আজঃ শুক্রবার ৫ ডিসেম্বর, ২০২৫

ফেসবুকে প্রেম বাবার বড়ী ছেড়ে প্রেমিকের কাছে এলেন মারিয়া, ফিরলেন লাশ হয়ে প্রেমিক পালাতক

সুরুজ্জামান রাসেল গাজীপুর প্রতিনিধি:

গাজীপুরের সিটি কর্পোরেশনে চেরাগআলীতে ১৩ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকালে ফ্লাইওভার ব্রীজের নিজ থেকে মারিয়া আক্তার মুমু (১৯)নামের এক তরুনীর মরদেহ উদ্ধার করে টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশ।
মারিয়াকে ফ্লাই ওভার থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে খুন করে পালিয়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নিহতের মা জানান, ৫ বছর আগে টঙ্গীর চেরাগআলীর মোর্শেদ অনি নামে এক ছেলের সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইজবুকে পরিচয় হয়। প্রথমে বন্ধুত্ব পরে তাদের মাধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।
মারিয়াদের আর্থিক অবস্থা ভালো থাকায় মোর্শেদ অনি বিভিন্ন সমস্যার কথা বলে মারিয়ার কাছে থেকে একাধিকবার টাকা হাতিয়ে নেয়।
এর মধ্যে মারিয়াকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকে।

গত ১৩ সেপ্টেম্বর শুক্রবার মারিয়াকে বিয়ের কথা বলে বাড়ি থেকে চলে আসতে বলে মোর্শেদ অনি। তারা আলাদা বাসা নিয়ে একসাথে থাকার আশ্বাস দেয় মারিয়াকে।
মোর্শেদ অনির কথামত শুক্রবার ভোরে মারিয়া তার বাসায় থাকা তার মায়ের এবং নিজের ব্যবহৃত প্রায় ২০ ভরি স্বর্ণ অলংকার ও নগদ ৩/৪ লাখ টাকা নিয়ে চলে আসে, মারিয়া সাথে থাকা নগত টাকা ও স্বর্ণ অলংকার অনিক মোর্শেদ অনির হাতে তুলে দেয় মারিয়া। তারপর তাদের মধ্যে বিয়ে করবে এসব বিষয়ে কথা বলতে বলতে এক পর্যায়ে মারিয়া ও মোর্শেদ অনির মাঝে ঝগড়া লেগে যায় এবং মারিয়া জানতে পারে মোর্শেদ অনির বউ আছে সে বিয়ে করতে পারবে না ।
মারিয়াকে তখন মোর্শেদ অনির সাথে থাকা আরো কয়েজ জন বন্ধু মিলে জিম্মি করে এবং মেরে ফেলার ভয়ভিতি দেখিয়ে মিথ্যা ভিডিও শিকারোক্তি নেয় এবং সাদা কাগজে সাক্ষর নিয়ে মারিয়াকে বাসায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে টঙ্গীর চেরাগ আলী ফ্লাই ওভার ব্রীজের উপর থেকে মারিয়াকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায় মোর্শেদ অনি ও তার কয়েক জন বন্ধুরা ।
গত শুক্রবার সকালে মারিয়া মরদেহ পরে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয় পথচারীরা পুলিশ মরদেহ টি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজ উদ্দি ন আহাম্মেদ মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে পাঠায়। মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,
মোর্শেদ অনি বোর্ড বাজার, জাজর হাজীর পুকুর এলাকার নোয়াখালী পট্টিতে নিজ বাড়িতে বসবাস করতেন, তার পিতার নাম খলিল হাজী
একমাত্র মেয়েকে হারিয়ে মারিয়া মুমুর মা বাকরুদ্ধ, কোন কথা বলতে পারছে না। শোকের ছায়া নেমে এসেছে পুরো পরিাবারে।
টঙ্গীর পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ জানায়, প্রতারক মোর্শেদ অনিকে ধরতে পুলিশ চেষ্টা করছে।
মোর্শেদ অনি কে ধরিয়ে দিতে পারলে সন্ধানদাতাকে পুরুষ্কৃত করবে বলে জানিয়েছে মারিয়া মুমুর পরিবার।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

কুষ্টিয়ায় হাত-পা বাঁধা অবস্থায় বয়স্ক নারীর লাশ উদ্ধার।

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় হাত–পা বাঁধা অবস্থায় খাইরুন নেছা (৬০) নামের এক বয়স্ক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার রামচন্দ্রপুর মানিকের বাঁধ এলাকার পাশ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত নারী হলেন ঐ এলাকার মৃত রজব আলীর মেয়ে।

পুলিশ ও স্থানীয়দের বরাতে জানা গেছে, সকালেই মানিকের বাঁধের পাশে পানিতে ভেসে থাকা একটি লাশ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে তাঁরা পুলিশে খবর দিলে ভেড়ামারা থানা–পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

এ বিষয়ে ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহাম্মদ জাহেদুর রহমান বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, তাঁকে হত্যা করে হাত–পা বেঁধে এখানে ফেলে রাখা হয়েছে।

বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছি। তদন্তে যা বের হবে, সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

কুষ্টিয়ায় বাড়ি থেকে অস্ত্র-গুলি উদ্ধার।

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় সোহাগ হোসেন নামের এক রাজমিস্ত্রির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দুটি পিস্তল ও একটি ওয়ান শুটারগান উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ওসমানপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ওসমানপুর কলপাড়া গ্রামে এই অভিযান চালান সেনাসদস্যরা। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় খোকসা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোশাররফ হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ক্যাপ্টেন মেহেদীর নেতৃত্বে কুষ্টিয়া সেনাক্যাম্পের রওশন আরা রেজিমেন্ট আর্টিলারি ইউনিটের একটি দল ওসমানপুর গ্রামের সোহাগ হোসেন নামের এক যুবকের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় বাড়ি তল্লাশি করে দুটি পিস্তল, একটি ওয়ান শুটারগান, গুলি, দেশীয় চাকু ও হাঁসুয়া পাওয়া যায়। তবে অভিযানে কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। সোহাগ হোসেন পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। তাঁর বাবার নাম আশরাফ হোসেন।

পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন বলেন, সেনাবাহিনীর অভিযানে উদ্ধার করা অস্ত্র থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ