আজঃ রবিবার ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫

জয়পুরহাট:

জয়পুরহাট জেলাও রাসেলস ভাইপারের ঝুঁকির আওতাধীন

মোঃ গোলাম মোর্শেদ প্রতিনিধি পাঁচবিবি জয়পুরহাট।

পাঁচবিবি:

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

এক সময়ের বিলুপ্ত বিষধর সাপ রাসেল ভাইপার ক্রমেই যেন রাজত্ব গেড়ে বসতে শুরু করেছে দেশব্যাপী। বরেন্দ্র এলাকা ছেড়ে সাপটির খোঁজ মিলছে বরিশাল, পটুয়াখালী, চাঁদপুর এমনকি ঢাকার আশপাশেও। অস্তিত্ব মিলেছে ২৫ জেলায়। চলতি বছর এ সাপের কামড়ে মারা গেছেন ১০ জন।

রাসেল ভাইপার দেখতে অনেকটা অজগরের বাচ্চার মতো। ছোট ও সরু লেজের সরীসৃপটি দৈর্ঘ্যে তিন থেকে পাঁচ ফুট পর্যন্ত হয়ে থাকে। মাথা চ্যাপ্টা, ত্রিভুজাকার এবং ঘাড় থেকে আলাদা। শরীরজুড়ে অনেকটা চাঁদের মতো গাঢ় বাদামি গোল গোল দাগ। দৈহিক এই বৈশিষ্ট্যের কারণে শুকনো পাতা বা ধান ক্ষেতের মধ্যে খুব সহজেই লুকিয়ে রাখতে পারে নিজেকে। রাসেল ভাইপার সাপ চন্দ্রবোড়া বা উলুবোড়া নামেও পরিচিত।

সাধারণত সাপ মানুষকে এড়িয়ে চললেও ঠিক উল্টো স্বভাব রাসেল ভাইপারের। নিজেকে বিপন্ন মনে করলেই করে বসে আক্রমণ। আক্রমণের ক্ষেত্রে এটি এত ক্ষিপ্র যে, ১ সেকেন্ডের ১৬ ভাগের ১ ভাগ সময়ে শেষ করতে পারে পুরো প্রক্রিয়া। ক্ষেপে গেলে শব্দ করে প্রচণ্ড জোরে। ঠিক যেন প্রেসার কুকারের মতো।

রাসেল ভাইপারের বিষ হেমাটোটক্সিক, যার কারণে ছোবল দিলে আক্রান্ত স্থানে পঁচন ধরে। ছোবলের পাঁচ মিনিটের মধ্যে ফুলে যায় ক্ষতস্থান। এর বিষ নষ্ট করে দিতে পারে ফুসফুস, কিডনিসহ বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ।

বেশির ভাগ সাপ ডিম পাড়লেও রাসেল ভাইপার বাচ্চা দেয়। গর্ভধারণ শেষে স্ত্রী রাসেল ভাইপার সাধারণত ২০ থেকে ৪০টি বাচ্চা দেয়। তবে ৮০টি পর্যন্ত বাচ্চা দেয়ার রেকর্ডও আছে। একদিকে উচ্চ প্রজনন ক্ষমতা, অন্যদিকে বেজি, গুইসাপসহ প্রকৃতি থেকে সাপের শত্রু বিলীন হয়ে যাওয়া সেইসঙ্গে ইঁদুর, ব্যাঙসহ সাপের পর্যাপ্ত খাবারের উপস্থিতি থাকায় বাড়ছে রাসেল ভাইপার।

বন্যপ্রাণী ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা বলেন,
“দেশের সব অঞ্চলে শিয়াল, গুইসাপ ও বেজি দেখলেই লোকজন মেরে ফেলছেন। তারা জানেন না, এটির উপকারিতা কত! এ কারণেই রাসেল ভাইপারের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। কারণ তার খাদক নেই। ইকো সিস্টেমে ব্রেক হয়ে গেছে।”

দেশে একটা সময় বিলুপ্ত বলা হলেও দেশজুড়ে এখন মাথাব্যাথার কারণ হয়ে উঠেছে রাসেল ভাইপার। বরেন্দ্র অঞ্চলের বাসিন্দা হলেও সাপটির রাজত্ব এখন দেশের অন্তত ২৫টি জেলায়। পৌছে গেছে চাঁদপুর, বরিশাল, পটুয়াখালী পর্যন্ত। সব চেয়ে বেশি আনাগোন মানিকগঞ্জ, ফরিদপুর, শরীয়তপুরসহ পদ্মা, মেঘনা ও যমুনার অববাহিকায়, যার ছোবলে চলতি বছর এরই মধ্যে মারা গেছেন অন্তত ১০ জন, যাদের অধিকাংশই কৃষক এবং জেলে।

পর্যাপ্ত সুরক্ষা সামগ্রী ছাড়া মাঠে কাজ করা এবং সাপে কাটার পর গ্রামীণ জনপদ এখনও ঝাড়ফুঁকের মতো কুসংস্কার থেকে মুক্ত না হওয়ার মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। যদিও উপজেলা পর্যায়ে পর্যাপ্ত অ্যান্টিভেনম না থাকারও অভিযোগ আছে।

বন্যপ্রাণী ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা বলেন, ‘সাপ দংশন করলে দ্রুত হাসপাতালে যাওয়া উচিত। ওঝার বাড়িতে গিয়ে অনেকে সময় নষ্ট করেন। এতে বিষক্রিয়া পুরোপুরি প্রকাশ পেয়ে গেলে আইসিইউ সাপোর্ট ছাড়া রোগীকে বাঁচানো যাবে না।’

স্বাস্থ্য অধিদফতর বলছে অ্যান্টিভেনম উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত দেয়া আছে। যেসব এলাকায় সাপের উপদ্রব বেশি, সেসব জায়গায় সংরক্ষিত আছে। এনসিডির (নন কমিউনিকেবল ডিজিজ) সঙ্গে যোগাযোগ করলে সেটি পৌঁছে দেয়া হচ্ছে।

দেশে বছরে চার লাখেরও বেশি মানুষকে সাপে কাটে, যাদের মধ্যে সাত হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চট্টগ্রামে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে খাবার রান্নার লাখ টাকা জরিমানা গুনল কুটুমবাড়ি রেস্তোরাঁ।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

চট্টগ্রাম মহানগরে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে খাবার রান্নার দায়ে একটি রেস্তোরাঁকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয় ও চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশের টিমের সমন্বয়ে নিয়মিত বাজার তদারকিকালে ওয়াসা মোড়ের কুটুমবাড়ি রেস্তোরাঁকে এ জরিমানা করা হয়।

অভিযানে নেতৃত্ব দানকারী অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ বলেন, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে খাবার রান্নার দায়ে ওয়াসা মোড়ের কুটুমবাড়ি রেস্তোরাঁকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তিনি বলেন, জনস্বার্থে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের এ তদারকি কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

চট্টগ্রামে বিশ্বের ৭৫০ চিকিৎসক নিয়ে বৈজ্ঞানিক সম্মেলন।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

চট্টগ্রাম মা ও শিশু মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত হবে আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলন। ছয় দেশের সাড়ে সাতশ’ চিকিৎসক নিয়ে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালের কনফারেন্স হলে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান আয়োজকেরা।

চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল মেডিক্যাল কলেজ টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে দিনব্যাপী এই সম্মেলনে বাংলাদেশসহ যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, মিশর, ভারত ও নেপাল থেকে ৭৫০ জনের বেশি চিকিৎসক, গবেষক, শিক্ষক ও প্রশিক্ষণার্থী অংশ নেবেন।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ও আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. অসীম কুমার বড়ুয়া, ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এম জালাল উদ্দিন, সেক্রেটারি ও সদস্যসচিব অধ্যাপক ডা. অলক নন্দী এবং হাসপাতালের সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ মোরশেদ আলম।

এসময় আয়োজকেরা জানান, শুক্রবার সকাল ৮টায় সম্মেলনের কার্যক্রম শুরু হলেও আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে সকাল সাড়ে ১১টায়। প্রধান অতিথি থাকবেন সরকারের স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। বিশেষ অতিথি থাকবেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন এবং চট্টগ্রাম মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. ওমর ফারুক ইউসুফ।

দিনব্যাপী এ আয়োজনে ১৭টি সেশনে উপস্থাপন করা হবে ৮৯টি বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ। যার মধ্যে আছে ৪০টি মেডিসিন, ২৫টি সার্জারি, ১২টি গাইনি এবং ডেন্টাল, বেসিক মেডিসিন ও মেডিকেল শিক্ষা সংক্রান্ত আরও ১২টি গবেষণা। এছাড়া সম্মেলনে আগের দিন দুইটি ও পরের দিন আরও দুইটি হাতে কলমে বৈজ্ঞানিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবে।

বৈজ্ঞানিক সেমিনারকে কেন্দ্র করে দেশি–বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের অংশগ্রহণে হাসপাতালে ৬ জন থাইরয়েড রোগীর অপারেশনবিহীন অস্ত্রোপচার করা হবে। ‘থার্মাল এবলেশন’ নামের এই সার্বাধুনিক পদ্ধতিতে থাইরয়েড নডিউল বা গলগণ্ড রোগ কাটা–ছেঁড়া, দাগ ছাড়া চিকিৎসা করা যায়।

ডায়াবেটিস ও হরমোন রোগ বিভাগ জানায়, বাংলাদেশে এ ধরনের প্রথম ওয়ার্কশপ এটি। এতে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ ও স্থানীয় চিকিৎসকেরা যৌথভাবে হাতে–কলমে থার্মাল এবলেশন প্রযুক্তি প্রদর্শন করবেন—যা তরুণ চিকিৎসকদের জন্য যুগান্তকারী অভিজ্ঞতা হবে।
হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি সৈয়দ মো. মোরশেদ আলম বলেন, গবেষণার মাধ্যমেই চিকিৎসার অগ্রগতি সম্ভব। ৮৯টি গবেষণা উপস্থাপন ও থার্মাল এবলেশনের মতো নতুন প্রযুক্তির হাতে–কলমে প্রদর্শন এ সম্মেলনকে আরও সমৃদ্ধ করবে।

টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. অসীম কুমার বড়ুয়া বলেন, পাঁচ দেশের গবেষকরা তাঁদের গবেষণা ও প্রযুক্তি শেয়ার করবেন। থার্মাল এবলেশন আমাদের দেশে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে।
ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এম জালাল উদ্দিন বলেন, দেশে প্রতিবছর প্রায় তিন হাজার চিকিৎসাবিষয়ক গবেষণা প্রকাশিত হলেও বাস্তবে সেগুলোর প্রয়োগ কম। এ ধরনের সম্মেলন গবেষণা ও চিকিৎসা ব্যবস্থার মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করবে। সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. অলক নন্দী জানান, বিভিন্ন সেশনে গবেষকেরা হাতে–কলমে চিকিৎসার সর্বশেষ উদ্ভাবন উপস্থাপন করবেন।‘

নবীন চিকিৎসকদের জন্য এটি বিশাল প্রাপ্তি’ বলেন তিনি।সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কমিটির ট্রেজারার অধ্যাপক ডা. আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী, সায়েন্টিফিক সেক্রেটারি অধ্যাপক ডা. সঞ্জয় কান্তি বিশ্বাস, প্রচার সেক্রেটারি ও ডেন্টাল ইউনিটের প্রধান ডা. মো. কামরুল হাসান, অফিস সেক্রেটারি ডা. হাদী মো. হাবিব উল্লাহ, শিক্ষক সমিতির সংস্কৃতি ও বিনোদন সম্পাদক ডা. ফাহিম হাসান রেজা প্রমুখ।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ