আজঃ শনিবার ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

শিক্ষাঙ্গন সন্ত্রাস মুক্ত রাখুন।

চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্র শিবির সন্ত্রাসী কর্তৃক হামলায় আহত ছাত্রদল নেতাকর্মীদের দেখতে এসে সাংবাদিকদের == ডা. শাহাদাত হোসেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ডা.শাহাদাত হোসেন বলেছেন, শিক্ষাঙ্গনকে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য মুক্ত করতে হবে। আমরা বিগত ১৬ বছর ধরে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি দেশের গণতন্ত্র, ভোটার অধিকার, সন্ত্রাস মুক্ত নৈরাজ্যমুক্ত শিক্ষাঙ্গন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমাদের সংগ্রাম অব্যাহত ছিল। দীর্ঘ ১৬ টি বছর আওয়ামী লীগ প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে একদলীয় বাকশাল কায়েম করেছে। গত ১৬ বছরের শিক্ষার হার বৃদ্ধি পেয়েছে কিন্তু মান বৃদ্ধি পায়নি। শিক্ষার্থীরা বৈষম্য শিক্ষার হয়েছে।
রাষ্ট্রের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে। এমনকি শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস নৈরাজ্য সৃষ্টি করে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করেছিল। দলীয়করণ মুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিবেশ তৈরি করতে পারলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা শিক্ষার পরিবেশ পাবে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, দেশ নায়ক তারেক রহমানের নির্দেশে শিক্ষাঙ্গনকে সন্ত্রাসমুক্ত করে শিক্ষার পরিবেশ তৈরি করতে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কাজ করতে গিয়ে বিগত ১৬ বছরে অনেক ছাত্রদলের নেতাকর্মী নিহত হয়েছে এবং হামলা-নির্যাতনের শিকার হয়েছে । বিগত বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ৫ আগস্ট দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর শিক্ষাঙ্গনের সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কাজ করে যাচ্ছে। গত এক মাস ধরে চট্টগ্রাম কলেজে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা যেভাবে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করেছে ঠিক সেভাবে ইসলামী ছাত্রশিবির শিক্ষাঙ্গনের পরিবেশ বিনষ্টের পাঁয়তারা চালাচ্ছে। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল চট্টগ্রাম কলেজের শিক্ষাঙ্গনের সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য প্রিন্সিপালের নিকট অভিযোগ দিলেই তাদের উপর ইসলামী ছাত্রশিবিরের সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। যার প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম কলেজ এর যুগ্ম আহবায়ক সাইফুল করীম আরিয়ান, শরীফুল ইসলাম আবির, আজিজুল হক নাঈম ভূইয়া, সদস্য শুয়াইবুল ইসলাম, আশরাফুল ইসলামসহ ৮ থেকে ১০ জন ছাত্রদলের নেতা কর্মী আহত হয়েছেন। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি অবিলম্বে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
তিনি আজ দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চট্টগ্রাম কলেজের ইসলামী ছাত্রশিবিরের সন্ত্রাসী কর্তৃক আহত চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রদলের নেতাদের কর্মীদের দেখতে গেলে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
ডা. শাহাদাত হোসেন আরো বলেন, শিক্ষাঙ্গনের সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে। সন্ত্রাসী যারাই করুক না কেন তাদের ছাড় দেওয়া যাবে না। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা স্বৈরাচার মুক্ত একটি নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। বৈষম্য কোথায় ও থাকবে না। কারো দখলের কোন শিক্ষাঙ্গন হতে দেওয়া যাবে না। সন্ত্রাসমুক্ত, নৈরাজ্যমুক্ত করে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষার পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। শিক্ষাঙ্গনের শিক্ষার পরিবেশ তৈরি করতে, ছেলেমেয়েদের নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করতে, অবক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করতে, দলীয়করণ মুক্ত ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য শিক্ষাঙ্গনের পরিবেশ তৈরি করতে অভিভাবকদের সহযোগিতা করতে হবে, সরকারের প্রশাসনের সহযোগিতা করতে হবে, রাজনীতিবিদদের সহযোগিতা করতে হবে তবেই শিক্ষাঙ্গনে পরিবেশ সৃষ্টি হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ড্যাব চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি ডা: তমিজ উদ্দিন মানিক , চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. সারওয়ার আলম, বিএনপি নেতা জসিম উদ্দীন চৌধুরী,চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক সালাহউদ্দীন সাহেদ, সাবেক যুগ্ন সম্পাদক আমজাদ হোসেন শাকিল, চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রদলের আহবায়ক সাফরাজ নুরী সিজ্জি,সি: যুগ্ম আহবায়ক বোরহানুল হক,চকবাজার থানা ছাত্রদলের আহবায়ক আলাউদ্দীন আলো, সদস্য সচিব ইমরান লিটন,কলেজ যুগ্ন আহবায়ক রিদুয়ান আলী,শওকত হোসেন বিজয়,মনজুরন আলম প্রমূখ নেতৃবৃন্দ।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান জামায়াতে যোগ দিলেন

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে জামায়াতে যোগ দিয়েছেন সাবেক মন্ত্রী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান। শনিবার ১৩ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

জামায়াত আমিরের উপস্থিতিতে মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নীতি ও আদর্শ, দেশপ্রেম এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর অবিচল অবস্থানের প্রতি গভীর আস্থা ও সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ সময় তিনি সংগঠনের প্রাথমিক সহযোগী সদস্য ফরম পূরণ করে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেন।

আওয়ামিলীগের সাবেক পৌর কাউন্সিলর জুলফিকার মিয়ার বিএনপিতে যোগদান।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

লালমোহন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী জুলফিকার মিয়া বিএনপিতে যোগদান করেছেন। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে তিনি ঢাকায় বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ভোলা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ (বীর বিক্রম) এর বাসায় গিয়ে ফুল দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান সম্পন্ন করেন।

এ সময় মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ তাকে দলে স্বাগত জানান। দলীয় একটি সূত্র বলছে, আগাম রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে সামনে রেখে জুলফিকার মিয়ার এই যোগদান বিএনপির স্থানীয় রাজনীতিতে নতুন উদ্দীপনা তৈরি করবে বলে সকলে মনে করছেন।

অন্যদিকে বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে আওয়ামিলীগের এমপি নুরনবী চৌধুরী শাওন কর্তৃক নির্যাতিত, নিষ্পেষিত বিএনপির অনেক ত্যাগি নেতারা এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। নাম জানাতে অনিচ্ছুক এক নেতা বলেন- বিএনপির এমন দিন আসবে কখনো চিন্তাও করিনি। তবে কী আওয়ামিলীগ দিয়ে বিএনপির ত্যাগীদের আবার নির্যাতনের স্বীকার করতে চায় মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ? কেন আমরা এতদিন নির্যাতিত ছিলাম? এই দিন দেখার জন্য?

এ বিষয়ে জুলফিকার মিয়াকে একাধিকবার ফোন করলে তার মুঠো ফোনটি বন্ধ দেখায়। তবে স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে তার এই সিদ্ধান্ত ঘিরে আলোচনা সমালোচনার শুরু হয়েছে। কেউ কেউ মনে করছে; এভাবে আওয়ামিলীগ দ্বারা বিএনপি সাজাতে থাকলে ভোটের মাঠে এর প্রভাব বিস্তার করবে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ