আজঃ শনিবার ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

নিলফামারী:

বাড়ছে তিস্তার পানি, খুলে দেওয়া হয়েছে ৪৪ জলকপাট বন্যার আশংকা

আনোয়ার হোসেন ডিমলা নিলফামারী:

ডিমলা:

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

টানা ভারি বৃষ্টিপাত আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢালে আবার বাড়ছে তিস্তা নদীর পানি। এতে নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলসহ লোকালয়ে পানি প্রবেশ করায় ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

শনিবার (৬ জুলাই) সকাল ৯টায় নীলফামারী ও লালমনিরহাট জেলায় ডিমলা ও হাতীবান্ধা উপজেলায় অবস্থিত দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানির প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২. ৫ সেন্টিমিটার। যা (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার) বিপদসীমার দশমিক ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

আকস্মিক তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্যা আতঙ্কে উৎকণ্ঠায় দিন যাপন করছে নদী তীরবর্তী এলাকার হাজার হাজার পরিবার। সম্প্রতি টানা ভারি বর্ষণসহ উজানের ঢলে হু হু করে পানি বাড়তে শুরু করেছে তিস্তার পানি। এতে নীলফামারী ও লালমনিরহাট উপজেলার নদী তীরবর্তী চরাঞ্চলসহ লোকালয়ে পানি প্রবেশ শুরু হয়েছে।

তিস্তার পানি বেড়ে যাওয়ায় হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী, দোয়ানী, সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর, সিঙ্গামারি ইউনিয়নের ধুবনী, সিন্দুর্না, চর-সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ীর নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে এবং ডিমলা উপজেলার কিসামত ছাতনাই,বাইশপুকুর,সতির চর,ছাতুনামা, এলাকায় পানি প্রবেশ করায় আবারও ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে।গত তিনঘণ্টায় পানি বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় চরম উৎকণ্ঠায় চরের মানুষ।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডালিয়া পয়েন্টের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফা-উদ দৌলা বলেন, উজানের ঢলে তিস্তার পানি আবার বাড়তে শুরু করেছে। পানির চাপ সামলাতে ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে। টানা বৃষ্টির কারণে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি হয়েছে। এভাবে পানি বাড়তে থাকলে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। বন্যা মোকাবিলায় বিভিন্ন বাঁধ মেরামতের কাজ শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

প্রচন্ড তাপদাহে রাজশাহীর জনজীবন অতিষ্ঠ।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

প্রচন্ড তাঁহাকে রাজশাহীর জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মতো রাজশাহী এবং চুয়াডাঙ্গা জেলায় তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। দেশের অন্যান্য অংশেও মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আবহাওয়া অধিদপ্তর নতুন পূর্বাভাস দিয়েছে।

২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে জানানো হয়, সারা দেশে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে।

রাজশাহী ও চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগসহ রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং রংপুর, দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম ও মৌলভীবাজার জেলায় মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বিরাজ করছে, যা আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। তবে বাকি এলাকায় আবহাওয়া শুষ্কই থাকবে। রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।

তবে বৃষ্টির সম্ভাবনা কিছুটা বাড়তে পারে। ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং অন্যান্য বিভাগগুলোর দু-এক জায়গায় দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এ সময় দিনের তাপমাত্রা ১-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং রাতের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। ফলে তাপপ্রবাহ কিছুটা প্রশমিত হতে পারে।

মঙ্গলবার এবং বুধবারও একই ধারা অব্যাহত থাকবে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আবহাওয়া বেশিরভাগ এলাকায় শুষ্কই থাকবে। সপ্তাহের মাঝামাঝি থেকে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে বা কিছুটা কমতে পারে। এ সপ্তাহের শেষের দিকে বৃষ্টির সম্ভবনা আছে ।

মজমুল হক আলতু মেম্বার শিক্ষা কল্যাণ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে কম্বল বিতরণ

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

নেত্রকাণার প্রতাপপুরের “মজমুল হক আলতু মেম্বার শিক্ষা কল্যাণ ফাউন্ডেশনের” উদ্যোগে দরিদ্র ছাত্র ছাত্রী, এতিম ও অসহায়ের মাঝে শীতবস্ত্র ( কম্বল) বিতরণ করা হয়।

নেত্রকোণা সদর উপজেলার প্রতাপপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে এই শীতবস্ত্র (কম্বল) বিতরণ অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

“মজমুল হক আলতু মেম্বার শিক্ষা কল্যাণ ফাউন্ডেশনের” প্রতিষ্ঠাতা  উক্ত কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানের সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক আজাদ ইমরান এর সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উক্ত প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ও প্রতাপপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মশিউর রহমান, বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের ময়মনসিংহ বিভাগীয় সভাপতি সাংবাদিক শামীম তালুকদার, আব্দুল মান্নান নন্দন, আবুল কালাম, দেলোয়ার হোসেন সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও ছাত্র ছাত্রীদের অভিভাবকবৃন্দ।

“মজমুল হক আলতু মেম্বার শিক্ষা কল্যাণ ফাউন্ডেশনের” উদ্যোগে নেত্রকোণা জেলার সদর উপজেলার ৪নং সিংহের বাংলা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার প্রায় ৩০০শত গরীব ছাত্র ছাত্রী, এতিম ও অসহায় পরিবারের মাঝে শীতবস্ত্র( কম্বল) বিতরণ করা হয়।

“মজমুল হক আলতু মেম্বার শিক্ষা কল্যাণ ফাউন্ডেশন” ২০২০ সাল থেকে বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়ন মূলক ও সামাজিক সহায়তা মূলক কাজ করে আসছে। এলাকার হতদরিদ্র ও অসহায় পরিবারের মধ্যে ঈদ, রোজা ও বিভিন্ন প্রাকৃতিক দূর্যোগে এই ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে নানান ধরনের সাহায্য সহযোগিতা করে থাকেন।

প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ও পরিচালক তাদের বক্তব্যে এই ফাউন্ডেশনের এর মাধ্যমে আগামীতে আরও উন্নয়ন মূলক কাজ অব্যাহত রাখার জন্য সকলের সহায়তা করা হয়।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ