আজঃ শুক্রবার ১৩ জুন, ২০২৫

চট্টগ্রামের চান্দগাঁও এলাকায় বৌদ্ধ বিহার ও মন্দির পরিদর্শনকালে এরশাদ উল্লাহ

প্রেস রিলিজ

পতিত স্বৈরাচারের দোসররা পরিকল্পিতভাবে উপসনালয়গুলোতে হামলা করছে

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্ব এরশাদ উল্লাহ বলেছেন, ছাত্র জনতার বিজয়কে প্রশ্নবিদ্ধ করতে একটি বিশেষ মহল সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপাসনালয় গুলোতে হামলার গুজব ছড়িয়ে রাজনৈতিক ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করছে। পতিত স্বৈরাচারের দোসররা পরিকল্পিতভাবে উপসনালয়গুলোতে হামলা করছে। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার লক্ষ্যে সমাজকে বিভক্ত করাই এই মুহূর্তে তাদের ষড়যন্ত্র। তারা উপাসনালয় গুলোতে নাশকতা সৃষ্টি করে বিএনপিকে দায়ী করার জন্য ষড়যন্ত্র করছে। বিএনপি জনগণকে সাথে নিয়ে সকল ধরনের নাশকতা প্রতিহত করছে। সুন্দরভাবে দেশ পরিচালনার জন্য শান্তিপূর্ণ পরিবেশ খুবই প্রয়োজন। এখন সবাইকে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়সহ ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবার জান মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব।

তিনি রবিবার (১১ আগস্ট) বিকালে চান্দগাঁও ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির ও বৌদ্ধ বিহার পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন।

তিনি কুয়াইশ চান্দগাঁও সার্বজনিন কালী বাড়ী, নাথ পাড়া, বড়বাড়ী, বেপারী পাড়া, বড়ুয়া পাড়া বৌদ্ধ বিহার, শাক্যমুনি বিহার, সাধু পাড়া কালীবাড়ি পরিদর্শন করে তাদের নিরাপত্তার সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি ভিন্ন ধর্মালম্বীদের মন্দির, বৌদ্ধ বিহার ও বাসাবাড়ি এবং বিরোধীমতের সবাইকে বিএনপির পক্ষ থেকে নিরাপত্তা দেওয়ার কথা জানান।

তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি ও পরিবেশের গভীরতা অনুভব করে চট্টগ্রামবাসীকে আবারও সজাগ করতে চাই পতিত স্বৈরাচার ও তার দোসরদের এই ষড়যন্ত্র সম্পর্কে। বিশেষভাবে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সকল নাগরিকদের আহ্বান জানাচ্ছি, এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে যার যার অবস্থান থেকে সামাজিক সচেতনতা ও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে। অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সবাইকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার জন্য দল মত নির্বিশেষে তাদের পাশে দাঁড়াতে চট্টগ্রামবাসীর প্রতি আহ্বান জানায়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপি নেতা শওকত আলী, চান্দগাঁও ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ইলিয়াছ চৌধুরী, মহানগর বিএনপি নেতা আশরাফুল ইসলাম, জাফর আহমদ, নগর ছাত্রদল নেতা খোরশেদ আলম রুবেল, আরিফুল ইসলাম, তারেক রহমান, মো. আজগর, রিকু, বাপ্পি, মো. তৈয়ব, মো. মিরাজ প্রমূখ।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

রাজশাহী বিভাগে সবচেয়ে বেশী কোরবানি হয়েছে।

রাজশাহী বিভাগে সবচাইতে বেশী কোরবানি হয়েছে ।ব্যপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সারাদেশে উদযাপিত হয়েছে মুসলিমদের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। এ উপলক্ষে দেশজুড়ে বিপুলসংখ্যক গবাদিপশু কোরবানি করেছেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। সরকারি হিসাব বলছে, এ বছর সারাদেশে কোরবানি দেওয়া হয়েছে ৯১ লাখেরও বেশি পশু।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্যমতে, ২০২৫ সালের ঈদুল আজহায় কোরবানি দেওয়া হয়েছে মোট ৯১ লাখ ৩৬ হাজার ৭৩৪টি পশু। এর মধ্যে গরু ও মহিষ মিলিয়ে কোরবানি হয়েছে ৪৭ লাখ ৫ হাজার ১০৬টি, ছাগল ও ভেড়া ৪৪ লাখ ৩০ হাজার ৬৬৮টি, আর অন্যান্য পশু ছিল ৯৬০টি।

প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তর জানায়, স্তরায়িত দৈব নমুনা পদ্ধতির (স্ট্র্যাটিফায়েড র‍্যান্ডম স্যাম্পলিং) মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে এ হিসাব তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি উপজেলার একটি ছোট, একটি মাঝারি এবং একটি বড় গ্রাম থেকে কমপক্ষে এক শতাংশ নমুনা সংগ্রহ করা ।

তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, এবার সর্বাধিক পশু কোরবানি হয়েছে রাজশাহী বিভাগে। মোট কোরবানির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৩ লাখ ২৪ হাজার ৯৭১টি। এরপর রয়েছে ঢাকা বিভাগ, যেখানে কোরবানি হয়েছে ২১ লাখ ৮৫ হাজার ৪০টি পশু। চট্টগ্রাম বিভাগে কোরবানি হয়েছে ১৭ লাখ ৫৩ হাজার ৭৩২টি গবাদিপশু।

অন্যদিকে, সবচেয়ে কম কোরবানি হয়েছে সিলেট বিভাগে- সংখ্যা ৩ লাখ ১৯ হাজার ৮২৩টি। এরপর ময়মনসিংহ বিভাগে, যেখানে কোরবানি হয়েছে ৩ লাখ ৮৩ হাজার ১৬২টি পশু।বাকি বিভাগের কোরবানির সংখ্যা:রংপুর: ৯ লাখ ৬৪ হাজার ৯৯৯টি খুলনা: ৮ লাখ ৪ হাজার ২২৪টি বরিশাল: ৪ লাখ ৭৮৩টি

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর প্রায় ৩৩ লাখ ১০ হাজার ৬০৩টি গবাদিপশু অবিক্রীত থেকে গেছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ বছর পশু উৎপাদন তুলনামূলক বেশি হওয়ায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তবে এই পশুগুলো আগামীতে বিভিন্ন ধর্মীয় আচার, পারিবারিক অনুষ্ঠান বা অন্য প্রয়োজনে কাজে লাগবে। হয়তো আগামী বছর আরও বেশী পশু কোরবানি হতে পারে ।

মোহনগঞ্জ ওলামাদলের সভাপতি বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মৃত্যু।

ফ্যানের সংযোগ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আটপাড়া উপজেলা ওলামা দলের সভাপতি রাজিব তালুকদা (২৮) মৃত্যু হয়েছে। ১১ জুন আটপাড়া উপজেলার বাউশা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।রাজিব হাসান তালুকদার বাউশার গ্রামের মৃত কাঞ্চন তালুকদার এর ছেলে। তিনি মোহনগঞ্জ উপজেলা ওলামা দলের সভাপতি ছিলেন।

রাজিব হাসান তালুকদার মোহনগঞ্জ উপজেলার বড়কাশিয়া মামার বাড়িতে বসবাস করতেন।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকালে আটপাড়া উপজেলার বাউশা গ্রামে নিজ বাড়িতে স্ট্যান্ড ফ্যানের সংযোগ দিচ্ছিলেন রাজিব।

এ সময় হঠাৎ বিদ্যুতায়িত হন তিনি। পরে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে মোহনগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।সাস্হ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, লাশ মোহনগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রয়েছে। খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

রাজিব হাসান তালুকদার এর ভাই কামরুল হাসান জানান, নিজ বাড়ীতে ট্রেন্ড ফ্যানে বিদ্যুতায়িত হয়ে বিদ্যুৎৃষ্ট হয়ে সে মারা যায়, মোহনগঞ্জ জানাজা শেষে নিজ গ্রাম বাউশা জানাজা হবে তার পর গ্রামের বাড়িতেই দাফন করা হবে।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ