আজঃ বৃহস্পতিবার ২৪ এপ্রিল, ২০২৫

চট্টগ্রামে এবার কাঁচা চামড়ায় লোকসান

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

চট্টগ্রামে এবার তেমন চামড়া বিক্রি করতে পারেননি ব্যবাসায়ীরা। ফলে লোকসান দিতে হয়েছে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মীরা নষ্ট হয়ে যাওয়া ১০ হাজারেরও বেশি চামড়া রাস্তা থেকে সরিয়ে নিয়েছেন বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। গত ১৭ জুন ঈদুল আজহার সকালে শুরু হয় পশু কোরবানি। দুপুর থেকে সন্ধ্যার পর পর্যন্ত বন্দরনগরী চট্টগ্রামে চামড়া কেনাবেচা ছিল বেশ সুশঙ্খল। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গাউছিয়া কমিটি স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে পাড়া-মহল্লায় ঘুরে ঘুরে চামড়া সংগ্রহ করে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ভূমিকা রাখে। সন্ধ্যা পর্যন্ত মৌসুমি সংগ্রহকারী ও খুচরা বিক্রেতাদের অনেককে নগরীর আতুরার ডিপোতে সরাসরি আড়তে নিয়েও কাঁচা চামড়া বিক্রি করতে দেখা যায়। আবার আড়তদারের প্রতিনিধিদেরও নগরীর চৌমুহনী এলাকার কর্ণফুলী মার্কেটসহ চামড়া সংগ্রহের কয়েকটি স্পটে ঘুরে চামড়া কিনতে দেখা যায়। তবে মধ্যরাতের পর দৃশ্যপট পালটে যায়।
জানা গেছে, প্রথম ধাপের কাঁচা চামড়া সংগ্রহের পর আড়তদারের প্রতিনিধিরা মাঠ থেকে ‘উধাও’ হয়ে যান। আড়তদাররাও চামড়া কেনার গতি শ্লথ করে দেন। এরপর গত ১৮ জুন ভোরের দিকে আবার আড়তদার ও তাদের প্রতিনিধিরা সক্রিয় হলেও ততক্ষণে মৌসুমি সংগ্রহকারী ও খুচরা বিক্রেতারা ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। চামড়াও নষ্ট হওয়ার উপক্রম। এরপর আড়তদারদের নির্ধারিত দামেই তারা চামড়া বিক্রি করতে বাধ্য হন। অনেকে সেই ভোরে রাগে-দুঃখে ও হতাশায় সড়কের ওপর চামড়া ফেলে দিয়ে বাড়ি চলে যান।
এর আগে আড়তদারদের বিরুদ্ধে সিন্ডিকেটবাজির অভিযোগ তুলে পাঁচ বছর আগে কোরবানির পশুর কাঁচা চামড়া সড়কে ফেলে দিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন চট্টগ্রামের মৌসুমি সরবরাহকারী ও খুচরা বিক্রেতারা। গত কয়েক বছরে তারা অনেকটা নিষ্ক্রিয়ই হয়ে পড়েছিলেন। এ বছর আবার কোরবানির সময় তারা বেশ সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। তবে লাভ হয়নি, পাঁচ বছরের পুরনো চিত্রই আবার ফিরে এসেছে চট্টগ্রামে। সড়কে ফেলে দেওয়া হলো কাঁচা চামড়া।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের উপপ্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম বলেন, চৌমুহনী কর্ণফুলী মার্কেট, বিবিরহাট গরুবাজারের সামনে এবং আতুরার ডিপো এলাকায় সড়কে কেউ কেউ কাঁচা চামড়া ফেলে গেছেন। এগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। আমরা সেগুলো বর্জ্যের সঙ্গে সংগ্রহ করে ডাম্পিং জোনে নিয়ে গেছি। খুব বেশি চামড়া নষ্ট হয়নি, চৌমুহনী থেকে দুই-চার হাজারের মতো, সব মিলিয়ে বড়জোড় ১০ হাজার হতে পারে।
এদিকে কর্ণফুলী মার্কেটের কাঁচামাল ব্যবসায়ী হাসিব মোল্লা কোরবানির পর দুপুরে ১৪০ পিস কাঁচা চামড়া নিয়ে ওই মার্কেটের সামনে বিক্রির জন্য হাজির হয়েছিলেন। তিনি জানালেন, গড়ে ৪৫০ টাকা করে কেনা প্রতিটি কাঁচা চামড়া তিনি রাত ১১টার দিকে ৩৮০ টাকা দরে বিক্রি করে দিতে বাধ্য হয়েছেন। তার ২০ হাজার টাকা লোকসান হয়েছে।
এছাড়া স্থানীয় একদল মৌসুমি সংগ্রহকারী ৮০০ পিস চামড়া নিয়ে এসেছিলেন। সেগুলো বিক্রির দায়িত্ব নিয়েছিলেন হাসিব। ভোর ৫টার দিকে সেগুলো ১২০ থেকে ২২০ টাকা দরে বিক্রি করে দেন, যদিও সেগুলো কেনা হয়েছিল ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা দরে। কর্ণফুলী মার্কেটের আরেক ব্যবসায়ী একই দরে ২৫০ পিস চামড়া কিনে বিক্রি করতে বসেছিলেন। তাকেও ভোরের দিকে প্রতিটি চামড়া ১৫০ টাকা দরে বিক্রি করে বাড়ি চলে যেতে হয়েছে।
হাসিব মোল্লা বলেন, সন্ধ্যার পর্যন্ত আড়তদারের লোকজন ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায় চামড়া কিনেছে। ৫০০ টাকাতেও কিনেছে। সন্ধ্যার পর আমরা অনেক খুঁজেও তাদের পাচ্ছিলাম না। আমি চামড়া ধরে রেখে ভুল করেছি। রাত ১১টার দিকে বিক্রি করে দিয়েছি। আমাকে ৩০ হাজার টাকা নগদ দিয়েছে, ২০ হাজার টাকার চেক দিয়েছে। চেকের টাকা আদৌ পাবো কি না, কে জানে! আমার ২০ হাজার টাকা লস হয়েছে। চামড়াগুলো বিক্রি করে না দিলে পচে যেত।শুধু চৌমুহনী এলাকায় ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকার অন্তত আড়াই হাজার পিস কাঁচা চামড়া সড়কে ফেলে যাওয়ায় নষ্ট হয়েছে বলে দাবি হাসিব মোল্লার। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর চামড়ার ব্যবসা ধ্বংস করে দিয়েছে। আগে আমরা তিন হাজার টাকায় চামড়া কিনে সাড়ে তিন হাজার টাকায় বিক্রি করতাম। দুই হাজার টাকায় চামড়া কিনে আড়াই হাজার টাকায় বিক্রি করতাম। এখন চামড়ার দাম দেড়-দুই শ টাকা। চামড়ার ব্যবসা না করলে কী হয়! এ সরকার যতদিন ক্ষমতায় থাকবে, ততদিন আমি আর চামড়ার ব্যবসা করব না।
চৌমুহনী-বাদামতল-ছোটপোল এলাকা মিলে চার হাজারেরও বেশি চামড়া বিক্রি না হওয়ায় নষ্ট হয়ে দাবি করে ছগীর বলেন, ‘একেকজনের তিন-চার লাখ টাকা লস হয়েছে। এ ব্যবসা ধ্বংস হয়ে গেছে। আমরা এ ব্যবসা আর করব না।
এর আগে ২০১৯ সালে আড়তদার ও তাদের প্রতিনিধিরা ‘অস্বাভাবিক দরপতন’ ঘটিয়ে মৌসুমি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চামড়া কেনা বন্ধ রেখেছিলেন। এতে কাঁচা চামড়া সড়কে ফেলে দিয়ে তাদের বিদায় নিতে হয়েছিল। এরপর ২০২৩ সাল পর্যন্ত চার বছর মৌসুমি সংগ্রহকারীদের আর তৎপরতা ছিল না। কিন্তু এ বছর আবার চট্টগ্রাম নগরীর কিছু কিছু এলাকায় মৌসুমি সংগ্রহকারীরা কাঁচা চামড়া সংগ্রহ করেন। চৌমুহনী কর্ণফুলী মার্কেট এলাকায় কোরবানির পর দুপুরে চামড়া নিয়ে আসা তরুণদের কয়েকটি দলকে দেখা গিয়েছিল। ২০১৯ সাল পর্যন্ত মৌসুমি সংগ্রহকারীদের কাছ থেকে কিনে খুচরা বিক্রেতারা আড়তদারের প্রতিনিধির কাছে অথবা সরাসরি আড়তে বিক্রি করতেন। মাঠ থেকে মৌসুমি সংগ্রহকারী উধাও হওয়ার পর একদিনের ব্যবসায় বিনিয়োগকারী খুচরা বিক্রেতার সংখ্যাও কমে আসে। চার বছর পর ফের সক্রিয় হওয়া মৌসুমি সংগ্রহকারীদের আবার ‘শিক্ষা দিয়ে’ মাঠ থেকে ‘আউট’ করতে আড়তদারদের সিন্ডিকেট এ কারসাজি করেছে বলে দাবি খুচরা বিক্রেতাদের কয়েকজনের।
বৃহত্তর চট্টগ্রাম কাঁচা চামড়া আড়তদার সমবায় সমিতি লিমিটেডের সহসভাপতি আব্দুল কাদের জানিয়েছেন, ঈদুল আজহার দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার (১৮ জুন) দুপুর পর্যন্ত কোরবানি দেওয়া গরু, মহিষ ও ছাগল মিলিয়ে প্রায় দুই লাখ কাঁচা চামড়া সংগ্রহ হয়েছে। এর মধ্যে গরু প্রায় পৌনে দুই লাখ। এ ছাড়া গাউছিয়া কমিটির কাছে আরও ষাট হাজারের মতো চামড়া আছে। আড়তদার সমবায় সমিতির টার্গেট সাড়ে তিন লাখ চামড়া সংগ্রহ। মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৭৫ শতাংশ চামড়া সংগ্রহ হয়েছে। কাদের জানান, চট্টগ্রামে ঈদের তৃতীয় দিন পর্যন্ত কোরবানি হয়। এ ছাড়া নগরীর সব এলাকা ও উপজেলা থেকে এখনো সব চামড়া আড়তে পৌঁছায়নি। অনেকে আড়তে না এনে সরাসরি ট্যানারি মালিকের কাছে বিক্রি করবেন। সব মিলিয়ে তাদের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে বলে তিনি আশাবাদী।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

এনসিটি বন্দরের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পরিচালনা চায় জামায়াতে ইসলামী

চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) বিদেশি কোম্পানির হাতে তুলে দেওয়া বোধগম্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন নগর জামায়াতে ইসলামীর আমীর শাহজাহান চৌধুরী। শাহজাহান চৌধুরী বলেন, আমরা বিদেশি বিনিয়োগ চাই। দেশের উন্নয়নের জন্য বিদেশি বিনিয়োগ অপরিহার্য। কিন্তু সে বিনিয়োগ হোক গ্রিন ফিল্ডে। যেমন দেশের বিভিন্নস্থানে ইকোনোমিক জোনগুলোতে বিদেশিরা এসে বিনিয়োগ করছে। ঠিক তেমনি আমাদের বে টার্মিনাল হতে শুরু করে সীতাকুন্ড-মিরসরাই ও মাতারবাড়িতে প্রচুর বিনিয়োগের সুবিধা রয়েছে। সেখানে বিনিয়োগ আসুক। কিন্তু আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে তৈরি করা এনসিটি টার্মিনাল কেন বিদেশিদের দেওয়া হবে তা বোধগম্য নয়।

রোববার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের এস রহমান হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। এনসিটি বিদেশি কোম্পানির হাতে ছেড়ে দেওয়ার প্রতিবাদে এবং বন্দরের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পরিচালনার দাবিতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে নগর জামায়াতে ইসলামী।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন নগর জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর নজরুল ইসলাম, সেক্রেটারি নুরুল আমিন, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি খাইরুল বাশার, মোহাম্মদ উল্লাহ, ফয়সাল মুহাম্মদ ইউনুছ ও মোরশেদুল ইসলাম চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক শামসুজ্জামান হেলালী, এ কে এম ফজলুল হক, সাবেক কাউন্সিলর মোহাম্মদ শফিউল আলম ও চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের অন্তবর্তী কমিটির সদস্য সচিব জাহেদুল করিম কচি।

শাহজাহান চৌধুরী বলেন, এনসিটি টার্মিনাল নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। বিগত স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের কুনজর পড়েছিল এ টার্মিনালের ওপর। দেশের অন্যতম অর্থ পাচারকারী ও শেখ পরিবারের প্রধান অর্থ যোগানদাতা সালমান এফ রহমান ব্যাংকসহ দেশের লাভজনক সকল প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে সর্বশেষ এনসিটি টার্মিনাল বিদেশিদের হাতে তুলে দেয়ার জন্য জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিল।যে পদ্ধতিতে চট্টগ্রাম বন্দরের নিজস্ব অর্থায়নে তৈরি করা পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল দিয়ে দেওয়া হয়েছে, সে একই পদ্ধতিতে এনসিটি টার্মিনালও বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার গভীর চক্রান্ত চলছে।

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের লোকজন এনসিটি টার্মিনালকে বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে হস্তান্তর করার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন উল্লেখ করে শাহজাহান বলেন, যদি ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থান না হতো, তাহলে এতদিনে এ টার্মিনালটিও বিদেশিদের হাতে চলে যেত। ফ্যাসিস্ট সরকার পালিয়ে গেলেও বিভিন্ন স্থানে ঘাপটি মেরে থাকা তাদের লোকজন, বর্তমান সরকারকে বিভ্রান্তিকর বিভিন্ন তথ্য দিয়ে দেশের রাজস্ব খাত শেষ করার জন্য এবং দেশের সার্বভৌমত্বের উপর আঘাত হানার জন্য এনসিটি টার্মিনালকে বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে হস্তান্তর করার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

ফ্যাসিস্ট সরকারের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের ঘনিষ্ট কিছু লোকজন সরকারের বিভিন্ন স্থানে লুকিয়ে থাকা ফ্যাসিস্ট সরকারের এজেন্ডা শেখ পরিবারের অর্থ যোগান দেওয়া অব্যাহত রাখার এবং বর্তমান সরকার ও ছাত্র জনতার রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা ধুলিসাৎ করার জন্য চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে যড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন।

এনসিটি টার্মিনাল বিদেশিদের কাছে গেলে বন্দরে শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দেবে জানিয়ে জামায়াতের এ নেতা বলেন, যদি এনসিটি বিদেশিদের হাতে দেয়া হয়, তাহলে বাংলাদেশের জাতীয় অর্থনীতি ও রাজনীতিতে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হবে। সরকার বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মূদ্রা হতে বঞ্চিত হবে, যা বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভে আঘাত হানবে। এনসিটিতে নিযুক্ত চট্টগ্রাম বন্দরের নিজস্ব দক্ষ কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং ওই টার্মিনালে কর্মরত সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পেশার কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ চাকুরিচ্যুত হওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হবে। প্রচুর বৈদেশিক মূদ্রা বৈধভাবে বিদেশে চলে যাবে।

পাঁচ হাজার কোটি টাকা মূল্যের অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতিগুলো হস্তান্তরে চট্টগ্রাম বন্দরের ক্ষতি হবে ৪ হাজার কোটি টাকা। এছাড়া চট্টগ্রাম বন্দরের স্থিতিশীলতা নষ্ট হবে। শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দেবে। বৈদেশিক বাজারে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে এবং বর্তমান কর্মরত দক্ষ শ্রমিকদের মাঝে হতাশা বাড়বে।

সিইউএফএলে উৎপাদন বন্ধ, গ্যাস সংকট।

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানা চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেডে (সিইউএফএল) উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে সিইউএফএল দৈনিক ১ হাজার ২০০ মেট্রিক টন ইউরিয়া উৎপাদন করতে সক্ষম।
কিন্তু গ্যাস সংকটে গত শুক্রবার সকাল থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত সার উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।

জানা যায়, সিইউএফএল দৈনিক ১ হাজার ২০০ মেট্টিক টন ইউরিয়া উৎপাদন করতে দৈনিক ৪৮ থেকে ৫২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস প্রয়োজন। পাশাপাশি বার্ষিক ৩ লাখ ১০ মেট্রিক টন অ্যামোনিয়া উৎপাদন করতে পারে সিইউএফএল।

সিইউএফএলের উৎপাদন বিভাগের প্রধান উত্তম চৌধুরী বলেন, শুক্রবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টার থেকে কারখানায় উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। গ্যাস সংকটের কারণে আমরা এখনও উৎপাদনে যেতে পারিনি। কবে নাগাদ কারখানা চালু হতে পারে সেব্যাপারে বলা যাচ্ছে না।এর আগে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ৩ জানুয়ারি থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কারখানায় ইউরিয়া সার উৎপাদন বন্ধ ছিল বলে তিনি জানান।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ