আজঃ শুক্রবার ৫ ডিসেম্বর, ২০২৫

‘এ্যাডভান্সড টেকনোলজী সলিউশন এক্সপো ২০২৩’

শীর্ষ গ্লোবাল ইলেকট্রনিক্স প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন দেশে উৎপাদন করছে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচারের ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ফ্রিজ, টিভি, এসি, কম্প্রেসর, ওয়াশিং মেশিন, ওভেন, ফ্যান, রাইস কুকার, ব্লেন্ডার, এলইডি লাইট, ল্যাপটপ, কম্পিউটার, মোবাইল ফোনসহ অসংখ্য ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্য। এসব পণ্যের আনুষঙ্গিক যন্ত্রাংশের পাশাপাশি পিসিবি, মাদারবোর্ড, মোল্ড অ্যান্ড ডাই, নাট-বোল্ট, স্ক্রুসহ ৫০ হাজারেরও বেশি ইন্ডাস্ট্রিয়াল ম্যাটেরিয়ালস ও কম্পোনেন্টস উৎপাদন করছে ওয়ালটন। যার অধিকাংশই প্রায় সকল প্রকার শিল্প প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন ধাপে ব্যবহৃত হচ্ছে। ইতোমধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এসব পণ্য রপ্তানি করছে ওয়ালটন। তবে বিশ্ববাজারে এসব পণ্যের ব্যাপক চাহিদা থাকায় রপ্তানি আরো বৃদ্ধির অপার সম্ভাবনা রয়েছে।

তাই বিশ্বের সকল শিল্পোদ্যাক্তা ও ক্রেতাদের নিকট ওয়ালটন উৎপাদিত ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক্স, প্রযুক্তিপণ্য, ইন্ডাস্ট্রিয়াল সলিউশনস, ম্যাটেরিয়ালস ও কম্পোনেন্টসসমূহ তুলে ধরার মাধ্যমে আমদানি নির্ভরতা হ্রাস করে বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ের পাশাপাশি রপ্তানি আয় আরো বৃদ্ধির লক্ষ্যে দেশে প্রথমবারের মতো ‘ইন্টারন্যাশনাল এ্যাডভান্সড কম্পোনেন্টস অ্যান্ড টেকনোলজি এক্সপো-২০২৩’ শীর্ষক তিন দিনব্যাপী এক বৃহৎ আন্তর্জাতিক শিল্প মেলা আয়োজন করা হচ্ছে।

ওয়ালটনের এ্যাডভান্সড টেকনোলজি সলিউশনস বিভাগ আন্তর্জাতিক এই বৃহৎ শিল্প মেলা আয়োজন করছে। রাজধানীর আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টার বসুন্ধরা হল-১ এ আগামী ১০ আগস্ট, ২০২৩ তারিখে শুরু হয়ে ‘ইন্টারন্যাশনাল এ্যাডভান্সড কম্পোনেন্টস এন্ড টেকনোলজি এক্সপো-২০২৩’ চলবে ১২ আগস্ট পর্যন্ত। মেলায় অংশগ্রহণ করতে আগ্রহী শিল্পোদ্যাক্তা, ক্রেতা, দর্শণার্থীদের জন্য চলছে রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম। আগ্রহীগণ যঃঃঢ়ং://ধঃং.ধিষঃড়হনফ.পড়স এই ওয়েব পেজে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন।

আন্তর্জাতিক এই মেগা শিল্প মেলা আয়োজন প্রসঙ্গে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি.’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও গোলাম মুর্শেদ বলেন, এ্যাডভান্সড টেকনোলজি সলিউশন এক্সপো আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহকে আমদানি বিকল্প গুণগতমানের কম্পোনেন্টস, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ম্যাটেরিয়ালস ও টেস্টিং সলিউশনস প্রদানের মাধ্যমে দেশীয় শিল্পের ক্ষমতায়ন বৃদ্ধি, শিল্পখাতের প্রবৃদ্ধি শক্তিশালী করা, দেশের আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে দেশের বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ের পাশাপাশি রপ্তানি আয় বৃদ্ধির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকে আরো সুসংহত করা এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের অগ্রগতিকে বেগবান করা।

তিনি আরো জানান, এটিএস এক্সপো হবে বাংলাদেশে একক কোনো প্রতিষ্ঠানের প্রথম সর্ববৃহৎ আন্তর্জাতিক শিল্প মেলা। এতে একই ছাদের নিচে সমাহার ঘটবে পরিবেশবান্বব গ্রিন প্রযুক্তির এনার্জি সেভিং সকল ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক্স, হোম ও কিচেন অ্যাপ্লায়েন্স পণ্যসামগ্রী, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ম্যাটেরিয়ালস, কম্পোনেন্টস, টেস্টিং ল্যাব, ফ্যাসিলিটি ও মেশিনারিজসহ এ্যাডভান্সড টেকনোলজি সলিউশন। দেশি-বিদেশি সম্মাণিত ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণে এই মেলা প্রতিবছর আয়োজন করা হবে। দেশের বাইরেও এই ধরণের প্রদর্শনী আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে।

জানা গেছে, গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্সে ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্যের পাশাপাশি উৎপাদিত হচ্ছে মোল্ড অ্যান্ড ডাই, ফাসেনার, পিসিবি, মাদারবোর্ড, মাস্টারব্যাচ ইত্যাদি ইন্ডাস্ট্রিয়াল ম্যাটেরিয়ালস ও কম্পোনেন্টস। এসব ম্যাটেরিয়ালস ও কম্পোনেন্টস প্রায় সকল প্রকার ছোট, মাঝারি ও ভারী শিল্পে প্রধান কাঁচামাল হিসেবে বিভিন্ন ধাপে ব্যবহৃত হয়। ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্টসের পাশাপাশি ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্সে গড়ে তোলা হয়েছে দেশের সর্ববৃহৎ রিসার্চ এন্ড ইনোভেশন সেন্টার, নাসদাত-ইউটিএসসহ বেশকিছু আন্তর্জাতিকমানের টেস্টিং ল্যাব। যা কিনা দেশের অন্যান্য শীর্ষস্থানীয় শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহের উৎপাদিত পণ্যের টেস্টিং সলিউশনসকে আরো সহজতর করবে।

উল্লেখ্য দেশের বাজারে শীর্ষস্থান বজায় রাখার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারেও ওয়ালটন একটি সুদূঢ় অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। বর্তমানে ওয়ালটন পণ্যসামগ্রী এশিয়া, ইউরোপ, আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার ৪০টিরও বেশি দেশে রপ্তানি হচ্ছে।

ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্সে স্থাপিত আন্তর্জাতিকমানের টেস্টিং ল্যাব নাসদাত-ইউটিএস (ইউনিভার্সাল টেস্টিং ল্যাব) বাংলাদেশ অ্যাক্রিডিটেশন বোর্ড (বিএবি) কর্তৃক সনদপ্রাপ্ত। বিএবি’র অ্যাক্রিডিটেশনপ্রাপ্ত টেস্টিং প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে পণ্যের গুণগতমান সম্পর্কে যে রিপোর্ট দেয়া হয় তা ইন্টারন্যাশনাল ল্যাবরেটরি অ্যাক্রিডিটেশন কোঅপারেশন (আইলাক) ও এশিয়া-প্যাসিফিক ল্যাবরেটরি অ্যাক্রিডিটেশন কোঅপারেশন (অ্যাপলাক) এর সদস্যভুক্ত দেশগুলোতে সরাসরি গ্রহণযোগ্য। তাই নাসদাত-ইউটিএস ল্যাবে পরীক্ষাকৃত পণ্যের টেস্টিং রিপোর্ট বিশ্বের বিভিন্ন দেশের টেস্টিং সরকারি মান যাচাই সংস্থা কর্তৃক সরাসরি গৃহীত হচ্ছে। এরই প্রেক্ষিতে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নাসদাত-ইউটিএস থেকে তাদের পণ্যের মান যাচাই করতে পারছেন।

সূত্রমতে, এটিএস এক্সপোতে পণ্য প্রদর্শিত হবে ৪টি ক্যাটাগরিতে। টেস্টিং সলিউশনস, সার্ভিসেস, প্রোডাক্ট ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল ম্যাটেরিয়ালস ও কম্পোনেন্টস। টেস্টিং সলিউশনস এ থাকবে আন্তুর্জাতিকমানের বেশকিছু টেস্টিং ল্যাব। যেমন: ক্যাবল ও ওয়্যার ল্যাব, নয়েজ টেস্টিং ল্যাব, এলইডি ল্যাব, নাসদাত-ইউটিএস, প্রেসিসং ইঞ্জিনিয়ারিং ল্যাবরেটরি, প্রোডাক্ট কোয়ালিটি কন্ট্রোল ল্যাব, ওয়ালটন সাইন্স রিসার্চ ল্যাব ও ওয়ালটন ম্যাটালারজিক্যাল এনালাইসিস ও রিসার্চ ল্যাব।

মেলায় সার্ভিসেস ক্যাটাগরিতে থাকবে কন্সট্র্যাকশন সার্ভিস, মোল্ড অ্যান্ড ডাই, পাওয়ার-প্রেস, রেফ্রিজারেটর ও এসএমটি (সারফেস মাউন্টিং টেকনোলজি)।

প্রোডাক্ট ক্যাটাগরিতে প্রদর্শিত হবে ফ্রিজ, টিভি, এয়ার কন্ডিশনার, ফাসেনার, পিসিবি, হোম ও কিচেন অ্যাপ্লায়েন্সেস, কেমিক্যাল, মাস্টারব্যাচেস, মোল্ড অ্যান্ড ডাই, আইটি প্রোডাক্টসহ ইত্যাদি।

এটিএস মেলায় ইন্ডাস্ট্রিয়াল ক্যাটাগরিতে থাকবে দেশের বিভিন্ন ফরওয়ার্ড লিংকেজ শিল্পখাতে কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত প্রধান কম্পোনেন্টস। যা কিনা এ্যাগ্রো, অটোমোবাইলস, সিমেন্ট, সিরামিকস, কেমিক্যাল, কসমেটিকস, ডিজিটাল, ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিক্স, ফার্মাসিউটিক্যালস, গ্লাস, হেভি-ভেহিক্যালস অ্যান্ড এয়ার কন্ডিশনিং, আইওটি, আইটি, লেদার, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, প্লাস্টিক, প্রিন্টিং অ্যান্ড পাবলিকেশনস, গার্মেন্টস, পাইকারি ও ট্রেডিং বিজনেস ইত্যাদি শিল্পখাতে ব্যবহৃত হয়।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চুয়েটে শুরু হচ্ছে দুইদিনব্যাপী আর্ন্তজাতিক কনফারেন্স।

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর স্থাপত্য বিভাগ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এর স্থাপত্য বিভাগের গ্রিন আর্কিটেকচার সেল এর যৌথ উদ্যোগে আগামী ৪-৫ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দুইদিনব্যাপী আর্ন্তজাতিক কনফারেন্স। এ উপলক্ষে মঙ্গলবার স্থাপত্য বিভাগের জুরি কক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কনফারেন্স সেক্রেটারি ও চুয়েটের স্থাপত্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. সজল চৌধুরী।

এতে উপস্থিত ছিলেন কনফারেন্স কো-চেয়ার ও চুয়েটের স্থাপত্য বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জনাব কানু কুমার দাশ। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন স্থাপত্য বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জনাব সজীব পাল, সহকারী অধ্যাপক ড. নুসরাত জান্নাত এবং জনাব সাঈদা তাহমিনা তাসনিম।

উল্লেখ্য, স্থাপত্য বিভাগের উক্ত কনফারেন্সে অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, নেদারল্যান্ডস সহ বিভিন্ন দেশ থেকে শীর্ষস্থানীয় একাডেমিশিয়ান, স্কলার্স ও রিসার্চারগণ অংশ নিবেন। এতে ২জন কী-নোট স্পিকার উপস্থিত থাকবেন। এই কনফারেন্সে মোট ১৬টি টেকনিক্যাল সেশন অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া আরও থাকবে পোস্টার প্রদর্শনী, একটি যৌথ আন্তর্জাতিক পিএইচডি রিসার্চ সেমিনার এবং এনভায়রনমেন্ট আর্কিটেকচার এর উপর ৫টি প্যারালেল কর্মশালা। বিভিন্ন দেশ থেকে ৬টি পিএইচডি গবেষণা উপস্থাপিত হবে।

কনফারেন্সে মোট ১৫০টি পেপার জমা পড়ে, এর মধ্যে ২দিনে ১৬টি সেশনে ৮০টির অধিক পেপার উপস্থাপিত হবে এবং ৪০টির অধিক পোষ্টার উপস্থাপিত হবে। কনফারেন্স উপলক্ষ্যে স্থাপত্য বিভাগে দুইদিনব্যাপী স্থাপত্য প্রজেক্ট এক্সিবিশিন করা হবে। এতে স্পন্সর হিসেবে থাকবেন নিপ্পন পেইন্ট, বিএসআরএম, সেভেন রিংস সিমেন্ট, ডিবিএল, বাংলাদেশ ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফাইন্যান্স ফান্ড লিমিটেড (বিআইএফএফএল), স্টেলা-লাক্সারি স্যানিটারি ওয়্যার, টেকনো আর্ট সফটওয়্যার ও নেস্টলে।

আগামী ৪ ডিসেম্বর, সকাল ১০ টায় চুয়েটের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন চুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূইয়া। এতে কনফারেন্সে চেয়ার হিসেবে থাকবেন বুয়েটের স্থাপত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ আশিকুর রহমান জোয়ারদার, কনফারেন্স কো-চেয়ার হিসেবে থাকবেন চুয়েটের স্থাপত্য বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কানু কুমার দাশ এবং কনফারেন্স সেক্রেটারি হিসেবে থাকবেন চুয়েটের স্থাপত্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. সজল চৌধুরী।

বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে : চুয়েট ভিসি

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূইয়া মহোদয় বলেছেন, বিশ্বব্যাপী দ্রুত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তির বাজারে পৃথিবী আজ অনেক চাহিদাসম্পন্ন। নেটওয়ার্কিং, মেশিন লার্নিং, আর্টিফিশিয়াল ইন্টালিজেন্সসহ প্রযুক্তিভিত্তিক সবকিছুর বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশ এই অগ্রযাত্রায় অংশগ্রহন করে এগিয়ে যাচ্ছে। তথ্য ও প্রযুক্তির এই যুগে ইলেক্ট্রনিক্স এন্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইটিই) বিভাগ হল আধুনিক জীবনের রপ্তধারা।

দ্রুত পরিবর্তনশীল এই খাতে যারা যুক্ত হচ্ছে তারা প্রযুক্তি নির্ভর বিশ্ব গড়ে তুলতে নেতৃত্ব দিবে। তিনি আরও বলেন, চুয়েটের ইটিই বিভাগের এই ধরণের কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের শিক্ষা, অভিজ্ঞতা, গবেষণা এবং উদ্ভাবনী দক্ষতাকে সমৃদ্ধ করে ভবিষ্যতে টেকনোলজি লিডার হিসেবে তৈরী করতে সহায়ক হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

রোববার চুয়েটের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে ইলেকট্রনিক্স এন্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইটিই) বিভাগের উদ্যোগে “টেলিভার্স ১.০” শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট)-এর সাবেক প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. শেখ শরিফুল আলম, চুয়েটে কেন্দ্রীয় গবেষণা পরীক্ষাগার (ইউসিআরএল) এর পরিচালক ও ইইই বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আহসান উল্লাহ এবং বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী গোলাম হায়দার তালুকদার।

এতে সভাপতিত্ব করেন ইলেকট্রনিক্স এন্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ এর বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মোঃ জাহেদুল ইসলাম। এসময় আরও বক্তব্য রাখেন ইটিই বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ আজাদ হোসেন এবং অনুষ্ঠানের কনভেনার ও ইটিই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জনাব মোঃ ফরহাদ হোসেন।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ইটিই ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী মিশু মিত্র জেকি, ২১ ব্যাচের শিক্ষার্থী নাবিলা সুলতানা, নিশাত সায়েরা, মো: হাসিবুল ইসলাম জিহাদ ও ২৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী মিনহাজুর রহমান হাসিব।
উল্লেখ্য, ইটিই বিভাগের উক্ত অনুষ্ঠানটি গত ২০ নভেম্বর শুরু হয়। অনুষ্ঠানে ৪টি জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতে অনুষ্ঠিত হয়। এতে দেশের মোট ৩৪ টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৩০০ এর অধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠান শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিরতণ করা হয়। এরপর “টেলিটেলস” ম্যাগাজিন এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ