আজঃ সোমবার ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫

ভোলায় মুক্তবুলি ম্যাগাজিনের প্রাণবন্ত সাহিত্য আড্ডা

রিপন শান

পাঠক যারা লেখক তারা’ এই স্লোগানে বরিশাল থেকে নিয়মিত প্রকাশ হচ্ছে সাহিত্য-সংস্কৃতি বিষয়ক ম্যাগাজিন মুক্তবুলি। জনপ্রিয় এই ম্যাগাজিনের লেখকদের নিয়ে ভোলার কুনজেরহাট বাজারে প্রাণবন্ত সাহিত্য আড্ডা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৮ জুন সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত চলে এই আয়োজন।

 

 

মুক্তবুলি ম্যাগাজিনের উপদেষ্টা সম্পাদক কবি ফিরোজ মাহমুদের সভাপতিত্বে এবং সম্পাদক আযাদ আলাউদ্দীনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে অংশ নেন একাধিক গ্রন্থের লেখক কবি নীহার মোশারফ, ছোটদের সময় পত্রিকার সম্পাদক ও শিশু সাহিত্যিক মামুন সারওয়ার, বাংলা একাডেমির সদস্য কবি বোরহান মাসুদ, প্রখ্যাত গীতিকার বিলাল হোসাইন নূরী, দৈনিক বাংলার কণ্ঠের সাহিত্য সম্পাদক কবি মো. মহিউদ্দিন মহিন, কবি এরশাদ সোহেল, কবি আল মুনির, কবি মাসুম শাহ প্রমুখ। এর আগে ১৭ জুন ঈদের রাতে কুনজেরহাট বাজারে সাহিত্য আড্ডার প্রস্তুতি সভায় অংশ নেন মুক্তবুলি ম্যাগাজিনের প্রধান সম্পাদক কবি রিপন শান সহ লেখকরা।
আড্ডার আলোচকরা মুক্তবুলি ম্যাগাজিনের সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চান। এবিষয়ে ব্রিফিং করেন প্রকাশক ও সম্পাদক আযাদ আলাউদ্দীন। তিনি বলেন- এক সময় বরিশাল শহর থেকে অনেক সাহিত্য পত্রিকা প্রকাশিত হতো। এখন মাঝে মধ্যে দু’একটি সাহিত্য পত্রিকা প্রকাশিত হলেও ধারাবাহিকতা রক্ষা করে নিয়মিত প্রকাশ শুধুমাত্র ‘মুক্তবুলি’। এটি বরিশাল থেকে প্রকাশিত হলেও সারাদেশে- বিশেষ করে সব বিভাগীয় শহরে পাওয়া যায় বলে উল্লেখ করেন তিনি। আযাদ আলাউদ্দীন বলেন- কোন ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক সহযোহিতা ছাড়াই একটি সাহিত্য পত্রিকা নিয়মিত প্রকাশ করা অনেক কঠিন ও কষ্টসাধ্য কাজ।
সাহিত্য আড্ডায় উপস্থিত লেখকরা বলেন- আমরা দীর্ঘদিনের সাহিত্য চর্চার অভিজ্ঞতায় দেখেছি- একটি সাহিত্য পত্রিকা প্রকাশ করা খুব সহজ, কিন্তু এটিকে নিয়মিত চালিয়ে রাখা অনেক চ্যালেঞ্জের, সেই চ্যালেঞ্জে উত্তীর্ন হয়েছে মুক্তবুলি। তারা পত্রিকাটির মান আরো উন্নয়নের জন্য বাস্তবমুখী বেশ কিছু পরামর্শ তুলে ধরেন।
সম্পাদক আযাদ আলাউদ্দীন লেখকদের সব পরামর্শ আন্তরিকতার সাথে গ্রহণ করেন এবং জুলাই মাসের শেষ দিকে বরিশালে অনুষ্ঠিতব্য লেখক সম্মেলনে উপস্থিত অধিকাংশ লেখকের মতামতের ভিত্তিতে তা বাস্তবায়ন করবেন বলে লেখকদের অবহিত করেন।

 

 

 

দুপুরের ভোজন শেষে দ্বিতীয় পর্বের শুরুতেই গীতিকার বিলাল হোসাইন নূরীর লেখা ও ওবায়দুল্লাহ তারেকের সুর করা মুক্তবুলি থিম সং ইউটিউব চ্যানেল থেকে পরিবেশিত হয়। গানটি শুনে লেখকরা মুগ্ধ হন এবং গীতিকার ও সুরকারকে ধন্যবাদ জানান। এরপর উপস্থিত লেখকরা তাদের স্বরচিত লেখা পাঠ ও পর্যালোচনা করেন। ##

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

খান সেলিম রহমানের সম্মানে ভোলায় মিডিয়া ক্লাবে প্রীতিময় আড্ডা।

বাংলাদেশ সেন্ট্রাল প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান, দৈনিক মাতৃজগত এর সম্পাদক ও প্রকাশক, মাতৃজগত টিভির চেয়ারম্যান ও এশিয়ান টেলিভিশনের উপদেষ্টা, বিশিষ্ট গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব খান সেলিম রহমান এর সম্মানে আজ ৭ ডিসেম্বর ২০২৫ রোববার বিকেল ৫ টায়, লালমোহন পৌরশহরের ওয়েস্টার্ন পাড়ায় অবস্থিত আরাফাত ভবনের নীচতলায়, লালমোহন মিডিয়া ক্লাব অফিসে -বাংলাদেশ সেন্ট্রাল প্রেসক্লাব- ভোলা জেলা কমিটির উদ্যোগে এক প্রীতি আড্ডা ও মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়েছে ।

উক্ত আড্ডায় সভাপতিত্বে করবেন- বাংলাদেশ সেন্ট্রাল প্রেসক্লাবের কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও ভোলা জেলা কমিটির সভাপতি সিনিয়র প্রভাষক কবি রিপন শান ।
স্বাগত বক্তব্য রাখবেন- বাংলাদেশ সেন্ট্রাল প্রেসক্লাব ভোলা জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট সমাজকর্মী মীর মোশারেফ অমি ।


উপস্থিত থাকবেন- ভোলা দক্ষিণ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক সারাদেশের কণ্ঠের বার্তা সম্পাদক তরিকুল ইসলাম রণি, ভোলা দক্ষিণ প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও লালমোহন মিডিয়া ক্লাবের সহ-সভাপতি মিজান পাটোয়ারী, লালমোহন মিডিয়া ক্লাবের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিরাজ মাসুদ, ভোলা দক্ষিণ প্রেসক্লাবের শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক প্রভাষক কবি মুহাম্মদ নুরুল্লাহ আরিফ, প্রভাষক কবি সিরাজ মাহমুদ, লালমোহন মিডিয়া ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক মানবাধিকারকর্মী জাকির হোসেন জুয়েল, ভোলা দক্ষিণ প্রেসক্লাবের সদস্য নন্দিত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর আরিফ পন্ডিত, মাতৃজগত টিভির লালমোহন উপজেলা প্রতিনিধি মাসুম বিল্লাহ জুয়েল সহ আমন্ত্রিত গণমাধ্যমকর্মীগণ।

প্রীতি আড্ডায়, ভোলা জেলায় কর্মরত ; বাংলাদেশ সেন্ট্রাল প্রেসক্লাবের সকল সদস্য, জাতীয় দৈনিক মাতৃজগত , মাতৃজগত টিভি ও দৈনিক বাংলাদেশ ক্রাইম সংবাদ এর সকল প্রতিনিধিকে উপস্থিত থাকার জন্য আন্তরিক অনুরোধ করেছেন- বাংলাদেশ সেন্ট্রাল প্রেসক্লাবের ভোলা জেলা সভাপতি রিপন শান এবং সাধারণ সম্পাদক মীর মোশারেফ অমি ।

চুয়ান্নটি বছর

স্বাধীনতার চুয়ান্নটি বছর চলেছে একই নীতিতে!
সত্যিই এবার পরিবর্তন প্রয়োজন।
স্বপ্ন আর আশা,
এই নিয়ে দেশের মানুষের বেঁচে থাকা।

কেহ দেশের শান্তি ফেরাতে দিয়েছেন প্রাণ,
কেহ আবার সব ভুলে গিয়ে নিজের সুবিধা আর আসন পাওয়া নিয়ে ব্যস্ততা,
আর এক শ্রেণীর মানুষের নেই ঘুম!

সুন্দর স্বপ্নময় দেশ গড়তে,
সর্ব প্রথম আইন,
বিচার ব্যবস্থা আর প্রশাসনের সঠিক উন্নয়ন প্রয়োজন। এই তিনটি যেন কারো ব্যক্তিগত কারো সম্পত্তি না হয়।

বিগত চুয়ান্ন বছর পর আবারও দেশ ও দেশের মানুষের নতুন অধ্যায়!
যেন বিগত দিন, মাস, বছর পর বছর আর নয়,
সর্বত্র হোক বিরাজমান সত্য ও সততার আগমন।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ