আজঃ বৃহস্পতিবার ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

চট্টvগ্রামের রাউজান কলেজের প্রভাষকের বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশ

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

  1. চট্টগ্রামের রাউজান কলেজের প্রভাষক সুজন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে দ্বৈত চাকরি ও তথ্য গোপন করে সরকারিকরণে নাম অন্তর্ভুক্ত করার অভিযোগ উঠেছিল গত পাঁচ বছর আগে। দীর্ঘ সময় তদন্তের পর অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ওই প্রভাষকের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়েরের নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। রাউজান সরকারি কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিষয়ের এই প্রভাষক পার্বত্য রাঙামাটি জেলার আসাম বস্তি এলাকার বিশ্ব রঞ্জন বিশ্বাসের ছেলে। গত ২ জুন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব মো. শাহীনুর ইসলাম স্বাক্ষরিত এক আদেশের মাধ্যমে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে ফৌজদারি মামলার নির্দেশনা দেয়া হয়। তবে বুধবার (১৯ জুন) দুপুর পর্যন্ত থানায় মামলা হয়নি বলে জানিয়েছেন রাউজান থানার সেকেন্ড অফিসার অজয় দেবশীল।

    সূত্রমতে, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের দুইজন কর্মকর্তা সরেজমিনে এসব অভিযোগ তদন্ত করেন। তাদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সুজন বিশ্বাস বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বলে জানা গেছে। তদন্ত কমিটির এক সদস্য জানান, হিসাব বিজ্ঞান বিষয়ের প্রভাষক সুজন বিশ্বাসের নিয়োগ-যোগদান ২০১৩ সালে দেখানো হলেও মূলত তিনি তিনি যোগদান করেছিলেন ২০১৬ সালে। মামলা অগ্রগতি বিষয়ে জানার জন্য রাউজান কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সেলিম নাওয়াজ চৌধুরীকে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
    জানা যায়, গত ২০১৯ সালে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পদ সৃজন সংক্রান্ত মূলকাগজপত্র যাচাই-বাছাই কমিটির কাছে তার নিয়োগ নম্বরপত্রে ডিজি প্রতিনিধির স্বাক্ষর জাল-জালিয়াতির বিষয়টি ধরা পড়েছিল। সেসময় বিষয়টি মন্তব্য আকারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয়েছিল।
    ২০২২ সালের শুরুতে নিয়োগ ও যোগদান সংশ্লিষ্ট এক অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অধীন অধ্যক্ষ কর্তৃক স্থানীয় তদন্ত, ২০২২ সালের ২১ ডিসেম্বর মাউশি চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক ও সহকারী পরিচালক (কলেজ) সুজন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে প্রাপ্ত অবৈধ নিয়োগ ও তিন বছর পর কলেজে যোগদান সম্পর্কিত আরও দুইটি অভিযোগের তদন্ত সম্পন্ন হয়।
    সর্বশেষ, ২০২৩সালে নিয়োগ ও যোগদানে অনিয়ম, কোচিং বানিজ্য, মার্কশিট জালিয়াতি, মিথ্যা প্রত্যয়ন এবং দ্বৈত চাকরি করার অভিযোগটি তদন্ত করার জন্য মাউশি’কে নির্দেশ দিয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ।
    তদন্তে নিয়োগ নম্বরপত্রে ডিজি প্রতিনিধির স্বাক্ষর জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে নিয়োগ নম্বরপত্র সৃজন, তিন বছর পর কলেজে যোগদান এবং এক সাথে দুই কলেজে চাকরি করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়েরের নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের ১৯ নেতাকর্মী গ্রেফতার

চট্টগ্রাম মহানগরী থেকে ২৪ ঘণ্টায় আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ১৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার দুপুর ২টা থেকে রোববার দুপুর ২টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন থানা এলাকা থেকে এদের গ্রেফতার করা হয়।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার (এডিসি) মাহমুদা বেগম জানান, আসামিদের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিশেষ ক্ষমতা আইনে ও সন্ত্রাসীবিরোধী আইনে ২০ জনকে গ্রেফতার করা রয়েছে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মো. মাইদুল ইসলাম (৩৫), মো. জাহিদুল ইসলাম প্রকাশ রনি (১৯), শহিদুল আলম (২৭), শামছু আলম ওরফে আলম (৩০), জাহাঙ্গীর আলম (৪৫), পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি প্রিয়তোষ চৌধুরী (৬২), ইমামুল হক (২৮), মো. পাভেল (৩০), মো. মনিরুজ্জামান রিয়াদ (৩৯), মো. সুমন (২৯), মো. তামজিদ হোসেন (২১), মো. নাঈম গাজী (২১), মো. কচির উদ্দিন

লিটন (৩৮), ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য ইশতিয়াক ওয়াসিফ (২৫), রাসেল আহামদ(৩৮), মো. জুয়েল (৩০), মো. ইসমাইল হোসেন (৩৬), মোহাম্মদ ইদ্রিস (৩৬) ও কর্ণফুলী থানার জুলধা ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী মো. ইব্রাহিম শরিফ (৪৯)।

দাবি না মেনে কারখানা বন্ধ, সিইপিজেডে শ্রমিকদের ধাওয়া-পালটা ধাওয়া

চট্টগ্রাম রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (সিইপিজেড) পোশাক কারখানা বন্ধের ঘোষণার প্রতিবাদে বিক্ষোভের সময় শ্রমিকদের মধ্যে ধাওয়া-পালটা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। মালিকপক্ষ তাদের দাবি না মেনে ওই কারখানা বন্ধ করার ঘোষণা দেয়ার ফলে শ্রমিকদের মধ্যে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। সোমবার সকালে সিইপিজেডের ভেতরে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানায়, প্যাসিফিক ক্যাজুয়েলস লিমিটেড ও এনএইচটি ফ্যাশন লিমিটেডের শ্রমিকদের মধ্যে এ ধাওয়া -পালটা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। দুই কারখানায় প্যাসিফিক গ্রুপের আওতাধীন। এর মধ্যে প্যাসিফিক ক্যাজুয়েলস লিমিটেড প্যাসিফিক নিট ডিভিশনের আওতাধীন। অন্যদিকে এনএইচটি ফ্যাশন লিমিটেড প্যাসিফিক জিন্স গ্রুপের আওতাধীন। খাদ্য ও চিকিৎসা ভাতা বাড়ানোর দাবিতে প্যাসিফিক ক্যাজুয়েলস লিমিটেডের শ্রমিকেরা রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) থেকে বিক্ষোভ শুরু করেন। মালিকপক্ষ তাদের দাবি না মেনে ওই কারখানা বন্ধ করার ঘোষণা দেন।

সোমবার সকালে শ্রমিকরা কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে তাদের প্রতিষ্ঠানের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে তারা প্যাসিফিক গ্রুপের অন্তর্ভুক্ত অন্যান্য কারখানার শ্রমিকদের তাদের সঙ্গে আন্দোলনে সামিল হওয়ার জন্য বলেন। কিন্তু তাদের ডাকে অন্য কারখানার শ্রমিকরা সাড়া না দেওয়ায় তারা ক্ষুব্ধ হন। তারা ওই কারখানার শ্রমিকদের উদ্দেশ্য করে ইট-পাটকেল ছুঁড়েন। এতে ধাওয়া-পালটা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

শিল্প পুলিশের চট্টগ্রাম অঞ্চলের পুলিশ সুপার মো. সুলাইমান বলেন, প্যাসিফিক গ্রুপের অনেক প্রতিষ্ঠান আছে। সমস্যা হয়েছে একটিতে। তারা অন্য প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের উসকানি দিয়ে তাদের সঙ্গে আন্দোলনে নামতে বলেছিল। কিন্তু অন্য কারখানার শ্রমিকরা তাদের সঙ্গে বিক্ষোভে যোগ না দেওয়ার জেরে এ ধাওয়া-পালটা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থলে আমাদের টিম রয়েছে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক।

এ বিষয়ে জানতে প্যাসিফিক ক্যাজুয়েলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ তাহমীরের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি কল ধরেননি।

এর আগে রোববার খাদ্য ও চিকিৎসা ভাতাসহ বিভিন্ন বাড়তি সুবিধার দাবিতে বিক্ষোভ শুরু প্যাসিফিক ক্যাজুয়েলসের শ্রমিকেরা। এরপর রাতে কারখানার মানবসম্পদ ও প্রশাসন বিভাগের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপকের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে কারখানা বন্ধ ঘোষণা করে মালিকপক্ষ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শ্রমিকদের কারখানায় অবৈধভাবে কাজ বন্ধ রাখা এবং অন্যায় দাবি-দাওয়া উত্থাপন করার কারণে ইপিজেড শ্রম আইন ২০১৯ ধারা ১২(১) অনুযায়ী সোমবার থেকে কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। পরবর্তী সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত কারখানার সব কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ