আজঃ বৃহস্পতিবার ১২ জুন, ২০২৫

চট্টগ্রামে ক্ষুরা রোগেক্রান্ত দেড় হাজার গরু

এম মনির চৌধুরী রানা চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে দেখা দিয়েছে মহামারী আকারে গরুর ক্ষুরা রোগের প্রাদুর্ভাব। এনিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন গরুর পালন পালনকারী কৃষকেরা। উপজেলার প্রাণি সম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে গত দেড় মাসে ১৫০০ পশুকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের রেজিস্ট্রারের তথ্যানুযায়ী গত ১৭ মে থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত চিকিৎসা পেয়েছে ক্ষুরা রোগাক্রান্ত ১হাজার ৪১৪টি পশু। উপজেলার শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়নে খামারি সুজন পাল বলেন, খামারের ১৩টি গরুর মধ্যে ৫ দিন পূর্বে ক্ষুরারোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ১টি ষাঁড়। ষাঁড়টির বাজার মূল্য লক্ষাধিক টাকা হবে। কোরবানি ঈদের ৩ দিন পূর্বে একই রোগে মারা গিয়েছিলো ৭৫ হাজার টাকা দামের ১টি বকনা। বর্তমানে ১টি বাছুর অসুস্থ হওয়ায় চিকিৎসা চলছে। কানুনগোপাড়ার কৃষক মো.আবচারের ২৬ দিনের গরুর বাচ্চাটিও মারা গেছে গত বুধবার (৩ জুলাই)।
জানা গেছে, ক্ষুরারোগে আক্রান্ত হয়ে গত দুই সপ্তাহে এ রোগে মারা গেছে ১০টির বেশি গরু। ক্ষুরা রোগের কারণে পশুর গলা ফুলাসহ নানা ধরনের উপসর্গ দেখা দিচ্ছে বলে জানান কৃষকরা। এছাড়া পশুর গায়ে গোলাকৃতির পক্সেও (লাম্পি স্ক্রিন) আক্রান্ত হচ্ছে। বোয়ালখালীর শ্রীপুর, আমুচিয়া, করলডেঙ্গা, সারোয়াতলী, চরখিজিরপুর গ্রামের প্রান্তিক কৃষকেরা বলছেন, ক্ষুরা রোগের চিকিৎসা ব্যয় বেশি। চিকিৎসকের পরামর্শ পেলেও ঔষধ খরচ অনেক। এ কারণে খামারি ও কৃষকেরা রোগাক্রান্ত গরু স্বল্প মূল্যে মাংস ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছেন। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সেতু ভূষণ দাশ বলেন, কোরবানির ঈদের সময় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে চট্টগ্রামে গরু আসে। এ সময় এই রোগের ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। এ ছাড়া লাম্পি স্ক্রিনে আক্রান্ত হয়ে বড় গরুর চেয়ে বেশির ভাগ বাছুর মারা যাচ্ছে। এজন্য গবাদিপশুর এফএমডি ও লাম্পি স্কিন রোগ নিয়ন্ত্রণে সরকারি বেসরকারিভাবে পর্যাপ্ত পরিমাণে টিকা সরবরাহ জরুরি। তিনি আরও বলেন, আক্রান্ত গরুকে চিকিৎসা ও সুস্থ গরুকে টিকা দানের মাধ্যমে রোগ নিয়ন্ত্রণে মাঠে রয়েছি। প্রান্তিক কৃষক ও খামারিদের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য নানা ধরনের কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। তারপরও অনেকে প্রাণিসম্পদ অফিসের চিকিৎসকদের কাছে আসেন না। স্থানীয় গ্রাম্য হাতুড়ে ডাক্তার দিয়ে পশু চিকিৎসা করাচ্ছেন। এ অপচিকিৎসায় পশু মারা যাচ্ছে। উপজেলা ভেটেরিনারি হাসপাতালে গত ৩ বছর ধরে ভেটেরিনারি সার্জন পদটি শুন্য রয়েছে জানিয়ে এ চিকিৎসক বলেন, দৈনিক শতাধিক রোগাক্রান্ত পশুকে চিকিৎসা দিতে হিমসিম খেতে হচ্ছে। অথচ বোয়ালখালীতে ছোট বড় মিলিয়ে গরুর খামার রয়েছে ১ হাজার ৭৫৭টি।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

লক্ষ্যমাত্রা ৫ হাজার ৮৪৩ মেট্টিক টন চাহিদা-সরবরাহ দুইটাই স্বাভাবিক।

পশু কোরবানীকে সামনে রেখে প্রতি বছর ঈদুল আজহায় লবনের চাহিদা বাড়ে। বিশেষ করে কাঁচা চামড়ার আড়তদাররা ইতোমধ্যে লবন মজুদ করেছেন। এবার লবনের চাহিদা ও সরবরাহ দুইটিই বেশী থাকায় লবনের ঘাটতি হবেনা বলে জানা গেছে।

একই সাথে দামও রয়েছে নিয়ন্ত্রণে।এবার চাহিদা অনুযায়ী লবণের মজুদ প্রয়োজনের চেয়ে বেশি রয়েছে। তাছাড়া অপরিশোধিত লবণের মজুদও পর্যাপ্ত রয়েছে। এদিকে লবণের দামও রয়েছে নিয়ন্ত্রণে। সরকার এ বছর প্রতি কেজি লবণের দাম নির্ধারণ করেছে ১২-১৫ টাকা। তবে বিসিকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মাঠ পর্যায়ে এখন প্রতিমণ লবণ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকায়। মৌসুমের মাঝামাঝি সময়ে এ দর ছিল ২০০ টাকা।

জানা গেছে, চলতি মৌসুমে কক্সবাজারের কুতুবদিয়া, মহেশখালী, সদর, পেকুয়া, চকরিয়া, ঈদগাঁও ও টেকনাফে ৫৯ হাজার ৯৯ একর এবং চট্টগ্রামের বাঁশখালী, আনোয়ারা ও পটিয়ায় ১০ হাজার ৮৯ একর জমিতে লবণ উৎপাদন হয়েছে। চাষির সংখ্যা ৪১ হাজার ৩৫৫ জন। গত বছর একই এলাকায় লবণ উৎপাদন হয় ৬৮ হাজার ৫০৫ একর জমিতে।

বাংলাদেশ লবণ মিল মালিক সমিতির সভাপতি নূরুল কবীর বলেন, এবার লবণ সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই। চামড়া ব্যবসায়ীরা গত মাস থেকেই লবণ নেওয়া শুরু করেছে। প্রায় ৩০ হাজার টনের মতো বিক্রি হয়েছে। চাহিদা বাড়লে অনেক সময় দামও কিছুটা বাড়ে। তবে এবার চাহিদা ও সরবরাহ-দুটোই ভালো রয়েছে। তাই ঈদের সময় লবণের সরবরাহ ও দাম স্বাভাবিক থাকবে। এ বছর চট্টগ্রামে প্রতি বস্তা (৭৪ কেজি) লবণ বিক্রি হচ্ছে ৮১০-৮৫০ টাকায়।

এদিকে লবণের দাম স্থিতিশীল থাকায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন চামড়া ব্যবসায়ীরা। চট্টগ্রাম চামড়া আড়তদার সমিতির সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ মুসলিম উদ্দিন বলেন, লবণের দাম কমায় চামড়া কেনা ও সংরক্ষণে আমাদের সুবিধা হয়েছে। এখন পর্যন্ত চট্টগ্রাম থেকে প্রায় ৫০ শতাংশ লবণ কিনেছি। বাকি লবণ কেনার প্রক্রিয়া চলছে।

বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) তথ্য মতে, চট্টগ্রাম জেলায় কোরবানির পশুর চামড়া সংরক্ষণে লবণের লক্ষ্যমাত্রা ৫ হাজার ৮৪৩ মেট্রিক টন। এবছর লবণ মজুদ আছে ৬ হাজার ৫৮২ মেট্রিক টন। এছাড়া অপরিশোধিত লবণের মজুদ রয়েছে ৬৬ হাজার মেট্রিক টন, যা দিয়ে সারাদেশের লবণের চাহিদার একটি বিরাট অংশ পূরণ করা যাবে।

বিসিক কক্সবাজার লবণ শিল্প উন্নয়ন কার্যালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে লবণ উৎপাদিত হয়েছে ২২ লাখ ৫১ হাজার ৬৫১ টন। গত ২০২৩-২৪ মৌসুমে লবণ উৎপাদিত হয়েছিল ২৪ লাখ ৩৭ হাজার ৮৯০ টন। সরকারিভাবে এ বছর দেশে লবণের চাহিদা ধরা হয়েছে ২৬ লাখ ১০ হাজার টন।

বিসিক চট্টগ্রাম জেলার উপ মহাব্যবস্থাপক এস এম এম আলমগীর জানান, প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী চট্টগ্রামে যে পরিমাণ পশু কোরবানি হবে তার রেশিও অনুযায়ী লবণের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে। সে অনুযায়ী লবণের মজুদ প্রয়োজনের চেয়ে বেশি রয়েছে। ঘাটতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তাছাড়া অপরিশোধিত লবণের মজুদও পর্যাপ্ত রয়েছে।

রাজশাহী অঞ্চলের অত্যন্ত জনপ্রিয় খাবার কালাই রুটি।

রাজশাহী অঞ্চলের অত্যন্ত জনপ্রিয় খাবার এ কালের রুটি । কালায়ের আটা এবং গমের আটা মিশ্রণে এ রুটি তৈরি করা হয় ।রাস্তার পাশে মাঝে মাঝেই দেখা যায় এই কালা রুটির দোকান । সকাল থেকে রাত অবধি চলে এই কালায়ের রুটির দোকান ।

মুরগির মাংস, হাঁসের মাংস, গরুর মাংস, বেগুনের ভর্তা, পেঁয়াজ এগুলো দেয়া হয়, এই কালায়ের রুটির সাথে । অত্যন্ত সুস্বাদু আর আর মজাদার এই কালায়ের রুটি । দূর দুরান্ত থেকে লোক আসে এই কালায়ের রুটি খাবার জন্য ।কেউ আবার বাড়ির জন্য নিয়ে যান । কালায়ের রুটি অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি খাবার । রাজশাহী ,নাটোর, চাপাই গোদাগাড়ী , তানোর, কেশরহাট,

মোটকথা উত্তরাঞ্চলে ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এই কালায়ের রুটির ব্যবসা ।কালায়ের রুটি দোকান করে অনেকেই হয়েছেন স্বাবলম্বী । সন্তানের লেখাপড়া থেকে শুরু করে পুরো পরিবার পরিচালনা করছেন এই কালায়ের রুটির দোকানের করে । অনেক মহিলাদের ও এই পেশায় আসছেন। কালাময়ের রুটির দোকান করে হয়েছেন স্বাবলম্বী ।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ