আজঃ বুধবার ২৫ জুন, ২০২৫

চিকিৎসক সংকট

চট্টগ্রামের গ্রামগুলোতে ২ হাজার ২শ জনের বিপরীতে মাত্র ১ জন চিকিৎসক

নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রাম মহানগর থেকে গ্রামে চিকিৎসাসেবা পিছিয়ে রয়েছে। গ্রামে প্রতি ২ হাজার ২শ জনের বিপরীতে মাত্র ১ জন চিকিৎসক। আর নগরে প্রতি ৩০০ জনের বিপরীতে একজন চিকিৎসক আছেন। চিকিৎসকের এমন তারতম্যে ব্যাহত হচ্ছে গ্রামীণ চিকিৎসা সেবা। ফলে গ্রামীণ এলাকার রোগীরা ভিড় করছেন শহরে।তবে চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মাদ ইলিয়াছ চৌধুরী বলছেন, মাঠ পর্যায়ে এ চিত্র সঠিক নয়।
চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (চমেবি) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. ইসমাইল খান বলেন, গ্রাম এবং শহরের মধ্যে চিকিৎসকের অসামঞ্জস্যতা রয়েছে। বিভিন্ন উপায়ে শহরে চলে আসেন তারা। তবে এটা ঠিক, চিকিৎসকদের গ্রামে থাকার মত সেভাবে অবকাঠামো গড়ে উঠেনি। এরপরও সেবা প্রদান, পেশা ও কর্মস্থলের প্রতি আরও দায়িত্বশীল হলে গ্রামে পর্যাপ্ত চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত হবে।

চিকিৎসকরা বলছেন, আবাসনসহ বিভিন্ন নাগরিক সুবিধার কারণে কর্মস্থলের পরিবর্তে শহরে থাকেন তারা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানবসেবার মত মহান পেশায় নিয়োজিত আছেন, সেটি মনে রাখতে হবে চিকিৎসকদেরকে। সেবা প্রদান আর কর্মস্থলের প্রতি আরও বেশি দায়িত্বশীল হতে হবে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ অনুযায়ী, চট্টগ্রাম জেলার জনসংখ্যা ৯১ লাখ ৬৭ হাজার ৩শ তিন জন। এর মধ্যে শহরে এলাকায় বসবাস করেন ৪৮ লাখ ৮৩ হাজার ২শ ৪৭ জন। আর গ্রামে বসবাস করেন ৪২ লাখ ৮৪ হাজার ৫৬ জন। চট্টগ্রামে এমবিবিএস বা বিডিএস ডিগ্রিধারী চিকিৎসক আছেন ১৪ হাজার ৪শ ৬১ জন। এর মধ্যে শহরে বসবাস করেন ১২ হাজার ৫শ ৯৮ জন। গ্রামে বসবাস করেন এক হাজার ৮শ ৬৩ জন।
চন্দনাইশে জনসংখ্যা ২ লাখ ৫২ হাজার ২৩৮ জন, এর বিপরীতে চিকিৎসক রয়েছেন ১৪০ জন। আনোয়ারায় জনসংখ্যা ৩ লাখ ১৯ হাজার ৪৮২ জন, এর বিপরীতে চিকিৎসক ১৪৩ জন। বোয়ালখালীতে জনসংখ্যা ২ লাখ ৫৮ হাজার ৬৭৫ জনের বিপরীতে রয়েছে চিকিৎসক ৩৩৮ জন, বাঁশখালীতে জনসংখ্যা ৫ লাখ ৩৭ হাজার ৫৫৫ জনের বিপরীতে চিকিৎসক আছেন ২০৬ জন, ফটিকছড়িতে জনসংখ্যা ৬ লাখ ৪২ হাজার ৭৬ জনের বিপরীতে চিকিৎসক ১৯৪ জন, হাটহাজারিতে ৪ লাখ ৯৮ হাজার ১৭৯ জনের বিপরীতে চিকিৎসক ৩৭৫ জন, কর্ণফুলীতে ২ লাখ ৩ হাজার ৬৯৭ জনের বিপরীতে চিকিৎসক ৫৬ জন, লোহাগড়ায় ৩ লাখ ২৮ হাজার ২০৬ জনের বিপরীতে চিকিৎসক ১১৬ জন, মিরসরাইয়ে ৪ লাখ ৭২ হাজার ৭৭৭ জনের বিপরীতে চিকিৎসক ৫০ জন, পটিয়ায় ৩ লাখ ৯৭ হাজার ৬৭২ জনের বিপরীতে চিকিৎসক ২৭৪ জন, রাঙ্গুনিয়ায় ৩ লাখ ৯২ হাজার ৮৯৮ জনের বিপরীতে চিকিৎসক ১৮৫ জন, রাউজানে ৩ লাখ ৯৬ হাজার ৩৫০ জনের বিপরীতে চিকিৎসক ২২৪ জন, সন্দ্বীপে ৩ লাখ ২৭ হাজার ৫৫৩ জনের বিপরীতে চিকিৎসক ১২২ জন, সাতকানিয়ায় ৪ লাখ ৫৪ হাজার ৫১ জনের বিপরীতে চিকিৎসক ১৫৮ জন এবং সীতাকুন্ডে ৪ লাখ ৫৭ হাজার ৬৮ জনের বিপরীতে চিকিৎসক ৩৩৩ জন।
চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মাদ ইলিয়াছ চৌধুরী আরো বলেন, প্রতিটি উপজেলায় পর্যাপ্ত ডাক্তার রয়েছেন। জনশুমারির সময় অনেকে শহরে থাকায় তারতম্য দেখা যাচ্ছে। আবাসন সংকটের কারণে চিকিৎসকরা কর্মস্থলে থাকেন না। পরিবার আর বিভিন্ন সুবিধার কারণে তারা শহরে থাকেন। কর্মক্ষেত্র চিন্তা করলে শহরের তুলনায় গ্রামে চিকিৎসক বেশি।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চট্টগ্রামে করোনায় কেড়ে নিল আরও দুইটি প্রাণ।

চট্টগ্রামে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত নারীসহ দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এদের একজনের বয়স ৮০ বছর এবং নারীর বয়স ৯৫ বছর। তারা বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন বলে জানা গেছে। চলতি মাসে সংক্রমণ শুরুর পর এ নিয়ে চট্টগ্রামে করোনায় মোট ছয়জনের মৃত্যু হলো। সোমবার চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত শনিবার (২১ জুন)

বিকেলে নগরীর অ্যাপোলো ইমপেরিয়াল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন- কাজী আব্দুল আউয়াল (৮০) ও রাবেয়া খাতুন (৯৫)।
চট্টগ্রাম নগরীর ফিরিঙ্গিবাজার এলাকার বাসিন্দা ছিলেন রাবেয়া খাতুন। নোয়াখালী জেলায় বাড়ি হলেও আব্দুল আউয়াল চট্টগ্রাম নগরীতেই বসবাস করতেন।বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন

অবস্থায় তারা করোনায় আক্রান্ত হন বলে জেলা সিভিল সার্জন জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছেন।এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় নগরীর বিভিন্ন ল্যাবে ১২০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে চারজনের শরীরে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে তিনজন চট্টগ্রাম নগরীর বাসিন্দা।
এ নিয়ে চট্টগ্রামে মোট ৭৮ জন করোনায় আক্রান্ত হলেন আর ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে ৬৯ জনই নগরীর বাসিন্দা। মৃত ছয়জনের মধ্যে তিনজন নগরীর এবং তিনজন বিভিন্ন উপজেলার।

চট্টগ্রামে চোখ রাঙাচ্ছে করোনা, আরো দুইজনের মৃত্যু।

চট্টগ্রামে ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে একজন ১৪ বছর বয়সী কিশোর। এ নিয়ে চট্টগ্রামে করোনায় চারজনের মৃত্যু হল। রোববার চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের এক প্রতিবেদনে গত ২৪ ঘন্টায় দুজনের মৃত্যুর পাশাপাশি আরও ১২ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার তথ্য দেয়া হয়েছে। এ নিয়ে চট্টগ্রামে মোট ৭৪ জন করোনায় আক্রান্ত হলেন, যার মধ্যে চারজনের মৃত্যু হয়েছে।

জেলা সিভিল সার্জন জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, ২৪ ঘন্টায় মৃত দুজন হলেন- মো. এরশাদ (১৪) ও ইয়াসমিন আক্তার (৪৫)।কিশোর এরশাদের বাড়ি চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায়। প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট নিয়ে গত শুক্রবার তাকে চট্টগ্রাম সরকারী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। পরীক্ষায় তার শরীরে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়। আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার তার মৃত্যু হয়েছে।

হৃদরোগ এবং কিডনি জটিলতা নিয়ে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় এরশাদ কোভিড আক্রান্ত হন বলে সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

এছাড়া মৃত ইয়াসমিনের বাড়ি চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলায়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিনি আগে থেকে যক্ষ্মা রোগে ভুগছিলেন। কোভিড পজেটিভ হিসেবে শনাক্ত হওয়ার পর তাকে শনিবার চট্টগ্রাম সরকারী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে ভর্তির পরেই আইসিইউতে তার মৃত্যু হয়েছে।রক্তে সংক্রমণজনিত কার্ডিয়াক শকে ইয়াসমিনের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ আছে।

এর আগে, শনিবার (২১) আগের ২৪ ঘন্টায় নগরীর বাকলিয়ার বাসিন্দা ৭১ বছর বয়সী এক নারীর মৃত্যুর তথ্য দিয়েছিল সিভিল সার্জনের কার্যালয়।এদিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ ১২টি ল্যাবে ২৫৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে গত ২৪ ঘন্টায় ১২ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে ১১ জনই চট্টগ্রাম নগরীতে বসবাস করেন।এ নিয়ে সরকারি হিসেবে চট্টগ্রামে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৭৪ জনে, যার মধ্যে ৬৬ জনই নগরীর বাসিন্দা।মৃত চারজনের মধ্যে একজন নগরীর এবং তিনজন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ