
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নুরুল ইসলাম বলেন-ছাত্রজনতা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করছিল। সরকার দমন-পীড়ন করে সেটিকে সংঘাত ও সহিংসতার দিকে ঠেলে দিয়েছে। ইন্টারনেট বন্ধ করে,কারফিউ দিয়ে এবং শত শত মানুষকে হত্যা করা হয়েছে।
১৯ জুলাই আমরা কারফিউ ভঙ্গ করে শাটডাউন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছিলাম। রাতে আমাকে তুলে নিয়ে গিয়ে নির্মম অত্যাচার করা হয় এ ঘোষণার জন্য।ডিবি অফিস থেকেও আমাদের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল।আমাদের অনশনের কারণে তা সফল হয়নি।
নিরাপত্তা বাহিনীকেও এর জন্য সহযোগিতা করতে হবে। আওয়ামী সন্ত্রাসীদের রাজপথে দেখা গেলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে এর দায়ভার নিতে হবে।
এবার এরকম পরিস্থিতি হলে কারো জন্যই পরিণতি ভালো হবে না। আমরা এখনও শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের আন্দোলন অব্যাহত রাখতে চাই। আমরা কোনো সহিংসতা, প্রতিহিংসা ও প্রাণনাশ চাই না ৷
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা চাইনা। এখন সংলাপে বসার সুযোগ আর নেই। ক্ষমা চাওয়ার সময়ও পার হয়ে গেছে। যখন সময় ছিল তখন সরকার ব্লক রেইড দিয়ে শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তার করেছে, নির্যাতন করেছে। আখতার হোসেন, আরিফ সোহেলসহ রাজবন্দীদের কারাগারে রেখে আমরা কোনো ধরনের সমঝোতায় যাব না। নুরুল ইসলামের এক পোস্টে সরকারকে সমর্থন না দিয়ে ছাত্র-নাগরিকের পাশে থাকার জন্য নিরাপত্তা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়।