আজঃ শুক্রবার ১৪ মার্চ, ২০২৫

চসিকে নিয়োগ পরীক্ষার ফল ‘উধাও’

নিজস্ব প্রতিবেদক

বৃহস্পতিবার সাবেক সচিব খালেদ মাহমুদকে তলব

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে (চসিক) ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত যান্ত্রিক শাখার ‘সহকারী প্রকৌশলী’ পদে নিয়োগ পরীক্ষার এক প্রার্থী পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করলে বিষয়টি সামনে আসে। পুরো চসিক ভবন ঘেঁটে এসব তথ্য না পেয়ে তলব করা হয়েছে সংস্থাটির তৎকালীন সচিব খালেদ মাহমুদকে। আগামী ১২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় তাঁকে চসিক কার্যালয়ে উপস্থিত হতে বলা হয়েছে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এসব তথ্য জানা গেছে।এদিকে কয়েক দফা চেয়ার টানাটানির পর চসিক ছেড়ে ওই কর্মকর্তার ঠাঁই হয়েছে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোতে। সংস্থাটির পরিচালক পদে কর্মরত রয়েছেন তিনি।
জানা গেছে, ২০২১ সালের ৯ মার্চ বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন থেকে সচিব হয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে আসেন খালেদ মাহমুদ। দায়িত্বপালনকালে বিধি না মেনে নিয়োগ, অবসরের যাওয়ার আগমুহূর্তে বিধি ভঙ্গ করে এক প্রকৌশলীকে পদোন্নতি দেওয়ার ঘটনায় করপোরেশনে সমালোচিত হন তিনি। এছাড়া কয়েকদফা বদলির পরও তাঁর চেয়ার না ছাড়ার বিষয়টি বেশ আলোচিত হয়েছিল। সবশেষ চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে চেয়ার ছেড়ে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোতে যান এ কর্মকর্তা।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাংগঠনিক কাঠামোভুক্ত সহকারী প্রকৌশলী (পুর/যান্ত্রিক/বিদ্যুৎ) পদে জনবল নিয়োগের জন্য ২০২২ সালের ২ সেপ্টেম্বর লিখিত পরীক্ষা এবং ১৭ নভেম্বর মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ পদে জনবল নিয়োগ করা হয়। এ বিষয়ে পুনঃ নিরীক্ষণের জন্য সহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) পদের একজন পরীক্ষার্থী মেয়র বরাবরে আবদন করেন। এ বিষয়ে সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগের অফিস হতেও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের কার্যক্রম জানতে চাওয়া হয়েছে। কিন্তু পরীক্ষার মার্কশিট এবং মেধাতালিকা বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের জিজ্ঞেস করলে তারা ওই পদের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার ফলাফল তাদের দেয়া হয়নি বলে জানায়।
দাপ্তরিক প্রধান হিসেবে কাগজপত্র সংরক্ষণ করা সাবেক এ কর্মকর্তার দায়িত্ব উল্লেখ করে চিঠিতে আরো বলা হয়, নিয়োগ কার্যক্রম সম্পাদন করলে মেধা তালিকা নথিতে থাকা আবশ্যিক হলেও নথিতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাওয়া যায়নি। দপ্তরের দাপ্তরিক প্রধান হিসেবে এতদসংক্রান্ত কাগজাদি সংরক্ষণ করা আপনার কার্যপরিধিভুক্ত বিষয়ের মধ্যে পড়ে।
এ বিষয়ে জানতে সাবেক চসিক সচিব, বর্তমানে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর পরিচালক খালেদ মাহমুদের ব্যক্তিগত ও দাপ্তরিক নম্বরে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি সাড়া দেননি। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলামও সাড়া দেননি মুঠোফোনে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চট্টগ্রাম মহানগরে প্লাস্টিক দূষণ প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে বন্দরের আহবান

চট্টগ্রাম মহানগরের জলাবদ্ধতা নিরসন এবং প্লাস্টিক দূষণ প্রতিরোধে নগরবাসীর সচেতনতা ও সরাসরি অংশগ্রহণ ছাড়া এ সমস্যার দীর্ঘ স্থায়ী সমাধান সম্ভব নয়। এ সমস্যা সমাধানে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম নগরীর ৩৬ টি খাল ও নালা দিয়ে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ পলিথিন, প্লাস্টিক বোতল,

কাপড়সহ বিভিন্ন বর্জ্য কর্ণফুলী নদীতে পড়ে, যা নদীর পরিবেশের জন্য মারাত্নক হুমকি সৃষ্টি করছে। বর্জ্যের কারণে নগরীর জলাবদ্ধতা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং কর্ণফুলী নদীর নেভিগেশন চ্যানেলের নাব্যতা হ্রাস পাচ্ছে ফলে ড্রেজিং কাজে সরকারের সময় ও অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে। প্লাস্টিক বর্জ্য খালের মুখে জমা হয়ে পানি প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করছে, ফলে জলাবদ্ধতার সমস্যা দিন দিন প্রকট হচ্ছে। গৃহস্থালী বর্জ্য নালা নর্দমায় ফেলায় পানি দূষণ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং রোগ জীবাণুর বিস্তার ঘটাচ্ছে।

দূষণের ফলে কর্ণফুলী নদীর জীব বৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়ছে এবং নদীভিত্তিক অর্থনীতি ও জীবিকা নিবাহের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এ বিষয়ে প্রাচ্যর রানী খ্যাত বন্দর নগরী চট্টগ্রামকে রক্ষার জন্য নগরবাসীকে সচেতন করার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক লিফলেট বিতরণ করা হয়। উক্ত বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সদস্য (হারবার ও মেরিন) ক্যাপ্টেন আহমেদ আমিন আবদুল্লাহ, (জি), বিএসপি, পিএসসি, বিএন, চীফ হাইড্রোগ্রাফার,চবক সচিব,চবক সহ চবক এর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও চবক এর স্কাউট সদস্যরা চবক স্কুল কলেজে এই চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা ও প্লাস্টিক দূষণের নেতিবাচক প্রভাব এর লিফলেট বিলি করেন।

পরিবেশ রক্ষায় চট্টগ্রামে চালু হয়েছে “ক্লিন বাংলাদেশ প্লাস্টিক এক্সচেঞ্জ কর্নার”

নগরীর জলাবদ্ধতা ও প্লাস্টিক দূষণ মোকাবিলায় ক্লিন বাংলাদেশ-এর উদ্যোগে এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন-এর সহযোগিতায় যাত্রা শুরু করলো “প্লাস্টিক এক্সচেঞ্জ কর্নার”। মাহে রমজান উপলক্ষ্যে চালু হওয়া এই বিশেষ কর্মসূচির মাধ্যমে ব্যবহৃত প্লাস্টিক ও পলিথিনের বিনিময়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য বিতরণ করা হচ্ছে।চকবাজার কাঁচাবাজারের সামনে শুক্রবার আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। এই সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন সমাজকর্মী, পরিবেশবাদী সংগঠনের প্রতিনিধি, সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তারা ও সাধারণ জনগণ।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বলেন পরিবেশ রক্ষা ও জলাবদ্ধতা সমস্যা সমাধানে আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা দরকার। ক্লিন বাংলাদেশ-এর এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়, কারণ এটি জনসচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি নগর পরিচ্ছন্নতার জন্য একটি বাস্তবসম্মত সমাধান দিচ্ছে। আমরা চাই এই কার্যক্রম আরও সম্প্রসারিত হোক এবং নগরবাসী প্লাস্টিক বর্জ্যের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে আরও সচেতন হোক।
ক্লিন বাংলাদেশ-এর প্রতিষ্ঠাতা শওকত হোসেন জনি বলেন আমাদের শহরের অন্যতম প্রধান সমস্যা হলো প্লাস্টিক বর্জ্য ও জলাবদ্ধতা। আমরা সবাই জানি, নালা ও ড্রেনগুলো প্লাস্টিকের কারণে বন্ধ হয়ে যায়, যার ফলে সামান্য বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। আমরা চেয়েছি সমস্যার একটি কার্যকর সমাধান দিতে—যেখানে পরিবেশ রক্ষা ও মানবিক সহায়তা একসাথে করা যায়। তাই, ‘প্লাস্টিক আনুন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য নিন’ এই ধারণা নিয়ে আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছি। এটি শুধু প্লাস্টিক দূষণ রোধ করবে না, বরং নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য রমজানের সময়ে সহায়তা হিসেবে কাজ করবে।
রমজান মাসব্যাপী প্রতি শুক্রবার ও শনিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত নগরীর চকবাজার, বহদ্দারহাট ও আগ্রাবাদ কাঁচাবাজারের সামনে এই কার্যক্রম চলবে। ব্যবহৃত প্লাস্টিক ও পলিথিন জমা দিয়ে চনা, ছোলা, খেজুর, ছিড়া, আলু, পেঁয়াজ, ডিমসহ বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সংগ্রহ করতে পারবেন সাধারণ জনগণ।

এই আয়োজন সফলভাবে পরিচালনা করছেন ক্লিন বাংলাদেশ-এর সাধারণ সম্পাদক তানভীর রিসাত ও টিম লিড করছে ইমন, আলভি, জাহিদ, প্রমি, তানজিফা। পাশাপাশি সদস্য হিসেবে কাজ করছে সাকিব, ইয়াজ, মুনতাসির, পার্থ। উক্ত অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশা, বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও রাজনীতিবিদ মনিরুল ইসলাম ইউসুফ ও বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।ক্লিন বাংলাদেশ আশা করছে, এই উদ্যোগ নগরবাসীর মধ্যে প্লাস্টিক ব্যবহারের কুফল সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করবে এবং পরিবেশবান্ধব অভ্যাস গড়ে তুলতে সহায়তা করবে।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ