আজঃ বুধবার ১২ মার্চ, ২০২৫

বানিজ্যিক নগরী:

চট্টগ্রামে নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের গার্ডারধসে ১৩ জন নিহতের মামলায় ৮ জনের ৭ বছর কারাদণ্ড

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

গার্ডারধসে মৃত্যু:

চট্টগ্রাম মহানগরীর চান্দগাঁও থানাধীন বহদ্দারহাটে নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের তিনটি গার্ডার ধসে ১৩ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ৮ জনের ৭ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (১০ জুলাই) দুপুরে চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁঞার আদালত এই রায় দেন।

এর আগে গত ২৫ জুন রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য বুধবার দিন ধার্য করেছিলেন আদালত।

দণ্ডিতরা হলেন- মীর আক্তার অ্যান্ড পারিশা ট্রেড সিস্টেমস (জেভি) বহদ্দারহাট ফ্লাইওভারের প্রজেক্ট ম্যানেজার মো. গিয়াস উদ্দীন, সুপারভিশন ইঞ্জিনিয়ার মো. মনজুরুল ইসলাম, কোয়ালিটি কন্ট্রোল ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল হাই, মো. মোশারফ হোসেন রিয়াজ, ডাইরেক্টর (অ্যাডমিন) প্রকৌশলী মো. শাহজাহান আলী, আব্দুল জলিল, আমিনুর রহমান ও রফিকুল ইসলাম।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী ওমর ফুয়াদ বাংলানিউজকে বলেন, দুইটি তদন্ত কমিটি ও ২২ জনের সাক্ষ্যে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ৮ জন আসামিকে পৃথক ধারায় ৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একটি ধারায় প্রত্যেককে ৫ বছরের কারাদণ্ড ও ৩ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অন্য একটি ধারায় প্রত্যেককে ২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন। রায় ঘোষণার সময় আট আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাদের জামিন বাতিল করে সাজা পরোয়ানা মূলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এস ইউ নুরুল ইসলাম বলেন, আমরা রায়ে সন্তুষ্ট নই। রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, কর্তব্যে অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগ এনে বহদ্দারহাটে নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের গার্ডার ভেঙে প্রাণহানির ঘটনায় প্রকল্প পরিচালক চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) নির্বাহী প্রকৌশলীসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে ২০১২ সালের ২৬ নভেম্বর চান্দগাঁও থানার তৎকালীন উপরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ২৪ অক্টোবর আদালতে ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ১৮ জুন তৎকালীন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ এসএম মজিবুর রহমানের আদালত ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। এ মামলায় আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন ২২ জন। আসামিপক্ষে সাফাই সাক্ষ্য দিয়েছেন ৭ জন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

টিসিবি পণ্য পাচারের সময় আটক ১ জন

রাজশাহী মহানগরীর শিরোইল কলোনি এলাকায় একটি বড় ধরনের টিসিবি পণ্য পাচারের ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয়দের হাতে আটক হয় ডিলারের এক সহযোগী, যার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে টিসিবি পণ্যের কিছু অংশ পাচারের সাথে জড়িত থাকার। স্থানীয়দের অভিযোগ, ডিলার নিজেই এই অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িত, ফলে সাধারণ মানুষ বঞ্চিত হচ্ছেন তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে।

পাচারকৃত পণ্যগুলোর মধ্যে ২ লিটারের ৫ বোতল তেল এবং ৫ কেজি চিনি উদ্ধার হয়। স্থানীয়রা এই পণ্যগুলো পাচার করার সময় হস্তক্ষেপ করেন এবং পরে টিসিবির প্রতিনিধি শফিউল ইসলামের উপস্থিতিতে সেগুলো পুনরায় ট্রাকে তুলে খোলা বাজারে বিতরণ করা হয়। এ ঘটনায় উত্তেজনা সৃষ্টি হলে চন্দ্রিমা থানা বিএনপির সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম জনি পরিস্থিতি শান্ত করেন।

এদিকে, স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, টিসিবির পণ্য বিতরণে স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে এবং ডিলার নিজ এলাকার লোকজন কিংবা আত্মীয়-স্বজনদের মাঝে পণ্য বিতরণ করছেন, ফলে সাধারণ মানুষ এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তারা জানান, রমজান মাসে দীর্ঘ সময় ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও টিসিবি পণ্য না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরতে হচ্ছে।

ঘটনাস্থলে থাকা টিসিবির প্রতিনিধি শফিউল ইসলাম জানান, হাতেনাতে তেল ও চিনি সহ এক ব্যক্তিকে আটক করে স্থানীয়রা। এ বিষয়ে উধ্বর্তন কতৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। তিনি ব্যবস্থা নিবেন। শফিউল ইসলাম বলেন, শিরোইল কলোনি সার গুদাম চত্বরে ৪০০ জনের জন্য টিসিবি পণ্য বরাদ্দ ছিল। এর মধ্যে রয়েছে দুই কেজি ডাল, এক কেজি চিনি, দুই কেজি ছোলা, দুই লিটার তেল ও ৫০০ গ্রাম খেজুর। প্যাকেজ মুল্য ৫৮৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে রিয়াদ এন্টারপ্রাইজের সত্ত্বাধিকারী মো. তোজাম্মেল হোসেন সরকার (তাজেল) বলেন, তিনি অসুস্থ থাকায় সরাসরি পয়েন্টে যাননি এবং পয়েন্ট পরিচালনার দায়িত্ব তিনি লিপি নামক একজন নারী কর্মচারীকে দিয়েছেন। তবে, তিনি এ ধরনের ঘটনার জন্য দায়ী নন বলে দাবি করেছেন।

এ ঘটনায় রাজশাহী ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) আঞ্চলিক উপ-পরিচালক মো. আতিকুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে একটি ভিডিও পেয়েছেন এবং স্থানীয়দের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগও পেয়েছেন। তিনি নিশ্চিত করেন যে, ডিলারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সিএমপি কোতোয়ালি থানার অভিযানে একজন গ্রেফতার

সিএমপি কোতোয়ালি থানার অভিযানে একজন গ্রেফতার হয়েছে।

সিএমপি’র দক্ষিণ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মহোদয় এর সার্বিক দিক-নির্দেশনায়, সহকারী পুলিশ কমিশনার(কোতোয়ালি জোন) এর তত্ত্বাবধানে কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব মোঃ আব্দুল করিম এর নেতৃত্বে ১০ মার্চ এস আই (নিঃ) নওশের কোরেশি , ইনচার্জ আসকার দীঘি পুলিশ ফাঁড়ি, এএসআই( নি:) ,ফিরোজ আলী এএসআই (নিঃ) জসীম উদ্দিন সহ সিআর ৫৭৫/১৭ এর সাজা পরোয়ানাভুক্ত আসামি মো: এনামুল করিম শহীদুল্লাহ (৪৫) পিতা:মৃত সালাম চৌধুরী, সাং- আসকার দীঘির দক্ষিণপাড়, থানা:কোতোয়ালি চট্টগ্রাম কে কোতোয়ালি থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে গ্রেফতার করেন। আসামীকে গ্রেফতার পরবর্তীতে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দকরন প্রক্রিয়াধীন।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ