আজঃ শনিবার ৬ ডিসেম্বর, ২০২৫

চবিতে যোগদান করেছেনপ্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো.কামাল উদ্দিন

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

রাষ্ট্রপতি ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর এর অনুমোদনক্রমে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আইন ১৯৭৩ এর ১৪(১) ধারা অনুসারে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রফেসর ড. মো.কামাল উদ্দিনকে ৪ (চার) বছরের জন্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। প্রফেসর ড. মো. কামাল উদ্দিন মঙ্গলবার পূর্বাহ্নে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) হিসেবে যোগদান করেছেন। এ সময় চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের সম্মানিত শিক্ষক ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। যোগদানের পূর্বে মাননীয় প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার এর সাথে সাক্ষাৎ করেন।
প্রফেসর ড. মো. কামাল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক। তিনি ২০১১ সালে সুইজারল্যান্ডের জুরিখ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক সংগঠনের উপর অ্যাডভান্সড মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন এবং ২০১৫ সালে সিটি ইউনিভার্সিটি অফ হংকং এর এশিয়ান অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ বিভাগ থেকে বাংলাদেশে আওয়ামী সরকারের আমলে পুলিশের কার্যক্রমে মানবাধিকার বিপর্যয় শিরোনামে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
তিনি ২০০৫ সালে বাংলাদেশ উম্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগদানের মধ্য দিয়ে কৃতি শিক্ষক প্রফেসর ড. মোঃ কামাল উদ্দিনের শিক্ষকতা জীবন শুরু হয়। ২০০৬ সালে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্ন্তজাতিক সম্পর্ক বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন এবং পরবর্তীতে ২০১৮ সালে একই বিভাগে অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি পান। এছাড়াও তিনি হংকং এর সিটি ইউনিভার্সিটি অব হংকং, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর ওমেন, বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি’র বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস, বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি’র বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব মেরিটাইম এ্যাফেয়ারর্স সহ দেশের বিভিন্ন প্রাইভেট বিশ^বিদ্যালয় ও ইনস্টিটিউশনে শিক্ষকতা করেছেন।
এছাড়া তিনি ২০২২ ও ২০২৩ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের শীর্ষ গবেষকের পুরস্কার লাভ করেন। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৩ সালের শ্রেষ্ঠ গবেষণা অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত হন। এছাড়াও তিনি ২০১৭ সালে কুইন্সল্যান্ড ইউনিভার্সিটি অফ সাইন্স এন্ড টেকনোলজি, অস্ট্রেলিয়া এর ক্রাইম অ্যান্ড জাস্টিস সেন্টার কর্তৃক ইয়াং রিসার্চার এওয়ার্ড পান। স্কোপাস ইনডেক্স জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে ড. কামালের ২৫টিরও বেশি গবেষণা নিবন্ধ। স্কোপাস ও গুগোল স্কলারের সাইটেশন অনুযায়ী তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের একজন বেস্ট রিসার্চার।
তিনি তার বিভিন্ন গবেষণায় গত ১৫ বছর ধরে মানবাধিকার লংঘন, গুম-খুন, দুর্নীতি ও বিচারহীনতার সংস্কৃতি নিয়ে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন জার্নালে গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশ করেন।
তিনি শিক্ষা জীবনে ১৪টি পুরস্কার ও বৃত্তি লাভ করেছেন। তিনি ২০১৯ সালে জেম্বার বিশ্ববিদ্যালয়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মানবাধিকার বিষয়ক ৪র্থ সম্মেলন: থিওরি মিটস প্র্যাকটিস কনফারেন্স এর ভ্রমণ অনুদান, ২০১৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজিতে অপরাধ ও বিচার গবেষণা কেন্দ্রের “আরলি-ক্যারিয়ার রিসার্চার স্কলারশিপ ইন সাউদার্ন ক্রিমিনোলজি”, হংকং সিটি ইউনিভার্সিটিতে ২০১২-২০১৩, ২০১৩-২০১৪ ও ২০১৪-২০১৫ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র হিসেবে গবেষণা ডিগ্রির জন্য অসামান্য একাডেমিক পারফরম্যান্স পুরস্কার, ২০১৫ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ অরলিন্সে রাষ্ট্রবিজ্ঞান সমিতির বার্ষিক সভায় দক্ষিণী সম্মেলনে যোগদানের জন্য প্রেস্টিজ-কুক ভ্রমণ পুরস্কার, ২০১৩-২০১৪ ও ২০১৪-২০১৫ সালে হংকং সিটি ইউনিভার্সিটিতে রিসার্চ টিউশন স্কলারশিপ, ২০১২-২০১৫ সালে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন পর্যন্ত হংকং সরকারের অর্থায়নে ইউজিসি অব হংকং সিটি ইউনিভার্সিটির পোস্ট গ্রেজুয়েট স্কলারশিপ, ২০১০ সালে সুইজারল্যান্ড জুরিখ বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃত্তি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএসএস (সম্মান) ও এমএসএস ফাইনাল পরীক্ষায় অসামান্য ফলাফলের জন্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় মেধা বৃত্তি ও বুক এওয়ার্ড অর্জন করেন।

প্রফেসর ড. মোঃ কামাল উদ্দিন ১৯৮৯ সালে নোয়াখালী জেলার সুবর্ণচর উপজেলার চরবাটা গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ফয়েজ আহমেদ ও মাতা চেমনা খাতুন। প্রফেসর ড. মোঃ কামাল উদ্দিনের সহধর্মিনী সরকারের একজন ডেপুটি সেক্রেটারী হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি ৩ কন্যা সন্তানের জনক। তাঁর আগ্রহের বিষয় শিক্ষকতা, গবেষণা ও সমাজসেবা। প্রফেসর ড. মোঃ কামাল উদ্দিন তাঁর উপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে বিশ^বিদ্যালয় পরিবারসহ সংশ্লিষ্ট সকল মহলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেছেন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চট্টগ্রামে সাউর্দান মেডিকেল কলেজে আর্ন্তজাতিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে উপস্থাপন ৬১টি গবেষণাপত্র

দেশি-বিদেশি গবেষকদের অংশগ্রহণে সাউর্দান মেডিকেল কলেজ কর্তৃক প্রথম দেশি ও আর্ন্তজাতিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সাউর্দান মেডিকেল কলেজ কর্তৃক আয়োজিত ‘এসএমসিএইচ সামিট-২০২৫’-এ উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. ওমর ফারুক ইউসুফ। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল হোসেন।সকাল ৮ টায় অনুষ্ঠান শুরু হয়ে দিনব্যাপি চলে এবং এতে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন গবেষকগণ স্বাস্থ্য শিক্ষা, মেডিকেল কারিকুলাম, অ্যাক্রেডিটেশন, তথ্য ও প্রযুক্তি, মেডিসিন, সার্জারি, গাইনি, শিশুস্বাস্থ্য, লিভার, হৃদরোগ, চক্ষু, গণস্বাস্থ্য, বার্ধ্যক্যজনিত রোগ, অনুজীববিদ্যা, মৌলিক চিকিৎসা বিদ্যাসহ চিকিৎসা বিজ্ঞানের অন্যান্য বিষয়ে প্রায় ৬১টি গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন। ইন্দোনেশিয়া, কোরিয়া, আমেরিকা ও লন্ডন থেকে আগত চার আর্ন্তজাতিক গবেষক তাদের গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন।

দেশের খ্যাতিমান চিকিৎসা বিজ্ঞানী ও গবেষকদের মধ্যে ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক এম এ ফয়েজ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক বাংলাদেশ মেডিকেল এডুকেশন অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মো. হুমায়ুন কবির তালুকদার, অধ্যাপক ডা. ইমরান বিন ইউনুস, অধ্যাপক ডা. খন্দকার এ কে আজাদ, খ্যাতনামা শিশু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মো. আবিদ হোসেন মোল্লা, খ্যাতনামা মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মো. রোবেদ আমীন, বাংলাদেশ মেডিকেল রির্সাস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান খ্যাতনামা গাইনি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. সায়েবা আখতার, অধ্যাপক ডা. প্রদীপ কুমার দত্ত, অধ্যাপক ডা. অনুরুদ্দ ঘোষসহ বাংলাদেশের খ্যাতনামা চিকিৎসা বিজ্ঞানীগণ গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম ও ঢাকা হতে আগত বিভিন্ন কলেজের শিক্ষকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।অনুষ্ঠানে সাউদার্ন মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা চিকিৎসা বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তির সমন্বয়ে সাইন্টিফিক প্রজেক্ট ‘নেক্টট জেনারেশন ইনোভেটরস’ উপস্থাপন করেন।
গত ১৬ অক্টোবর সাউর্দান মেডিকেল কলেজ কর্তৃক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ‘এসএমসিএইচ সামিট-২০২৫’এর কনফারেন্স লোগো মোড়ক উম্মোচন, থিম উপস্থাপনা ও ব্যানার উম্মোচনের মাধ্যমে অফিসিয়ালভাবে কার্যক্রম শুরু হয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আজকে আয়োজন সফলভাবে শেষ হলো।

এতে সাবির্ক সহযোগিতায় ছিলেন সাউর্দান মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. জয়ব্রত দাশ, অর্গানাইর্জিং সেক্রেটারি অধ্যাপক ডা. মেহেরুন্নিছা খানম, সাউর্দান মেডিকেল কলেজের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুস সালাম, এমডি জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, বিএমডিসি সদস্য চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য ও সাউর্দান মেডিকেল কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ডা. খুরশীদ জামিল, অধ্যাপক ডা. মো. জসিম উদ্দিন, শিক্ষক সমিতির সভপতি অধ্যাপক ডা. ধনঞ্জয় মজুমদার, মেডিকেল এডুকেশন ইউনিটের বিভাগীয় প্রধান ডা. মো. মিনহাজুল আলম, এছাড়াও বিভিন্ন কমিটির সকল সদস্যবৃন্দ, পৃষ্ঠপোষকবৃন্দ, উপদেষ্টাবৃন্দ, সকল চিকিৎসক, শিক্ষক ও কর্মকর্তা/কর্মচারীবৃন্দ অনুষ্ঠান আয়োজন করার ব্যাপারে সর্বত্র সহযোগিতা করেন।

চুয়েটে শুরু হচ্ছে দুইদিনব্যাপী আর্ন্তজাতিক কনফারেন্স।

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর স্থাপত্য বিভাগ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এর স্থাপত্য বিভাগের গ্রিন আর্কিটেকচার সেল এর যৌথ উদ্যোগে আগামী ৪-৫ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দুইদিনব্যাপী আর্ন্তজাতিক কনফারেন্স। এ উপলক্ষে মঙ্গলবার স্থাপত্য বিভাগের জুরি কক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কনফারেন্স সেক্রেটারি ও চুয়েটের স্থাপত্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. সজল চৌধুরী।

এতে উপস্থিত ছিলেন কনফারেন্স কো-চেয়ার ও চুয়েটের স্থাপত্য বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জনাব কানু কুমার দাশ। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন স্থাপত্য বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জনাব সজীব পাল, সহকারী অধ্যাপক ড. নুসরাত জান্নাত এবং জনাব সাঈদা তাহমিনা তাসনিম।

উল্লেখ্য, স্থাপত্য বিভাগের উক্ত কনফারেন্সে অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, নেদারল্যান্ডস সহ বিভিন্ন দেশ থেকে শীর্ষস্থানীয় একাডেমিশিয়ান, স্কলার্স ও রিসার্চারগণ অংশ নিবেন। এতে ২জন কী-নোট স্পিকার উপস্থিত থাকবেন। এই কনফারেন্সে মোট ১৬টি টেকনিক্যাল সেশন অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া আরও থাকবে পোস্টার প্রদর্শনী, একটি যৌথ আন্তর্জাতিক পিএইচডি রিসার্চ সেমিনার এবং এনভায়রনমেন্ট আর্কিটেকচার এর উপর ৫টি প্যারালেল কর্মশালা। বিভিন্ন দেশ থেকে ৬টি পিএইচডি গবেষণা উপস্থাপিত হবে।

কনফারেন্সে মোট ১৫০টি পেপার জমা পড়ে, এর মধ্যে ২দিনে ১৬টি সেশনে ৮০টির অধিক পেপার উপস্থাপিত হবে এবং ৪০টির অধিক পোষ্টার উপস্থাপিত হবে। কনফারেন্স উপলক্ষ্যে স্থাপত্য বিভাগে দুইদিনব্যাপী স্থাপত্য প্রজেক্ট এক্সিবিশিন করা হবে। এতে স্পন্সর হিসেবে থাকবেন নিপ্পন পেইন্ট, বিএসআরএম, সেভেন রিংস সিমেন্ট, ডিবিএল, বাংলাদেশ ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফাইন্যান্স ফান্ড লিমিটেড (বিআইএফএফএল), স্টেলা-লাক্সারি স্যানিটারি ওয়্যার, টেকনো আর্ট সফটওয়্যার ও নেস্টলে।

আগামী ৪ ডিসেম্বর, সকাল ১০ টায় চুয়েটের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন চুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূইয়া। এতে কনফারেন্সে চেয়ার হিসেবে থাকবেন বুয়েটের স্থাপত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ আশিকুর রহমান জোয়ারদার, কনফারেন্স কো-চেয়ার হিসেবে থাকবেন চুয়েটের স্থাপত্য বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কানু কুমার দাশ এবং কনফারেন্স সেক্রেটারি হিসেবে থাকবেন চুয়েটের স্থাপত্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. সজল চৌধুরী।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ