আজঃ শনিবার ৬ ডিসেম্বর, ২০২৫

চট্টগ্রাম ওয়াসার এমডিকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে কয়েক হাজার কোটি টাকা ভাগ-ভাটোয়ারা

নিজস্ব প্রতিবেদক

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে টানা ৬ দফায় ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে চট্টগ্রাম ওয়াসার গুরুত্বপূর্ণ পদটি দখলে রেখেছেন প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল্লাহ। ওয়াসার প্রতিটি ক্ষেত্রে অনিয়ম-দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে কয়েক হাজার কোটি টাকা ভাগ-ভাটোয়ারা ও বিদেশে পাচারের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। বিশেষ করে বিগত দিনে চট্টগ্রাম ওয়াসা পরিণত হয়েছে অনিয়মের স্বর্গরাজ্যে। এ প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) ২০ জনেরও অধিক আত্মীয়-স্বজন।
এছাড়াও প্রতিষ্ঠানে রয়েছে এমডির নিজ এলাকা নোয়াখালীর অন্তত আরও ২০ জন। ফলে এসব কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে কোনো অনিয়মের অভিযোগ থাকলেও ব্যবস্থা নেন না তিনি। এসব অপরাধের কারণে তাকে এমডি পদ থেকে পদত্যাগ ও শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেছে বৈষম্যবিরোধী সাধারণ নাগরিক সমাজ। ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে ‘নিজ উদ্যোগে পদত্যাগ না করলে হেনস্তার শিকার হবে’ বলেও এমডিকে হুঁশিয়ারি দেন। এ সময় ‘দফা এক, দাবি এক; এমডির পদত্যাগ’ স্লোগান দেন তারা। রোববার বেলা ১২টার দিকে চট্টগ্রাম ওয়াসার এমডি কার্যালয়ে এ বিক্ষোভ করে তারা। একই সঙ্গে পদত্যাগের পাশাপাশি ১৭ দফা দাবিও উত্থাপন করেন সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ।এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভোক্তাদের জাতীয় সংগঠন কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন এবং চট্টগ্রাম নগর কমিটির নেতৃবৃন্দ।
বিক্ষোভকারীরা বলেন, স্বৈরশাসক খুনি হাসিনা সরকারের খুব আপনজনদের একজন আপনি। সুতরাং আমরা চাই স্বৈরশাসকের অনুসারিরা এ রাষ্ট্র পরিচালনায় থাকবে না। তাই অতিত্ত্বর চট্টগ্রাম ওয়াসার এমডি থেকে পদত্যাগ করুন। এ স্বৈরশাসকের শাসনামলে নানা লুটপাট থেকে শুরু করে নৈরাজ্যের মাধ্যমে…এটা জাতির কাছে স্পষ্ট এবং দৃশ্যমান। স্বৈরশাসকের কোনো দোসরকে এ পদে রাখবো না। এখন আপনি কি করবেন বলেন?
এমন উত্তরে ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল্লাহ বলেন, আমি কোনো স্বৈরশাসকের দোসর না। তাদের কারো সঙ্গে আমার যোগাযোগও ছিল না। এ সময় বিক্ষোভকারীদের একজন বলেন, তাহলে আপনার বিগত ১৬ বছর ধরে এ চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ কে দিয়েছে? তখন এ কে এম ফজলুল্লাহ বলেন, বোর্ড থেকে দেওয়া হয়েছে। তখন আবারো তারা স্বৈরশাসকের দোসর বলে স্লোগান দিতে থাকে ‘দফা এক দাবি এক; এমডির পদত্যাগ।
ওয়াসার এমডি প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল্লাহ বলেন, আমি সরকার নিযুক্ত লোক; কোন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব না। আজকে মানুষদের কথায় চলে গেলাম। তখন সরকার আমার থেকে জানতে চাইবে আমি গেলাম কেন!
তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রাম ওয়াসায় আমার কোন দুর্নীতি নেই। এখানে দুদক ও বিভিন্ন সরকারি দপ্তর থেকে তদন্ত করেছে। কোন দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া যায়নি এবং দুর্নীতির কোন সুযোগ নেই।
এ সময় বৈষম্যবিরোধী সাধারণ নাগরিক সমাজের ১৭ দফা দাবি উপস্থাপন করা হয়। এগুলেণা হলো, এমডি ফজলুল্লাহ’র আয়কর বিবরণী ২০০৯-২০২৪ এবং সম্পদ বিবরণী জনসম্মুখে প্রকাশ করতে হবে। ফজলুল্লাহ’র ভ্রমণ বিল (২০০৯-২০২৪) এর পূর্ণাঙ্গ তথ্য প্রকাশ করতে হবে। ভ্রমণ বিলকে ব্যবসায় পরিণত করায় অনতিবলম্বে তা সরকারি কোষাগারে জমা দিতে হবে। অবিলম্বে স্বৈরচারী সরকারের পোষ্যদের নিয়ে গঠিত বোর্ড বাতিল করতে হবে। চট্টগ্রাম ওয়াসার মূল দুর্নীতির কারখানা প্রকৌশল ও রাজস্ব শাখাকে ঢেলে সাজাতে হবে। দূর্নীতিগ্রস্থ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ ও জনসম্মুখে প্রকাশ করতে হবে।৪ আগষ্ট স্বৈরাচার খুনি হাসিনার পক্ষ নিয়ে তাণ্ডবে অংশ নেয়া ওয়াসার কর্মচারীদের চিহ্নিত করে স্থায়ী বহিষ্কার করতে হবে। স্বৈরাচারী হাসিনার পতনের পর ফজলুল্লাহ’র সমস্ত অবৈধ অফিস আদেশ অবিলম্বে বাতিল করতে হবে।
ফজলুল্লাহর সময়ে বহিষ্কৃত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরিতে পুনবহাল করতে হবে। যে সকল কর্মকর্তা প্রাধিকারের বাইরে গাড়ি ও জ্বালানি ভোগ করছেন তা সরকারি কোষাগারে জমা দিতে হবে। যে সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী অধিক ৫ (পাঁচ) বৎসর একই কর্মস্থলে কর্মরত তাদের দ্রুত বদলি করতে হবে। স্বৈরাচরী হাসিনা সরকারের আমলে সমাপ্ত ও চলমান প্রকল্পের নথি-অডিট সংক্রান্ত তথ্য ও সমস্ত ক্রয়ের হিসাব জনসম্মুখে প্রকাশ করতে হবে। চট্টগ্রাম ওয়াসা রেস্ট হাউজের বিদ্যুৎ বিল-পানির বিল-গ্যাসের বিল (২০০৯-২০২৪) ব্যবস্থাপনা পরিচালকের নিজ খাত হতে পরিশোধ করতে হবে।
এছাড়া ব্যারিষ্টার কলেজ এলাকায় অবৈধ সংযোগের তদন্ত-ওয়াটার ওর্য়াকসে ভাউচারে পানি বিক্রয়ের টাকা আত্মসাৎ তদন্ত প্রতিবেদনসহ ২০০৯ এর পর সংগঠিত অন্যান্য দুর্নীতির তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করতে হবে। চট্টগ্রাম ওয়াসার প্রকল্প, রাজস্ব ও রাজস্ব শাখার দুর্নীতি প্রতিরোধে স্থানীয় সরকার বিভাগ হতে মনিটরিং সেল চালু করতে হবে। বিক্রয় বিভাগের ১৫ বছর ধরে কর্মরত দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা রিচার্ড নেলসন পিনারুর অনিয়ম তদন্ত করে শান্তির ব্যবস্থা করতে হবে। ইংস লি. নামের ঠিকাদার থেকে স্মাট মিটার কিনে ‘পদ্মা’ নামে বিল করার রহস্য ও অনিয়ম তদন্ত করে অভিযুক্তদের শান্তির আওতায় আনতে হবে।
বিগত ১০ বছর ধরে ৩০-৩৫ শতাংশ পানি সিস্টেম লস দেখিয়ে বিপুল অর্থ আত্মসাতের সুষ্ঠু তদন্ত করে দায়ীদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। বিগত ১৫ বছরে করোনাসহ নানা সংকটের মধ্যে পানির দাম বাড়িয়ে মানুষের যে কষ্ট সেটার প্রতিকার করতে হবে। সুতরাং অনতিবিলম্বে এ সমস্ত অভিযোগ, অনিয়ম, দুর্নীতি এবং বিতর্কিত লুটপাটকারী ফ্যাসিস্ট খুনী হাসিনার দোসর ওয়াসার এমডি ফজলুল্লাহর পদত্যাগ ও শাস্তির দাবি করছি।
জানা গেছে, টানা ৮ মেয়াদে দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে চট্টগ্রাম ওয়াসার দায়িত্বে আছেন এ কে এম ফজলুল্লাহ। এত বছর ক্ষমতায় থেকে নিজে যেমন জড়িয়েছেন বিভিন্ন অনিয়মে তেমনি আত্মীয়-স্বজনরাও জড়িয়েছিলেন অনিয়মের সঙ্গে। এ নিয়ে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো উদারতা দেখিয়েছেন বছরের পর বছর।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চট্টগ্রাম ওয়াসার বিভিন্ন প্রকল্পে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ ছাড়াও স্থায়ীভাবে চাকরি করছেন এমডি’র ২০ জনেরও অধিক আত্মীয়।
সূত্র জানা গেছে, ১৯৬৮ সালে ওয়াসার সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে নিয়োগ পান। পরে নির্বাহী প্রকৌশলী পদে পূর্ণ মেয়াদে দায়িত্ব পালন শেষে ১৯৯৮ সালে অবসর নেন। চাকরি জীবনে অনিয়মে জড়িয়ে হয়েছিলেন বহিষ্কার। পরবর্তীতে একটি কো-অপারেটিভ প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান হয়ে জড়ান অর্থ আত্মসাতে। দুই দফায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাভোগ করেন। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০০৯ সালের ওয়াসার বোর্ড চেয়ারম্যান হিসাবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান। এরপর ২০১১ সাল থেকে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রভাবে খাটিয়ে চট্টগ্রাম ওয়াসা বোর্ড গঠন করে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) পদ তৈরি হলে প্রথম দফায় তিন মাসের জন্য এমডির দায়িত্ব পান তিনি। পরে পাঁচ দফায় পুনর্নিয়োগে গত ১৩ বছর ধরে এ দায়িত্ব পালন করেছেন এ কে এম ফজলুল্লাহ। সর্বশেষ ২০২০ সালের অক্টোবরে পুনঃনিয়োগ পাওয়ার পর হাসান আলী নামে এক গ্রাহক পুনঃনিয়োগ চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করেছিলেন। ওয়াসার চেয়ারম্যান হিসেবে একবার ও এমডি হিসেবে ৬ষ্ঠ বারের মত দায়িত্ব পান তিনি।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

মশা নিধনে আমেরিকান প্রযুক্তির লার্ভিসাইড বিটিআই ব্যবহার শুরু চসিকের।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন প্রথমবারের মতো মশা নিয়ন্ত্রণে আমেরিকান প্রযুক্তির লার্ভিসাইড বিটিআই ব্যবহারের কার্যক্রম শুরু করেছে। সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনের নির্দেশক্রমে সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় ৩৯ নং দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ড কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি শুরু হয়। কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন চসিকের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সচিব মো. আশরাফুল আমিন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মোঃ শরফুল ইসলাম মাহি, কীটতত্ত্ববিদ রাশেদ চৌধুরী এবং অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) মশা নিয়ন্ত্রণে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অবলম্বন করে নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর আগে গত ২৬ মার্চ নগরীর ১৭ নম্বর বাকলিয়া ওয়ার্ডের সৈয়দ শাহ রোডের সামনের খালে পরীক্ষামূলকভাবে বিটিআই লার্ভিসাইড প্রয়োগ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। অর্জিত অভিজ্ঞতার আলোকে আজ থেকে ওয়ার্ড পর্যায়ে বিটিআই প্রয়োগ শুরু করল চসিক।

চসিকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত ফগিং, লার্ভিসাইড ছিটানো, নালা–নর্দমা পরিষ্কার, আবর্জনা অপসারণ এবং জনসচেতনতা কার্যক্রম আরও জোরদার করা হয়েছে। নতুন প্রজন্মের আমেরিকান প্রযুক্তির বিটিআই ব্যবহারে মশার লার্ভা ধ্বংসে আরও কার্যকর ফল পাওয়া যাবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন।

বিটিআই হলো একটি প্রাকৃতিকভাবে উৎপন্ন ব্যাকটেরিয়াভিত্তিক লার্ভিসাইড, যা বিশেষভাবে মশা, ব্ল্যাক ফ্লাই ও ফাঙ্গাস গ্ন্যাটের লার্ভা দমনে ব্যবহৃত হয়। এটি পানিতে প্রয়োগ করার পর লার্ভা খাদ্যের সঙ্গে বিটিআই গ্রহণ করে এবং ব্যাকটেরিয়ার উৎপাদিত ক্রিস্টাল প্রোটিন টক্সিন লার্ভার পরিপাকতন্ত্রে কার্যকর হয়ে তাদের দ্রুত নিধন ঘটায়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, বিটিআই মানুষের শরীর, গৃহপালিত প্রাণী, মাছসহ অন্যান্য পরিবেশবান্ধব প্রাণীর জন্য ক্ষতিকর নয়; এমনকি উদ্ভিদ ও জলজ বাস্তুতন্ত্রেও কোনো বিষাক্ত প্রভাব ফেলে না। বিশ্বজুড়ে ডেঙ্গু, জিকা ও চিকুনগুনিয়ার মতো বাহক–বাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণে এটি একটি নিরাপদ ও বৈজ্ঞানিকভাবে স্বীকৃত সমাধান হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

অধস্তন আদালতও ট্রাইব্যুনালের সহায়ক কর্মকর্তা-কর্মচারীগণকে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের অধীনে অন্তর্ভুক্ত করনের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী এসোসিয়েশন।

অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালের সহায়ক কর্মকর্তা-কর্মচারীগণকে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের অধীনে অন্তর্ভুক্ত করণের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন চট্টগ্রাম বিভাগ। ৩০ নভেম্বর চট্টগ্রাম ই ফ্যামিলি কোর্ট উদ্বোধন করতে এলে আইন সচিব লিয়াকত আলী মোল্লাএর সাথে বিচার বিভাগীয় কর্মচারী এসোসিয়েশন,

চট্টগ্রাম বিভাগ ও চট্টগ্রাম জজশীপ কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ এর নেতৃবৃন্দ সাক্ষাৎকালে তাদের দীর্ঘদিনের ন্যায্য দাবি বাস্তবায়নের দাবি জানান।তারা বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ও আইন মন্ত্রণালয় এর ন্যায় পদ -পদবী পরিবর্তন ও বেতন স্কেল নির্ধারণের ও দাবি জানান।নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশ বিচার বিভাগ আইনের ধারক ও বাহক।
Pp

কিন্তু অধস্তন আদালতের কর্মকর্তাও কর্মচারীগন বিভিন্ন সুবিধা থেকে বঞ্চিত। তাই বৈষম্য দূরীকরণের জোর দাবি জানান।আইন সচিব অবিলম্বে দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস প্রদান করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের সিনিয়র জেলা জজ মোহাম্মদ হেমায়েত উদ্দিন, মহানগর দায়রা জজমোঃ হাসানুুল ইসলামও চট্টগ্রামের সকল স্তরের বিচারক মন্ডলী।উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এনামুল হক আকন্দ ।বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন পারভেজ, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মোহাং শামসুল হক, , চট্টগ্রাম জজশীপ কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ এর সভাপতি বিপ্লব কান্তি দাশ ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ