
চট্টগ্রাম মহানগরে মধ্যরাতে জমে উঠেছে পাহাড় কাটার উৎসব। রৌফাবাদ পাহাড়িকা আবাসিক এলাকার পেছনে ভেড়া ফকির পাহাড়টি গভীর রাতে স্কেভেটর এনে কাটা হচ্ছে। রাজনৈতিক ডামাডোলের সুযোগ নিয়ে জনৈক কাশেম শাহ প্লট তৈরি করতে এখন এ পাহাড় কাটছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর আগে গত বছরের জুন মাসে ঈদুল আজহার বন্ধের সময় পাহাড়টি কাটতে উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল।
পরিবেশ অধিদপ্তরের (মেট্টো) পরিদর্শক মনির হোসেন জানান, বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখবো। পাহাড় কাটায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সরেজমিনে দেখা যায়, রৌফাবাদ পাহাড়িকা আবাসিক এলাকার পেছনে ভেড়া ফকির পাহাড়টির অবস্থান। এ পাহাড়ের প্রায় অর্ধেক অংশ ইতিমধ্যে কেটে ফেলা হয়েছে। সেখানে একটি স্কেভেটরও দেখা যায়।
স্থানীয় লোকজন জানান, পাহাড়ের অর্ধেক অংশের ‘মালিক’ জনৈক কাশেম শাহ। গত কয়েকদিন আগে তিনি একটি স্কেভেটর নিয়ে আসেন। মধ্যরাতে ওই স্কেভেটর দিয়ে পাহাড় কাটা হচ্ছে। গত তিন দিন ধরে পাহাড়টির কিছু অংশ কাটা হয়েছে। স্থানীয় লোকজন জানান, দুই বছর আগেও স্কেভেটর দিয়ে পাহাড়টি কাটা হয়েছিল। ওই সময় জেলা প্রাশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত স্কেভেটর জব্দ করেছিল। এরমধ্যে পরিবর্তন হয়েছে মালিকানা। মাঝখানে কিছুদিন বন্ধ থাকলেও গত দুই তিন দিন ধরে পাহাড়টি ফের কাটা শুরু হয়েছে। জনৈক কাশেম শাহ লোক দিয়ে পাহাড়টি কাটছেন। অভিযোগের বিষয়ে জানতে গতকাল সন্ধ্যায় কাশেম শাহের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি কাশেম শাহ নই। আপনি ভুল নম্বরে ফোন করেছেন’। এ কথা বলেই মুঠোফোনের লাইন কেটে দেন। পরে আরো কয়েকবার ফোন করা হলে তিনি আর ধরেননি।
করেরহাটে মাদকের ছোবল, দিশেহারা যুবসমাজ
চট্টগ্রাম ব্যুরো: মাদকের ভয়াল ছোবলে দিশেহারা করেরহাটের যুবসমাজ। হাত বাড়ালে পাওয়া যাচ্ছে পছন্দসই মাদক। পাড়া-মহল্লায় মাদকে সয়লাব হয়ে গেছে। প্রকাশ্যে চলছে মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয়। গত মাস থেকে জমে উঠেছে এখানকার মাদক বিকিকিনির স্পট। বর্তমানে থানা পুলিশের আনাগোনা না থাকায় এমনকী রাজনৈতিক ডামাডোলের সুযোগ মাদক কারবারীরা বেপোরোয়া হয়ে উঠেছে।
এখানকারে স্থানীয় এক স্কুল শিক্ষক বলেন, অপসংস্কৃতি ও মাদকের ছোবলে ধ্বংসের পথে যাচ্ছে এখানকার যুবসমাজ। উঠতি বয়সের ছেলে-মেয়েরা নেশায় আসক্ত হচ্ছে, পরিবার ও সমাজের জন্য ভয়ঙ্কররূপ ধারণ করছে তারা। আর এর পেছনে কারণ হিসেবে ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষার অভাব রয়েছে বলে তিনি মনে করছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বিভিন্নস্থাানে প্রকাশ্য গড়ে উঠেছে মাদক বিকি কিনির আখড়া। করেরহাট ফরেষ্টঅফিস ওয়াপদা মাঠ, ফরেষ্ট বাংলো সংলগ্ন ব্রিজ, বিলিজার পাড়ার টাওয়ারের নিচে, বড় থলী, াদেক কোম্পানি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পেছনে, হাবিলদার বাসা, বাসস্ট্যান্ড এলাকা, লক্ষীছড়া, দক্ষিন অলিনগর আবাসন, পশ্চিস অলিনগের লিচুতলা, কালা ঘোনা, বদ্ধ,ভবানীসহ বিভিন্ন স্পট মাদক বিকি কিনি চলছে। কয়েখটি সিন্ডিকেট এই মাদক ব্যভসা নিয়েন্ত্রণ করছে। বর্তমানে এদের মুল ব্যবসা মাদক, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মানুষকে জিম্মি করে চাঁদা আদায়। একই সাথে গত মাস থেকে এরা করেরহাটের বিভিন্ন দোকানে আগুন,চুরি,লুটপাটসহ সাধারণ মানুষের জানমালের ক্ষতি সাধন করেছে।
স্থানীয়রা জানান, গেড়ামারা, ফরেষ্টঅফিসের ডল মিয়ার পুত্র মোঃ আলমগির, মোঃ হারুন মিয়ার পুত্র মাসুদ কালা, বাট্টি হুজুরের পুত্র রহমতউল্ল্যাহ রনি, কালাম সওদাগরের পুত্র মো. জাফর, মোঃ লোকমানের পুত্র মোঃ সাদ্দামসহ কয়েকজন। এছাড়া ছত্তরুয়ার হকসাব, দক্ষিন অলিনগরের বাবলু, রফিক মেম্বারের পুত্র রনি, বড়থলীর নুর হোসেন, মো. রাসেল, শাখাওয়াত হোসেন, হাবিলদারবাসার মো. রানা অন্যতম। এসব সিন্ডিকেট নিয়েন্ত্রণ করছেন নুরুল আমিন চেয়ারম্যান গ্রুপের মিয়া সওদাগর। যিনি করেরহাট ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক বলে স্থানীয়রা জানান। এ বিষয়ে মিয়া সওদাগরের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
।
