
বলিউডি ওয়েব সিরিজ ‘মির্জাপুর’ এর কল্যাণে গোলু গুপ্তা’র নাম এখন সবার ঘরে ঘরে পৌঁছে গেছে। অ্যামাজন প্রাইম ভিডিওর জনপ্রিয় এই সিরিজের তৃতীয় মৌসুমের পর গোলু’র জনপ্রিয়তা যেনো আরও তুঙ্গে।
‘মির্জাপুর ২’ সিরিজে অভিনয় করে দর্শকের হৃদয়ে পাকাপাকি জায়গা করে নিয়েছেন শ্বেতা ত্রিপাঠি শর্মা। তবে বাস্তব জীবনেও এই চরিত্রের মতো হয়ে উঠেছিলেন বলে জানিয়েছেন এই অভিনেত্রী। মির্জাপুর এর তিন কিস্তিতে অভিনয় শ্বেতার জন্য ছিল এক লম্বা ভ্রমণ। গোলু’র মতো জটিল এক চরিত্রে অভিনয় করা দারুণ চ্যালেঞ্জিং ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।

তার কথায়, মির্জাপুর ২ থেকে আমি পুরোপুরি চরিত্রটির মধ্যে বাস করতে শুরু করেছিলাম। ওই দুনিয়া থেকে আমি কোনোভাবেই যেনো বের হতে পারছিলাম না। বুঝে উঠতে পারছিলাম না যে আমার সঙ্গে কী ঘটছে! আমার কিছুই যেনো ভালো লাগতো না। আমিও পর্দার চরিত্রের মতো জামাকাপড় পরা শুরু করেছিলাম। সাজগোজ করতে ভুলে গিয়েছিলাম। এই প্রসঙ্গে শ্বেতা তার সহশিল্পী দিব্যেন্দু শর্মার প্রসঙ্গ টেনে আনেন। সিরিজটিতে দিব্যেন্দু মুন্না ত্রিপাঠি’র ভূমিকায় অভিনয় করে দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন।
এই অভিনেতার প্রসঙ্গে শ্বেতা বলেন, আমার মতো অবস্থা দিব্যেন্দু’রও হয়েছিল। দিব্যেন্দু আমাকে জানিয়েছিল, বাস্তবে তিনিও মুন্না’র মতো ব্যবহার করছেন। তখন বুঝতে পারি, আমিও আসলে গোলু’র মতোই জীবন যাপন করছি। জীবনে সবকিছু ঠিকঠাক থাকা সত্ত্বেও আমার কিছুই যেনো ভালো লাগতো না। সমস্যাটা এতটাই গভীরে পৌঁছেছিল, এর থেকে বের হতে আমাকে থেরাপি নিতে হয়েছিল। থেরাপিস্টের সাহায্যে আমি আবার শ্বেতা হয়ে উঠেছিলাম। তৃতীয় মৌসুমের শুটিংয়ে সে সমস্যা হয়নি। তত দিনে আমি চরিত্র থেকে বের হওয়া শিখে গিয়েছি।

মির্জাপুর সিরিজের দুই সহশিল্পী আলী ফজল ও বিজয় ভার্মার প্রসঙ্গে শ্বেতা বলেছেন, সিরিজটিতে আমার অধিকাংশ দৃশ্য আলী ও বিজয়ের সঙ্গে।তাদের দু’জনের সঙ্গে বেশি সময় কাটিয়েছি। দু’জনের সঙ্গেই ভালো বোঝাপড়া তৈরি হয়েছিল। আলীকে আমি ১৩ বছর ধরে চিনি। তাকে ক্রমে উন্নতি করতে দেখেছি।
মির্জাপুর ছাড়াও বিজয়ের সঙ্গে আমি আরও কিছু প্রকল্পে কাজ করেছি। বিজয় মানুষ হিসেবে খুবই ভালো। ইচ্ছা আছে আগামী দিনে বিজয়ের সঙ্গে আরও কাজ করার। গুরমিত সিং পরিচালিত ‘মির্জাপুর ৩’ এ আরও অভিনয় করেছেন পংকজ ত্রিপাঠি, রাজেশ তৈলাংগ, শীবা চাড্ডা, রসিকা দুগল, ঈশা তলওয়ার প্রমুখ।