আজঃ মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল, ২০২৫

সিলেট:

বন্যার ছোবলে ক্ষত বিক্ষত ওসমানীনগরবাসী সংবর্ধনা ও ভুরিভোজে ব্যস্ত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ

আতাউর রহমান কাউছার প্রতিনিধি ওসমানী নগর সিলেট:

ওসমানী নগর:

ওসমানীনগরে যখন চারদিকে বন্যার অথৈ জল। চরম দুর্ভোগে দিন-রাত পার করছেন উপজেলার সোয়া দুই লাখ বন্যা কবলিত মানুষ ঠিক সেই মুহুর্তে উপজেলা হাসপাতালে কর্মকর্তা বরণ ও বিদায় সংবর্ধনা এবং ভুরিভোজ নিয়ে ব্যস্ত দিন পার করলেন ওসমানীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা, কর্মচারীরা।

বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ পেলে অনেকেই বিরূপ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।
জানা গেছে, ঈদের আগ থেকে বন্যা কবলিত হয়ে চরম দুর্ভোগে রয়েছেন ওসমানীনগরের সোয়া দুই লাখ মানুষ। বাড়ি ঘরে পানি থাকায় অসংখ্য পরিবার আশ্রয় নিয়েছে আশ্রয় কেন্দ্রে। ত্রাণ অপ্রতুলতার কারণে খাদ্য সকটে রয়েছেন বন্যা কবিলতরা। সমাজের সকল স্তরের মানুষ বন্যা কবলিত মানুষের পাশে থেকে শুকনা খাবার ও রান্না করা খাবার বিতরণ করে যাচ্ছেন। ঠিক সেই মুহুর্তে গত বুধবার নবাগত উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে বরণ, দুই জন ডাক্তারের বিদায়, একজন স্বাস্থ্য পরিবদর্শক ও একজন স্বাস্থ্য সহকারির বিদায় উপলক্ষে জাকঝমকপূর্ণভাবে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিদায় সংবর্ধনা ও ভুরিভোজের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে হাসপাতাল ও মাঠ পর্যায়ের প্রায় দেড়’শ কর্মকর্তা-কর্মচারী অংশ নেন। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন সিলেট বিভাগের বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডাঃ মোঃ আনিসুর রহমান এবং বিশেষ অতিথি হয়ে আসেন সিভিল সার্জন ডা. মনিসর চৌধুরী। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পরিচালক ডা. নুরে আলম শামীম, সিলেট সদরের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. রাহিল, বিশ্বানাথের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. দেলোয়ার হোসেন সুমনসহ অনেকে।

দিন ব্যাপী অনুষ্ঠানে সিলেট থেকে বাবুর্চী এনে চলে খাবারের আয়োজন। প্রায় দেড় শ জনের খাবারের জন্য রান্না করা হয় মোরগ ভোনা, রুই মাছ ভাজা, চিংড়ি ভোনা, আলু ও বেগুন ভর্তা, মুরিগণ্ট, ডাল। সাথে ছিল দই ও সফট ড্রিঙ্ক। খাবারের জন্য মঙ্গলবার রাতে হাসপাতালের তৃতীয় তলার দুটি কক্ষে ডেকোরেটার্স থেকে চেয়ার টেবিল এনে সাজানো হয়। বেলুন দিয়ে সাজানো হয় অনুষ্ঠান কক্ষের মূল ফটক। সব মিলিয়ে বড় অঙ্কের টাকা খরচ করে আয়োজনটি করা হয়।
বিষয়টি ছবিসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ পেলে অনেকেই এই আয়োজনের বিরূপ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।

শিব্বির আহমদ নামের একজন লিখেন, ‘১১ পদের খাবার থেকে যদি ৫ পদের খাবার বন্যা কবলিত মানুষের কাছে বিতরণ করা হতো তাহলে ভালো হতো। যারা বন্যা কবলিত আছেন একমাত্র তারাই বলতে পারবেন কতটা কষ্টে আছেন। এই ছবিগুলো দেখে বড় কষ্ট লাগের ভাই’।
জয়ন্ত নামের একজন লিখেন, ‘উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স আনন্দ করে। পানির জন্য উপজেলার সাধারণ মানুষ কষ্ট করে’।

সাংবাদিক উজ্জ্বল দাশ লিখেন, ‘উনাদের মানবতা নির্বাসনে, তাইতো এমন আয়োজন’।
এব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাইনুল আহসান বলেন, গত বুধবার আমাদের সমন্বয় সভা ছিল। ওই অনুষ্ঠান শেষে অবসর জনিত কারণে দুইজন এবং বদলিজনিত কারণে দুইজন ডাক্তারকে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়েছে। ব্যক্তিগত উদ্যোগে অনুষ্ঠানের সকলের জন্য খাবারের আয়োজন করা হয়েছিল। বন্যার্তদের জন্য প্রতিদিন মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন বলেও জানান তিনি।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সাথে মধ্যাহ্নভোজে দুই উপদেষ্টা সমাজের মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনার ওপর গুরুত্বারোপ।

একটি নিরাপদ আশ্রয় ও সুন্দর ভবিষ্যৎ সকল শিশুর অধিকার’’ প্রতিপাদ্য নিয়ে পথশিশুদের সমাজ ও রাষ্ট্রের মূলধারায় ফেরাতে করণীয় বিষয়ে এক আলোচনা সভা আজ নগরীর মেট্রোপলিটন শুটিং ক্লাবে অনুষ্ঠিত
হয়।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বীর প্রতীক সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করনে। মহিলা ও শিশু বিষয়ক এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ এ সভার আয়োজন করে।

উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বলেন, সমাজের একটি শ্রেণিকে বঞ্চিত রেখে সুন্দর সমাজ গঠন সম্ভব নয়। আজকের এ আয়োজনের কারণে তারা আমাদের সাথে মিশতে পেরেছে, মনের অনুভ‚তি প্রকাশ করতে পেরেছে। আমরা চাই তাদেরকে হৃদয়ের উত্তাপে আপন করে নিতে। কারণ আমরা সবাই এদেশের মানুষ, মৌলিক অধিকার পাওয়ার অধিকার আমাদের সকলের। সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার নিশ্চিতে সরকারও বদ্ধপরিকর। শিক্ষা, খেলাধূলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার মাধ্যমে তাদের সমাজের সাথে আরো বেশি সম্পৃক্ত করতে হবে।

উপদেষ্টা কবিতার পঙতি উল্লেখ করে বলেন, “আমি যারে পশ্চাতে রেখে এসেছি, সে আমারে পশ্চাতে টানিছে”। সমাজ যাদের হাতে নিরাপদ হবে, যাদের হাতে স্বাবলীল থাকবে, যাদের দ্বারা সমাজ প্রস্ফুটিত হবে তাদেরকে আমরা পিছনে ফেলে এসেছি। তাদের জন্য না রেখেছি খেলাধূলার সুযোগ ও স্নেহ-ভালবাসা, না রেখেছি জীবিকা সহায়ক আয়োজন। সমাজের এ পরিত্যাজ্যতা পথশিশুদের মনে সংক্ষুব্ধতা তৈরি করেছে বলে আমি মনে করি। যখন তারা প্রতিবাদী হয়েছে বা অপরাধের সাথে


জড়িত হয়েছে, পুলিশ আইন-শৃঙ্খলার প্রেক্ষাপট দেখিয়ে তাদের সংযত করার চেষ্টা করেছে। তাই আমি মনে করেছি, প্রথমে পুলিশকেই তাদের হৃদয়ের কাছাকাছি পৌঁছাতে হবে। তবেই তাদের প্রথমিক ভীতিটা কেটে যাবে, তারা যে সমাজের মূলস্রোতে সম্পৃক্ত সেটা অনুধাবন করতে সক্ষম হবে। তবেই সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মান সম্ভব হবে।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, যে দেশ শিশুদের সুরক্ষিত রাখতে পারেনা, সে দেশকে আমরা সফল বলতে পারি না। আমার দৃষ্টিতে বাংলাদেশ হতে হবে শিশুদের জন্য। তিনি বলেন, দরিদ্র শিশুদের বিনামূল্যে সরকারি স্কুলে শিক্ষা, বসবাসের জায়গা করে দেয়া, সুস্বাস্থ্যের জন্য চিকিৎসার ব্যবস্থা করা এবং তাদের জীবনমান উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সরকারের পাশাপাশি এলাকার কমিউনিটির মাধ্যমে সবাইকে সম্মিলিতভাবে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে। তাহলে সারা পৃথিবী জানবে বাচ্চারা নিরাপদ, বাচ্চারা সুস্থ এবং বাচ্চারা গড়ে উঠেছে একটি দায়িত্বশীল পরিমণ্ডলে।

মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ এর সভাপতিত্বে চসিক মেয়র ডাঃ শাহাদাত হোসেন, বিভাগীয় কমিশনার ড. মো: জিয়াউদ্দীন, ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ শামছুল আলম, চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি আহসান হাবীব পলাশ, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী নুরুল করিম, দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক প্রমূখ বক্তৃতা করেন।

বদলে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

হা, বাংলাদেশের বেশ কিছু পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। তবে সে পরিবর্তনের পিছনে কাজ করছেন কে??? কি কারণে একের পর এক সাফল্য আসছে?? বিদেশি বড় বড় বহু জাতিক কোম্পানি গুলো বাংলাদেশে তাদের বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তারা ইকোনমিক জোন তৈরি করতে চাচ্ছে বাংলাদেশে। এদেশে শিল্প কারখানা হলে তো, আমাদের লাভ হবে। আমরা কর্ম সংস্থান পাব। আমার ভাই, বোনেরা সেখানে কাজ

পাবে। বর্তমানে বিডা ও বেজার নির্বাহী দায়িত্বে আছেন আশিক চৌধুরী। শুধু মাত্র আমাদের দেশের মানুষের পাশে দাড়ানো জন্য এই আশিক চৌধুরী সিংগাপুরের এইচ, এস, বি, সি ব্যংকের চাকরি ছেড়ে দিয়ে, আমাদের কিছু দেয়ার জন্য এসেছেন।

বাংলাদেশে স্টারলিং নতুন যুগের সুচনা করেছেন। নাসার সঙ্গে বাংলাদেশের প্রযুক্তিগত সহযোগিতার চুক্তি হয়েছে। চার টি আন্তর্জাতিক মানের আধুনিক হাসপাতাল বিদেশী বিনিয়োগে তৈরির জন্য উদ্যোগ চলছে। দশটি ইকোনমিক জোন তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। ঢাকা চট্টগ্রাম রুটে বুলেট ট্রেন চালুর জন্য বৈদেশিক বিনিয়োগ সংগ্রহের কাজ চলছে।সরকারী ভাবে বাংলাদেশে প্রথম, অল্প মূল্য ঔষধ বিক্রির জন্য ফার্মেসী হচ্ছে। তিন কোটি মানুষের কর্মসংস্থান হবে এ, সব সম্পন্ন হলে।

ইতিপূর্বে এসব দেখা য়ায় নাই বাংলাদেশে। সত্যিকার ভাবেই বদলে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আর এ সব কিছুর সাফল্যের , একমাত্র কারিগর আমাদের, মাননীয়, প্রধান উপদেষ্টা, শ্রদ্ধেয় ড: মোহাম্মদ ইউনুস। নতুন ইতিহাস গড়তে যাচ্ছেন তিনি।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ