আজঃ বুধবার ২৫ জুন, ২০২৫

বিনোদন বাংলা:

যেসব ঘরোয়া উপায়ে ত্বকের দাগ দূর করবেন

বিনোদন ডেস্ক:

বাংলা সিনেমা:

মানবদেহের ত্বকে বিভিন্ন কারণে দাগ পড়ে। এই দাগ কিন্তু কারোই কাম্য নয়। আর ত্বকের দাগ যে কারও আত্মবিশ্বাস কমিয়ে দিতে পারে। আবার সৌন্দর্যের তো হানি ঘটেই। অনেকে ত্বকের দাগ দূর করার জন্য বাজার থেকে কেমিক্যালযুক্ত প্রসাধনী কিনে আনেন। কিন্তু এইসব ব্যবহারে সাময়িক মুক্তি মিললেও পরবর্তীতে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। তাই এর বদলে ঘরোয়া উপায় বেছে নেওয়াই উত্তম। তো, চলুন জেনে নেওয়া যাক ত্বকের দাগ দূর করার ঘরোয়া কিছু উপায় বা প্যাক তৈরি ও তা ব্যবহারের নিয়ম।

#অ্যান্টি – ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য সমৃদ্ধ দুটি উপাদান হলো হলুদ এবং মধু। এই দুই উপাদান ত্বকের দাগ কমাতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। স্ক্রাব তৈরি করার জন্য এক চা চামচ মধুতে ২ চিমটি হলুদ মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে। এরপর সেই পেস্ট নিয়ে হালকা হাতে মুখে ম্যাসাজ করতে হবে। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে পরিষ্কার পানিতে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। এভাবে সপ্তাহে অন্তত দুইবার ব্যবহার করলে মুখের দাগ দূর হবে। আর এতে ত্বক দ্রুতই উজ্জ্বল হবে।

#ত্বকের দাগ দূর করার ক্ষেত্রে আরেকটি কার্যকরী উপাদান হলো লেবুর রস। তবে লেবুর রস কখনও সরাসরি মুখে ব্যবহার করবেন না। এর সঙ্গে কোনো না কোনো উপাদান মিশিয়ে তারপর ব্যবহার করবেন। এক চামচ চিনির সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর মিশ্রণটি এক – দেড় মিনিট মুখে স্ক্রাব করতে হবে। এতে ত্বক এক্সফোলিয়েট হয় এবং দাগ কমে আসে।

#আরও কিছু ঘরোয়া প্রতিকার রয়েছে, যা ত্বকের দাগ কমাতে কাজ করে। দাগের উপর আলুর রস ব্যবহার করতে পারেন। এতে উপকার পাবেন। কারণ আলুর রসের ব্লিচিং বৈশিষ্ট্য ত্বকের দাগ হালকা করে। আবার অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে হলুদ মিশিয়েও ব্যবহার করলেও দাগ হালকা হতে থাকে। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে অ্যালোভেরা ও হলুদ মুখে লাগিয়ে ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর ভালো করে মুছে নিন। এতে দাগমুক্ত উজ্জ্বল ত্বক পাওয়া সহজ হবে।

#দাগ কমাতে প্রতিদিন মুখে অ্যালোভেরা ব্যবহার করতে পারেন। অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে ব্রাউন সুগার মিশিয়ে স্ক্রাব তৈরি করে নিতে পারেন। আপনি চাইলে বাড়িতে থাকা কফির গুঁড়া ও মধু দিয়েও পেস্ট তৈরি করে মুখে ঘষে নিতে পারেন। এটি মুখের উপরের মৃত ত্বকের কোষ দূর করে। যে কারণে ত্বক উজ্জ্বল হয়।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

ঈদুল আজহার উৎসবে চট্টগ্রামের বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে মানুষের ঢল।

বন্দর নগরী চট্টগ্রামে ঈদুল আজহার উৎসবের মধ্যে বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে মানুষের ঢল নেমেছে। নানা বয়সের, নানা শ্রেণিপেশার বিনোদন পিয়াসী মানুষ আনন্দ-উচ্ছ্বাসে মেতেছেন। শুধু চট্টগ্রাম নগরী কিংবা আশপাশের এলাকা নয়, ঢাকাসহ দূর-দূরান্ত থেকেও লোকজন ভিড় করছেন পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত, ফয়’সলেক, চিড়িয়াখানা, সীতাকুণ্ডের গুলিয়াখালী, মিরসরাইয়ের মহামায়াসহ আরও বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রে। গত তিন দিন ধরেই এমন চিত্র সাগর-পাহাড়ঘেরা বন্দরনগরীর নৈসর্গিক সৌন্দর্যমণ্ডিত স্থানগুলোর।

জানা গেছে, গত শনিবার (৭ জুন) কোরবানির দিনে ব্যস্ততার কারণে বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে লোকজনের আনাগোণা স্বাভাবিকভাবেই কম ছিল। কিন্তু রোববার ও সোমবার দিনভর মানুষ ছুটেছে সেখানে, হাজার, হাজার মানুষ।মঙ্গলবারও ছিল মানুষের ঢল চোখে পড়ার মত।
নগরীর পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে সোমবার সকাল থেকেই মানুষের আনাগোণা শুরু হয়। প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস, মোটর সাইকেলে চড়ে তরুণ-যুবকেরা গেছেন। অনেকে স্ত্রী-সন্তান নিয়েও বেড়াতে গেছেন। দুপুরের পর থেকে রীতিমতো সৈকতে মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে।

সৈকতের বালুচরে শিশু-কিশোরদের ছুটোছুটি, সাগরের ঢেউয়ের সঙ্গে মিতালী, ফুচকাওয়ালার হাঁকডাক, কাঁকড়া ভাজা, গরম পিঁয়াজুর স্বাদ- সব মিলিয়ে এ এক অনন্য বিকেল ! গোধূলিবেলায় তরুণীদের সেলফি, পাথরে বসে তরুণদের গিটার বাজিয়ে গান আনন্দ সম্মিলনকে যেন ভিন্নমাত্রা দিয়েছে।

নগরীর হাজারী লেইন থেকে স্ত্রী ও দুই কিশোরী মেয়েকে নিয়ে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে যান পারফিউম ব্যবসায়ী তারেকুল হাবিব। তিনি বলেন, আমাদের গ্রামের বাড়ি রাউজানে। কোরবানিতে বাড়িতে ছিলাম সবাই। সোমবার (৯ জুন) সকালে এসে বিকেলে সবাইকে নিয়ে বের হয়েছি।

কলেজ শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন বলেন,পতেঙ্গা সৈকত, কক্সবাজার সৈকত আমাকে খুব টানে। প্রতিবার ঈদে পতেঙ্গায়, না হলে কক্সবাজারে যাবার চেষ্টা করি।চট্টগ্রামে ঈদুল ফিতর কিংবা ঈদুল আজহা- সবসময় সবচেয়ে বেশি ভিড় হয় চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা ও ফয়’সলেক কনকর্ড অ্যামিউজমেন্ট পার্কে। দুটি পাশাপাশি বিনোদন স্পট।

পাহাড় ও হ্রদবেস্টিত ৩৩৬ একরের ফয়’সলেক কনকর্ড অ্যামিউজমেন্ট পার্কে এবারও দর্শনার্থীর ভিড় লেগেই আছে।পাহাড়ের বুক চিড়ে প্রায় পাঁচ কিলোমিটারের আঁকাবাঁকা লেক, ওয়াটার পার্ক সী-ওয়ার্ল্ডের কৃত্রিম সমুদ্র, বেসক্যাম্প, অ্যামিউজমেন্ট পার্কের রাইড- সবখানেই মুখর। তবে সবচেয়ে বেশি সমাগম হয়েছে কৃত্রিম সমুদ্রে, যেখানে হাজারো নারী, পুরুষ, শিশু আনন্দে মেতেছিলেন। ডিজে গানের সঙ্গে তরুণ-তরুণীদের পানিতে দাপাদাপি, হইহুল্লোড়ে দিনভর অন্যরকম আবহ তৈরি হয়।

ওয়ান ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক ইসমাইল হোসেন বলেন, এবার টানা দশদিনের বন্ধ। এত লম্বা বন্ধ আগে পাইনি। সিদ্ধান্ত নিয়েছি, কোরবানির দিন বাদে প্রত্যেকদিন ছেলেমেয়েদের নিয়ে ঘুরবো। গতকাল পতেঙ্গা গিয়েছিলাম। আজ ফয়’সলেক এসেছি। রাঙামাটি যাবার ইচ্ছে আছে।
অ্যামিউজমেন্ট পার্ক পরিচালনাকারী কনকর্ডের উপ-ব্যবস্থাপক (বিপণন) বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, ঈদের পরদিন থেকে লোকজন আসতে শুরু করেছেন। প্রথমদিন রোববার প্রায় সাড়ে তিন হাজার দর্শনার্থী এসেছেন।

সোমবার আট হাজারের মতো প্রবেশ করেছেন। ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে প্রচুর দর্শনার্থী আসছেন। আমাদের রেস্ট হাউজ পুরো বুকড। আশা করছি আগামী শনিবার সরকারি বন্ধের শেষদিন পর্যন্ত এমন সমাগম থাকবে।
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় প্রতিদিন হাজার, হাজার দর্শনার্থীর সমাগম ঘটছে। বিরল সাদা বাঘ, সিংহ, জলহস্তী, নানা জাতের পাখি টানছে শিশু-কিশোরসহ সব বয়সীদের।
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর ডা. শাহাদাত হোসেন শুভ বলেন, ঈদের দিন ২ হাজার টিকিট বিক্রি হয়েছিল। পরদিন থেকে ১০ হাজার ১৩ হাজারের মতো দর্শনার্থী প্রবেশ করেছে।

অপূর্ব নৃত্যশৈলীতে সুরাঙ্গন এর নৃত্য মঞ্জুরী।

গীতবাদ্যের ছন্দে অঙ্গভঙ্গির দ্বারা মঞ্চে চিত্রকলা উপস্থাপনের ললিতকলাই যে নৃত্য, তা আবারো একবার প্রমাণ করল সুরাঙ্গন বিদ্যাপীঠ ছাত্র-ছাত্রীরা। আজ ৩ জুন সন্ধ্যায় নান্দনিক এ আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়ে গেল জেলা শিল্পকলা একাডেমির অডিটোরিয়াম মঞ্চে। শাস্ত্রীয় ও উপশাস্ত্রীয় সঙ্গীতে মনোমুগ্ধকর নৃত্যানুষ্ঠানের আয়োজন করে সুরাঙ্গন বিদ্যাপীঠ।


২ শতাধিক নৃত্যপ্রেমী দর্শকের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত দুই যুগ পূর্তির বর্ণীল এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধক ছিলেন শিক্ষাবিদ প্রফেসর রীতা দত্ত। অতিথি ছিলেন প্রয়াস-চট্টগ্রাম এর অধ্যক্ষ লে. কর্ণেল মাহাবুব মোর্শেদ, জেলা কালচারাল অফিসার সৈয়দ মুহম্মদ আয়াজ মাবুদ, রেলওয়ে পুলিশ সুপার শাকিলা সোলতানা, বাংলাদেশ নৃত্যশিল্পী সংস্থা চট্টগ্রাম এর সভাপতি শারমীন হোসেন।

আবৃত্তিশিল্পী কংকন দাশের সঞ্চালনায় ও সুরাঙ্গন বিদ্যাপীঠের অধ্যক্ষ হিল্লোল দাশ সুমনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে গুরুমাতা সংবর্ধনা প্রদান করা হয় ‘স্কুল অফ ওরিয়েন্টাল ডান্স’ এর অধ্যক্ষ শ্রীমতি শুভ্রা সেন গুপ্তাকে। অনুষ্ঠানে সুরাঙ্গন বিদ্যাপীঠের শতাধিক শিক্ষার্থী নৃত্য পরিবেশন করেন।

এছাড়াও সুরাঙ্গন বিদ্যাপীঠ সঙ্গীত বিভাগের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় দলীয় সঙ্গীত পরিবেশিত হয়। অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন সুরাঙ্গন বিদ্যাপীঠের অধ্যক্ষ হিল্লোল দাশ সুমন। সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন চয়ন দেবনাথ ও সুস্মিতা ঘোষ মুমু।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ