
টানা ভারি বৃষ্টিপাত আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢালে আবার বাড়ছে তিস্তা নদীর পানি। এতে নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলসহ লোকালয়ে পানি প্রবেশ করায় ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
শনিবার (৬ জুলাই) সকাল ৯টায় নীলফামারী ও লালমনিরহাট জেলায় ডিমলা ও হাতীবান্ধা উপজেলায় অবস্থিত দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানির প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২. ৫ সেন্টিমিটার। যা (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার) বিপদসীমার দশমিক ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

আকস্মিক তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্যা আতঙ্কে উৎকণ্ঠায় দিন যাপন করছে নদী তীরবর্তী এলাকার হাজার হাজার পরিবার। সম্প্রতি টানা ভারি বর্ষণসহ উজানের ঢলে হু হু করে পানি বাড়তে শুরু করেছে তিস্তার পানি। এতে নীলফামারী ও লালমনিরহাট উপজেলার নদী তীরবর্তী চরাঞ্চলসহ লোকালয়ে পানি প্রবেশ শুরু হয়েছে।
তিস্তার পানি বেড়ে যাওয়ায় হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী, দোয়ানী, সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর, সিঙ্গামারি ইউনিয়নের ধুবনী, সিন্দুর্না, চর-সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ীর নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে এবং ডিমলা উপজেলার কিসামত ছাতনাই,বাইশপুকুর,সতির চর,ছাতুনামা, এলাকায় পানি প্রবেশ করায় আবারও ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে।গত তিনঘণ্টায় পানি বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় চরম উৎকণ্ঠায় চরের মানুষ।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডালিয়া পয়েন্টের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফা-উদ দৌলা বলেন, উজানের ঢলে তিস্তার পানি আবার বাড়তে শুরু করেছে। পানির চাপ সামলাতে ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে। টানা বৃষ্টির কারণে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি হয়েছে। এভাবে পানি বাড়তে থাকলে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। বন্যা মোকাবিলায় বিভিন্ন বাঁধ মেরামতের কাজ শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।