আজঃ বুধবার ১২ মার্চ, ২০২৫

পররাষ্ট্র উপদেষ্টার বক্তব্য ছাত্র-জনতার খুনীদের উৎসাহিত করবে - এইচ এম রাশেদ খান

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা’র পদত্যাগের দাবিতে চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত

প্রেস রিলিজ

উপদেষ্টা

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা’র পদত্যাগের দাবিতে চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল

চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান বলেছেন, শহীদদের রক্ত না শুকানোর আগেই উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরাতে যে মন্তব্য করেছেন এটা শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি ছাড়া আর কিছুই না। উপদেষ্টার এমন বক্তব্যে দেশের মানুষ ক্ষুব্ধ ও মর্মাহত যা খুনীদের উৎসাহিত করবে। এর মধ্য দিয়ে তিনি শপথ ভঙ্গ করেছেন, অবিলম্বে তার ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগ করা উচিত। নিরপেক্ষ সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হয়ে তিনি স্বৈরাচার, আওয়ামী লীগের দালালী এবং এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন। খুনের রক্ত ¯্রােতে দেশকে বাসিয়ে পালিয়ে যাওয়া কাউকে দেশে ফেরত আসার আহ্বান জনগণ মানবে না। জনতার আন্দোলনকে নস্যাৎ করার জন্য বিভিন্ন মাধ্যমকে অপব্যবহার করে আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মারা ষড়যন্ত্র করছে। কোন অপশক্তি যদি ফ্যাসিস্ট, স্বৈরাচার,খুনী শেখ হাসিনাকে পূনর্বাসনের ষড়যন্ত্র করে দেশবাসীকে সাথে নিয়ে আমরা প্রতিহত করবো। আমরা দেশের সম্পদ লুন্ঠনসহ হত্যা, গুম ও আয়নাঘরে আটকে রেখে বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ডের দায়ে সাবেক অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দ্রæত বিচারের দাবি জানাচ্ছি।

তিনি আজ ১২আগষ্ট (সোমবার) রাতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন এর পদত্যাগের দাবিতে চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। মিছিলটি কাজীর দেউরী মোড় থেকে শুরু করে বিভিন্ন গুরুতপূর্ণ সড়ক পদক্ষিণ করে।

চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু বলেন, বহু ত্যাগ তিতিক্ষার পর হাজার হাজার ছাত্র জনতার জীবন ও রক্তের বিনিময়ে দ্বিতীয় বারের মতো এই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। এই বাংলাদেশকে নিয়ে যদি কেউ কোন ষড়যন্ত্র বা চক্রান্ত করেন সে যতবড় উপদেষ্টা হোক না কেন তাকে সেই উপদেষ্টা পদ থেকে টেনে হিচড়ে নামিয়ে ফেলা হবে। আমরা দ্রæত এই স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে অপসারণেরর দাবি জানাই । দায়িত্বপূর্ণ পদে থেকে একের পর এক বিতর্কিত বক্তব্য দিয়ে তিনি পরোক্ষভাবে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চক্রান্ত করছেন।

চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলুর সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি এড. সাইদুল ইসলাম, হারুনুর রশিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, যুগ্ম সম্পাদক এম. আবু বক্কর রাজু, গোলাম সরোয়ার, সহ-সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন, সাজ্জাদ হোসেন, মোখলেছুর রহমান, রাসেল খান। উপস্থিত ছিলেন মহানগর সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক খান, সাইফুল আলম দিপু, মোঃ রবিউল ইসলাম, মিজানুর রহমান সাইফুল, প্রচার সম্পাদক আকবর হোসেন মানিক, সাহিত্য সম্পাদক লুৎফর রহমান জুয়েল, মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন, সহ-দফতর সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, চান্দগাঁও থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক সাজিদ হাসান রনি,কোতোয়ালী থানা আহবায়ক এন মোহাম্মদ রিমন, ডবলমুরিং থানা আহবায়ক আকতার হোসেন বাবলু, পাঁচলাইশ থানা আহবায়ক শফিউল আলম শফি,বন্দর থানা আহবায়ক রিয়াজ উদ্দিন রাজু, বাকলিয়া থানা আহবায়ক মো. দুলাল মিয়া, চান্দগাঁও থানা সদস্য সচিব মো. শহীদুজ্জামান, ডবলমুরিং থানা সদস্য সচিব নোমান সিকদার সোহাগ, বন্দর থানা সদস্য সচিব আরমান শুভ, আব্দুর রশিদ টিটু, মো. শাহালম, মীর কাশেম,জসিম উদ্দিন,শফিকুল ইসলাম শাহনেওয়াজ, সাদ উদ্দিন, আল জাবের, সজল বড়–য়া, আবুল কালাম প্রমুখ।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

দীর্ঘ ১বছর ২ দিন পর মুক্তি পেলেন চৌদ্দগ্রাম উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমীর শাহ মিজান।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম উপজেলার সাবেক আমীর শাহ মু.মিজানুর রহমান সোমবার (০৩ মার্চ) সকালে কুমিল্লা কারাগার থে‌কে মু‌ক্তি পেয়েছেন।
বিষয়টি বিকেলে নিশ্চিত করেছেন দলটি উপজেলা কাশিনগর সেক্রেটারি মাওলানা শাহআলম ।
তিনি জানান, ২০২৪ সালের ০২ মার্চ আওয়ামী লীগের সাজানো আলোচিত বাসে আগুন দিয়ে ৮ জনকে পুড়িয়ে হত্যার মামলার মিথ্যা অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করেছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। শুধু তাই নয় ওনাকে ৬৯টি মিথ্যা মামলার আসামী করা হয়েছে। শাহ মিজানকে স্বাগত জানাতে শত শত নেতাকর্মী মোটরসাইকেল ও গাড়ীর শোভাযাত্রা করেছে।

কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারের ফটকে শাহ মিজানকে স্বাগত জানান জামায়াতে ইসলামীর কুমিল্লা মহানগর সেক্রেটারি মাহবুবুর রহমান। সহকারী সেক্রেটারি হোসাইন আহম্মেদ, উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি বেলাল হোসাইন, কাশিনগর ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা শাহআলম। শাহ মিজানকে শত শত নেতাকর্মী মোটরসাইকেল ও গাড়ীর শোভাযাত্রা করে কাশিনগর বাজারে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এই সময় কাশিনগর ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর মহাসিন কবিরের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন কাশিনগর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন, কাশিনগর ইউনিয়ন শ্রমিক কল্যাণের সহসভাপতি হাজী আবুল কাশেম, ইউনিয়ন যুব বিভাগের সভাপতি ইয়াকুব আলী প্রমুখ।

কাশিনগর বাজারে সংক্ষিপ্ত পথসভায় শাহ মু.মিজানুর রহমান বলেন চৌদ্দগ্রামে বাসে আগুন দিয়ে হত্যার মামলার মিথ্যা অভিযোগে আমার তিন ভাইকে আসামি করা হয়েছে। আজ জালিমের হাত থেকে দেশ মুক্ত হয়েছে। চৌদ্দগ্রাম মাটি ও মানুষের প্রিয় নেতা ডা.সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের ভাইয়ের নেতৃত্ব নতুন করে সারা দেশের ন্যায় চৌদ্দগ্রামকে জানানো হবে ইনশাআল্লাহ।

রাজনৈতিক সংস্কৃতি পরিবর্তন না হলে হাজারো সংস্কারে লাভ নেই ।

দেশের গণতন্ত্রের অর্ডার ফিরিয়ে আনতে গণমাধ্যমকে শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

গণমাধ্যমের গুরুত্বের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, গণমাধ্যমে যারা কাজ করেন তারা গত ১৬ বছর অনেক কষ্টের মধ্যে থেকেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। একটি মুক্ত বাংলাদেশে ফ্যাসিস্টকে বিতাড়িত করে আমরা গণতান্ত্রিক ঐক্যের পথে চলছি। এ সময় আগামী দিনের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব জনগণের নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠায় গণমাধ্যমের ভূমিকা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। গণমাধ্যমকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাই গণমাধ্যমের সকলকে সাবধানে থাকতে হবে। জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনার জণ্য গণমাধ্যমকে শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে হবে।

তিনি মঙ্গলবার (১১ মার্চ) বিকেলে নগরীর চট্টগ্রাম ক্লাবে পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিএমইউজে) এর দোয়া ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের আহবায়ক ও জেলা প্রশাসক ফরিদা খানমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক কবি আবদুল হাই শিকদার, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভুইয়া, বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শামীম, বিএফইউজে মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী।

আমীর খসরু মাহমুদ বলেন, চট্টগ্রামের সাংবাদিকরা ৫ আগস্ট পর্যন্ত রাস্তায় থেকে জনগণের সামনে সঠিক চিত্র তুলে ধরেছে। তাই আগামী দিনগুলোতে গণতন্ত্রের যে সংগ্রাম চলছে, সেটিকে সফল করার জন্য, জনগণের মালিকানা, নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সাংবাদিকদের সবার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, সাংবাদিকদের সাথে নিয়ে আগামীর বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনবো, গণতান্ত্রিক অর্ডার ফিরিয়ে আনবো, মানুষের রাজনৈতিক সাংবিধানিক অর্ডার ফিরিয়ে আনবো। দেশকে একটি শান্তিপূর্ণ পরষ্পর সম্মানবোধ রেখে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি পরিবর্তনে একযোগে কাজ করতে হবে।

রাজনৈতিক সংস্কৃতি পরিবর্তন না হলে অন্য সংস্কার করে কোনো লাভ নেই বলে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, যদি রাজনৈতিক সংস্কৃতি পরিবর্তন করতে না পারি তাহলে হাজারো সংস্কার করে কোনো লাভ হবে না। তাই রাজনীতিতের সহনশীলতা থাকতে হবে। ভিন্ন মত থাকলেও অপরপক্ষকে সম্মান জানাতে হবে। এটাই হবে বিএনপির রাজনীতি, তারেক রহমানের রাজনীতি। এ রাজনীতি নিয়ে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাব।

দেশের মানুষ নির্বাচনের অপেক্ষায় রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, মানুষের মালিকানা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য মূল স্তম্ভ হচ্ছে গণতান্ত্রিক অর্ডার ফিরিয়ে আনা। গণতান্ত্রিক অর্ডার ফিরিয়ে এনে বাংলাদেশের মানুষের সাংবিধানিক, রাজনৈতিক অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার একমাত্র পথ। আর তার বাহক হচ্ছে, দেশের মানুষের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধি, নির্বাচন। এর অপেক্ষায় রয়েছে দেশের মানুষ। একেকটি দিন অতিবাহিত হচ্ছে অগণতান্ত্রিক পরিবেশে। যেখানে জনগণের প্রতিনিধি দেশ পরিচালনা করছেন, যেখানে জনগণের দৈনন্দিন সুখ দুখের কথা শোনা, সেই দায়িত্বপূর্ণ জনগণের কাছে জবাবদিহি এ রকম একটি সরকারের অপেক্ষায় সবাই রয়েছে।

তিনি বলেন, দেশের যুবক সমাজ যারা গত তিন নির্বাচনে নিজেদের ভোট প্রয়োগ করতে পারে নাই তাদের ভোট প্রয়োগের অপেক্ষা, নির্বাচিত প্রতিনিধির অপেক্ষায়, নির্বাচিত সরকারে অপেক্ষায় এবং দায়বদ্ধ সরকারের প্রতিক্ষায় জনগণ আছে।

নির্বাচনকে পিছিয়ে দিতে নানা ষড়যন্ত্র চলছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে এ নির্বাচনকে পিছিয়ে দেওয়ার জন্য এবং গণতান্ত্রিক অর্ডার ফিরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য বিভিন্ন ষড়যন্ত্র চলছে। যাদের জনসমর্থন নেই, যারা জনগণের ওপর আস্থা রাখতে পারছে না তারা বিভিন্ন ধরনের বক্তব্য দিয়ে জনগণের মনে সংশয় সৃষ্টি করছে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, দেশের জনগণ দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত। জনগণ এখন গণতন্ত্র, সুশাসন ও মৌলিক অধিকার ফিরে পেতে চায়। তাই জাতীয় নির্বাচনই হবে জনগণের প্রতিনিধি নির্ধারণের একমাত্র পথ। রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতে দেশনায়ক তারেক রহমানের ৩১ দফা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিএনপি ঘোষিত ৩১ দফা কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চাই।

ব্যারিস্টার মীর হেলাল বলেন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা না থাকলে সত্য তুলে ধরা যায় না। আর সত্য লিখা না গেলে বিশ্বাসযোগ্যতা থাকে না। বিশ্বাসযোগ্যতা না থাকলে পাঠক বা দর্শক প্রত্যাখ্যান করে।

আবদুল হাই শিকদার বলেন, সাংবাদিকদের বিবেকের মাধ্যমে পরিচালিত হতে হবে। অপসাংবাদিকতা, হলুদ সাংবাদিকতা, তথ্য সন্ত্রাস পরিহার করে সত্যনিষ্ঠ সাংবাদিকতা করতে হবে। সঠিক তথ্য জেনে নিয়ে সংবাদ প্রকাশ না করলে মানুষ বিভ্রান্ত হয়, সংবাদ মাধ্যমের প্রতি মানুষ আস্থা হারিয়ে ফেল। সাংবাদিকদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলোর একটি হলো সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করা।

ওবায়দুর রহমান শাহীন বলেন, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বার্থে অনেক সংবাদমাধ্যম পক্ষপাতদুষ্ট সংবাদ প্রকাশ করে, যা সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বাধীন সাংবাদিকতার প্রতি আস্থা কমিয়ে দেয়। এমন পরিস্থিতিতে সাংবাদিকরা অনেক সময় নিজেদের কাজের যথার্থতা প্রমাণে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হন। গুজব, মিথ্যা তথ্যে সমাজ তথা রাষ্ট্রে বিশৃঙ্খলা বাড়াচ্ছে। তাই সাংবাদিকদের আরো সচেতন হতে হবে।

কাদের গণি চৌধুরী বলেন, স্বাধীন সাংবাদিকতা গণতন্ত্রের মূল স্তম্ভ হলেও, এটি এখন বহুমাত্রিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। সাংবাদিকদের সুরক্ষায় কোনো আইন নেই। বাংলাদেশে গণমাধ্যমের সামনে যে কয়েকটি চ্যালেঞ্জ, তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে এ পেশার স্বাধীনতা। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, আইনি ও ক্ষমতামুখী সাংবাদিকতা সাংবাদিকদের স্বাধীনভাবে কাজ করার ক্ষেত্রে বড্ড অন্তরায় সৃষ্টি করছে। তাই সাংবাদিকদের জন্য একটি নিরাপদ ও স্বাধীন পরিবেশ তৈরি করা অত্যন্ত জরুরি।

সিএমইউজের সাধারণ সম্পাদক সালেহ নোমান, প্রেস ক্লাবের সদস্য গোলাম মওলা মুরাদ ও মিয়া মোহাম্মদ আরিফের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইফতার মাহফিল আয়োজক কমিটির আহবায়ক শামসুল হক হায়দরী, বক্তব্য রাখেন প্রেস ক্লাব অন্তবর্তীকালীন কমিটির সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিএমইউজে) সভাপতি মোহাম্মদ শাহ নওয়াজ, প্রেস ক্লাব অন্তবর্তীকালীন কমিটির সদস্য মুস্তফা নঈম।

উপস্থিত ছিলেন-বিভাগীয় কমিশনার ড. মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার মোহাম্মদ হাসিব আজিজ, সিডিএ চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার নুরুল করিম, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক এরশাদ উল্লাহ, সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক ইদ্রিস মিয়া, সদস্য সচিব লায়ন হেলাল উদ্দিন, যুগ্ম আহবায়ক মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী পাপ্পা, দক্ষিণ জেলা বিএনপি নেতা অধ্যাপক শেখ মহিউদ্দিন, কামরুল ইসলাম হোসাইনী, জহিরুল ইসলাম চৌধুরী আলমগীর, চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ, বিএনপি নেতা ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, ইদ্রিস আলী, কামরুল ইসলাম, সাঈদ আল নোমান, বিএফইউজে সহ সভাপতি খাইরুল বশর, বিজিএমইএ প্রথম সহ সভাপতি নাসির উদ্দিন চৌধুরী, জেলা আইনজীবী সমিতির এডহক কমিটির আহবায়ক মকবুল কাদের চৌধুরী, জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর আশরাফ হোসেন চৌধুরী রাজ্জাক, ড্যাবের কেন্দ্রীয় নেতা ডা. সরওয়ার আলম, ড্যাব চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক ডা. বেলায়েত হোসেন ঢালী, অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (এ্যাব) চট্টগ্রামের সভাপতি প্রকৌশলী জানে আলম সেলিম, প্রকৌশলী মো. ওসমান, জিয়া পরিষদ চট্টগ্রাম এর সাধারণ সম্পাদক রোটারিয়ান মোহাম্মমদ জসিম প্রমুখ।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ