আজঃ রবিবার ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫

এনায়েত বাজার ওয়ার্ড বিএনপির দোয়া মাহফিলে আবুল হাশেম বক্কর

প্রেস রিলিজ

শেখ হাসিনা দেশে গুম খুনের সংস্কৃতি চালু করেছিল

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কামিটির সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেছেন, আওয়ামী লীগ একটি খুনি, ক্ষমতা লোভী দল। ক্ষমতায় টিকে থাকতে বার বার শেখ হাসিনা তার হাতকে রক্তাক্ত করেছে। দেশের গুম খুনের সংস্কৃতি চালু করেছিল। হাজার হাজার ছাত্র জনতাকে হত্যা করেছে। দলীয় সন্ত্রাস ও প্রশাসনকে সর্বচ্ছ অপব্যবহার করে ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করার অপচেষ্টা করেছিল। ইতিহাস বড় নির্মম, আল্লাহ তাআলার বিচার বড় নির্মম। আল্লাহতালা তাদের চোখের সামনে দেখিয়ে দিল ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয়। বেগম জিয়া সবসময় গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছেন। তিনি সাহসে অবিচল ছিলেন। বিশ্বের কোনো নারী নেত্রী গণতন্ত্রের জন্য এমনভাবে লড়াই-সংগ্রাম করেননি। স্বৈরাচারের হাত থেকে দলকে রক্ষা করেছেন, স্বৈরাচার এরশাদের পতন ঘটিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছিলেন। দেশের গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় খুনি ফ্যাসিষ্ট হাসিনার বিরুদ্ধে লাড়াই করেছে, আপোষ করেনি।

তিনি আজ (১৬ আগষ্ট) ২০২৪ইং শুক্রবার বাদ জুমা এনায়েত বাজার শাহী জামে মসজিদে কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসাবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া’র (৮০ তম) জন্মদিন উপলক্ষে তাঁর দীর্ঘায়ু ও সুস্থতা কামনা এবং ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত ও আহতদের সুস্থতা কামনায় ২২ নং এনায়েত বাজার ওয়ার্ড বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

দোয়া মাহফিলে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সুস্থতা কামনার পাশাপশি ছাত্র জনতার আন্দোলনে নিহত সবার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। সারা দেশে অসুস্থ বিএনপি নেতাকর্মী ও আহত সাধারণ শিক্ষার্থীদের সুস্থতা কামনায় দোয়া করা হয়। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন জামে মসজিদের খতিব মাওলানা শাহাদাত হোসেন।

তিনি বলেন, দেশনেত্রী বিএনপি চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া দলের নেতাকর্মী ও দেশের জনগণকে ভালবাসেন। শেখ হাসিনার দোসর ১/১১ সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে জোর করে বিদেশে পাঠাতে চেয়েছিল। তিনি বলেছেন মরলে বাংলার মাটিতে মরবো তবুও তিনি দেশের জনগনকে রেখে বিদেশে যাবেন না। ১/১১ সরকারের মিথ্যা মামলায় নিশ্চিৎ সাজা হবে জেনেও দেশের জনগন ও নেতাকর্মীর রেখে বিদেশে পালিয়ে যাননি। খুনি হাসিনা সরকার বেগম জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়েছে, দীর্ঘদিন পরিত্যাক্ত কারাগারে বন্দি রেখেছে। অসুস্থ হয়ে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে থাকা বেগম জিয়াকে চিকিৎসার সুযোগও দেয়নি। বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ও তার দলের নেতাকর্মীরা পালিয়ে যায় না। খুনি হাসিনা গর্ব করে বলেছে শেখ হাসিনারা পালায় না। আওয়ামী লীগসহ শেখ হাসিনারা একটি পালানো দল। আজ তিনি দলের নেতাকর্মীদের বিপদে ফেলে রেখে এদেশের সম্পদ লুটপাট করে পালিয়েছে।

মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি নেতা সাবেক কাউন্সিলর আবুল মালেক, আলমগীর আলী, ওয়ার্ড বিএনপির সভপিতি আলী আব্বাস খান, চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিঃ যুগ্ম সম্পাদক আলী মর্তুজা খান,চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের যুগ্ম সম্পাদাক মো. সেলিম, ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মাহাবুব আলম রানা, এনামুল হক এনায়েত, মুছা আলম, এনামুল হক রাজু, মো. দুলাল, মো. সেন্টু, কামাল উদ্দিন,ওয়াহেদুল আলম রাহেত, আবদুল কাদের, মো. আজিম, সো. মুক্তার,অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ তাবেক আহমেদ, মোহাম্মদ হাসান, মো জহির আহমেদ, মো. সমশের, আবদুল্লাহ আল মামুন, আবদুল্লাহ আল সোনা মানিক, আবু সালেহ আবিদ, আলি আক্কাস খান, ইমরান শরিফ, সাইদুল ইসলাম ফয়সাল, মো. সাইফুল, আনিসুল ইসলাম রুবেল প্রমূখ।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান জামায়াতে যোগ দিলেন

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে জামায়াতে যোগ দিয়েছেন সাবেক মন্ত্রী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান। শনিবার ১৩ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

জামায়াত আমিরের উপস্থিতিতে মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নীতি ও আদর্শ, দেশপ্রেম এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর অবিচল অবস্থানের প্রতি গভীর আস্থা ও সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ সময় তিনি সংগঠনের প্রাথমিক সহযোগী সদস্য ফরম পূরণ করে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেন।

আওয়ামিলীগের সাবেক পৌর কাউন্সিলর জুলফিকার মিয়ার বিএনপিতে যোগদান।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

লালমোহন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী জুলফিকার মিয়া বিএনপিতে যোগদান করেছেন। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে তিনি ঢাকায় বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ভোলা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ (বীর বিক্রম) এর বাসায় গিয়ে ফুল দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান সম্পন্ন করেন।

এ সময় মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ তাকে দলে স্বাগত জানান। দলীয় একটি সূত্র বলছে, আগাম রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে সামনে রেখে জুলফিকার মিয়ার এই যোগদান বিএনপির স্থানীয় রাজনীতিতে নতুন উদ্দীপনা তৈরি করবে বলে সকলে মনে করছেন।

অন্যদিকে বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে আওয়ামিলীগের এমপি নুরনবী চৌধুরী শাওন কর্তৃক নির্যাতিত, নিষ্পেষিত বিএনপির অনেক ত্যাগি নেতারা এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। নাম জানাতে অনিচ্ছুক এক নেতা বলেন- বিএনপির এমন দিন আসবে কখনো চিন্তাও করিনি। তবে কী আওয়ামিলীগ দিয়ে বিএনপির ত্যাগীদের আবার নির্যাতনের স্বীকার করতে চায় মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ? কেন আমরা এতদিন নির্যাতিত ছিলাম? এই দিন দেখার জন্য?

এ বিষয়ে জুলফিকার মিয়াকে একাধিকবার ফোন করলে তার মুঠো ফোনটি বন্ধ দেখায়। তবে স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে তার এই সিদ্ধান্ত ঘিরে আলোচনা সমালোচনার শুরু হয়েছে। কেউ কেউ মনে করছে; এভাবে আওয়ামিলীগ দ্বারা বিএনপি সাজাতে থাকলে ভোটের মাঠে এর প্রভাব বিস্তার করবে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ