আজঃ শুক্রবার ২১ মার্চ, ২০২৫

গণহত্যাকারী হাসিনার বিচার নিশ্চিত করেই ছাত্রজনতা ঘরে ফিরবে

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

হাসিনা

চট্টগ্রামে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে মাহবুবের রহমান শামীম

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেছেন, ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেও আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্র কিন্তু থেমে নেই। তারা পরিকল্পিতভাবে দেশকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে। আওয়ামী লীগ সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকদের বাড়িঘর ও মন্দিরে হামলা করছে। দেশ নিয়ে চলছে এক গভীর ষড়যন্ত্র। এ ষড়যন্ত্র রুখে দিতে সকল সম্প্রদায়ের জানমাল রক্ষায় বিএনপির দলীয় নেতাকর্মীদের শক্তভাবে দায়িত্ব নিতে হবে। এমন কোনও পরিস্থিতি তৈরি যেন না হয় যাতে অর্জিত বিজয় ছিনিয়ে নিয়ে না যায় কেউ। তাই বিএনপি নেতাকর্মীসহ ছাত্র জনতাকে সতর্ক থাকতে হবে। গণহত্যাকারী হাসিনার বিচার নিশ্চিত করেই ছাত্রজনতা ঘরে ফিরবে।
তিনি বুধবার (১৪ আগষ্ট) দুপুরে নগরীর কদমতলী শুভপুর বাস স্টেশন চত্বরে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে ছাত্রজনতার ওপর গুলি চালিয়ে গণহত্যা এবং খুনি হাসিনাসহ তার খুনি দোসরদের বিচারের দাবিতে পশ্চিম মাদারবাড়ি ওয়ার্ড বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর ও যুগ্ম আহবায়ক এস এম সাইফুল আলম।
মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, শেখ হাসিনা গত ১৫ বছর জনগণের ওপর স্বৈরশাসন চাপিয়ে দিয়েছিলেন। সাড়ে ১২ কোটি ভোটারের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছিলেন। সাহসী ছাত্রজনতার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। হাজারো শহীদের জীবনের বিনিময়ে বাংলাদেশের জনগণ আরেকটি বিজয় দেখেছে। কিন্তু আওয়ামীলীগ এই বিজয়কে কালিমাযুক্ত করার জন্য আবার ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। গণতন্ত্রে উত্তরণের চলমান প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে সারা দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করছে।
আবুল হাশেম বক্কর বলেন, ছাত্র জনতার বিজয়কে প্রশ্নবিদ্ধ করতে আওয়ামীলীগ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপাসনালয় গুলোতে হামলার গুজব ছড়াচ্ছে। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার লক্ষ্যে সমাজকে বিভক্ত করার চেষ্টা করছে। তারা উপাসনালয় গুলোতে নাশকতা সৃষ্টি করে বিএনপিকে দায়ী করার জন্য ষড়যন্ত্র করছে। তাই সকল সম্প্রদায়ের জান মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
সদরঘাট থানা বিএনপির সভাপতি হাজী মো. সালাহ উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপি নেতা জয়নাল আবেদীন জিয়া, মো, আলী, সাইফুর রহমান শপথ, থানা বিএনপির সহ সভাপতি ওমর ফারুক রুবেল, মো. ইলিয়াস, ইব্রাহিম মান্নান মিনু, যুগ্ম সম্পাদক আব্দুর রহিম, লোকমান হোসেন বাবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, ওয়ার্ড বিএনপির সাধারন সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, যুগ্ম সম্পাদক ইলিয়াছ রাশেদ, মাহবুব আলম, মো. শাহাজাহান, সাংগঠনিক আব্দুল আজিজ, থানা যুবদলের আহ্বায়ক মো. ইসমাইল, সি. যুগ্ম আহ্বায়ক নুর খান, সদস্য সচিব মো. রাশেদ, শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক সেলিম সম্রাট, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ইয়াসির আরাফাত, সদস্য সচিব আনোয়ারুল আবেদীন মুন্না, ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইউনুস মিয়া জুয়েল, সি. যুগ্ম আহ্বায়ক নাহিদ আলী, কৃষকদলের সদস্য সচিব সাজ্জাদ হোসেন সাব্বির প্রমুখ।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

সংবিধান সংস্কার পরিষদের নির্বাচন ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রসঙ্গে গণসংহতি আন্দোলন।

চট্টগ্রামের হোটেল সৈকতে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে গণসংহতি আন্দোলন, চট্টগ্রাম জেলার প্রধান সমন্বয়কারী জননেতা হাসান মারুফ রুমীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জননেতা জোনায়েদ সাকি। তার বক্তব্যে জোনায়েদ সাকি বলেন, সংবিধান সংস্কার করে

গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ নির্মাণের যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে তা জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় সফল করতে হবে।গণসংহতি আন্দোলন চট্টগ্রাম জেলার নেতৃবৃন্দ ছাড়াও বিভিন্ন স্তরের রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মীরা অংশ নেন। আলোচনায় বক্তারা দেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট, গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা, এবং সংবিধান সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে মতবিনিময় করেন।

আলোচকরা বলেন, সংবিধান সংস্কার ও একটি নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত গড়ে তোলার জন্য জনগণের মতামতের ভিত্তিতে একটি কার্যকর প্রক্রিয়া প্রয়োজন। তারা জবাবদিহিমূলক, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও ন্যায়ভিত্তিক রাজনৈতিক কাঠামো গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জে.এস.ডি, কেন্দ্রীয় কমিটি, সেলিম নূর, যুগ্ম আহ্বায়ক, ভাসানী অনুসারী পরিষদ ;এ্যাড. কফিল উদ্দিন , সাবেক সভাপতি, চট্টগ্রাম জেলা আইন সমিতি ; মো. ওয়াজীউল্লাহ্, শ্রমিক নেতা ; মো. হারুন, মো. সাইফুল ইসলাম , বি এন পি ;সিদ্দিকুর রহমান, এবি পার্টি ; জোবাইরুল আলম মানিক, জাতীয় নাগরিক পার্টি ; আরিফ মহিউদ্দিন, আহ্বায়ক, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, রিদুয়ান সিদ্দিকী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ; আজাদ হোসেন, ছাত্র ফেডারেশন, চট্টগ্রাম বিশ্বিবদ্যালয় ; কলি কায়েস, সংগঠক, এম্পাওয়ারিং আওয়ার ফাইটার্স গণসংহতি আন্দোলনের চট্টগ্রাম জেলার নেতৃবৃন্দ ও বিশিষ্ট নাগরিকরা উপস্থিত ছিলেন। ইফতার ও আলোচনা শেষে দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস চালানোর অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়।

খোন্দকার দেলোয়ার ছিলেন বিএনপির দুঃসময়ের কান্ডারি।

বিএনপির সাবেক মহাসচিব, বরেণ্য রাজনীতিবিদ অ্যাডভোকেট খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে গতকাল তার গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার পাচুরিয়া গ্রামে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা গতকাল সকালে তার কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং দোয়া-মোনাজাত করেন। এতে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক জামিলুর রহমান খান, সাবেক সহ-সভাপতি আতাউর রহমান আতা, পৌর বিএনপির সভাপতি নাসির উদ্দীন আহমেদ যাদু, মরহুমের পুত্র ড. খন্দকার আকবর হোসেন বাবলু, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আজাদ হোসেন, গোলাম আবেদীন কায়সার, কেন্দ্রীয় যুবদলের সাংগঠনিক মোহাম্মদ ইসহাক সরকারসহ জেলা-উপজেলা ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা।

গতকাল বিকালে স্থানীয় মসজিদে মিলাদ মাহফিল এবং দোয়া অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। এ সময় সংক্ষিপ্ত আলোচনায় বক্তারা বলেন, “খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন ছিলেন দলের পরীক্ষিত, সাহসী নেতা। দলের কঠিন সময়ে তিনি দৃঢ় নেতৃত্ব দিয়েছেন। বিএনপির আদর্শ রক্ষায় আপসহীন ছিলেন। তার অবদান বিএনপি কখনো ভুলবে না। আমরা তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। তার দেখানো পথে চলার অঙ্গীকার করছি।”

প্রসঙ্গত, খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ ও দেশের গণতান্ত্রিক সব আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। তিনি বিএনপির মহাসচিব হিসেবে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে সৎ ও সাহসী নেতৃত্বের উদাহরণ স্থাপন করেছেন।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ