়কাঁপানো শীত ছিলো।

রাজশাহীর ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলে। দিনের বেলায় রোদ উঠলেও কনকনে ঠান্ডা বাতাসে শীতের তীব্রতা ছিল।

তালাইমারীর মতো রাজশাহী নগরের বিনোদপুর, রেলগেট, বর্ণালি মোড়, কোর্ট স্টেশনসহ কয়েকটি এলাকায় কাকডাকা ভোরে গ্রাম থেকে শহরে কাজের সন্ধানে আসেন এই মানুষেরা
তালাইমারীর মতো রাজশাহী নগরের বিনোদপুর, রেলগেট, বর্ণালি মোড়, কোর্ট স্টেশনসহ কয়েকটি এলাকায় কাকডাকা ভোরে গ্রাম থেকে শহরে কাজের সন্ধানে আসেন এই মানুষেরা৷

নগরীর রেলগেট এলাকায় গিয়ে কয়েকজন শ্রমজীবী মানুষের সঙ্গে কথা হয়। পবার পারিলা ইউনিয়নের নজরুল ইসলাম বলেন, ছয় দিন কাজে এসে চার দিনই ঘুরে যেতে হয়েছে। বাজারে এখন সবজি বাদে সবকিছুর দামই বাড়তি। সংসার চালাতে হচ্ছে ধারকর্জ করে।

পবা উপজেলার দামকুড়া এলাকা থেকে আসা আবদুল জব্বারও খুব বেশি কাজ পাচ্ছেন না। তিনি বলেন, ‘এত দূর থেকে সাইকেল চালিয়ে এসে কাজ পাই না। এই ঠান্ডায় কাঁপতে কাঁপতে আসি। কাজ পেলে সব কষ্ট দূর হয়ে যায়। কিন্তু কাজ পাওয়া যেন সোনার হরিণ।

হোচট খেয়ে ট্রেেেনর ইঞ্জিনের নিচে পড়ে সিপাহীর হাত বিচ্ছিন্ন

চট্টগ্রামে দায়িত্বপালনরত অবস্থায় ট্রেনের কাটা পড়ে হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর এক সিপাহির। চট্টগ্রাম স্টেশনে ময়মনসিংহ হতে আগত চট্টগ্রাম বিজয় এক্সপ্রেসে ট্রেন ঢুকার পথে দায়িত্বপালনের সময় অসর্তক থাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। রোববার সকাল ১০ টায় চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে হাত হারানো সিপাহীর নাম আবু জাফর মুন্না (৩৫)। তিনি অস্ত্র শাখায় কর্মরত। চট্টগ্রাম সিআই আমান উল্লাহ আমান দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

জানা যায়, বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনটি চট্টগ্রাম রেল স্টেশন প্রবেশের সময় কদমতলী রেল লাইনে দায়িত্ব পালনকালে রেললাইনে হোচট খেয়ে অসর্তক এ সিপাহী ট্রেেেনর ইঞ্জিনের নিচে পড়ে গেলে হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
রেল নিরাপত্তা বাহিনীর কমান্ড্যান্ট শহিদ উল্লাহ বলেন, আহত মুন্নার সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে তিনি নিজেই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আছেন।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ