আজঃ সোমবার ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫

সংবাদ প্রকাশের পর সাতক্ষীরার সেই স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার পদ স্থাগিত

দেবহাটা প্রতিনিধি:

সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে লুটপাটসহ নানা অপকর্মের বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর বিতর্কিত উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক কাজী শরিফুল ইসলামকে পদথেকে স্থাগিত করা হয়েছে। জাতীয়বাদী কৃষকদল কেন্দ্রীয় সভাপতি কৃষিবি; হাসান জাফির তুহিন এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেনের সিদ্ধান্ত মোতাবেক দলীয় প্যাডে এ আদেশ প্রদান করা হয়। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতন হওয়ার পর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক কাজী শরিফুল ইসলাম ও তাদের সহযোগীরা হিংস্র হয়ে লুটপাট, ভাংচুর করে। এমনকি প্রকাশ্যে সাংবাদিকদের উপর হামলা, মামলা দিয়ে হয়রানির হুমকি প্রদানের পাশাপাশি এক সিনিয়র সাংবাদিককে শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত করে।
ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে ও স্বাধীনভাবে সাংবাদিকতা করার সুযোগ চেয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন দপ্তরে স্মারকলিপি প্রদান করেন ভুক্তভোগী সাংবাদিকসহ কালিগঞ্জ রিপোর্টার্স ক্লাবের সাংবাদিকবৃন্দ।
উল্লেখ্য যে, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুথানের পর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক ও কুশুলিয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক কুশুলিয়া গ্রামের কাজী নবীদুল ইসলাম ওরফে নবু কাজীর ছেলে কাজী শরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল দুর্বৃত্ত কুশুলিয়া এবং লক্ষ্মীনাথপুর গ্রামে অবস্থিত তন্ময় মন্ডল নামে এক ব্যক্তির ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও লুটপাট চালায়। তারা ওই ব্যবসায়ীর দু’টি দোকান থেকে প্রায় ৮০ লক্ষ টাকার ফিড ও ঔষধ এবং লক্ষ্মীনাথ গ্রামে জনৈক মহাসিন হোসেন নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে রাখা ব্যবসায়ী তন্ময় মন্ডলের একটি বাজাজ ডিসকভার মোটরসাইকেল লুট করে নিয়ে যায়। ওই চক্রটি আরও কয়েকজনের বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট এবং মাছের ঘেরে লুটপাট করে বলে অভিযোগ ওঠে। একপর্যায়ে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মৌতলা গ্রামের কাজী সোহেল লুটকৃত মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করে ওই ব্যবসায়ীর ভাই বিকাশ মন্ডল ওরফে বিকাশ সাধুর নিকট ফেরত দেন (কাজী সোহেলের অডিও রেকর্ড সংরক্ষণ আছে)। সে সময়ে কাজী শরিফুলের কার্যক্রমের প্রকাশ্য মদদ দেন উপজেলা কৃষকদলের আহবায়ক উপজেলার ভদ্রখালী গ্রামের বহুল বিতর্কিত রোকনুজ্জামান রোকন। স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা শরিফুলের নিকট থেকে মোটর সাইকেল উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর বিষয়টি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে দুর্ধর্ষ রোকনুজ্জামান রোকন ও কাজী শরিফুল ইসলাম নিজেদের অপকর্ম ঢাকতে এবং তাদের সহযোগীদের আড়াল করার উদ্দেশ্যে সংগঠনের কিছু নেতাকর্মীকে বিভ্রান্ত করে গত ১৭ সেপ্টেম্বর রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক নিয়াজ কওছার তুহিনসহ ৪ সাংবাদিকের নামে কালিগঞ্জ থানার সম্মুখে মানববন্ধনের নামে মিথ্যা উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলে ও মামলা-হামলা করার প্রকাশ্য হুমকি প্রদর্শন করে।
পরবর্তীতে তাদের একটি গ্রুপ উপজেলা সদরে অবস্থিত রোকেয়া মনসুর মহিলা কলেজে যেয়েও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। একইদিন বেলা আড়াইটার দিকে রোকেয়া মনসুর মহিলা কলেজের সম্মুখের রাস্তায় রোকনুজ্জামান রোকনের দুই অজ্ঞাতনামা সহযোগীরা রিপোর্টার্স ক্লাবের একজন সিনিয়র সাংবাদিকের পথরোধ করে মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে হুমকি, অশ্লীল গালিগালাজ ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে।
বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকক সংগঠনের পক্ষ থেকে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। এতে বলা হয়, গণমাধ্যমকর্মী হিসেবে সমাজের সকল প্রকার অনিয়ম ও দুর্নীতির বিপক্ষে অবস্থান এবং নির্যাতিত মানুষের পাশে দাঁড়ানো এবং অপরাধমুলক কর্মকান্ড দমনের ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে সংবাদপত্র। প্রকাশিত প্রতিবেদনে বিভ্রান্তিমূলক অসত্য কোন তথ্য থাকলে সেক্ষেত্রে দেশের প্রচলিত আইন অনুসারে সাংবাদিকদের বিচারের সম্মুখীন করা যেতে পারে। কিন্তু সাংবাদিকদের উপর সন্ত্রাসী হামলা, ঢালাওভাবে মিথ্যা কাল্পনিক অভিযোগে অভিযুক্ত করা ও প্রকাশ্য হুমকি ধামকি প্রদান, ভূয়া মামলা দিয়ে হয়রানির হুমকি প্রদানের বিষয়টি সাংবাদিক সমাজের প্রতি চরম বৈষম্যমূলক ও ফ্যাসিবাদী আচরণের বহিঃপ্রকাশ। এ ধরণের দৃশ্যমান অপতৎপরতায় সাংবাদিক সমাজ হতাশা প্রকাশ করে রোকনুজ্জামান রোকন ও কাজী শরিফুল ইসলামসহ লুটেরা, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, সমাজবিরোধী ও শান্তি-শৃঙ্খলা অবনতিকারী চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর দৃষ্টান্তমূলক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান এবং নির্ভয়ে যথাযথভাবে পেশাগত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও প্রশাসনের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা। এছাড়াও বিএনপির মতো একটি জনপ্রিয় দলের সুনাম ধ্বংসের সাথে জড়িত নেতা-কর্মী ও তাদের মদদ দাতাদের বিরুদ্ধে দলের উচ্চপর্যায় থেকে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন সাংবাদিকবৃন্দ।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

দেশের স্বার্থ বিরোধীদেরকে ক্ষমা করবে না জনগণ : মোমিন মেহেদী

নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবির চেয়ারম্যান মোমিন মেহেদী বলেছেন, দেশের স্বার্থ বিরোধীদেরকে ক্ষমা করবে না জনগণ। যেমন ক্ষমা করেনি অতিতের খলনায়কদেরকে, আগামীতেও করবে না। তিনি নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবির আয়োজনে ৫ ডিসেম্বর বেলা ১১ টায় বিজয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় উপরোক্ত কথা বলেন।

‘বন্দর বাতিল করা সময়ের দাবি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন প্রেসিডিয়াম মেম্বার বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান শান্তা ফারজানা, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব কাজী মুন্নি আলম, যুগ্ম মহাসচিব ওয়াজেদ রানা প্রমুখ। এসময় মোমিন মেহেদী অন্তবর্তী সরকারের সমালোচনা করে বলেন, নোবেল পাওয়ার পর ২০০৬ সালেই তিনি বলেছিলেন বন্দর মুক্ত করে দিন, আমি দেখবো বন্দর ব্যবস্থাপনা; আজ জাতির ক্রান্তিকালে অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশকে খাদের কিণারে রেখে বিদেশী কোম্পানীর হাতে তিনি বন্দর তুলে দিয়ে প্রমাণ করেছেন, তিনি নিজের স্বার্থে এদেশকে খন্ড-বিখন্ড করার পাশাপাশি সর্বোচ্চ ক্ষতির মুখে ফেলে দিতে দ্বিতীয়বার ভাববনে না।

এসময় নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, বন্দর চুক্তি বাতিলের ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম। এরমধ্যে দেশ বিরোধী বন্দর চুক্তি বাতিলের ব্যবস্থা গ্রহণ না করে রিট করানো হয়েছে। সেই রিট অনুযায়ী মাননীয় আদালত বন্দর চুক্তির সকল কাজ বন্ধের আদেশ দিয়েছে। কিন্তু চুক্তি বাতিলের দাবিতে আমাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। নির্মম হলেও সত্য যখন বাংলাদেশের মানুষ স্বপ্ন দেখেছিলো ড. ইউনূসের হাত ধরে অর্থনৈতিক মুক্তি আসবে, তখন বাংলাদেশের ঋণের রেকর্ড তৈরি হয়ে ২১ ট্রিলিয়ন ডলার হয়েছে, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি হয়েছে, দুর্নীতি স্বয়ং ইউনূস সাহেবের আত্মীয়-স্বজন-পারিষদবর্গ আর পিয়ন-চাপরাশিদের পৃষ্টপোষকতায় অতিতের রেকর্ড ভেঙ্গে এগিয়ে চলছে। আমাদের এক কথা, তাদের এই বন্দর চুক্তি বাতিল করে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।

বোয়ালখালী পোপাদিয়া ৭;নং ওয়ার্ড় বিএনপির উঠান বৈঠক ধানের শীষে ভোট দেয়ার আহ্বান।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আসনে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর সমর্থনে বোয়ালখালীর ৬নং পোপাদিয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যাগে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

দিপক কুমার লালার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ্ব আজিজুল হক চেয়ারম্যান, প্রধান বক্তা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য, বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ন আহবায়ক ও পোপাদিয়া ইউনিয়ন বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাবেদ মেহেদী হাসান সুজন, বিশেষ অতিথি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাক্তার মহসিন খান তরুণ,পোপাদিয়া ইউনিয়ন নির্বাচন সমন্বয়কারি আলহাজ্ব জাকের হোসেন , যুগ্ন আহবায়ক আবুল

হাশেম,বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপি’র সাবেক যুগ্ম সংগঠনিক সম্পাদক ও পোপাদিয়া ইউনিয়ন বিএনপি’র সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি মোসলেম মিয়া। দক্ষিণ জেলা শ্রমিক দলের অর্থ সম্পাদক ও পোপাদিয়া ইউনিয়ন বিএনপি’র সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ দিদারুল আলম( রিটনমেম্বার), পোপাদিয়া ইউনিয়ন বিএনপি’রযুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এসএম ইকবাল ,সাবেক ছাত্রদল নেতা মো নাজিম উদ্দীন, বিমল আচার্য়্য বাসু,মাস্টার নিপক লালা,সুনীল সুত্রধর, প্রবীর দাশ,ঝাউতলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি জয়দাশ লালু,নিরুপম আচার্য্য,রুপক লালা, প্যানেলে চেয়ারম্যান হাসান চৌধুরী ,শ্রমিক দল নেতা হোসেন চৌধুরী, চরণদ্বীপ ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন সম্পাদক বেলাল হোসেন,

বক্তব্য রাখেন কৃষকদল বোয়ালখালী উপজেলার যুগ্ন আহবায়ক মোহাম্মদ ওসমান,যুগ্ন আহ্বায়ক আলমগীর, শ্রমিকদল বোয়ালখালী উপজেলার সিনিয়র সহ-সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ বেলাল।তাজুল ইসলাম, এমদাত আনসারি,নজরুল ইসলাম বাবু ,টুটুল,সিদ্দিক আজাদ রিহাদ,বেলাল সাহেব, রাইহান,আজাদ খান,লোকমান, আবদুল সালাম ছোটন,জাবেদ,শ্রমিকদল নেতা সাইফুল আলম । এন এম টিপু প্রমুখ। বক্তব্যরা বলেন
“বিএনপির প্রতীক ধানের শীষ গণমানুষের প্রতীক। যেই খানেই ধানের শীষের প্রচারণা চলছে সেখানেই জনজোয়ার সৃষ্টি হচ্ছে।” তিনি আগামীর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৮ বোয়ালখালী আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহকে ধানের শীষে ভোট দিয়ে বোয়ালখালীর উন্নয়নে সহযোগী হওয়ার জন্য এলাকাবাসীর প্রতি জোর আহবান জানান।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ