আজঃ শনিবার ৬ ডিসেম্বর, ২০২৫

রূপগঞ্জে ছাত্রদল নেতাসহ তিনজনকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা

রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার ভুলতা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ছাত্রদলের সভাপতি দোলন ভুঁইয়া(২৮), তার চাচা আব্দুস সামাদ ভুঁইয়া(৬২) ও আনোয়ার হোসেনকে(৪৮) আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। গত ৪সেপ্টেম্বর রূপসী-কাঞ্চন সড়কের বেলতলা নামক স্থানে তারা সন্ত্রাসীদের কবলে পড়ে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় দোলন ভুঁইয়াকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এর পরে পঙ্গু হাসপাতালে অপর আহত দুইজনকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, ছাত্রদল নেতা দোলন ভুঁইয়াদের ফসলি জমির উপর দিয়ে একই গ্রামের ফসিউজ্জমানের ছেলে সাবিত ভুঁইয়ার নামীয় ড্রেজারের বালুর পাইপ বসাতে গেলে দোলন ভুঁইয়ারা বাধা দেয়। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাক-বিতন্ডা হয়। এ নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে তাদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিলো। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ৪০/৪৫ সদস্যের একদল সন্ত্রাসী রামদা, ছেনি,চাইনিজ কুড়াল, লোহার রডসহ অস্ত্রে সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তাদের উপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা দোলন ভুঁইয়ার হাত ও পায়ে কুপিয়ে মারাত্মক ভাবে জখম করে। পরে তাদের ডাকচিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে দোলন ভুঁইয়ার চাচা আব্দুস সামাদ ভুঁইয়া বাদী হয়ে আতলাশপুর গ্রামের আওলাদ হোসেনের ছেলে কাউছার ভুঁইয়া(৪৫), আব্দুল খালেকের ছেলে আওলাদ হোসেন ভুঁইয়া(৭০), আব্দুল হাইয়ের ছেলে সেলিম মোল্লা(৪৮), মফিজুল মিয়ার ছেলে ইসরাফিল(২৮), রাজু মিয়ার ছেলে শুভ(১৮), বারেক মাস্টারের ছেলে ফেরদৌস(৪০), আবু সাঈদ ভুঁইয়ার ছেলে রাব্বি(২৫) ও কাউছার(২৮), আনোয়ার আলী মেম্বারের ছেলে টিপু(৪৫), মোস্তফা মিয়ার ছেলে আলী মিয়া(৩৭), আব্দল হাই মোল্লার ছেলে সোহেল(৩৫), তোতা সরকারের ছেলে জাহাঙ্গীর(৩৮), আব্দুল হকের ছেলে ইমন(১৮), ইকবাল মিয়ার ছেলে ফাদেল(১৯), মোস্তফার ছেলে জুবায়ের(২২), নাছিরউদ্দিনের ছেলে জাহিদুল(২৮) ও সফি(২৫), বেলায়েত মিয়ার ছেলে শাহাআলম(২৫), পারু মিয়ার ছেলে রবিন(২৪), লুৎফরের ছেলে নাদিম(২০), ফালু মিয়ার ছেলে বাচ্চু মিয়া(১৮) ও পারভেজ(২২), কফিলউদ্দিন ভুঁইয়ার ছেলে খোরশেদ(৪০), বাচ্চু মিয়ার ছেলে মেহেদী(১৮), সুজন মিয়ার ছেলে সোহান মিয়া(২০), হযরত আলীর ছেলে রোহানকে(১৮) নামীয় ও অজ্ঞাত ২০/২৫জনকে আসামী করে রূপগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
রূপগঞ্জ থানা ওসি জুবায়ের হোসেন বলেন, ঘটনাস্থল পুলিশ পরিদর্শন করেছে। সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

কুষ্টিয়ায় হাত-পা বাঁধা অবস্থায় বয়স্ক নারীর লাশ উদ্ধার।

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় হাত–পা বাঁধা অবস্থায় খাইরুন নেছা (৬০) নামের এক বয়স্ক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার রামচন্দ্রপুর মানিকের বাঁধ এলাকার পাশ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত নারী হলেন ঐ এলাকার মৃত রজব আলীর মেয়ে।

পুলিশ ও স্থানীয়দের বরাতে জানা গেছে, সকালেই মানিকের বাঁধের পাশে পানিতে ভেসে থাকা একটি লাশ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে তাঁরা পুলিশে খবর দিলে ভেড়ামারা থানা–পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

এ বিষয়ে ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহাম্মদ জাহেদুর রহমান বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, তাঁকে হত্যা করে হাত–পা বেঁধে এখানে ফেলে রাখা হয়েছে।

বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছি। তদন্তে যা বের হবে, সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

কুষ্টিয়ায় বাড়ি থেকে অস্ত্র-গুলি উদ্ধার।

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় সোহাগ হোসেন নামের এক রাজমিস্ত্রির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দুটি পিস্তল ও একটি ওয়ান শুটারগান উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ওসমানপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ওসমানপুর কলপাড়া গ্রামে এই অভিযান চালান সেনাসদস্যরা। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় খোকসা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোশাররফ হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ক্যাপ্টেন মেহেদীর নেতৃত্বে কুষ্টিয়া সেনাক্যাম্পের রওশন আরা রেজিমেন্ট আর্টিলারি ইউনিটের একটি দল ওসমানপুর গ্রামের সোহাগ হোসেন নামের এক যুবকের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় বাড়ি তল্লাশি করে দুটি পিস্তল, একটি ওয়ান শুটারগান, গুলি, দেশীয় চাকু ও হাঁসুয়া পাওয়া যায়। তবে অভিযানে কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। সোহাগ হোসেন পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। তাঁর বাবার নাম আশরাফ হোসেন।

পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন বলেন, সেনাবাহিনীর অভিযানে উদ্ধার করা অস্ত্র থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ