আজঃ শনিবার ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

আওয়ামী দু:শাসনের বিচার নিশ্চিত করতে হবে – আবু সুফিয়ান

নিজস্ব প্রতিবেদক

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান বলেছেন, কোটা সংস্কারের শাস্তিপূর্ণ আন্দোলনে পৈশাচিক গণহত্যা চালিয়ে খুনী হাসিনা সরকার স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের লাল-সবুজের পতাকা কে কলংকিত করেছে। এ অমানবিক ও পৈশাচিকতা দেখে শুধু দেশবাসী নয় বিশ্ববিবেকও আৎকে উঠেছে। আওয়ামী দুঃশাসনে দীর্ঘ ১৫ বছরে বিরোধী দল সহ দেশের মানুষের মধ্যে অবহেলা-অসন্তোষ, দুঃখ-কষ্ট ও ক্ষোভ-ক্রোধ আগ্নেয়গিরির লাভার মতো সঞ্চিত হয়েছে যা ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে বিস্ফোরিত হয়েছে। আমাদের প্রিয়নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলেছিলেন, ‘সংগ্রামী জনতার পরাজয় ইতিহাসে নেই’। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে মুক্তিকামি জনতার বিজয় হয়েছে আর ক্ষমতালিপ্সু, দাম্ভিক হাসিনা পদত্যাগ করে পালাতে বাধ্য হয়েছে। এখন খুনি শেখ হাসিনাকে দেশে এনে অতি দ্রুত বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে।

তিনি আরোও বলেন, ফ্যাসিবাদী আওয়ামীলীগের ১৫ বছরের ইতিহাস, অত্যাচার-নিপীড়ন-শোষণের ইতিহাস। গুম-খুন-হত্যা-লুটপাট-চাঁদাবাজি-নৈরাজ্যের ইতিহাস। আওয়ামী দু:শাসনে সাধারণ জনগণ একেবারেই শেষ হয়ে গেছে, ভালো ছিল গুটি কয়েক দুর্নীতিবাজ, ঘুষখোর, রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তা-কর্মচারী, সরকার দলীয় লুটেরা রাজনীতিবিদ ও দখলদার-মজুতদার ব্যবসায়ীরা। বাংলার মানুষ আওয়ামী দুঃশাসন থেকে মুক্তি চেয়েছিল। গুম-খুন থেকে মুক্তি চেয়েছিল। লুন্ঠিত ভোটাধিকার সহ সকল গণতান্ত্রিক অধিকার ফেরত চেয়েছিল। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত নেতাকর্মীদের ধৈর্য্য ধারণ করে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হবে।

আজ ১৫ আগষ্ট (বৃহস্পতিবার) দুপুর ১২টায় নগরীর বহদ্দারহাট চত্বরে ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালিয়ে গণহত্যাকারী খুনি হাসিনা সহ তার দোসরদের বিচারের দাবিতে চান্দগাঁও থানা বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত ‘অবস্থান কর্মসূচীতে’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অবস্থান কর্মসূচীতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম
চান্দগাঁও থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন ভুইয়ার সভাপতিত্বে থানা যুবদলের আহবায়ক গোলজার হোসন এর সঞ্চালনায় অবস্থান কর্মসূচী তে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ৭নং পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. আসলাম, ৬নং পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি হাজী ইলিয়াস শেকু, হাজী আইয়ুব, ৭নং পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, আফিল উদ্দিন আহমেদ, শাহনওেয়াজ চৌধুরী মিনু, বিএনপি নেতা ইলিয়াছ আলী, সালামত আলী, হাজী আবু বক্কর, এম এ হামিদ দিদার, হারুন সওঃ, দানু সওঃ, নুরুল আমিন, এম. আবু বক্কর রাজু, আরফিুল ইসলাম, সাইদুল ইসলাম, মো. আলমগীর, নুরনবী, আব্দুল নবী, আলহাজ্ব সিরাজুল ইসলাম, মাহবুব আলম, মো. আলম, সাজিদ হাসান রনি, মোরশেদ কামাল, নওশাদ আল জাসেদুর রহমান, মো. শহীদুজ্জামান, আব্দুর রহমান আলফাজ, ইউসুফ আলী লিটন, আকতার হোসনে, আবু বক্কর বাবু, ইসকান্দর হোসেন, শফিউল্লাহ মামুন, আলমগীর টিটু, সিরাজুল ইসলাম ইকবাল, মো. বেলাল, আনিসুজ্জামান, মো. হোসেন মাসুম, মিজানুর রহমান সুমন, জালাল উদ্দিন, কাইছার হোসেন, আব্দুল আজিজ, রায়হান আলম, মো. পারভেজ, মো. হাকিম, শহীদুল ইসলাম, মো. মুরাদ, জহিরুল ইসলাম জহির, হোসাইন, সায়মন, মো. মাসুম, কামাল হোসেন খোকন, দেলোয়ার হোসেন খোকা, ইসহাক জয়, আনসিুর রহমান হিরু, আব্দুর রশিদ, সাদ্দাম হোসেন, মনছুর আলম, দেদুল বড়ুয়া, নাজিম উদ্দিন, মো. রুবেল, সাঈদ ইসলাম বাপ্পি, সাফায়াত হোসেন সোহান প্রমুখ।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান জামায়াতে যোগ দিলেন

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে জামায়াতে যোগ দিয়েছেন সাবেক মন্ত্রী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান। শনিবার ১৩ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

জামায়াত আমিরের উপস্থিতিতে মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নীতি ও আদর্শ, দেশপ্রেম এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর অবিচল অবস্থানের প্রতি গভীর আস্থা ও সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ সময় তিনি সংগঠনের প্রাথমিক সহযোগী সদস্য ফরম পূরণ করে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেন।

আওয়ামিলীগের সাবেক পৌর কাউন্সিলর জুলফিকার মিয়ার বিএনপিতে যোগদান।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

লালমোহন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী জুলফিকার মিয়া বিএনপিতে যোগদান করেছেন। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে তিনি ঢাকায় বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ভোলা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ (বীর বিক্রম) এর বাসায় গিয়ে ফুল দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান সম্পন্ন করেন।

এ সময় মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ তাকে দলে স্বাগত জানান। দলীয় একটি সূত্র বলছে, আগাম রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে সামনে রেখে জুলফিকার মিয়ার এই যোগদান বিএনপির স্থানীয় রাজনীতিতে নতুন উদ্দীপনা তৈরি করবে বলে সকলে মনে করছেন।

অন্যদিকে বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে আওয়ামিলীগের এমপি নুরনবী চৌধুরী শাওন কর্তৃক নির্যাতিত, নিষ্পেষিত বিএনপির অনেক ত্যাগি নেতারা এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। নাম জানাতে অনিচ্ছুক এক নেতা বলেন- বিএনপির এমন দিন আসবে কখনো চিন্তাও করিনি। তবে কী আওয়ামিলীগ দিয়ে বিএনপির ত্যাগীদের আবার নির্যাতনের স্বীকার করতে চায় মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ? কেন আমরা এতদিন নির্যাতিত ছিলাম? এই দিন দেখার জন্য?

এ বিষয়ে জুলফিকার মিয়াকে একাধিকবার ফোন করলে তার মুঠো ফোনটি বন্ধ দেখায়। তবে স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে তার এই সিদ্ধান্ত ঘিরে আলোচনা সমালোচনার শুরু হয়েছে। কেউ কেউ মনে করছে; এভাবে আওয়ামিলীগ দ্বারা বিএনপি সাজাতে থাকলে ভোটের মাঠে এর প্রভাব বিস্তার করবে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ