আজঃ শনিবার ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

কোর জামে মসজিদ ভেঙ্গে অ্যাডভোকেটদের অফিস বানানোর প্রতিবাদে নওগাঁয় মানববন্ধন নওগাঁ প্রতিনিধি

মাহাবুব হাসান মারুফ নওগাঁ প্রতিনিধি

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

নওগাঁয় কোর জামে মসজিদ ভেঙ্গে অ্যাডভোকেটদের অফিস বানানোর প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নওগাঁ জেলা শাখা। রোববার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে জেলা আদালত চত্ত্বরে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর সভাপতি মাস্টার মো. আশরাফুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি মুহাম্মদ নাজমুল হোসেনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তারা বলেন,

অত্র মসজিদ স্থাপিত হওয়ার মূল ভিত্তির ছায়ালিপিসহ প্রতিবেদন আগামী ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মসজিদ পরিচালনা পর্ষদের পক্ষ থেকে আন্দোলন কারীদের নিকট পেশ করা হবে। আনুমানিক ২০ থেকে ২২ বছর পর কোন সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করে উক্ত মসজিদ ভেঙ্গে উকিলদের চেম্বার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তার লিখিত ফতোয়া আন্দোলনকারীদের নিকট পেশ করতে হবে। উক্ত মসজিদ ভেঙ্গে উকিল চেম্বার করার ক্ষেত্রে যাদের নিকট হতে অর্থ নেওয়া হয়েছে তার সঠিক ব্যবহার হয়েছে কি না তার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে তার প্রতিবেদন পেশ করতে হবে।

উক্ত দাবী সমূহ পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অত্র মসজিদের নীচতলায় সালাত আদায় করা ও অজু খানাসহ যা কিছু ভাঙ্গা হয়েছে তা পুনরায় মেরামত করতে হবে। চুড়ান্ত সমাধান না হওয়া পর্যন্ত যাদের নিকট থেকে অর্থ নেওয়া হয়েছে তাদের পনর্বাসনের ব্যবস্থা করা বা অর্থ ফেরৎ এর ব্যবস্থা করতে হবে।

উক্ত মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী যুব আন্দোলন নওগাঁর সভাপতি হাফেজ মুহাম্মদ নাজিবুদ্দীন চৌধুরী, জেলা ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের সেক্রেটারী মুহাম্মদ নূর মমিনূল হক, মাওলানা মুফতি মুহাম্মদ আব্দুল ওয়াদুদ, মাওলানা মুফতি মুহাম্মদ সাদেক আলী, মাওলানা মুফতি মুহাম্মদ ওয়ালিউল্লাহ, মাওলানা মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, মাওলানা মুফতি মুহাম্মাদ হারুন অর রশিদ, মুহাম্মদ আব্দুল হক, মাওলানা মুহাম্মদ শাহেদ আরাফাত, মাওলান মুফতি মুহাম্মদ হাফিজুল্লাহ, হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ রউফুজ্জামান রাইট, মাওলানা মুহাম্মদ আকতারুজ্জামান, মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুর রহমান, মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, হাফেজ মুহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল, মাওলানা মুহাম্মদ আজিমুদ্দীন, মুহাম্মদ তারেক হোসন মিঠু, প্রভাষক মুহাম্মদ শহিদুল আলম, প্রভাষক মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি দুর্বৃত্তদের গুলিতে গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।আহত ওসমান হাদীর সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। এছাড়া চিকিৎসা কার্যক্রম নিবিড়ভাবে তদারকি করার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেছেন।


একই সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দ্রুত ও ব্যাপক তদন্ত চালিয়ে হামলায় জড়িত সবাইকে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ, প্রত্যক্ষদর্শীর তথ্য গ্রহণ, সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা এবং হামলার পেছনে কোনো সংগঠিত পরিকল্পনা থাকলে তা উন্মোচনের জন্য তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিতে বলেছেন।

চাকুরী স্থায়ী হচ্ছেনা চট্টগ্রাম ওয়াসার কর্মচারীদের, কাফনের কাপড় পরে বিক্ষোভ।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

দীর্ঘদিন কাজ করার পরও চাকুরী স্থায়ী না করে নতুন করে জনবল নিয়োগের উদ্যোগে কাফনের কাপড় পরে চট্টগ্রাম ওয়াসার সামনে বিক্ষোভ করেছেন দৈনিক ভিত্তিতে কর্মরত কর্মচারীরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম ওয়াসার মূল ফটকের সামনে অবস্থান নেন তারা।
আন্দোলনের বিষয়ে জানতে চট্টগ্রাম ওয়াসার উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (প্রশাসন) শারমিন আলমের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, মামলা থাকার পরও ওয়াসায় দৈনিক ভিত্তিতে কর্মরতদের স্থায়ী না করে উল্টো নতুন করে পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। দীর্ঘদিন কাজ করার পরও তাদের স্থায়ী না করে নতুন করে জনবল নিয়োগের উদ্যোগ পরিকল্পিত। এসময় তারা অনতিবিলম্বে স্থায়ী নিয়োগের দাবি জানান।

তারা আরও বলেন, ওয়াসার ক্রান্তিকালে আমাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আমাদের বৈধতা দেওয়ার পরে অন্যদের নিয়োগ দিতে হবে। মামলা চলমান থাকার পরও কর্তৃপক্ষ তড়িঘড়ি করে বিজ্ঞপ্তি ছাড়ে। হাইকোর্টকে অমান্য করে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের প্রতিবাদে আমরা এখানে মিলিত হয়েছি। বিগত বছরগুলোতেও আমরা বৈষম্যের শিকার ছিলাম এখনও বৈষম্যের শিকার। চট্টগ্রাম ওয়াসায় বিভিন্ন পদে অস্থায়ী ভিত্তিতে কর্মরত আছেন দুই শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ